ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম/আদাব আপনি কি গ্যাস্ট্রিক-এর সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি? গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায় কি? এসকল বিষয়ে জানে না? তাহলে এই আর্টিকেল মূলত আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেল পাঠ করার মাধ্যমে উপরোক্ত সমস্যা সম্পর্কে খুব স্বচ্ছতার সহিত জানতে পারবেন।

তাই কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার যায় তা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই পোষ্টটি সম্পন খুব মনোযোগ সহকারে পাঠ করতে হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

আপনি এই পোষ্টটি পাঠ করার মাধ্যমে শুধু ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ছাড়াও গ্যাস্ট্রিক হলে যে খাবার গুলো খাওয়া যাবে না, কিভাবে গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, ইত্যাদি বিষয়াবলী সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা:

মানবদেহের পরিপাকতন্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিপাকতন্ত্রের কাজ হল খাবার সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা। আর পরিপাকতন্ত্র যখন খাবার সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারে না ঠিক তখনি পেটে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এর অন্যতম একটি রোগ হল গ্যাস্ট্রিক। এই রোগে কি সমস্যা হয়, কিকি করনীয়, কি জাতিয় খাবার খেতে হবে ও কিকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আলসার রোগ ঘরোয়া চিকিৎসা, ভেষজ উপায়ে কিভাবে এই রোগ নিরাময় করা যায় না নিন্মে আলোকপাত করা হল।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায়

প্রাচীন কাল থেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করার জন্য ভেষজ পদ্ধতি ব্যাবহার করা হতো। গ্রামাঞ্চলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করা জন্য যে পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। ভেষজ পদ্ধতি এমন পদ্ধতি যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এই পদ্ধতিতে যে উপাদান গুলো ব্যাবহার করা হয় তা সাধারণ হাতের কাছেই পাওয়া যায়। যে উপাদান দ্বারা ভেষজ উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করা যায় তা হল:-

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

ভেষজ চা: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করতে ভেষজ চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদা, লবঙ্গ, মৌরি, ইত্যাদি উপাদান দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এই ভেষজ চা।

রসুন: রসুন এসিডিটি কমাতে বেশ উপকারী। প্রতিদিন বিশেষ করে সকালে খালি পেটে পানির সহিত কাচা রসুন খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
আদা: আদায় যে উপাদানটা বেশি পরিমাণে থাকে তা হল এ্যান্টি ইনফ্লোমেটারি। আদা পেটের গ্যাসের সমস্যা সহ পেট ফোলা, বদহজম, বমি ইত্যাদির রোগের সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।

জিরা: জিরা পেটের জন্য বেশ ভাল একটা ঔষুধ। জিরা বমি হওয়া কমাতে, পায়খানার সমস্যা দুর করতে, পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। ৫০ গ্রাম জিরার সাথে আখের গুড়া মিশিয়ে সেটা ৫ ভাগে ভাগ করে দিনে তিন বার খেতে হয়।

তুলসীপাতা: তুলশী এমন একটি গাছ যা সকল রোগ নিরাময়ক বলা হয়ে থাকে। পেটের জ্বালা-পোড়া দুর করে তুলশী পাতা।

পুদিনা: অনেকেই পুদিনা পাতা খেতে পারেন না। কারণ এর একটু ঘ্রাণ রয়েছে যা সবাই সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু পুদিনা পাতা দেয় কোন খাবার বানিয়ে খেলে তা পেটের জন্য বেশ উপকারী ও গ্যাস কমাতে বেশ সহায়ক।

দারুচিনি: সাধারণত হজমের সমস্যার জন্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। আর দারুচিনি এমন একটি উপাদান যা হজমের সমস্যা দুর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এক চামচের অর্ধেক দারুচিনি এক গ্লাস পানিতে গুড় মিশেয়ে খেতে পারেন।

লবঙ্গ: কয়েকটি লবঙ্গ মুখে রেখে দিলে মুখে অনেকটা রসের সৃষ্টি হয় এবং এই রস খেলে বমি করা, বুকে জালা পোড়া সহ গ্যাস্ট্রিকের বেশ কয়েকটি সমস্যা দুর হয়।

