প্রধান কীওয়ার্ড বা কীফ্রেইজটি কত ওয়ার্ডের মধ্যে হওয়া যুক্তিযুক্ত
কিওয়ার্ড কি, প্রধান কীওয়ার্ড বা কীফ্রেইজটি কত ওয়ার্ডের মধ্যে হওয়া যুক্তিযুক্ত এবং কী ওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া কি, ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুজছেন কিন্তু উত্তর পাচ্ছেন না। হয়তো অনেক ওয়েবসাইজ খুজে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখেও কোন সঠিক সমাধান পাচ্ছেন না। তাই এসকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও আরো যে বিষয় জানতে পারবেন তা হল কী ওয়ার্ড বলতে কি বুঝ, কী ওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া আলোচনা কর, কিওয়ার্ড কত প্রকার ও কি কি? কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হলে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে ইত্যাদি।
ভুমিকা
বগ্লিং এর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হল কি ওয়ার্ড নির্বাচন করা। কারন সঠিক কিওয়ার্ড নির্বচান করার উপর নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করবে কিনা। তাই কিভাবে কিওয়ার্ড রিচার্চ করবেন, কিওয়ার্ড কতপ্রকার, প্রধান কীওয়ার্ড বা কীফ্রেইজটি কত ওয়ার্ডের মধ্যে হওয়া যুক্তিযুক্ত তাছাড়ও কী ওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া আলোচনা কর সহ বিস্তারিত আলোকপাত করা হল।
৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে
শুধু কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জানলেই হবে না। একটি আর্টিকেল-এ অর্থাৎ ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লিখতে পারবেন তাও জানা অত্যান্ত জরুরি। ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে তা নির্ভর করবে আপনার পোষ্টটির উপর। আপনি চাইলে একটি আর্টিকেল-এ প্রতিটি প্যারায় কি ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
আর যদি প্রতিটি প্যারাগ্রাফে কিওয়ার্ড না রাখেন তাহলে আর্টিকেলের মাধ্যে মধ্যে কিওয়ার্ড এবং রিলেটিভ কিওয়ার্ড রাখতে পারবেন। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে কিওয়ার্ড এবং রিলেটিভ কিওয়ার্ড খুব বেশি অথবা কম ব্যবহার করা যাবে না। খুব কম ব্যহার করলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারবেন না অথবা গুললে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে হয়তো আপনার ওয়েসাইটের কোন ইমপ্রেশন পাওয়া যাবে না।
আবার বেশিবার রাখলে গুগল আপনার ওয়েবসােইট স্প্যাম করে দিতে পারে। তাই খুব বেশি ও না আবার খুব কম ও না মাঝামাঝি ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনার আর্টিকেল ৩০০ শব্দের হলে ৫-৬ টি আপনি কিওয়ার্ড এবং রিলেটিভ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। ২-৩ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আর ৩০০ শব্দের অধিক আর্টিকেল হলে যেমন ১০০০ শব্দের আর্টিকেল হলে সর্বোচ্চ ৫-৬ বার এবং সর্বনিম্ন ২-৩ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
কী ওয়ার্ড বলতে কি বুঝ
মানুষ কোন কিছু জানার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে যা লিখে সার্চ করে তাকে কিওয়ার্ড বলে। অর্থাৎ মানুষ নিদিষ্ঠ কোন বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে অর্থাৎ হতে পারে গুগল সার্চ-এ, হতে পারে ইউটিউব সার্চে, হতে পারে ফেসবুক সার্চে বা আরো অন্যান্য ভাবে এককথায় সার্চ ইঞ্জিনে যে শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করে তখন ঐ শব্দ বা বাক্যাংশকে কীওয়ার্ড বলে।
আরো পড়ুন: মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
কীওয়ার্ড আর সার্চ ইঞ্জিন কি এ বিষয়ে পরিস্কার ধারনা নেওয়া যাাক। মানুষ কোন তথ্য জানার জন্য যেখানে কোন কিছু লিখে সার্চ বা অনুসন্ধান করে তাকে সার্চ ইঞ্জিন এবং সার্চ ইঞ্জিনে যা লিখে সার্চ করে তাকে কীওয়ার্ড বলে। এই কীওয়ার্ড বড় বাক্যের বা ছোট এক বা একাধিক শব্দের হতে পারে।
