মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি। আপনি হয়তোবা মাথা ব্যথার সমস্যা ভুগছেন। কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কিভাবে মাথাব্যথা দূর করবেন। বিশেষ করে ঠান্ডার সময় মাথা ব্যাথা বেশি হয়ে থাকে। তাই এ সকল বিষয় উল্লেখ পূর্বক বিস্তারিত এই পোষ্টটিতে আলোচনা করা হল। আপনি মাথা ব্যাথার স্থায়ী সমাধান পেতে চাইলে এই পোষ্টটি সম্পূর্ন মনোযোগ সহকারে পাঠ করুন।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
এই পোষ্টটির মাধ্যমে শুধু মাথা ব্যাথা কমানোর ঔষুধ মাথা নয় বরং আরা জানতে পারবেন মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়, মাথা ব্যাথা কেন হয়, মাথা ব্যাথা হলে কি কি রোগ হতে পারে, গ্যাস থেকে মাথা ব্যাথা কমানোর উপায় এবং মাথা যন্ত্রণা কমানোর দোয়া ইত্যাদি বিষয়।

ভূমিকা

বর্তমান বাংলাদেশ একটি বহুল প্রচলিত সমস্যা হচ্ছে মানুষের মাথাব্যথা। এই সমস্যা নতুন কোন সমস্যা নয় বরং আদিকাল থেকেই এই সমস্যা কম বেশি সবারই দেখা যায়। তাই মাথাব্যথা রোগের চিকিৎসা কিভাবে করা যায়, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে মাথাব্যথা সমস্যা নির্মুল করা যায়, মাথা ব্যথা হলে কি কি ওষুধ খাওয়া দরকার, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে কিভাবে মাথা ব্যথা হয় এবং নির্মূলের উপায় কি এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাক থাকছে এই পোস্টটিতে।

ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি

শীতকালে মানুষের স্বাস্থ্যে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে শীতকালে সকালে ঠান্ডার কারণে প্রচন্ড মাথা ব্যথা। বিশেষ করে যারা সাইনোসাইটিস রোগী তাদের জন্য এ সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে। কারণ সাইনোসাইটিস রোগীদের শীতের কারণে মাথাব্যথা জ্বর সর্দি ইত্যাদি অনেকটাই বেড়ে যায়। অনেকগুলো কারণে শীতকালে মানুষের মাথা ব্যাথা রোগটি হয়ে থাকে। আর এই কারণগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
  • প্রথমটি হচ্ছে মাইগ্রেন, দুঃশ্চিন্তার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে ।
  • ২য়টি হচ্ছে চোখের সমস্যা জনিত কারণে মাথাব্যথা।
  • তৃতীয়টি হচ্ছে সাইনাস জনিত রোগের কারণে।
একজন মানুষ যখন দীর্ঘদিন দুশ্চিন্তা-জনিত কারণে অথবা মানসিক চাপে ভোগে তখন তার চোখের চারপাশে একটি কালো দাগ দেখা যায় আর তখন তার শরীর দুর্বল হয়ে যায়, নাক বন্ধ হয়ে যায় অনেক সময় জ্বর জ্বর ভাব হয় আবার কখনো কখনো মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে আর এগুলো হচ্ছে সাইনাস জনিত রোগের লক্ষণ। প্রতিটি মানুষের চোখের ও নাকের চারিদিকে হাড়ে আছে।

হাড়ের মধ্যে অনেকগুলো স্বায়ু কোষ থাকে আর সেটাকে সাইনাস বলে।মানুষের মস্তিষ্কের যে একটা বড় অংশ রয়েছে তার ভেতরে কিছু অংশ ফাঁকা থাকে আর এরকম ফাঁকা জায়গা চোখের ও নাকের পিছনে হাড়ের দুই পাশে ও দেখা যায়। সর্দি ভালো হওয়ার পরে কিছুটা সর্দি ওই ফাঁকা জায়গায় জমে থাকে এবং পরবর্তী সেটা পানির মতো করে নাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অনেক সময় নাক দিয়ে প্রবাহিত সর্দি ঠান্ডা লাগার কারণে থেমে যায় এবং তখনই মাথা ব্যাথা টা শুরু হয়। কখনো কখনো এ ব্যথা দাঁতের উপরের পাটিতে লক্ষ করা যায়। আর এগুলো সাধারণত সাইনোসাইটিস জনিত রোগের কারণে হয়ে থাকে। এড়াও ঠান্ডায়  মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি তা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মাথা ব্যথা কেন হয়

বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যেমন
  • হরমোন জনিত সমস্যার কারণে হরমোন জনিত সমস্যার কারণে সাধারণত মেয়েদের মাথা ব্যথা জনিত সমস্যা হয়ে থাকে বিশেষ করে মেয়েদের ঋতুচক্রের সময় মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। মানুষ কখনো কখনো আবেগ, অনুভূতি, মানসিক চাপ কোন বিষয় নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করা, কোন কিছুতে অনেক বেশি আঘাত পেলে মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • দুশ্চিন্তার কারণে হঠাৎ কোন কিছু হারিয়ে যাওয়া বা আঘাত পাওয়ার কারণে মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে, শারীরিক সমস্যার কারণে, রাতে ভালো ঘুম না হওয়ার জন্য। একজন মানুষ যদি হঠাৎ করেই বেশি কাজ করে থাকে সেজন্য মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
  • অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। কখনো কখনো রাতে ঘুম থেকে হটাৎ জেগে ওঠলে,  ঘুম না হওয়ার কারণে ও মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে হঠাৎ অনেক বেশি কাজ করলেও মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে।
  • কখনো কখনো খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ঘটলে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। সকালের খাবার অনেক দিয়ে খেলে বা দুপুরের খাবার না খেলে বা শরীরে পানি সুন্দর দেখা দিলে অতিরিক্ত নেশা করলে অতিরিক্ত পরিমাণে চা বা কফি খেলে এসব খাবার খেলে কমবেশি সবারই মাইগ্রেনের সমস্যা বা মাথাব্যথা জড়িত সমস্যা সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার প্রধান উপসর্গ হচ্ছে মাথার যেকোনো এক পাশে অনেক বেশি ব্যথা অনুভব করা। এই ব্যথার তীব্রতা কখনো কখনো এতটা বেশি হয় যে  অনেক সময় বমিও হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়াও অন্য কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন কারো কারো শরীর অনেক ঘামতে পারে।

আবার কারো কারো ক্ষেত্রে কোন কাজে মনোযোগ নাই এরকমটা হতে পারে, কেউ কেউ অনেক বেশি ঠান্ডা বা গরম অনুভব করতে পারে। অনেকের পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া হতে পারে। এই কারণগুলো বা অপসর্গের মধ্যে কোনোটি যদি আপনি বুঝতে পারেন যেটি আপনার হচ্ছে তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

এই লক্ষণ সাধারণত মেয়েরাই মাইগ্রেনের সমস্যায় অনেক বেশি ভুক্তভোগী হন। এই লক্ষণ  ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মেয়েদের হয়, ব্যথার স্থায়িত্ব প্রায় অনেক বেশি হতে পারে। কখনো কখনো চারদিন পর্যন্ত লেগে যায়। যেভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। লক্ষণ গুলো হলো 
  • মাথার যেকোনো এক পাশে অনেক বেশি ব্যথা অনুভব করা।
  • ব্যথার স্থায়িত্ব তিন ঘন্টা থেকে তিন দিন বা চার দিন পর্যন্ত।
  • মাথার দুই পাশে যে দুটি রোগ রয়েছে সেটি অত্যন্ত ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
  • ব্যাথা এত বেশি হয় যে কোন কাজ সঠিকভাবে করা যায় না।
  • এ সময়ই অনেক বেশি আলো বা অনেক বেশি শব্দ তীব্রতা  অনুভব করে। ব্যথা অনেক বেড়ে গেলে ডাক্তারের চিকিৎসার মতে বিশেষজ্ঞরা বলেছে যে, যখন মাথাব্যথা হবে বরফের প্যাক দিয়ে কপালে  ধরে রাখলে মাথা অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায় বরফের টুকরা তোয়ালে মোড়ে নিলে সেটার মাথা সেঁক দিলে মাথা অনেকটাই  ঠান্ডা হয়ে । আপনার ফ্রিজ থেকে কয়েকটি বর্গের টুকরা বের করে একটি তোয়াতেতে ভালো করে বেঁধে নিয়ে মাথায় ঘন ঘন শেক দিতে পারেন। 

মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনি ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজে মাথাব্যথা দূর করতে পারবেন এক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে প্রথমত ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা বরফ বের করুন এবং এটি তোয়ালে মোড়ে মাথায় ঘন ঘন সেক দিন এতে বরফের ঠান্ডা কপাল অনেকটা চুষে নিয়ে আপনার মাথাকে ঠান্ডা করে ফেলবে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মাথায় সেঁক দিলে মাথাব্যথা অনেকটা কমে আসবে।

যাদের সাইনাসের সমস্যা সাইনাসের রোগ আছে তারা গরম জলের সেঁক দিতে পারেন এক্ষেত্রে যা করবেন তা হচ্ছে একটি তোয়ালে নিয়ে সেটা গরম করে আপনার ঘাড়ে এবং মাথার পিছন দিকটাই যেখানে আপনি ব্যাথা অনুভব করবেন সেখানে দিতে হবে। বিশেজ্ঞদের মতে, অনেক সময় যদি চুল শক্ত করে বাঁধা থাকে তাহলে মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। আপনি যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে  চুল খুলে একটু ঠান্ডা হাওয়া নেওয়ার চেষ্টা করুন।

কখনো কখনো অনেক বেশি আলোর কারণে মাথাব্যথা হতে পারে যেমন ধরুন অনেকক্ষণ কম্পিউটার স্কিনের দিকে তাকে কাজ করা বা অনেকক্ষণ মোবাইল ফোনের আলোর সামনে থাকা বা অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখার কারণে মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে এসব সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার মোবাইল ফোন টিভি এসব দেখে বন্ধ করে দিতে হবে।
  • আলোর জন্য চোখ কিছুতেই কষ্ট না পায়। এ সময় যা করতে পারেন আলো থেকে দূরে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন।
  • একটি খাবার অনেকক্ষণ ধরে খেলে কখনো মাথা ব্যথা সমস্যা হয় যেমন ধরুন অনেকক্ষণ ধরে চুইনগাম বা পান খাওয়ার সময় মাথাব্যথা অনুভব হতে পারে এ সময় যা করতে হবে তা হল চু্ন্ধইনগাম বা পান খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে আপনি একটু বিশ্রাম নিতে পারেন।
  • শরীরে পানির অভাব হলে মাথা যন্ত্রণা হতে পারে এ সময় মুখ মুখ শুকিয়ে আসে, কথা বলতে ইচ্ছে করে না। তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার খাবার জলের প্রয়োজন। এ সময় আপনি অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান  করতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করার  ফলে অতি সহজে মাথাব্যথা দূর করতে পারেন এতে আপনার মাথার নায়ুতে রক্ত চলাচল সচল থাকে।
  • অনেক বেশি মাথাব্যথা অনুভব হলে আপনি হাত-পা শান্ত করে অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকবেন কিছুক্ষণ পরে দেখবেন যে মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে আসছে।
  • আদা চা অনেক সময় মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে তাই এক কাপ পানিতে চা আদা এবং কিছুটা লেবুর রস দিয়ে একটা চা বানিয়ে খেলে ব্যথা অনেকটাই দূর হয়ে থাকে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম

