লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন

আপনাদের সবার মনে লালন ফকির শাহ কে নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। আসলে লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন এবং লালন শাহের গুরু কে ছিলেন এসব বিষয়গুলা আপনারা হয়তোবা কেউই জানেন না। তাই এই পোস্টটির মাধ্যমে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন
লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন এবং লালন শাহের গুরু কে ছিলেন এসব বিষয়গুলা ছাড়াও লালন শাহ এর জন্মস্থান কোথায়, লালনের জনপ্রিয় গানের রিলিক্স, লালন শাহ এর জীবন বৃত্তান্ত ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

লালন ফকিরের জীবন বৃত্তান্ত একটি গোলক ধাঁধাঁর মতো। তিনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের ব্যাখ্যা করেছেন। লালন শাহ এর জন্মস্থান কোথায়, লালন শাহ কোন ধর্মের,লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন,লালন ফকির কত বছর বেঁচে ছিলেন ইত্যাদি বিষয়সহ লালন শাহ এর জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করা হল।

লালন শাহের গুরু কে ছিলেন

লালন শাহ কে বাউল সম্রাট বলা থাকে। কারণ তিনি বাউল ধর্মে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। লালন শাহ সারা জীবন তার বহু গানে সিরাজ সাঁই এর কথা বারবার বলে গেছেন। তাই সবার ধারণা লালন শাহের গুরু ছিলেন সিরাজ সাঁই। সিরাজ সাঁই বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার তার গ্রামের নাম ছিল হরিশপুর এবং গ্রাম হরিশপুর পরবর্তীতে সিরাজ সাইকে তার গ্রামে দাফন করা হয়।
যেহেতু লালন সাঁই তার অনেক গানে সিরাজ সাঁই এর কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে উল্লেখ করেছেন তাই সিরাজ সাঁইকেই লালন সাঁইয়ের গুরু বলা হয়।

লালন শাহ এর জন্মস্থান কোথায়

লালন ফকিরের জীবন সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি যেসব গান রচনা করে গেছেন সেগুলো হচ্ছে তার তথ্যসূত্র ভান্ডার। কিন্তু লালন শাহ তার কোন গানেই নেই নিজের সম্পর্কে কিছুই বলে যাননি। তবে বেশ কয়েকবার লালন নিজেকে লালন ফকির হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মৃত্যুর বহুবছর পরেও প্রকাশিত হয়।

আর এসব পত্রিকায় বলা হয় যে লালন শাহের জীবনী লিখার জন্য কোন উপকরণ পাওয়া বেশ কঠিন। তিনি নিজে কিছু বলতেন না শির্ষওরা কিছু বলতে পারেননি। লালন শাহের জন্মস্থান নিয়েও অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। তবে বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায় যে লালন ফকির ১৭৭৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৎকালীন সময়ের পূর্ব বাংলার বর্তমান বাংলাদেশের ঝিনোদহ জেলার।

আর গ্রাম হরিশপুর উপজেলা হরিনাকুন্ড তে জন্মগ্রহণ করেন। কোন কোন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, লালন ফকির কুষ্টিয়ায় জেলার চাপরা ইউনিয়নের ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে এই তথ্য নিয়ে অনেকে বিভিন্ন মতামত দেন। আবার কোন কোন পত্রিকায় লালনের জন্ম ফুলবাড়ী গ্রাম যশোর জেলায় হয়েছে বলে ধারণা করেন। 

আরো এক তথ্য থেকে জানা যায় তার বাবার নাম ছিল কাজীদুল্লাহ দেওয়ান। লালন শাহের আরো দুই ভাই ছিল বলে ধারণা করা হয় আবার কিছু কিছু তথ্য ভান্ডার থেকে জানা যায় লালন ফকিরা চায় ভাই ছিল। তৎকালীন সময়ে ৭৬ এর মন্বন্তর নামে একটি দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সেই দুর্ভিক্ষে লালন শাহের পরিবারের ভাইয়েরা মৃত্যুবরণ করেন।

লালন ফকির তখন হরিশপুরের এক ছোটপাড়ায় ইনু কাজির নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

লালন শাহ কোন ধর্মের

লালন ফকির বাউল ধর্মতন্ত্র দীক্ষিত ছিলেন। বাউল সম্রাট লালন ফকির কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন এটা বলা খুব মুশকিল। কারণ তার গানে এবং তার জীবন পর্যালোচনা করে যে তথ্য যা জানা যায় তা হল তিনি প্রতিটি ধর্মের কথায় উল্লেখ করেছেন। কোন ধর্মকেই প্রাধান্য দেননি তার গানের মূল কথা ছিল সবাই মানুষ সবাই এক তবে তিনি যখন বৈষ্ণব ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতেন ।

তখন হিন্দুরা তাকে বৈষম বলতেন বা হিন্দুরা মনে করতেন লালন শাহ হিন্দু ধর্মে অনুসারে । আবার তিনি যখন অন্যান্য ধর্ম নিয়ে গান রচনা করতেন তখন তারা মনে করত লালন ফকির খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী মোটকথা তিনি যখন যে ধরনের কথা বলতেন সেই ধর্ম অনুসারীরা তাকে সেই ধর্মের অনুসারী বলে মনে করতেন। 