কিওয়ার্ড কত প্রকার ও কি কি
কিওয়ার্ড কার্যকর হওয়ার পর আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ইন্ধন জুগাতে, সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের র্যাংক বাড়াতে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক।
কিওয়ার্ড সাধারনত দু ধরনের হয়ে থাকে। যথা: শর্ট টেইল কিওয়ার্ড এবং লং টেইল কিওয়ার্ড। এছাড়াও আরো কিছু কি ওয়ার্ড রয়েছে। চলুন প্রতিটি কিওয়ার্ড সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক।
শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড
ইংরেজিতে শর্ট শব্দের অর্থ ছোট। যে কিওয়ার্ড গুলো ছোট শব্দের বাক্যের হয়ে থাকে তাকে শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড বলে। শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড ২-৩ শব্দের হয়ে থাকে। শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইট র্যাংক করা বেশ কঠিন। কেননা শর্ট- টেইল কি ওয়ার্ড অনেক বিসৃত হয়ে থাকে এবং এর প্রতিযোগিতা ও অনেক বেশি। তবে সঠিক ট্রাফিকদের টার্গেট করার জন্য লং টেইল কিওয়াডের সাথে কিছু শর্ট কিওয়ার্ড ব্যবহার করা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন।
লং-টেইল কিওয়ার্ড
লং শব্দের অর্থ হচ্ছে দীর্ঘ, বা লম্বা অর্থাৎ তিন বা তিনের অধিক শব্দ নিয়ে যে গঠিত বাক্যাংশকে লং-টেইল কিওয়ার্ড বলে। শর্ট-টেইল কিওয়ার্ডের থেকে লং-টেইল কিওয়ার্ড ট্রাফিকের সুনিদিষ্ঠ লক্ষ প্রকাশ করে। তাই এই লং-টেইল কিওয়ার্ড-এর মধ্যে ট্রাফিকের কোন কিছু খোজার উদ্দেশ্য অনেকটাই বোঝা যায়। লং-টেইল কিওয়ার্ড-এ প্রতিযোগীতা কম তাই ওয়েবসাইট র্যাংক করানো অনেকটাই সহজ।
আরো পড়ুন: পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
যারা সাধারন নতুন তাদের লং-টেইল কিওয়ার্ড নিয়ে বল্গ লেখাই ভাল। নিদিষ্ঠ কোন পন্য বা নিদিষ্ঠ কোন তথ্য যানার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন: বাংলাদেশ কত সালে স্বাধীন হয়, বর্তমানে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম কত ইত্যাদি।
স্থানীয় কিওয়ার্ড
যে কিওয়ার্ড নিদিষ্ঠ কোন এলাকা, স্থান বা ভৌগলিক কোন নিদিষ্ঠ করে চিহ্নিত বা নির্দেশ করে সেই সকল কিওয়ার্ডকে স্থানীয় কিওয়ার্ড বলে। এই কিওয়ার্ডগুলো সাধারন কিওয়ার্ড-এর চেয়ে অনেকটাই অর্থ বহন করে। উদাহরন স্বরুপ বলা যায়: রাজশাহীর সবচেয়ে ভাল হাসপাতাল, রাজশাহী জেলার সুদর্শন জয়গা সমূহ ইত্যাদি।
ব্র্যান্ড কিওয়ার্ড
যখন কোন ট্রাফিক আপনার ব্যবসা সম্পর্কে অথবা আপনার পন্য সম্পের্কে জানার জন্য যে শব্দ বা বাক্যাংশ দ্বারা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করবে তখন তাকে ব্যান্ড কিওয়ার্ড বলে। যেমন ধরুন আপনার ব্যবসার পণ্যের নাম, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নাম, আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্যাগলাইন ইত্যাদি। তবে আপনার পন্য আরো সহজে খুজে পেতে সোসাল মিডিয়া, আপনার পন্যে ট্যাগলাইনে, ওয়েবসাটের বিষয় বস্তুতে ব্যান্ড কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারেন।
এতে করে আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করতে এবং আপনার পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে সাহায্য করে।
নেতিবাচক কিওয়ার্ড
নেতিবাচক শব্দ বলতে সাধারনত কোন জিনিসের খারাপ দিক কে বোঝায়। যখন কোন পন্যের প্রচারের সময় যাতে অপ্রসঙ্গিক কোন পন্যের প্রচার না করা হয় তাকে নেতিবাচক কিওয়ার্ড বলে।
রিলেটেড কিওয়ার্ড
যখন কোন কিওয়ার্ড অন্য কোন কিওয়ার্ড এর সাথে সম্পর্কিত হয় তখন তাকে রিলেটিভ কিওয়ার্ড বলে। যেমন স্বাথ্য বিষয় কিওয়ার্ডএর সাথে ব্যায়াম করা, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি।
প্রধান কীওয়ার্ড বা কীফ্রেইজটি কত ওয়ার্ডের মধ্যে হওয়া যুক্তিযুক্ত