মাথা ব্যথা কমানোর একটি ওষুধ হচ্ছে ওষুধের নাম হচ্ছে
  • এনিলিক মাথাব্যথা দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করে আপনার মাথা ব্যথা হলে নিকষ্ঠস্থ্য ফার্মেসি থেকে এই ওষুধ কিনে খেতে পারেন
  • আরিন মাথা ফাটা কমানোর জন্য একটি কার্যকর ওষুধের নাম হচ্ছে অরিন যদি কম ব্যাথা অনুভব করেন তাহলে নিকটস্থ দোকান থেকে এই ওধুষটি খেতে পারেন।
  • নজরিন আপনার নিকৃষ্ট দোকান থেকে এই একটু কিনে খেতে পারেন তবে মনে রাখতে হবে যে কিছু কিছু মাথা ব্যাথার ওষুধ অনেক সময় মাথায় চুল উঠতে সাহায্য করে তাই রোগ নির্ণয় করার পর আপনাকে ওষুধ খেতে হবে।
  • মিগ্রাটল ব্যাথা কমানোর আরেকটি ওষুধের নাম হচ্ছে মিগ্রাটল। 
  • মিগরেক্স আপনার মাথা ব্যাথা হলে ওষুধ খাবেন এটা মনে করে মনে করবেন না বা খাবেন না কারণ আপনাকে রোগ নির্ণয় করার পরে ওষুধ সেবন করতে হবে। কেননা মাথাব্যথা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি।
  • মিনোপা মাথাব্যথা কি কারনে হচ্ছে কেন হচ্ছে এসব সমস্যার সমাধান করার পরে রোগ নির্ণয় করার পরে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুয়ায়ী এই ঔষুধ কিনতে পারেন।
  • মাই গান আপনি যদি পার্সোনাল ভাবে কোন ওষুধ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি সঠিক রোগ ঘৃণা করার পরে কিনে খেতে পারে।
  • নামিটল 
  • টলফি
  • টলমিক ২০০ এমজি

মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া

মাথা ব্যাথা কমানোর জন্য কোরআনুল কারীমে বেশ কিছু আয়াত রয়েছে যা সঠিকভাবে পাঠ করার পরে মাথায় ফু দিলে মাথাব্যথা কম হয়ে যায়।সূরা ওয়াকিয়ার ১৯ নাম্বার আয়াতটি মাথা ব্যাথার দোয়া হিসেবে খুব বেশি কার্যকরী।  ১৯ নাম্বার আয়াত পাঠ করে করতে পারেন। হিজামা চিকিৎসা খুব একটি প্রাচীন চিকিৎসার নাম হলো হিজামা চিকিৎসা।
আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হিজামা চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা পরামর্শ দিয়েছেন । এ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে যে হযরত আবু হুরাইয়া রাজী আল্লাহ তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, হিজমা চিকিৎসা মাথা ব্যাতা কমানোর সবথেকে ভাল উপায়। শুনানে ইবনে মাজাহ ৩৪৭৬ নাম্বার হাদীসে।
তারপর আবু দাউদ ৩৮৯৭ নাম্বার হাদিসে বলেছেন, যে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন মাথাব্যথা সর্বোচ্চ চিকিৎসা হলো হিজমা চিকিৎসা। এই চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং চোখের  দৃষ্টিশক্তি অনেকটা বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও আরো কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমন আপেল খাওয়া তারপর সূরা তাকাছুর তেলাওয়াত করা, নিয়মিত সূরা তেলাওয়াত করার মাধ্যমে আপনি মাথা ব্যথার দূর করতে পারেন। তারপর সূরা ফাতিহা ৪২ নম্বর আয়াত জোরে জোরে পাঠ করা।

গ্যাস থেকে মাথা ব্যাথা কমানোর উপায়

আপনি হয়তোবা জানেন না একজন মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেও মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। তবে এটি দূর করার জন্য বেশ কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই গ্যাস্ট্রিক থেকে উৎপত্তি মাথা ব্যাথা দূর করতে পারেন। এজন্য যা দরকার তা হলো আপনার কি কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে সেটি দূর করতে হবে।
  • আপনি মাথা ব্যথা কিছু জন্য হচ্ছে মাথা ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে এবং সে অনুয়ায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
  • মেন্থল  চা পান করতে পারেন।
  • আদা চা পান করতে পারেন।
  • মৌরি বীজ
  • দীর্ঘ নিঃশ্বাস
  • পেট ব্যথা হলে পেটে মালিশ করা
  • জলপান করা
  • গ্রাসট্রিক জনিত খাবার এড়িয়ে চলা
  • শারীরিক তাপ কমানো 
  • মানসিক চাপ কমানো 
  • নিয়ম মেনে খাবার খাওয়।

শেষ কথা

আপনি একটা বিষয় মনে রাখবেন সেটা হল সব ধরনের প্রতিকারক ওষুধের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াজনিত সমস্যা থেকে থাকে। তাই মাথা ব্যথার ওষুধ সেবনের পূর্বে আপনি অবশ্যই পেশাদার কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর আমার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি একটু উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url