আসলে লালন মানব ধর্মের অনুসারী তিনি জাত, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রভৃতি অনুসারে মানুষের ভেদাভেদ মানুষের কোন ভেদাভেদ করতেন না। তার প্রধান ধর্ম বা তার প্রধান ধর্মীয় কথা ছিল সব মানুষই এক। লালন ফকিরের ধর্ম বিশ্বাস বা ধর্ম অনুসার নিয়ে বহু গবেষকদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে যেগুলো লালন ফকিরের জীবনী ছিল।

তার মৃত্যুর পরও অনেক পত্রিকা উল্লেখ করা হয় যে, লালন শাহ হিন্দু না মুসলমান একথা কেউ বলতে পারবে না। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে লালন শাহ কোন নির্দিষ্ট ধর্মের নিয়ম নীতি পালন করেননি। তবে একটা কথা সত্য যে যেহেতু লালন ফকির মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে সূত্রে তিনি মুসলমান এবং মুসলিম ধর্মের অনুসারী।

তবে তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়েও অনেক আলোচনা করেছেন প্রকৃতপক্ষে লালন ফকির নির্দিষ্ট কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন না। তিনি মানুষের কোন ভেদাভেদ করতেন না। তিনি মনে করতেন মানুষ সব মানুষই, এক মানুষের পরিচয় একটা। সে একজন মানুষ তবে কিছু কিছু উপন্যাসিক উপন্যাস লিখতে গিয়ে বলেন যে লালন ফকির অনেক ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন।

কিন্তু তিনি একক কোন ধর্মনীতি পালন করেননি বা করতে আগ্রহী হননি। সকল ধর্ম বন্ধন ভেদ করে মানবতাকে, মনুষ্যত্বকে শ্রেষ্ঠ স্থান দিয়েছেন। লালন শাহ যেদিন মৃত্যুবরণ করেছিলেন সেই দিন সারারাত তিনি গান বলেছিলেন তারপর সবার শেষে তার শীর্ষদের তিনি বলেছিলেন এইবার আমি চলিলাম, এ কথা বলার পরেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

মৃত্যুর পরে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তার সৎকার কোন বিশেষ ধর্ম মেনে বা বিশেষ কোন ধর্ম অনুসরণ করে করা হয়নি।

লালন ফকির কোন সম্প্রদায়ের সাধক ছিলেন

লালন ফকির কিছু কিছু দার্শনিক মনে করেন যে বাংলা ১৩ শতাব্দীর অর্থাৎ১৩৫৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কুষ্টিয়া জেলা কুমারখালী উপজেলা ভাড়ারা গ্রামে লালন ফকির জন্মেছিলেন। তিনি সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন তার পিতার নাম ছিল মাধব কর ও মাতার নাম ছিল পদ্মাবতী। তিনি তাদের একমাত্র সন্তান কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয় বলে ধারণা করা হয়।

লালন ফকির চেয়েছিলেন সব ধর্ম বর্ণ জাত -পাত যে বিভেদ ছিল মানুষের মধ্যে সেই বর্ণভেদ ছিল ধর্মের অনেক পার্থক্য ছিল এগুলোকে একত্র করতে। মোটকথা তিনি মানুষের বিভেদের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। লালন ফকির এটাই করতে চেয়েছিলেন যে মানুষের কোন জাত থাকবে না, তাদের কোন বর্ণ থাকবে না, তাদের একাধিক কোন গোত্র থাকবে না।

সবাই এবং সামাজিক জীবন গড়ে তুলবে। সবার উপরে তিনি স্থান দিয়েছেন মানুষের মানবতাকে। জানা যায় তিনি অনেক ধর্মীয় নিয়ম নীতি পালন করতেন তবে একক কোন ধর্মীয় নিয়ম নীতি পালন করতেন না। তার সাধনাতে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় ধর্মের কথা উল্লেখ আছে। কারণ তিনি উভয় ধর্মেই অত্যন্ত গুনি হতে চেয়েছিলেন। অনেক জ্ঞান লাভ করতে চেয়েছিলেন।

লালন ফকির শুধু ধর্ম জাত বিভেদ বিরুদ্ধে লড়াই করেননি বরং তিনি তৎকালীন সময়ে সামাজে যেসব অনাচার অত্যাচার বিভেদ বৈষম্য ছিল শাসন শোষণ ছিল সেগুলোর বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়িয়েছেন। তৎকালীন জমিদারদের বিরুদ্ধে তিনি অনেক অত্যাচারিত শীর্ষদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন।

লালন শাহ ছিলেন একজন কি কবি

লালন শাহ একজন আধ্যাত্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন মানবতা বিরোধী। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক। লালন ফকির বহু গানের সুরকার গীতিকার এবং নিজেই ছিলেন একজন গায়ক। লালন অনেক বাউল গান কে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করতেন লালন শাহের গান বর্তমানে সময়েও অনেক জনপ্রিয়।