কত শব্দের মধ্যে কিওয়ার্ড হবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার করছেন তার ওপর। আপনি যদি শর্ট টেল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে চান বা আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে দুই থেকে তিন শব্দের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। আর যদি লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে তিন এর অধিক অর্থাৎ পাঁচ থেকে সাত বা আট শব্দ হবে।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় করা যায়
তবে লং তেল কিওয়ার্ড পাঁচ থেকে ছয় শব্দের মধ্যে হওয়ায় খুবই ভালো। তবে মনে রাখতে হবে যে শর্ট-টেল কিওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইট রান করানো খুব কঠিন হয়ে যায়। তাই যারা নতুন ব্লগার ব্লগ লিখে ওয়েবসাইট রেংকিং নিয়ে আসতে চান তারা অবশ্যই লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন।
কী ওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া আলোচনা
কিওয়ার্ড রিসার্চ বলতে, এসইও করতে এবং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইড র্যাংক করাতে অনেক সাহায্য করে। কিছু প্রক্রিয়া অনুসরনের মাধ্যমে সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা সম্ভব। কী ওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া সমূহ হলো:
নিদিষ্ঠ পাঠক বোঝা
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হলো আপনার সঠিক অথ্যাৎ টার্গেট ট্রাফিক নির্বচন করা। আপনার টার্গেট কাস্টমার কি ধরনের পন্য চাই, তারা কি ধরনের সস্যার সমাধান পেতে আগ্রহী না নিদিষ্ট করতে হবে। যখন আপনি কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় আপনার টার্গেট কাস্টমার কোন বয়সের, পুরুষ না মহিলা, তারা কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
কোন ভাষা তার জন্য বোধগম্য, তারা কোন জিনিজ বেশি পছন্দ করে এই সকল বিষয় রিসার্চ করার মাধ্যমে আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। যাতে করে আপনার টার্গেট কাস্টমার খুব সহজেই আপনাকে খুজে পাই।
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করার জন্য বেশ কয়েকটি টুলস রয়েছে যে টুলস গুলোর মাধ্যমে আপনি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারবেন। এই টুলস গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ টুলস পেইড টুলস অর্থাৎ টুলসগুলো টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করতে হয়। কয়েকটি জনপ্রিয় এই টুলস হচ্ছে: ahrefs.com, Kwfinder, Keyword Tool, পেইড টুলস গুলোর মধ্যে এই তিনটি টুলস সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়।
কারণ বেশিরভাগ ব্লগার অর্থাৎ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা এ টুলস গুলোর মাধ্যমে কিওয়ার্ড নির্বাচন করে থাকে। এই টুলস টি ব্যবহার করে আপনি বাংলা ইংরেজি হিন্দি সহ প্রায় সকল ভাষায় কিওয়ার্ডখুঝতে পারবেন।
Unpaid রিসার্চ টুলস: বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ফ্রি ওয়ার্ড রিসার্চ টোল্ড যে টুলস গুলো বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
Google keyword planner টুলস
Google keyword planner টুলস এর মাধ্যমে আপনি ব্লগ লেখার জন্য সবচেয়ে বেশি সার্চ রেজাল্ট পাওয়া এবং সিপিপি সমৃদ্ধ অনেক সুন্দর সুন্দর এবং কার্যকারি ওয়ার্ডগুলো খুঁজে পাবেন।Google keyword planner টুলস লিখে সার্চ করার পর একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে। একাউন্ট করার পর google কিওয়ার্ড প্ল্যানার ওপেন করলে একটি একটি search box দেখতে পাবেন।
সেখানে আপনার কিওয়ার্ড টি সার্চ করলে টুলসটি আপনাকে উক্ত কিওয়ার্ড সম্পর্কে অনেক তথ্য দেবে। যেমন ধরুন কেউ আর টি google এ প্রত্যেক মাসে কতবার করে সার্চ করা হয় এবং মুক্ত কিওয়ার্ডের প্রতিযোগিতা কেমন হতে পারে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। তাছাড়াও এই টুইস্টের মাধ্যমে আপনি ইংরেজি বাংলা হিন্দি সহ google সাপোর্ট করে এরকম সকল কিওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ করতে পারবেন।
