দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম/আদাব। দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় কি কি? অনেকেই হয়তো বা এই সমস্যাই ভুক্তভোগী। তাই কিভাবে এই সমস্যা দূর করবেন এবং দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে কি করনীয় এসব বিষয় নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই এ সকল বিষয়ের সমস্যার সমাধান জানতে চাইলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়
এছাড়াও আরো যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা হল দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ, প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ, দাঁতের মাড়িতে ঘা হলে করণীয়,দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

দাঁতের ব্যথা এবং মাড়ির ব্যথাকে সামান্য ব্যথা বলে ভুল করবেন না। এ সামান্য ব্যাথায় হতে পারে আপনার মাড়ির ক্যান্সারের কারণ। যেসব লক্ষণ দেখা দিলে আমার এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা সম্পর্কে এবং দাঁতের শীর্ষে নেই দূর করার প্রয়োজনীয় ঘরোয়া টোটকা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে কি করনীয়

আমরা সবাই অল্প অল্প দাঁতের এবং দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন সমস্যায় কখনো না কখনো ভুক্ত ভোগী হয়ে থাকি। কিন্তু এই সমস্যা যদি অনেক বেশি গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তার জন্য পরবর্তীতে অনেক বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেই জন্য আপনাতে পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে কি করনীয় কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা অত্যান্ত জরুরি।


  • মধু: মধুতে বিশেষ গুনাবলি আছে। যে কোন ধরনের অসুখ থেকে আরাম পাওয়ার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে মধুর ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন কাশি, ত্বকের যন্তে, চুলের যন্তে মধূ অনেক উপকারি।মধূতে প্রচুর পরিমানে প্রপারটিস আছে যা দাঁতের গোড়ালিতেেএবং দাঁতে যে ব্যাক্টেরিয়া আছে যা দুর করা অনেকটায় সহায়ক।
  • টি ট্রি তেল: টি ট্রি অয়েল খুব ভাল একটি এ্যান্টিসেপটিক। যদি কোন কারন বসত আপনার দাতের মাড়িতে ব্যাথা বা ইনফেকশন হয় তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। একচামচ পরিমান নারিকেল তেল এবং ২-৩ চা চামচ টি ট্রি অয়েল ভালভাবে মিশ্রন করতে হবে। তারপর এই মিশ্রনটি খুব ভালভাবে দাতের গোড়ায় অর্থাৎ যেখাতে ইনফেকশন হয়েছে সেখানে ভালভাবে মালিশ করতে হবে।
  • হলুদ: হলুদে প্রচুর পরিমানে কারকিউমিন নামে প্রাকৃতিক কম্পাউন্ড আছে যা দাতের মাড়ি থেকে ব্যকটেরিয়া এবং যে কোন ধরনের ইনফেকশন হলে তা দুর করতে বেশ কার্যকরী। তাছাড়াও ১ চামচ হলুদের গুড়া ১/২ চামচ লবনের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে দাতের গোড়ায় মালিশ করলে দাতের ব্যাথা এবং ইফেকশনের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন টোটকা সম্পর্কে আলোকপাত করা হল:
  • প্রতিদিন কমপক্ষে দুই বার দাত ব্রাশ করতে হবে। যদি সম্ভব হয় প্রতিবার খাবার পরে দাত ব্রাশ করতে পারলে খুব ভাল। যদি তাও না পারেন তাহলে মাউথওয়াস দিয়ে খুব ভালকরে কুলি করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • খুব শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। কারন এত দাতের গোড়ালী ব্রাশ করার সময় ঘষা লেগে ছিলিয়ে বা আঘাত লেগে রক্ত বের হয়ে ইনফেকশন হতে পারে।
  • প্রতিদিনের খাবারের সাথে ফল ও সবজি খেতে পারেন। এত আপনার শরির ও স্বাথ্য ভাল করে দাতের জন্য খুবই ভাল।
  • গরম পানি: কিছু পরিমানে গরম পানিতে একটু লবন মিশিয়ে কুলি করলে অনেকটা আরাম হয়।

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ

কোন ব্যাথাকে সামান্য ভাবা উচিত নয় বিশেষ করে দাতের মাড়ির ফুলে যাওয়ার জন্য যে ব্যাথা হয় এবং মাড়ির ফোলাভাব যদি না কমে এবং দাঁতের মাড়ি ফুলে লাল হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই বুঝবেন এটি মাড়ির ক্যান্সারের লক্ষন। দাঁত ব্রাশ করতে গেলে হটাৎ রক্ত পড়তে এবং দাঁত নড়লে খুব তাড়াতাড়ি সচেতন হোন। কেননা এটিই দাতের মাড়ির ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষন হতে পারে।


