দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার কতখানি দায়ী ছিলেন
আপনাদের মনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার কতখানি দায়ী ছিলেন এবং হিটলার কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেনে এরম অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। যে ব্যক্তি জার্মানির স্বপ্নের নায়ক হওয়ার কথা ছিল সে কিভাবে জার্মানি খলনায়কে পরিনত হল। এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব বিশ্ব ইতিহাসের এই পোষ্টে।
এছাড়াও এডলফ হিটলার কি ভাবে মারা গেলেন, তার মৃত্যুর পেছনে কোন রহস্য জড়িত, হিটলারের সেনাবাহিনীর নাম সহ আরো অনেক বিষয়াবলি জানতে পারবেন। তাই এ সকল বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
একজন মানুষ কিভাবে নায়তে অন্যায়কে পরিণত হয় এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন হিটলার কোথায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন। হিটলার কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন।হিটলারের সেনাবাহিনীর দলের নাম কি এবং যুদ্ধের সময় হিটলারের সেনারা কেন বা খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়তেন না। এ সকল বিষয় সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো এই পোস্টটির মাধ্যমে।
হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন
এডলফ হিটলার জার্মানিদের ভাষায় বলা হয় আডল্ফ হিট্লা। যার জন্ম হয়েছিল ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল। তিনি সাধারণত অস্ট্রিয়ার বংভূত ছিলেন। জার্মানি রাজনীতিতে তিনি ছিলেন ন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট জার্মা ন ওয়ার্কার্স পার্টি এর প্রধান নেতা ছিলেন। এডলফ হিটলার অস্ট্রিয়ার ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম সাল ছিল ১৮৮৯।
হিটলার কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন
এডলফ হিটলার কোন ধর্ম বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতেন। অসংখ্য ঐতিহাসিক হিটলারের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বিভিন্ন রকম মত পোষণ করেছেন। যেমনটা হলো হিটলার এমন একজন ব্যক্তি যার কোন ধর্ম নেই। হিটলার ইহুদি বিরোধী ছিল তবে একটা কথা সত্য যে হিটলার বিজ্ঞানী-এ বিশ্বাসে ছিলেন। তবে হিটলার খ্রিস্টান ধর্মের ব্যাপক সমালোচনা করতেন।
আরো পড়ুন: লালন শাহ কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন
তিনি খ্রিস্টান বা খ্রিস্ট ধর্মকে খুব ক্ষতিকারক কুসংস্কার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং তিনি এটা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম পরিত্যাগ করছেন। তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন ক্ষমতায় আসার পর তিনি চেষ্টা করেছেন যারা খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী তাদের প্রভাবকে ভেঙে ফেলার। তার শিক্ষা কালীন জীবন থেকে জানা যায় তিনি খ্রিস্টান ধর্মের ব্যাপক বিরোধী ছিলেন।
মূলত তিনি ছিলেন নি-ধার্মিক। বিখ্যাত ঐতিহাসিক লরেন্স রিস এটা প্রমাণ পান যে, হিটলার ইসলাম ধর্মে গির্জা কর্তৃক প্রভাবিত খ্রিস্টান ধর্মের আসল ভিত্তি প্রস্তরের প্রতি কোন রকম বিশ্বাস স্থাপন করেননি। হিটলারের এক কনিষ্ঠ বন্ধু এটা বলেছেন যে (আরনেস্ট হেন্ড ফাস্ট লেন্স) আমি যখন বা যতটা সময় ধরে হিটলার কে চিনি তিনি একজন প্রকৃত নাস্তিক ব্যক্তি ছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে তিনি খ্রিস্টান ধর্মকে ব্যাপকভাবে ঘৃণা করতেন তবে তিনি বিজ্ঞান ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন।
