কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত

আমরা সবাই রবীন্দ্রনাথের নাম শুনেছি। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব জীবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। কিন্তু তার পুরো জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে জানতে পারছেন না। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি রবীন্দ্রনাথের জীবন বৃত্তান্ত সহ সমস্ত বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
এছাড়াও আরো যে বিষয় জানতে পারবেন তা হল রবীন্দ্রনাথের স্ত্রীর নাম কি তার বাবা মার নাম কি তিনি কতগুলো কাব্য রচনা করেছেন কোন কাব্যের জন্য তিনি নোবেল পেয়েছিলেন তার কর্মময় জীবন ইত্যাদি বিশেষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন কবি ছিলেন না। তিনি ছিলেন একধারে কবি সাহিত্যিক দার্শনিক নাট্যকার নাট্যকার অভিনেতা সুরকার গীতিকার। তাইতো সেই কারণে বাঙালি ও বিশ্বের মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং তার রচিত গ্রন্থাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত

বাঙালি তথা বাঙালি তথা বিশ্বের সমস্ত বাঙ্গালীর কাছে গর্ভের মানুষ ছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি যেমন ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি তেমনি ছিলেন উপন্যাসিক সংগীত স্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকার ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক অভিনেতা কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক বলে মনে করা হয়। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় এবং প্রথম এশিয়ান।
যিনি সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বের ইতিহাসে একজন স্মরণীয় ব্যক্তি। তার লেখা গান, কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস সবার মুখে মুখে। বাঙ্গালীদের জন্য এবং বাংলা সাহিত্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছিলেন আশীর্বাদস্বরূপ। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবির্ভাব না ঘটলে বাংলা সাহিত্য অপূর্ণই থেকে যেত।
রবীন্দ্রনাথের সমাজ সেবা


তিনি শুধু লেখক ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক বটে। সমাজের এবং রাজ্যের মানুষের সেবাসেবা করাও তার একটু উদ্দেশ্য ছিল। তাই তিনি সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসালয় এবং গ্রামের গরীব ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং নিজেও সেখানে পাঠদান করেছেন। তাই বিখ্যাত মানুষের জীবনের সংক্ষিপ্ত গল্প আপনাদের মাঝে আলোকপাত করার চেষ্টা ক করছি। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম

ইংরেজিতে ৭ই মে ১৮৬১ সাল এবং বাংলায় ১২৬৮ বঙ্গাব্দের পঁচিশে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা বাবার নাম

তিনি ছিলেন বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা ছিল সারদা সুন্দরীর। তিনি ছিলেন পিতা ও মাতার ১৪ তম সন্তান।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব জীবন

ছোটবেলা থেকেই স্কুলের চারদলের মাঝে পড়াশোনা তার একেবারে অপছন্দের ছিল। ছোটবেলাতে কবি গুরুকে কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারে নরমাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি এবং শেখ জেভিয়ার্স কলেজ স্কুলের মত চারটি আলাদা আলাদা স্কুলে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু কোনটাই তার পছন্দের ছিল না তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়িতেই গৃহ শিক্ষক রাখেন।
তার শিক্ষার ব্যবস্থা করেন ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান, আবৃত্তি, নাটক, সাহিত্য, প্রভৃতি প্রতি প্রবল আকর্ষণ জন্মায় এবং মাত্র আট বছর বয়সেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন এবং ১৮৭৪ সালে তথ্য বদনী পত্রিকা তার প্রথম অভিলাষ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা সাল ১৮৭৫ যখন রবি ঠাকুরের বয়স মাত্র ১৪ বছর তখন তার মা মারা যান। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব জীবন

যেহেতু পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ভ্রমণের নেশায় বেশিরভাগ সময় কলকাতার বাইরে থাকতেন তাই রবি ঠাকুরের ছোটবেলা কাটে চাকর বাকর ও দাদা দিদাদের শাসনে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা জীবন

