ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম স্থায়ী মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে
আপনি এটা জানতে আগ্রহী যে ভারতীয়
উপমহাদেশে
সর্বপ্রথম স্থায়ী মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে। ভারতীয় উপমহাদেশে
বাংলায়
সুফিবাদের
উদ্ভব ও বিকাশ কিভাবে হয়। এসব প্রশ্নের উত্তর আপনি হয়তো বা খুঁজে পাচ্ছেন না।
ভারতীয়
উপমহাদেশে
মুসলিম সাম্রাজ্য
মুসলিম সাম্রাজ্য
কে প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতের ভারতীয়
উপমহাদেশে
মুসলমানদের আগমন কিভাবে হয় এসবের বিষয়ে জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন ভারতের মুসলিম শাসনের
ইতিহাসের
উৎস কি ভারতীয়
উপমহাদেশে
মুসলিম শাসকদের তালিকা এবং কত বছর মুসলমানরা ভারতবর্ষ শাসন করেছে ইত্যাদি বিষয়ে।
ভূমিকা
ভারতীয় উপমহাদেশের
ইতিহাসে
মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই মুসলিম সুফিবাদের উদ্ভব ও
বিকাশ
মুসলমানদের
আগমন মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা কে, কত বছর মুসলমানরা
ভারতের
মধ্যে শাসন করে এবং
মুসলিম
শাসকদের তালিকা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বাংলায় সুফিবাদের উদ্ভব ও বিকাশ
ভারতীয় উপমহাদেশে সুফিবাদের আবির্ভাব এবং মানবিক প্রভাব ছিল ইসলামেও মুসলিমদের
প্রভাব যা ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের প্রভাব কে অত্যন্ত প্রবাহিত করে যেভাবে
ভারতে বাংলাদেশের তা হল
ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে: আরবরা প্রাক ইসলামিক যুগ থেকেই ভারতীয়
উপমহাদেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতবর্ষে আগমন করে। এই ব্যবসার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে
অসংখ্য সুফি ও সাধক ভারতীয় উপমহাদেশে বসতি স্থাপন করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে
ইসলাম প্রচার শুরু করে।
মুসলিম ভারত জয়ের মাধ্যমে: ইফতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
ভারতবর্ষে এসেছিলেন নদীয়ার পথ ধরে। তিনি ভারতবর্ষে আগমনের পর অনেক আন্দোলন ও
যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
আরো পড়ুন: তল পেটের চর্বি কমানোর সহজ উপায়
ইসলামী নেতাদের মাধ্যমে: সুফি ও সাধকরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভারতবর্ষে
এসেছিলেন। তারা তাদের সংস্কৃতিকে প্রতিষ্ঠা করতে অনেক ত্যাগের সম্মুখীন হন।
ওয়াহাদা তূল অজুদ মতবাদের থেকে সাধারণত সুফবাদের উদ্ভব ঘটেছিল যা আর্মির দ্বারা
প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এতে প্রচুর সুফিবাদের কাজের ও ইসলামী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান
প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সুফি সাধকরা ভারতবর্ষে এসে ইসলাম প্রচার ও প্রসার এবং ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার
চেষ্টা করে থাকেন। তারা বিভিন্ন হাদিস কোরআন এবং ভ্রাতৃত্ব সাম্যের ধর্ম যে ইসলাম
সে বিষয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের জনসাধারণের কে জানানোর চেষ্টা করেন। এভাবে
ভারতবর্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও বৌদ্ধরা এ মতবাদে প্রবাহিত হয়ে ইসলাম ধর্ম
গ্রহণ করে।
ভারতবর্ষে সুফিদের ইসলাম প্রচারের মিশন ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এভাবে
আস্তে আস্তে ভারতে বাংলাদেশ ইসলাম বিস্তার শুরু হয় এবং সুফিবাদের গুরুত্ব
অত্যন্ত পরিমাণে বাড়তে থাকে আর এভাবেই ভারতে সুফিবাদের বিকাশ ও আবির্ভাব
প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের আগমন
৬৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ মুসলমানরা ভারতে উপমহাদেশে নৌপথে ভারতবর্ষের উপকূলীয়
অঞ্চলে আগমন করে। পরবর্তীতে সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে আরব মুসলিমগণ সর্বপ্রথম
ভারতের উপকূল অঞ্চলে স্থায়ীভাবে অবশেষে স্থাপন করে। এভাবেই মুসলমানরা ভারতবর্ষে
আবির্ভাব ঘটার সাথে সাথে আরবীয় জাতিরা বিশ্বে অন্যতম সর্ববৃহৎ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ
সাংস্কৃতিক শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করে।
আরো পড়ুন: পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
এর পরবর্তীতে আরবের ব্যবসায়ীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ম প্রচার ও প্রসারে
আত্মনিয়োগ করে। সাধারণত বণিক সম্প্রদায় ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যেই ভারতবর্ষে
আগমন করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরবীয় মুসলমানরা ভারতীতে এসে
বসবাস স্থাপন করতে শুরু করে। তাদের অনেকেই ভারতে বিবাহ সূত্রের মাধ্যমে
স্থায়ীভাবে বসবাস গড়ে তোলে।
ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম স্থায়ী মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে
ভারতীয় উপমহাদেশে অনেকেই মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করলেও
সর্বপ্রথম স্থায়ীভাবে মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদ বিন কাসিম।
মোহাম্মদ বিন কাসেম ৬৬৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭১৫ খ্রিস্টাব্দে ১৮
জুলাই পর্যন্ত একজন উমাইয়া সেনাপতি ছিলেন। তিনি সিন্ধু নদ ও মুলতান অঞ্চল জয়
করে খিলাফতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
আরো পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ৫টি কারণ
তার জন্ম ছিল তায়েফে যেটা বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থিত। মোহাম্মদ বিন কাসেম
সিন্দুর জয় করেন এবং এই সিন্ধু জয়ের মাধ্যমেই মুসলমানদের পক্ষে ভারতীয়
উপমহাদেশ বিজয়ের পথ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আর এই জয়ের পথ ধরেই ১১৯২ সালে
মোঃ ঘুরি ভারতীয় মহাদেশে মুসলিম প্রতিষ্ঠা স্থাপন করতে সক্ষম হন। যা মূঘল শাসন
অবসানের আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৮৫৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ছিল। আর
এভাবেই ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম স্থায়ী মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়।
ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস সমূহ
অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি অবস্থানে ভারতবর্ষে ইসলামের বিজয়ের পথ ধরে ইসলামী
সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা শুরু করেন। তিনি ইসলামী সভ্যতা কে ভারতীয় মহাদেশে স্থান
অর্থাৎ পূর্বে মুলতান এবং হিন্দু সভ্যতার অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করান।
ইসলামী ও সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দশম থেকে পঞ্চদশ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত
দিল্লির সুলতান ও মুঘল সাম্রাজ্য ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর ভাগে শাসন প্রতিষ্ঠা
করেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসকদের তালিকা
ভারত উপমহাদেশ মুসলিম কয়েকটি সাম্রাজ্য শাসন করে গেছেন। সাম্রাজ্যগুলো হল:
গজনবী সম্রাজ্য: গজনামীর সাম্রাজ্যের শাসকরা সাধারণত তুর্কি ও পারসসিয়ান
উচ্চ থেকে সৃষ্ট একটি মুসলিম রাজবংশ। এ সম্রাজ্যের স্থায়িত্বকাল ছিল ৯৭৭ থেকে
১১৮৬ পর্যন্ত।
মোহাম্মদ ঘুরি: মোহাম্মদ ঘুরির আসল নাম ছিল মুইজ উদ্দিন মোহাম্মদ। তিনি
১১৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঘুরি সাম্রাজ্যের সুলতান
ছিলেন। তার ভাইয়ের নাম ছিল গিয়াস উদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরি গিয়াস উদ্দিন মোহাম্মদ।
১১৭৩ থেকে ১২০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত শাসন প্রতিষ্ঠা শাসন করেন।
মোহাম্মদ ঘুরি ঘুরি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন তিনি
ভারতবর্ষের ইতিহাসে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার শাসনাধীন অঞ্চলের অঞ্চল
ছিল ইরান, তুর্কমেনিস্থান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত এবং
আফগানিস্তান।
দিল্লি সালতানাত ৩.৩.১ দাস বংশ: দিল্লির সালতানাত বংশের প্রতিষ্ঠাতা
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ। তিনি ১১৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ
করেন। নদীয়া রাজবংশ শাসনা বলছিল ১৪৫১ খ্রিস্টাব থেকে ১৫০০-১৫২৬ খ্রিস্টব্দ
পর্যন্ত। মোটকথা দিল্লি সালতানাত বংশ ১১৮০ খ্রিস্টব্দ হতে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ
পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
ভারতবর্ষে কত বছর মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা ছিল
ইতিহাস বলে ভারতে উপমহাদেশে ৭৬৬ বছর ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা
ছিল। বর্তমান সভ্যতায় ভারতীয়রা মুসলমানের এই শাসনকে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার
অনেক পরিকল্পনা ও স্লান করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর পেছনে অবশ্যই ধর্মীয় কারণ
প্রভাব বিস্তার।
শেষ কথা
ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস এবং মুসলমানদের মুসলিম বিজয় অতটা সহজ ছিল
না। মুসলমানরা অনেক যুদ্ধ ও ইসলাম প্রচারের মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম
শাসন প্রতিষ্ঠা করে। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস তথা বিষয়ের ইতিহাস সম্পর্কে আরো
খুটিনাটি বিষয়ে জানতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর পোস্টটি ভাল লাগলে
সবার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url