লালন ফকির একধারে ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাকে কখনো কখনো লালন ফকির বলা হত কখনো কখনো কেউ কেউ সাইজি বলে সম্বোধন করতেন। আবার কেউ কেউ লালন শাহ আবার কেউ কেউ মাহত্ব লালন বলে আখ্যায়িত করেছেন। লালন সম্রাট ছিলেন একজন গান রচয়িতা। তিনি নিজেই শুর করতেন আবার নিজেই গান গাইতেন। 

তিনি ছিলেন ফকির সাধক। তিনি ছিলেন সমাজ সংস্কারক দার্শনিক। লালন ফকির ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে জাতিভেদ ভুলে সবার উদ্দেশ্যে মানবতাকে স্থান দিয়ে গান রচনা করতেন। তার গান শুনেই তার গানের কথা শুনে অনেকে তার ভক্ত হয়ে যেত। বর্তমান যুগে বা তার গানে রচনা থেকেই অনেক কবি সাহিত্যিক দার্শনিক বুদ্ধিজীবীরা তার গান দর্শনের অনুসরন করতেন। 

আর তার গান অনুসরন করেই অনেক উপন্যাস গান কবিতা ইত্যাদি রচনা করেছেন। লালন শাহের গান বহু যুগ ধরে বহু সঙ্গীত শিল্পীদের কন্ঠে গাইতে দেখা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম লালন শাহতে মাহত্ব উপাধি দেওয়া হয়।

লালন ফকির কত বছর বেঁচে ছিলেন

লালন ফকির মানুষের মধ্যে যে ভেদাভেদ ছিল সেটা কখনোই মেনে নিতে পারতেন না। তিনি সবসময় মানুষের ধর্ম, বর্ণ, বিভেদ এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং এগুলোর বিরুদ্ধে গান রচনা করেছেন। তিনি গানের মাধ্যমে মানুষকে এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে সব মানুষই এক। মানুষের কোন ভেদাভেদ নেই, মানুষের কোন বর্ণ নেই ।

লালন শাহ ১৭৭৪ সালে ১৭ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর থেকে তিনি অসংখ্য গানের রচনা করে গেছেন। তিনি প্রায় দুইশত ২২৭টি গান রচনা করেন তিনি এরপর ১৭ই অক্টোবর ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে কুমারখালী উপজেলার কুষ্টিয়া জেলায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ১১৬ বছর বাংলায় ১৩২৭ সালে কার্তিক মাসের প্রায় ১১৬ বছর বয়সে লালন ফকির দেহ ত্যাগ করেন।

তিনি বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিলেন যেমন লালন ফকির, ফকির লালন শাহ, সাইজি বাউল সাধক, গীতিকার। লালনের বউয়ের নাম ছিল বিশাখা।

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে লিরিক্স

লালন শাহের অনেকগুলো জনপ্রিয় গান রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে এই গানটি রিলিক্স নিচে চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। তার অন্যতম কয়েকটি গানের রিলিক্স হল

লালন শাহ এর জীবন বৃত্তান্ত

লালন শাহ খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেননি। খুব খুব পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। তিনি বাংলাদেশর তৎকালিন অভিভক্ত পূর্ব বাংলার জেলা ঝিনাইদহে, উপজেলা হরিনাকুন্ড এবং হরিশপুর নামক গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন বলে জানা যায়। তার পরিবারের অনেকেই ছিয়াত্তরের মনন্তরের সময় মারা যায়। তার পর তিনি কাজি ইনুর বাড়িতে আশ্রয় নেন।

সেখান থেকে তিনি ভিন্ন রকম বাউল সংগীত রচনা করেন। তার রচিত গান গুলো সাধারন মানুয়ের মনে সাড়া জাগালেও অনেক সমময় তার গান তৎকালিণ সময়ের বিভিন্ন জমিদার ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ তাকে কখনই মেনে নেয় নি। কারন তার রচিত গান জমিদার ও সম্ভান্ত পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ছিল।

সে জন্য তাকে অনেক অত্যাচার ও অবিচার সহ্য করতে হয়। সমাজ থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। অবশেষে তিনি আশ্রয় গ্রহন করে নিরালায় এক জায়গায় যেখানে তিনি একাই ছিলেন। কিন্তু তার কিছু অন্ধ ভক্ত তার পিছু ছাড়লেন না। তারাও সেখানে আশ্রয় গ্রহন করেন। এভাবে সেখানে তার বহু ভক্ত আশ্রয় গ্রহন করেন।

সেখাই তিনি সংগীত রচনা করতেন। সর্বশেষে লালন শাহ ১৮৯০ সালে ১৭ ই অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলায় ছেউড়িয়া গ্রামে ১১৬ বছর বয়সে বার্ধক্য জনিত কারনে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।

শেষ কথা

লালন শাহ কোন সাধারন ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি যেমন ছিলেন সাধক ফকির আবার সমাজ সংস্কারক ও বটে। লালন শাহ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এবং লালনের অনেক জনপ্রিয় গানের রিলিক্স পেতে অবশ্যই এই ওয়েব সাইট ফলো করুন এবং সবার সাথে পোষ্টটি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url