পড়াশোনায় কবিগুরু অমনোযোগী থাকলেও পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সাহিত্য কাব্য প্রবন্ধ এসব প্রতি খুবই টান ছিল তার। তাই ১৮৭৭ তিনি ভিখারিণী নামে বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোট গল্প লেখেন এবং ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবি ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ও কবি কাহিনী। সাল ১৮৭৮ ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে রবি ঠাকুরকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। 
প্রথমে তিনি গায়তনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং পরে ১৮৮৯ সালে ইউনিভারসিটি কলেজ লন্ডনে আইন বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু এই আইন বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা তে তার কোন ইচ্ছা ছিল না। তাই তিনি সবসময় সাহিত্য চর্চা নিয়ে মেতে থাকতেন। ইংল্যান্ডের থাকাকালীন শেক্সপিয়ার ও অন্যান্য ইংলিশ সাহিত্যিকদের রচনা সঙ্গে রবি ঠাকুরের পরিচয় ঘটে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা জীবন


তাদের লেখাগুলি তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে পাঠ করতেন। ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো রকমের ডিগ্রী না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শেষ না করে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন ইংল্যান্ড বসবাসের অভিজ্ঞতার কথা ভারতীয় পত্রিকায় পত্র আকারে পাঠাতেন তিনি। ১৮৮১ সালে এই পত্রাবলী গ্রন্থাকারে ছাপানো হয়। আর এটিই ছিল রবি ঠাকুরের প্রথম চলিত ভাষায় লেখা গদ্য গ্রন্থ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রীর নাম কি

১৮৫৩ সালে নয় ডিসেম্বর বাংলায় ১২৯০ বঙ্গাব্দের ২৪ শে অগ্রাহায়ন ঠাকুরবাড়ির একজন কর্মচারী বেণী মাধব রায়চরণের কন্যা ভবতারিন এর সঙ্গে রবি ঠাকুরের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে এই ভবতারিনী দেবীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঁচটি সন্তানের জন্ম দেন যারা ছিলেন মাধবীলতা, রথীন্দ্রনাথ, রেনুকা, মীরা এবং সমেন্দ্রনাথ। এদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেনুকা ও সমেন্দ্রনাথ মারা যান।
রবীন্দ্রনাথেরে স্ত্রীর  নাম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ তালিকা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি গুলোর মধ্যে ছিল ৫২ টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩ টি উপন্যাস, ৯৫ টি ছোটগল্প, ১৯১৫ টি গান এবং ৩৬ টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য ও অন্যান্য গদ্য সংকলন এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি গান বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ জাতীয় সংগীত। তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যার প্রতিভা ও সৃষ্টি সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।
১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আরেক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ মানসী প্রকাশিত হয়। এ কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর এর মধ্যে আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও গীত সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হল প্রবাদ. সঙ্গীত, শৈশব সংগীত, রবির ছায়া ও কমল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মজীবন

১৮৯১ সালে পিতার আদেশে তিনি নদীয়ার পাবনা ও রাজশাহী জেলা এবং উড়িষ্যার জমিদারি দেখাশোনা করা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত সাধনা পত্রিকায় রবি ঠাকুরের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তার সাহিত্য জীবনের এই পর্যায়েটি তাই সাধনার পর্যায়ে নামে পরিচিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মজীবন
১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সপরিবারে বীরভূম জেলার বোলপুর শহরে অবস্থিত শান্তি নিকেতন এখানে চলে আসেন। এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৮৮ সালে একটি আশ্রম এবং ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্ম মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই আশ্রমের বাগানে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চালু করলেন পরীক্ষামূলক একটি স্কুল। 

এরপর রবি ঠাকুরের জীবনী শুরু হয় দুঃখ কষ্ট বেদনা ভরা অধ্যায় ১৯০২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর মাত্র ৩০ বছর বয়সে কবি পত্নী মৃণালিনী মারা যান এরপর ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তার কন্যা রেনুকা ১৯০৫ সালে উনিশে জানুয়ারি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ১৯০৭ সালে ২৩ শে নভেম্বর বড় পুত্র রথীন্দ্রনাথ মারা যান।
এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ১৯০৬ ও ১৯০৭ সালে যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জামাতা নগেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় কে কৃষি বিজ্ঞান শেখানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। এই সময় শান্তিনিকেতনে বিদ্যালয়ের অর্থ সংকট তীব্র হয়ে ওঠে পাশাপাশি পুত্র পুত্র ও জামাতাকে বিদেশে পড়ানোর জন্য যে ব্যয়ভার বহন হতো।

সেটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহন করতে। তাই এসব খরচ সামলাতে এক প্রকার বাধ্য হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্ত্রীর গয়না ও পুরীর বসতবাড়িতে বিক্রি করে দেন। ইতিমধ্যে বাংলা ও বইয়ের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাটি ছড়িয়ে পড়ে ১৯০১ সালের খেয়া কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। 

১৯১৩ গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ একাডেমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাহিত্য নোবেল পুরস্কার প্রদান করে এবং ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে স্যার বা নাইটহুড উপাধি দেন ১৯১৯ সালে জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে এর প্রতিবাদে তিনি এই নাইটহুড উপাধি বর্জন করেন। সাল ১৯২১ কবিগুরু এবং আরও কয়েকজন ব্যক্তি মিলে শান্তিনিকেতন অধুরে সুদুর গ্রামে পল্লী সংগঠন কেন্দ্র নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।

এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতি সাধন ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য রোগ নিবারনের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং সাধারণ গ্রামবাসীর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে নাম হয়েছিল কবিগুরু নাম রাখেন শ্রীনিকেতন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ব ভ্রমন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু সাহিত্য পিপাসি ছিলেন না তিনি ছিলেন ভ্রমণপিপাসুও বটে। তাইতো তিনি অসংখ্য দেশ ভ্রমণ করেছেন।মোট বারো বার বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ৩০ টিরও বেশি দেশ তিনি ভ্রমণ করেছিলেন। ইংল্যান্ড,মার্কিন, যুক্তরাষ্ট্র, থেকে শুরু করে রাশিয়া, সুইডেন, জাপান, চীন, পেরু, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, গ্রিস, তুরস্ক,ফ্রান্স, মিশর, প্রভৃতি ৩০ টি দেশ ভ্রমণ করে ভারতে ফিরে আসেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর তারিখ ও শেষ জীবন

জীবনের শেষ দশায় রবীন্দ্রনাথ ৫০ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় তার এ সময়কার কাব্যগ্রন্থ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পুনিষ্চ, শেষ সপ্তক, শ্যামলী এবং পত্রপুট জীবনের এই পর্বে সাহিত্যের নানা শাখায় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার এই পরীক্ষা ফসল হল একাধিক গদ্য গীতিকা ও নিত্য নাট্য এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ তিনটি উপন্যাস বোন মালঞ্চ ও চার অধ্যায় রচনা করেছিলেন।

তার অধিকাংশ ছবি জীবনের এই পর্বে আঁকা এর সঙ্গে সঙ্গে শেষ জীবনের শেষ বছর গলিতে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তার বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন বিশ্বপরিচয়। জীবনের শেষ চার বছরে তার ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়। এ সময়ের মধ্যে তিনি দুবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় থাকতে হয়েছিল তাকে।

১৯৩৭ সালে একবার চৈতন্য হারিয়ে আশঙ্কা জনক অবস্থায়। সেইবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালের অসুস্থতার পরে তিনি আর সেরে ওঠেননি দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি মাত্র আট বছর থেকেই তার লেখা শুরু আর মারা যাওয়ার ৭ দিন আগে পর্যন্ত তিনি রচনা করে গেলেন কিছু অমর সৃষ্টি যা চিরজীবন বাঙালি তথা বিশ্ববাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে।

শেষ কথা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না তার জীবনধারা ঠিক যেন অন্যরকম ছিল তিনি রাজবংশের জন্মগ্রহণ করলেও সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনাকে নিজের চিন্তাভাবনা মনে করেই কাজ করতেন। সেজন্যই তিনি অসংখ্য বিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তথা আরও বিখ্যাত মনীষীদের বিখ্যাত কথা জানতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং পোস্টটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url