হিটলারের সেনা বাহিনীর নাম কি
জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে এডলফ হিটলারের অবদান অসাধারণ। তিনি বিশেষ বাহিনী গঠন করে জার্মানকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ১৯৩৩ সালে ৩০শে জানুয়ারি। হিটলারের গোয়েন্দা বাহিনী ছিল অর্থাৎ গোপন পুলিশ বাহিনী যার নাম ছিল গেস্টাপো। হিটলারের প্রধান সেনাবাহিনীর নাম ছিল নাৎসি।
হিটলারের আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কি
হিটলারের রাজনৈতিক জীবন কাহিনী এবং তার ব্যক্তিগত জীবনাবলী নিয়ে বেশ কিছু আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে। এই বইগুলো সাধারণত দুইটি খন্ডে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রথম ভাগে প্রকাশিত হয়েছে ১৯২৫ সালে এবং দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। বইটি যখন লেখা হয় সেই সময় হিটলার জেলে ছিলেন।
তার রচিত বইটি হলো মাই ক্যাম্প বাংলায় বলা হয় আমার সংগ্রাম। এটি হলো জার্মান চ্যান্সেলর হিটলারের আত্মজীবনী বই। এই বইটি রচনা করার সময় এডলফ হিটলার তার সেনাবাহিনী নাৎসিবাদ অর্থাৎ নাৎসিদের সর্ম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করেন। এডলফ হিটলার ১৯২৩ সালের মিউনিখে এক বিশেষ অভিযানে ব্যর্থ হওয়ার পরে তিনি কারাগারে বন্দি হন।
এরপরে ১৯২৪ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞতার কারণে সুবিচারের সম্মুখীন হন। এই বিচারের রায় তিনি পাঁচ বছরের জন্য সাজা পেয়েছিলেন। তিনি জেলে বসে তার আত্মজীবনীমূলক বইটি লিখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এ গ্রন্থটি অনেকটাই বড় এবং বুঝার সুবিধার্থে এটিকে দুই ভাগে প্রকাশ করা দরকার বলে মনে করেন।
যার প্রথম খন্ড ১৯২৫ সালে প্রথম দিকে প্রকাশিত করার জন্য জন্য পাঠানো হয়। তৎকালীন সময়ের ল্যান্ডসবার্গ গর্ভনর একটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন যে, বইটি অনুকরন করে প্রকাশিত হবে এবং এই বইটি প্রকাশ করার ফলে যে আর্থিক আয় হয়েছিল সেটা তার বিচারকার্য পরিচালনা করতে অনেকটা সক্ষম হয়। আস্তে আস্তে তিনি বই বিক্রির পর ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে হিটলার যখন ক্ষমতায় আসেন।
তখন এই বইটি দেশটির সর্বোচ্চ বিক্রির খাতায় উঠে আসে। হিটলার মৃত্যুবরণ করার পর মেইন ক্যাম্প নামে একটি বই বাভানিয়া রাজ্য সরকারের হস্তগত হয়ে যায়। আর এই বইটি জার্মানিতে কোনরকম প্রতিলিপি অনুলিপি তৈরি করার অনুমতি সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হয়। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে এই বইটি আবারও প্রকাশের অনুমতি পেয়েছিল।
যা জনগণের বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল এবং স্থানীয় ইহুদীদের প্রতি তীব্র প্রতিতিক্রি য়া প্রকাশ পেয়েছিল। ঐতিহাসিক পণ্ডিত গণের মতে জার্মান ভাষায় দুই ভাগে ভাগ করে প্রায় দু হাজার পৃষ্ঠা সংস্কার করে প্রকাশ করা হয় এবং এর সাথে প্রায় ৩৫০০ টিকাযুক্ত করা হয়েছিল।
হিটলার কি ভাবে মারা গেলেন
অ্যাডলফ হিটলারের মৃত্যুর কাহিনী নিয়ে অনেক রহস্য আছে। সবাই এটা জানে যে এডলফ হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরাজয়ের পর তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুতে কিছুটা রহস্য ছিল বলে ধারনা করা হয়। ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের ফিউরারও ছিলেন।
