জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো বুজতে পারছেন না জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে। কি কি পদ্ধতি অনুসরন করে নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সঠিক নিয়মে নির্ভুল করা যায়, শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগবে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয় এ সকল বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে হলে এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২৪

এছাড়াও এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন জন্ম নিবন্ধন করতে কোন বয়সের জন্য কি কি কি কাগজ লাগবে, জন্ম নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে চিত্রের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে।

ভূমিকা

২০০৪ থেকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের আইন পাশের পর ২০০৬ সালে আইন কার্য কর হলেও গ্রামাঞ্চলে ২০১০ সাল থেকে পথচলা শুরু হয় ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার। তাই একটি নবজাতের জন্মের পর তার জন্ম নিবন্ধন করা খুবই জরুরি। কি কি উপায় অবলম্বন করলে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন করতে পাবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ২০২৪

সর্বশেষ জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে স্মার্ট জন্ম নিবন্ধন এর জন্ম নিবন্ধন এক পাশে বাংলা এবং আরেক পাশে ইংরেজি। এর সাথে আরো থাকছে একটি বারকোড এবং একটি কিউআর কোড। যেটি স্ক্যান করার সাথে সাথে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য দেখা যাবে। তবে এই জন্ম নিবন্ধন-এ থাকছে না পিতা-মাতা ভোটার আইডি নাম্বার ও জন্ম নিবন্ধন নাম্বার। এছাড়াও এর জন্ম নিবন্ধনের পিতা-মাতার কততম সন্তান সেটাও প্রদর্শিত হচ্ছে না।

জন্ম নিবন্ধন কি এবং এর গুরুত্ব কতটুকু?

একটি নবজাতকের জন্মের পর তার প্রাথমিক নাগরিকত্বার প্রমান স্বরুপ স্থানীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় হতে ঐ নবজাতেকর নাম, পিতার ও মাতার নাম এবং জন্মস্থানের ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা উল্লেখপূর্বক সকল তথ্য দিয়ে জন্ম ও মৃত্যু রেজিষ্টার বহিতে নবজাতকের নাম রেজিষ্টার করাই হলো জন্ম নিবন্ধন। 
যেহেতু বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করতে হয় তাই খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে স্থানীয় রেজিষ্টার কার্যালয় (ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন) হতে জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। যার জন্য আপনাকে আবারো পূনরায় আবেদন করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব

শিশুর জন্ম নিবন্ধন ছাড়া আর এমন কোন কাগজ পত্রাদি নেই যা সেই শিশুর নাগরিকত্বার প্রমান হিসেবে কাজ করে। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধন না থাকলে সকল সরকারি এবং বেসরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হই। তাছাড়াও শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য, উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য এবং আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ন।
অনেকই জন্ম নিবন্ধনকে গুরুত্ব না দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করতে বিলম্ব করে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন

যে সকল জিনিস আপনার হাতের কাছে থাকলেই আপনি অতি সহজেই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন তা হলো
  • জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় দলিল পত্রাদি।
  • একটি সচল মোবাইল।
  • একটি কম্পিউটার/ল্যাপটপ/মোবাইল।
  • ইন্টারনেটে কাজ করার দক্ষতা।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • আবেদন প্রিন্ট করার জন্য প্রিন্টার।

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২৪

শূন্য থেকে ৪৫ (পয়তাল্লিশ)দিন পর্যন্ত

  • ইপি আই টিকার কার্ড। যদি না থাকে তাহলে টিকার কর্মীর প্রত্যয়ন পত্র।
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
  • পিতা ও মাতার ভোটার আইডির ফটোকপি।
  • আবাসস্থলে বিপরীতে কর/ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।

৪৬ দিন থেকে-০৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর জন্য

  • ইপি আই কার্ড বাধ্যতামূলক।
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
  • পিতা ও মাতার ভোটার আইডির ফটোকপি।
  • আবাসস্থলে বিপরীতে কর/ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।

০৫ বছর হতে ০১/০১/২০০১ ইং সালের পরে যাদের জন্ম তাদের জন্য

  • ইপি আই টিকার কার্ড অনুযায়ী স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র, পিএসসি সার্টিফিকেট (যদি থাকে)/জেএসসি সাটিফিকেট (যদি থাকে)/এসএসসি সাটিফিকেট (যদি থাকে)/ ভোটার আইডি যদি থাকে।
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলক
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
  • পিতা ও মাতার ভোটার আইডির ফটোকপি।
  • আবাসস্থলে বিপরীতে কর/ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।