শুধু তাই নয় এই টুলসটি আপনাকে কোন দেশ কোন ভাষা নিয়ে রিসার্চ করতে চাচ্ছেন বা ব্লগ লিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়েও তথ্য দেবে। উক্ত রিসার্চকৃত কিওয়ার্ড রিলেটেড আরও অন্যান্য ফলাফলগুলো দেখতে পাবেন। যা নতুন ব্লগ লেখা জন্য এবং লাভজনক কিওয়ার্ড আইডিয়া এখান থেকে পাবেন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: প্রথমে আপনার একটি গুগল একাউন্ট থাকতে হবে।
Ubersuggest tool
ইউ আর রিসার্চ করার জন্য আরও একটি টুলস এর নাম হলো Ubersuggest tool। এখানে কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করার পর উক্ত কিওয়ার্ড এর সকল রেজাল্টগুলো দেখতে পাবেন। যেমন ধরুন তো কিওয়ার্ড নিয়ে প্রতিদিন কি পরিমাণ ট্রাফিক সার্চ করে।
Keyword tool
বাংলা এবং ইংরেজি কিবোর্ড রিসার্চ করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় টুলস হচ্ছে কিওয়ার টুলস। এই টুলস টি ব্যবহার করা যেমন সহজ তেমনি লাভজনক। এই ওয়েবসাইটে কোন কিওয়ার্ড সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গে কি পরিমাণ ট্রাফিক প্রতিদিন উক্ত কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করে এবং এর সার্চ ভলিউম সিপিসি প্রতিযোগিতা সহ সকল ফলাফল দেখতে পাবেন। তাছাড়াও এর রিলেটেড ওয়ার্ড যেগুলা লিখেও আপনি ভালো ভালো।
Google Auto Suggest
এছাড়াও গুগলের সাহায্যে আপনি কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। এরপর উক্ত উক্ত বিষয় তথা বিষয়ের মূলভাব নিয়ে ছোট একটি কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করতে হবে। এরপর চার্লস রেজাল্টের নিচ থেকে আপনি রিলেটেড আরো অনেক কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। বর্তমানে ব্লগাররা সবচাইতে গুগল এর সাহায্যে কিওয়ার্ড নির্বাচন করে থাকে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
যারা ব্লগিং করেন তাদের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ হচ্ছে একটি আর্টিকেল লেখার সময় কি ওয়ার্ড এর উপরে নির্ভর করে উক্ত আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে একটি কিওয়ার্ড বলে দেবে আপনার ওয়েবসাইটটি গুলের র্যাংকিংয়ে নিয়ে যাবে কিনা। তার কারণ হচ্ছে গুগল সব সময় এটা মনে করে যে আপনার কিওয়ার্ড টা ট্রাফিকরা কি পরিমান গুগলে সার্চ করছে।
আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে করতে হয়
সাধারণত ভিজিটররা কোন কিছু যাওয়ার জন্য কিওয়ার্ড লিখেই গুগলে সার্চ করে থাকে। তাই আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানোর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেউ আর রিচার্জ করা এবং রিসার্চকৃত পিরওয়ার দিয়েই আর্টিকেল লেখা। কারণ আপনি যদি নতুন ব্লগার হন তাহলে এই অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে কেউ জানবে না।
কেউ সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই ভিজিটর কে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানোর জন্য উপযুক্ত এবং রিসার্চকৃত কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। উক্ত কিওয়ার্ড দ্বারা সার্চ করার মাধ্যমে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইট যদি খুঁজে পাই তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে সবাই প্রবেশ করবে এবং আপনার আর্টিকেলটি পড়বে।
মন্তব্য
আপনি যদি নতুন ব্লগার হন তাহলে অবশ্যই টিওয়ার্ড রিসার্চ এর উপর বেশি গুরুত্ব দেবেন। কারণেই কিওয়ার্ড আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করাতেই অনেক হেল্পফুল হবে। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে নতুনদের জন্য শর্ট টেল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করাই ভালো অবশ্যই তাদেরকে লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্লগিংয়ের আরও বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইট ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url