এডলফ হিটলার মারা যাওয়ার পূর্বে প্রায় ২৫ বার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন জার্মান নেতা যিনি নাৎসি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল বার্লিন শহরে তিনি বন্দুকের গুলিতে মারা জান, সাথে সাথে তার স্ত্রী সাইনাইড নামক এক ধরনের বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। তার মৃত্যুর সময় তার দেহ রক্ষীরা ব্যাংকারের বাহিরে উপস্থিত ছিলেন।
তবে লিখিত এবং কিছু প্রমাণ অনুযায়ী বলা যায় ধারণা করা হয় একই দিন বিকালে ব্যাংকারের জরুরি বহি বিভাগ দিয়ে সিঁড়ি একটি জঙ্গল পর্যন্ত আনা হয় এবং ব্যাংকারের বাহিরে একটি জঙ্গলে অর্থাৎ ক্যানসেলের বাগানে হিটলারের দেহকে পেট্রোল ঢেলে আগুন হয়। তাই পরবর্তী বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী বলা হয় যে তার দেহের অনেক অংশ উদ্ধার করা হয় যা জায়গায় জায়গায় পুঁতে রাখা হয়।
যা ১৯৭০ সালে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। জার্মানির এডলফ হিটলার স্বৈরশাসক ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি মারা যান। তবে তিনি পালিয়ে গিয়ে অনেক দিন বাঁচতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয় তবে এ তথ্য কে অনেকে ভুল প্রমাণ করেছেন। এটা নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ১৯৪৫ সালেই এডলফ হিটলার মারা গিয়েছিলেন।
ফরাসি দার্শনিক অর্থাৎ ফরেনসিক দল সংরক্ষিত হিটলারের মাথার খুলি দাঁতের কিছু অংশ পরীক্ষা করে এটা বলেন যে গুলির আঘাতে অ্যাডলফ হিটলার মৃত্যুবরণ করেন এবং সানসাইড নামক পদার্থের কিছু অংশ তার শরীরে পাওয়া যায়। এটা সম্পূর্ণ সত্যি আর স্ত্রীর নাম ছিল ইভা ব্রাউন তিনিও সানসাইড নামে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন।
হিটলারের মাথার কাছে একটি গুলি পড়েছিল তবে হিটলার সম্ভবত সাইনাইট এবং বৃষ্টিও গ্রহণ করেছিলেন। তা মৃত্যুর কারণ এটা ধারণা করা হয় যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রুশ বাহিনী জার্মান শহরের উপকণ্ঠে উপকূলে ঢুকে পড়ে এবং নাৎসি সৈন্যদের পতন ঘটানো নিশ্চিত করে ফেলে এবং এ যুদ্ধের পরাজয় হিসেবে হিটলার আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার কতখানি দায়ী ছিলেন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার কতখানি দায়ী ছিলেন এটা নিয়ে অনেকটা মতভেদ রয়েছে দ্বিতীয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার কতখানি দায়ী ছিলেন কিনা এটা জানতে হলে জানতে হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কারণ কি ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল ১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার এবং তার নাৎসি পার্টির রাজনৈতিক ব্যাপক প্রভাব।
জার্মান বাহিনীদের বৈদেশিক নীতি এবং আরো একটি কারণ ছিল সেটা হল তৎকালীন সময়ে ইতালীয় ফ্যাসিবাদ এবং ১৯৩০ সালে জাপান সরকারের চীন প্রজাতন্ত্রকে আক্রমণ করা। জার্মানি ও জাপান সামরিক বাহিনী আক্রমণমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পর অন্য দেশগুলো যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং সামরিক বাহিনী দিয়ে প্রতিরোধ শুরু করে।
১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে জার্মান সরকার কর্তৃক পোল্যান্ড আক্রমণ করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৩৯ সালে সেপ্টেম্বরে জার্মানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
এডলফ হিটলারের এর জীবন কাহিনী
পরিচয়
হিটলারের আত্মজীবনীমূলক কোন গ্রন্থ রচনা হয়েছে তবে সংশোধিতভাবে হিটলারের জীবনী সম্পর্কে আত্মজীবনী সম্পর্কে জানা যায়। তার জন্ম ১৯৭৯ সালে ২০ই এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অস্ট্রিয়ায় ইহুদী পরিবার জন্মগ্রহণ করেন তার পিতা একজন ইহুদী ছিলেন। তার পিতা একজন ইহুদি ছিলেন। তার জন্মসূত্রে অ্যাডলফ হিটলার ছিলেন একজন ইহুদি খ্রিস্টান।