তবে এটা ভাববেন না যে, দাঁত নড়লেই, হটাৎ দাঁতে রক্ত পড়লে এবং মাড়ি ফুলে গেলেই যে সেটা ক্যান্সার তা নয়। যে লক্ষন গুলা দেখা দিলে বুঝবেন মাড়ির ক্যান্সার হয়েছে কি না:
  • মাড়ি যদি ফুলে যায় এবং ২০-৩০ দিনের পরও যদি না কমে।
  • আপনার মুখের মধ্যে অথবা সাদার মতো এবং ঠোটের চারিদিকে সাদা অথবা লাল ভাব থাকলে।
  • দাঁত নড়লে।
  • দাঁত দিয়ে খুব বেশি রক্ত বের হলে।
  • মুখে ও কানে প্রচন্ড ব্যাথা হলে।
  • কোন কিছু খেতে অর্থাৎ চিবিয়ে খেতে এবং গিলে খেতে সমস্যা হলে।
  • হঠাৎ করেই যদি আপনার শরিরের ওজন কমে যাই।

প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ

মুখের ক্যান্সার সাধারনত মুখের এক ধরনের ঘা যা মুখের যে কোন ক্ষত থেকে উৎপত্তি হয়ে থাকে। মুখের ক্ষত মানুষের মুখের ঠোঁটে, মাড়িতে, গলার ভিতরের অংশে বা মুখের তালুতে ও হতে পারে। বিশেষ করে আঘাত জনিত কারনে দাঁত ভেংঙে গেলে বা হরমোনজনিত সমস্যা কিংবা মানসিক চাপ থেকেই হয়ে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ সমুহ:
  • দাঁতের কোন চিকিৎসা করানোর সময় দাঁতের ওরাল টিস্যু নামের যে নরম অংশ রয়েছে সেখানে আঘাত লাগলে।
  • সতর্কহীনতার কারনে কোন কিছু খাওয়ার সময় বা অন্য কোন সময় গালে এবং জিহব্বায় কামড় লেগে কেটে গেলে।


  • এলার্জিজনিত কারনে ও মুখের প্রাথমিক ক্যান্সার হতে পারে।
  • টুথপেষ্ট যদি অধিক পরিমানে এবরেসিভ নামক উপাদান থাকলে। কারন এই উপাদান বেশি মাত্রায় থাকলেমুখের ঘা সুষ্টি করতে পারে।
  • এসিডিযুক্ত খাবার খেলে। যেমন: আপেল স্ট্রবেরি, কমলা বেশি মাত্রায় খেলে।
  • অত্যাধিক মানসিক টেনশন করলে।
  • কিছু কিছু সময় ঘুম কম হলে মুখ খচখচ করতে পারে যা থেকে মুখে যা এবং ক্যান্সার হতে পারে।
  • মুখের ঘা অনেক রং ধারন করলে। যেমন: ক্ষত স্থান ধুসর এবং সাদা বা হলুদ রং ধারন করলে।
  • মুখের ক্ষতের চারপাশ অত্যাধিক মাত্রায় ফুলে গেলে।
  • দাঁত মাজার সময় যদি অত্যাধিক ব্যাথা হলে।
  • যে কোন ধরনের টকজাতীয় খাবার এবং অধিক লবন এবং ঝালযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় ব্যাথা হলে।
করনীয়:

  • প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
  • দাতের সঠিকভাবে যত্নে নেওয়া।
  • প্রতিদিন গরম পানিতে লবন মিশেয়ে কিছুক্ষন পর পর কুলি করা।
  • হাইড্রোজেন পার-অক্সইডের সাথে কিছু সমান পরিমানে পানি মিশিয়ে কুলি করতে পারেন।
  • ঝালযুক্ত খাবার না খাওয়ায় ভাল।
  • খুব বেশি ব্যাথা হলে ব্যাথানাশক জেল ব্যবহার করা।
চিকিৎসা:
  • ডাক্তার পরামর্শ অনুয়ায়ী মাউথওয়াস ব্যবহার করা।
  • ডাক্তার পরামর্শ অনুয়ায়ী ব্যাথা নাশক ইমিউনো সাপ্রেসিভ ওষুধ খাওয়া।
  • ট্রায়াম সিনোলন। ইত্যাদি

দাঁতের মাড়িতে ঘা হলে করণীয়

খুব কম মানুষ পাওয়অ যাবে যে ব্যক্তি দাঁতের সমস্যা সম্মূখীন হোন নাই। দাঁতের মাড়ি সমস্যা বিভিন্ন কারনে হলে পারে। মাড়ির সমস্যা দাঁতের ব্যথার থেকেও অসহনীয়। অনেক সময় এরমক হই যে দাঁতে কোন ব্যাথা নেই কিন্তু হটাৎ করে মাড়ি ফুলে গেছে এবং অনেক ব্যথাও আছে মাড়ির এ ধরনের সমস্যাকে জিঞ্জিভাইটিস রোগ বলে। এটি সাধারন মাড়ির সংক্রামন জনিত রোগ। এ রোগ হলে যে লক্ষন গুলো দেখা দেয় তা হল:


  • দাতের মাড়ি অত্যাধিক লাল রং হলে মাড়ি ফুলে যাওয়া।
  • দাঁতের মাড়ি থেকে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হওয়া।
  • মাড়িতে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করা।
  • নিঃশ্বাসে অনেক বেশি দুর্গন্ধ হওয়া।
  • যে কোন খাবার খাওয়ার সময় দাঁত শিরশিরানি অনুভব করা।

দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়

জিঞ্জিভাইটিস রোগ হলে অবহেলা করবেন না। কারন এই রোগ থেকে আরো অনেক রোগ সংক্রামিত হতে পারেন। ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের ফলে এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন। যথা:
  • লবন-গরম জল: জিঞ্জিভাইটিস রোগে হলে লবন গরম পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন। লবনে আছে এন্টিসেপাটক উপাদান যা ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। সেই সাথে মুখের যে দুর্গন্ধ হয় সেটা অনেকটােই কমে যাবে।
  • অ্যালো ভেরা জেল: অ্যালো ভ্যারা জেল বিশেষ করে এন্টি-মাই ক্রোবিয়াল, এন্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান যুক্ত জেল খুব ভালো কাজে দেয়। ২-৩ চামচ অ্যালোভেরা জেল পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে দাঁতের মাড়িতে গাগান। ১০-১৫ মিনিট পর কুলি করুন। ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
  • হলুদ: আপনাদের সবার জানেন যে হলুদে আছে কারকিউমনি নামে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। যাতে ব্যথা কমাতে বেশ সহায়ক।

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বন্ধ করার উপায়

একটি বাংলা প্রবাদ আছে বাঙালি দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। সময় থাকতে দাঁতের যত্ন না নিলে পরবর্তীতে খুব সমস্যায় করতে হয় দাঁতের সঙ্গে সঙ্গে মাড়ির ও যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আমাদের দেশে অনেক মানুষের আছেন যাদের সামান্য কিছু খাবার খেলেই দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে। সবাই এই সমস্যাকে সাধারণ সমস্যা বলে তেমন গুরুত্ব দেই না। এ সমস্যা সমাধান ঘরোয়া ভাবেই করা সম্ভব।
  • হলুদের পেস্ট ব্যবহার করা: হলুদে অ্যান্টিঅক্সাইড উপাদান রয়েছে। যা দাঁতে ভালোভাবে মালিশ করলে রাতের ব্যথা সহ ছোটখাটো হত থাকলে ভালো হয়ে যায়।
  • গরম পানি: দাঁতে ব্যথা হলে গরম পানি দিয়ে একটু পর পর কুলি করলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
  • নুনের পানি ব্যবহার: লবন রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড সহ আরো অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান। তাই গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পর গুলি করলে ব্যথা অনেকটাই দূর হয়ে যায়।


  • খাদ্য অভ্যাস এর পরিবর্তন: কিছু কিছু খাবার আছে যা খেলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় দাঁতের ব্যথাও বেড়ে যায়। কারো কারো মিষ্টি খেলে দাঁতের ব্যথা হয় কারণ শক্ত খাবার খেলে বাড়িতে ব্যাথা হয়। তাই এসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
  • নমনীয় টুথব্রাশ ব্যবহার করা: আপনি যে ব্রাশটি দিয়ে দাঁত ব্রাশ করবেন তা অবশ্যই অত্যন্ত আরামদায়ক এবং নমনীয় হতে পারে। এমন কোন ব্রাশ ব্যবহার করবেন না যা দাঁতের মাড়িতে ঘষা লেগে রক্ত বের হতে পারে।

দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়

দাঁতের সমস্যাগুলোর ভিতর একটু অন্যতম সমস্যা হচ্ছে দাঁতের শিরশিরানী। সাধারণত ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা কিছু খেলে দাঁতের শিরশিরানি হয়। ডাক্তারি ভাষায় একে ছেন সিটিভিটি বলা হয়। তবে কিছু কিছু সময় গরম কিছু খাবারেও দাঁতের শিরশিরানি হয়ে থাকে। এই সমস্যা সমাধান করার উপায়:
  • দাঁতের সেনসিটিভিটি দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার টুথপেস্ট বদলে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো যে টুথপেস্ট তার নাম হলো সেনসোডাইন।
  • সাধারণত পটাশিয়াম যুক্ত খাবার বেশি খেতে পারেন এই খাবারগুলো দাঁতের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে তবে মনে রাখতে হবে খাবার পর অবশ্যই ব্রাশ করতে হবে।
  • দাঁতের সেন্সিটিভিটি দূর করতে আপনি প্রতিদিন বেশ কয়েকবার গরম পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন।
  • এছাড়াও লেবুর রস লবঙ্গর পেস্ট সরিষার তেলের পেস্ট হলুদ পেস্ট এগুলো প্রায়ই অদল বদল করে ব্যবহার করুন। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া গুনসম্পন্ন পেস্ট ব্যবহার করলে দাতিল শীর্ষা নেই এবং দাঁত ব্যথা অনেকটা কমে যায়
  • নিয়মিত নিমের দাঁতন ব্যবহার করা দাঁতের পক্ষে খুবই ভালো।

মন্তব্য

দাঁতের ব্যথা তথা মাটির ব্যথা ও ক্যান্সার কোন সাধারণ সমস্যা ভেবে বসে থাকা একদম উচিত নয়। মাড়ির ক্যান্সারের জন্য যে লক্ষণগুলো আছে তার মধ্যে কোনটা যদি অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url