০১/০১/২০০১ ইং সালের আগে সকল বয়সের জন্য

  • ইপি আই টিকার কার্ড অনুযায়ী স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র, পিএসসি সার্টিফিকেট (যদি থাকে)/জেএসসি সাটিফিকেট (যদি থাকে)/এসএসসি সাটিফিকেট (যদি থাকে)/ ভোটার আইডি যদি থাকে।
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলক
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন(যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার ভোটার আইডির ফটোকপি(যদি থাকে)
  • আবাসস্থলে বিপরীতে কর/ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার প্রক্রিয়া

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকলে আপনি খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। আবেদন করার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের এই ওয়েবসাইট https://bdris.gov.bd/br/application ভিজিট করুন। এরপর কয়েকটি ধাপে আপনি আপনার আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি ধাপ চিত্রের মাধ্যমে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুন: প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়
উপরের ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আপনি প্রথমে নিম্নে চিত্রটি মতো একটি পাতা দেখাবেন সেখান থেকে আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে এগিয়ে যাবেন।
ধাপ ০১: নিবন্ধনকারীর ব্যক্তিগত ও জন্মস্থানের ঠিকানা তথ্য
প্রথম ধাপে নিবন্ধনকারীর নাম বাংলাতে এবং ইংরেজিতে নামের প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশ লিখতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ তারপর নিবন্ধনকারীর তার পিতা-মাতার কততম সন্তান এবং তিনি পুরুষ না মহিলা সেটা উল্লেখ করতে হবে। তারপর আরেকটু নিচে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পোস্ট অফিস, বাসা ও সড়ক নাম্বার, গ্রাম, এই সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরন করতে হবে তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক দিতে হবে
ধাপ ০১: নিবন্ধনকারীর ব্যক্তিগত ও জন্মস্থানের ঠিকানা তথ্য
ধাপ ০১: নিবন্ধনকারীর ব্যক্তিগত ও জন্মস্থানের ঠিকানা তথ্য

ধাপ ০২: পিতা ও মাতার তথ্য
দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে নিবন্ধনকারীর পিতা-মাতার তথ্য দিতে হবে নিবন্ধন ধারীর জন্ম সাল যদি ০১-০১- ২০০১ এর পরে হয় তাহলে আপনি সেখানে সরাসরি পিতা-মাতার নাম লিখতে পারবেন না। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো পিতা ও মাতা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্মতারিখ এন্টি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিতা মাতার নাম জন্ম নিবন্ধন থেকে অটোমেটিক ভাবে সেখানে পিতা ও মাতার নাম বসে যাবে।
আর যদি ০১-০১-২০০১ এর পরে নিবন্ধনকারীর জন্ম তারিখ হয়ে থাকে তাহলে আপনি পিতা ও মাতার নাম পিতা-মাতার ভোটার আইডি অনুযায়ী লিখতে পারবেন। তারপর আপনি পিতা ও মাতার জাতীয়তা নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক দিবেন।
ধাপ ০২: পিতা ও মাতার তথ্য
০১-০১-২০০১ সালের পরে যাদের জন্ম
পিতা ও মাতার তথ্য
ধাপ ০২: পিতা ও মাতার তথ্য

ধাপ ০৩: নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
তৃতীয় ধাপে নিবন্ধন ধারের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তবে জন্মস্থানের ঠিকানা এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে দুই ঠিকানায় টিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা পূরণ হয়ে যাবে। আর যদি স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসারে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ০৩: নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
ধাপ ০৩: নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা

ধাপ ০৪: প্রয়োজনীয় ডকুমেট সংযোজন
চতুর্থ ধাপে নিবন্ধনকারীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। যদি নিবন্ধনকারীর বয়স পাঁচ বছরের কম হয় তাহলে টিকার কার্ড এবং আবাসিক স্থলের কর অথবা গৃহ ট্যাক্স রশিদ আপলোড করতে হবে। আর পাঁচ বছরের বেশি হলে এমবিবিএস ডাক্তারের প্রত্যয়ন পত্র অথবা পিএসসি/জেএসসি/ এসএসসি সার্টিফিকেটের কপি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে ডকুমেন্ট কৃত ফাইল ১০০ কিলোওয়াট এর কম হতে হবে। ফাইল সংযোজন বাটনে ক্লিক করে ফাইলটি সিলেক্ট করে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করলে আপলোড সম্পন্ন হবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০৪: প্রয়োজনীয় ডকুমেট সংযোজন
ধাপ ০৪: প্রয়োজনীয় ডকুমেট সংযোজন

ধাপ ০৫:মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করা
পূরণকৃত সকল তথ্য যাচাই করে সবার নিচে মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বার দিয়ে ওটিপি পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর উক্ত মোবাইল নাম্বারে ৬ সংখ্যার একটি ওটিপি কোড যাবে। এরপর ওটিপি প্রদান করুন এই ঘরে otp প্রদান করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন সাবমিট করতে হবে।
ধাপ ০৫:মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করা
ধাপ ০৫:মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করা