শৈশব ও যৌবনকাল
হিটলার ছোটবেলায় তার বাবাকে হারিয়েছেন এবং তার কিছুদিন পরে তিনি তার মাকে হারিয়েছেন হিটলারের বাবা অবৈধভাবে হিটলার কে জন্ম দেয় যার জন্য হিটলার কে জারজ সন্তানও বলা হত। তবে তিনি তার পরিচয় দিতে গিয়ে তার বাবার পরিচয় না দিয়ে মায়ের পরিচয়টাই দিতেন। কারণ তিনি তার বাবাকে ঘৃণা করতেন।
এডলফ হিটলার কখনো তার বাবার নাম ব্যবহার করেননি ছোটবেলা থেকেই তার বাবা তার মায়ের উপর অত্যন্ত অত্যাচার করতেন যে কারণেই তিনি তার বাবা অর্থাৎ ইহুদিদের ওপর অত্যন্ত ঘৃনা সৃষ্টি হয়। ছোটবেলায় তার মা মারা যাওয়ার পর এই রাস্তায় রাস্তায় মজুরি কাজ করতেন। এবার রাস্তায় শুয়ে থাকতেন। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন এবং পড়াশোনা কাজ চালিয়ে যেতেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিয়েনা যান সামান্য ভাতা পেতেন। বাবা মা হারানোর সাথে সাথে তিনি হারিয়েছিলেন তার ছোট ভাইকেও যার জন্য একবার হিটলার অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন। হিটলার ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত শিল্পোরাগী ছিলেন। তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভি নাই ছবি একে একে জীবন চালাতেন এর পাশাপাশি তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।
তিনি শিল্প নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও আর্থিক দুরবস্থার কারণে শিল্প নিয়ে পড়াশোনা করা হয়নি। ভিয়েনা সরকার অনাথ ভাতা দিতেন তা দিয়ে কোনরকমে জীবন চালাতেন। বাসস্থান ছিল রাজপথ।
রাজনীতিতে প্রবেশ
ছোটবেলা থেকেই হিটলারের মধ্যে জার্মান রাজনীতি বিদ্যমান ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তার মনে জার্মান রাজনীতি বিদ্যমান থাকার কারণেই ১৯১৩ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রতিটি যুদ্ধে অ্যাডলফ হিটলার অংশগ্রহণ করেন যুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি প্রতিটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তিনি কোন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে পারেননি।
প্রতিটি যুদ্ধে প্রায় প্রতিটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কারণে কিছু যুদ্ধে অ্যাডলফ হিটলার আহত হন। তার জন্য তাকে কয়েকটি খেতাব দেওয়া হয়। তবে এদিকের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হেরে যাওয়ার পর হিটলারের মধ্যে অনেক একটু খুব তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরাজয়ের পর তিনি দেশেই অবস্থান করেন এবং দেশদ্রোহীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করেন।
তিনি নাৎসি বাহিনী গঠন করে তার নিজস্ব ভাবেই নিজস্ব দক্ষতা দিয়েই নাৎসি বাহিনী গড়ে তোলেন। এডলফ হিটলার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং ইহুদীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য খুব দ্রুত জনগণের সমর্থন পান। ১৯১৯-১৯২১ সালে নাৎসির চ্যান্সেলর সরিয়ে দিয়ে এডলফ হিটলার পার্টির চেয়ারম্যান হন। তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক মন্দা এবং দুর্ভিক্ষ হিটলারের জন্য এটি সুযোগ বয়ে নিয়ে আসে।
কারণ এই সময় জার্মান জনগণ সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নাৎসি দলের দিকে যোগদান করেন। ১৯৩৪ সালে হিটলার জার্মানির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পরেই শুরু হয় হিটলারের স্বৈরশাসকতন্ত্র। এডলফ হিটলার দেশের জনগণের নাৎসি বাহিনীর প্রতি ভালোবাসা জন্যই এবং অনেক সূক্ষ্ম এবং সুচারু পন্থায় জনগণের জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