ধাপ ০৬: আবেদন পত্র প্রিন্ট করা
ষষ্ঠ ধাপে আবেদন প্রিন্ট করুন বাটনে ক্লিক করে আবেদন প্রিন্ট করে নিতে হবে।
ধাপ ০৬: আবেদন পত্র প্রিন্ট করা

ধাপ ০৬: আবেদন পত্র প্রিন্ট করা
(বি:দ্র: আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে হবে।)

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি কত

আবেদন সঠিকভাবে সাবমিট করার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি প্রদান করার মাধ্যমে আপনি জন্ম নিবন্ধনটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন আবেদন ফি নিম্নের ছকে উল্লেখ করা হল

ক্রমিক নং

বয়স

ফিস

০১

০-৪৫ দিন

বিনা ফিসে

০২

৪৬-০৫ বছর

২৫ টাকা

০৩

০৫-সকল বয়সের জন্য

৫০ টাকা

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফি প্রদান

কোন বয়সের বাচ্চার জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফি পরিমাণ কত টাকা সেটা দেখা এবং অনলাইনে মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন ফি পরিশোধ করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের ই-সার্ভিস এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি জন্ম নিবন্ধনের ফিস পরিশোধ করতে পারবেন ই সার্ভিসের ওয়েবসাইটের লিংক নিচে দেওয়া হল

জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর

জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে যেমন:

জন্মের কত দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে?

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি নবজাতক শিশু জন্মের শূন্য থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে

বাচ্চার টিকার কার্ড হারিয়ে গেলে করনীয় কি?

অনেক পিতা-মাতা অবহেলার কারণে বাচ্চার টিকার কার্ড হারিয়ে য়ায়। তবে টিকার কার্ড হারিয়ে গেলে আপনার করণীয় হচ্ছে আপনি যে কেন্দ্র হতে শিশুর টিকা গ্রহণ করেছেন সেই কেন্দ্রের রেজিস্টার বহি হতে আপনার বাচ্চার নাম ও জন্ম তারিখ উল্লেখিত পৃষ্ঠার একটি ফটোকপি করে টিকার কর্মীর কাছ থেকে সত্যায়িত করে সেটা দিয়ে আপনি আপনার বাচ্চা জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।

ভোটার আইডি থাকলে জন্ম নিবন্ধনের কোন প্রয়োজন আছে কি?

অনেকে এটা মনে করে যে আইডি কার্ড হয়ে গেলে জন্ম নিবন্ধনের আর তেমন কোনো প্রয়োজন হয় না। তবে এ ধারণাটা ভুল কারণ আপনার বাচ্চা জন্ম নিবন্ধন ভোটার আইডি কার্ড না থাকলে ও হবে কিন্তু জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই থাকতে হবে কেননা পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে আপনি আপনার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করতে পারবেন না।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

  • শূন্য থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন বিনা ফিসে করতে পারবেন।
  • ০-৪৫  দিন হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন ফি ২৫ টাকা।
  • ৫ বছর হতে সকল বয়সের জন্য জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা।

জন্ম সনদ কোথাই থেকে পাওয়া যাবে?

আপনি আপনি ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করলেও জন্ম সনদ পাবেন আপনার স্থানীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার কার্যালয় হতে। রেজিস্টার কার্যালয় বলতে ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে।

জন্ম সনদে কার কার স্বাক্ষর লাগে?

জন্ম নিবন্ধনে নিবন্ধকের স্বাক্ষর এবং সনদ প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে নিবন্ধক হলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মেয়র আর প্রস্তুতকারী হলেন ইউনিয়ন  পরিষদের সচিব এবং সিটি কর্পোরেশনের ও পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যাবে কি?

একটি জন্ম নিবন্ধন আপনি সর্বোচ্চ চারবার সংশোধন করতে পারবেন

বাচ্চার বয়স কমানো যাবে কি?

বাচ্চার বয়স কমানো এবং বাড়ানো দুটোই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ তাই সঠিক নিয়ম মেনে জন্ম নিবন্ধন করায় উত্তম।

মন্তব্য

অসৎ উপায় অবলম্বন করে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধনে বয়স কম বেশি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই সরকারি নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে বাচ্চা জন্ম নিবন্ধন সম্পূর্ণ করুন। জন্ম নিবন্ধনের আরো প্রয়োজন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন আর পোস্টটি ভাল লাগলে সবার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url