হিটলারের মূল অস্ত্র ছিল জনগণের দেশের প্রতি ভালোবাসা আর এ ভালোবাসা এবং আবেগকেই কাজে লাগিয়ে কর্তৃত্ব ধরে রেখেছিলেন। তিনি বলতেন তোমরা যদি দেশের সেনাবাহিনীকে ভালবাসো তাহলে আমাকে ভোট দাও এবং তাদের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না আসে সেজন্য তিনি বিগত নাৎসি বাহিনীর যে বইগুলো ছিল সবগুলো পুড়িয়ে ফেলেন।
তিনি এটা আখ্যায়িত করেন যে এগুলো ছিল জার্মান বিরোধী বই। নাৎসিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যাতে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন লেখা কোন আর্টিকেল না থাকে।
যৌন জীবন
অ্যাডলফ হিটলারের যৌন জীবন নিয়ে অনেক ঐতিহাসিক পন্ডিতের মধ্যে বিতর্ক মত পোষণ করেছেন। হিটলার সারা জীবনে দুজন মেয়ের সাথে তার রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এবং সমকামিতার প্রতি তার অনেক বেশি আগ্রহ দেখা যায়। তিনি নিজেও সমকামীতে আসক্ত ছিলেন। যে দুজন মহিলা হিটলারের প্রতি আসক্ত ছিল।
হিটলার সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছে। তবে একজন আট বছর পর মারা গেছেন আরেকজন আত্মত্যাগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এসব কথাবার্তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে তাকে চিরকুমার বলে থাকে। তিনি তার সারা জীবনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, তার নিজের দেশের জন্য তিনি নিজেই সারা বিশ্ব জয় করার জন্য চেষ্টা করেছেন।
ব্রাউন নামে এক মেয়ের সাথে তার চৌদ্দ বছরের সম্পর্ক ছিল। তবে এর ভিতরে বাইরে কেউ কিছু জানতো না তবে অনেকে ধারণা করতেন তারা গোপনের দেখা করতেন। তারা দুজনেই ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে একসাথে আত্মহত্যা করেন।
হিটলারের হত্যাকান্ড
খুব ছোটবেলা থেকেই হিটলারের ইহুদিদের প্রতি অনেকটাই খুব ছিল। কারণ তার পিতা একজন ইহুদী ছিলেন তিনি তার মাকে অনেক বেশি অত্যাচার করতেন। যে কারণে হিটলার তার বাবাকে এবং তার বাবা যদি ইহুদি ছিল তাই ইহুদিদের ব্যাপক ঘৃণা করতেন। তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি অনেক ইহুদি দের হত্যা করেছেন। তিনি প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেন।
জামার্নিতে ইহুদিদের জন্য ভিন্ন আইডি কার্ড, ভিন্ন পাসপোর্ট এবং কোন ইহুদি ডাক্তার অন্য জাতিদের চিকিৎসা করতে পারবে না। ইহুদিদের জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই ভয়াবহ রুপ নেয়। এভাবে তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি নিজ দেশ ও অন্য দেশ মিলে প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদি নিধন করেন। তিনি বলেন যে, আমি কিছু ইহুদি রেখে যাচ্ছি যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম বুজতে পারবে।
আমি কেন ইহুদি নিধন করেছি। অবশ্য বর্তমানে ইসরাইল ফিলিস্থিনি যুদ্ধে তার কথার তার প্রমান পাওয়া যায়।
শেষ কথা
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর ভেঙে পড়া জার্মানিকে আবারো সামরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে গড়ে তোলেন। কিন্তু ক্ষমতা পাবার পর হিটলার একনায়ক তন্ত্র এবং স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাই তাকে স্বৈরশাসক বলা হয়। হিটলার সম্পর্কে আরো অনেক ছিু জানতে পরবর্তী পোষ্টটি পাওয়ার জন্য এই ওয়েব সাইট ফলো করুন এবং সবার সাথে শেয়ার করুণ। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url