এলাচ: অম্বল দুর করা জন্য এলাচ বেশ উপকারী।

মৌরীর পানি: মৌরির পানি গ্যাস কমাতে বেশ সহায়ক।এছাড়া আরো কিছু খাবার যেমন: আমড়া, কমলা, লেবু পানি ইত্যাদি।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়

একজন মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হলে, অনিয়মিত খাবার খেলে, বেশি মসলা জাতীয় খাবার খেলে আরো বিভিন্ন কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক হলে যে সমস্যা হয় তা হল, পেট ফোলা, পেটে জালাপোড়া হওয়া, অনেক সময় বমি বমি ভাব হওয়া, ক্ষুধা মন্দা অর্থাৎ ক্ষুধা লাগার পরও ক্ষুধা অনুভব না করা, পেট ভারি হয়ে থাকা, অনেক সময় বুক জ্বালা-পোড়া করা ইত্যাদি।

গ্যাস্ট্রিক হলে করনীয় কি

এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী পালন অত্যাবশ্যক। আমরা কর্ম ব্যস্ত জীবনে প্রায় সময় বাহিরে অবস্থান করার কারণে বিভিন্ন জায়গার খাবার খেয়ে থাকি। কখনো কখনো না খেয়ে পেট খালি রাখি আবার কখনো একটু পেট ব্যথা অনুভব করলেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে থাকি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কয়েকটি নিয়ম সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

সকালে ঘুম থেকে ওঠে খালি পেটে পানি পান করা: আমরা প্রায়শ সময় খুব বেলা করে ঘুম থেকে উঠি। এই অভ্যাসটা পরিবর্তন করে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে এবং সকাল ঘুম থেকে ওঠেই খালি পেটে পানি পান করতে হবে।
বাহিরের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা: কর্মক্ষেত্রে, বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় আবার কখনো খাবারের লোভে পড়ে বিভিন্ন জায়গার ভাজাপোড়া জাতীয় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের খাবার খেয়ে থাকি। যা আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিকের জন্ম দেয়।

অনিয়মিত ওষুধ সেবন: এটা আমাদের একটা বদ অভ্যাস। একটু পেটের ব্যথা হলেই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেয়ে থাকি। যা করা মোটেও উচিত নয়। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

গ্যাস্ট্রিক দুর করার খাবার

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার। কারণ খাবারের অনিয়ম বা যে খাদ্যগুলো শরীর ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সেই সকল খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি হয়। মূলত কিছু কিছু খাবার নিয়ম মেনে খেলে গ্যাস্ট্রিক দুর করা সম্ভব।

কলা: কলায় ফাইবার উপস্থিত থাকে। দিনে ২ থেকে তিনটি কলার খাওয়া উচিত। এত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটা কমাতে সাহায্য করবে।

ডাবের পানি: ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। আর পটাশিয়াম মানেই এন্টি-অক্সাইড যা পিএইচের পরিমাণ বজায় রেখে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করে।

দই: দই এ এন্টি ব্যক্টেরিয়া থাকে যা মানুষের হজম শক্তিকে আরো তরান্বিত করে। দই খাবার সঠিক সময় হল দুপুরের খাওয়ার পর। আবার আপনি কিছু পরিমাণ ও টক দই মিশিয়ে ও পান করতে পারেন। এছাড়াও আপেল, বিট লবণে দিয়ে ও খেতে পারেন।
ঠাণ্ডা দুধ: এসিডিটি দুর করতে ডাণ্ডা দুধের তুলনা নেই। কারণ ঠাণ্ডা দুধ পেটকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।তবে অনেকের দুধ খেলে বদ হজম হয় এবং এসিডিটি সৃষ্টি হয়। তাদের অবশ্যই দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে।

শসা: শসা পেটকে ঠাণ্ডা রাখে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

পাকা পেঁপে: পাকা পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে।

মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা: যে খাবার গুলো খেতে বেশি ভাল-লাগে সেই খাবার গুলোকে মুখরোচক খাবার বলা হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে সেই খাবারগুলো আমাদেরকে বেশি আকৃষ্ট করে সেই খাবার গুলো বেশি মশলা জাতীয় খাবার হয়ে থাকে এবং এগুলো খাবার অত্যন্ত মুখরোচক। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: মাখা মুড়ি, তেলে ভাজা বড়া, বেগুনি এবং বিভিন্ন চপ জাতীয় খাবার।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ

বাংলাদেশে সবচেয়ে গ্যাস্ট্রিক রোগের ঔষধ বেশি কেনা বেচা হয়। তার কারণ সব মানুষের কমবেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে।আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যে ঔষধ বেশি ব্যবহৃত হয় তা হল ওমিপ্রাজল, ইসিমপ্রাজল । এছাড়া ও আরো কিছু ঔষুধ ব্যবহার হয় যেমন: ওমেপ, প্রাজোল, সেকলো, লোসেকটিক এবং অনেক সময় ইনজেশানের ব্যবহার ও করা হয়। কখনো কখনো সাসপেনশন (চিনিমুক্ত) চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের নিয়ম: গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ দিনে দু বার খাবার ৩০ মিনিট আগে খেতে হয়। তবে বেশি গুরুতর না হলে দিনে একবার হয় সকালে অথবা বিকালে একটি গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করাই ভাল। যেসকল ব্যক্তিরা ওমিপ্রাজল সেবন করতে পারবেন। যাদের বয়স ১২ বছরের ঊর্ধ্বে, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরাও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়াযী ওমিপ্রাজল খেতে পারবেন।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম

হয়তোবা অনেকেই জানে না যে নিয়মিত ব্যায়াম করা মাধ্যমে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করা যায়। কিছু কিছু ব্যায়াম আছে যা প্রতিদিন নিয়মানুযায়ী করলে গ্যাস্ট্রিকের জন্য বেশ কাজে দেয়। এই ব্যায়ামকে বলা হয় যোগাসন। তাই যে যোগাসনগুলো প্রতিদিন করবেন একটু জেনে নেওয়া যাক।

বজ্রাসন:
এই আসনটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে সোজা হয়ে বসতে হবে। এরপর পা দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে আমার টেনে নিয়ে হাঁটু মাড়িয়ে দেয় পায়ের উপর বসতে হবে। তারপর দু হাত বুক বরাবর রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেরতে হবে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ করলে পেটের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে ও গ্যাসের সমস্যা দুর হয়।
বজ্রাসন
পবনমুক্তাসন: এই ব্যায়ামটি করা জন্য আপনাকে চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। তার দু পা জড়িয়ে নিয়ে হাঁটুটাকে দু হাত দিয়ে ধরে বুকের উপর বরাবর নিয়ে আসতে হবে। এরপর হাঁটু দিয়ে মুখমণ্ডল, নাক স্পর্শ করতে হবে। এই অবস্থায় আপনাকে বেশ কিছু সময় থাকতে হবে।
পবনমুক্তাসন:

বিটিলাশন:
এই আসন করা অত্যন্ত সোজা। প্রথমে আপনি উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন এরপর, হাঁটু ও হাতের সাহায্যে একটু উঠে দাঁড়াবেন। দেখুন যেন মুখ যেন সামনে সোজা , আপনার পিঠ মাথা বরাবর থাকে।
বিটিলাশন

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিক আলসার হল পেটের নাড়িতে একধরনের ঘা। এই রোগটি হলে পেটে বেশ জালাপোশা হয়। বিশেষ করে খালি পেট হলে অনেক বেশি সমস্যা হয়। অতিরিক্ত মদ্যপান, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের জন্য এই রোগটি হয়ে থাকে। এই রোগকে আবার পাকস্থলীর আলসার ও বলা হয়। ঔষধ খেয়ে ও এই রোগের তেমন ফলাফল পাওয়া যায় না। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা মাধ্যমে এই রোগের সুরাহা পাওয়া যায়। ঘরোয়া উপায় গুলোহল:

রসুন: আপনি যদি অতিরিক্ত আলসারে ভোগের তাহলে খাবারে যোগ করুন রসুন।

কাঁচা মরিচ: কাচা মরিচ পেটের পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়াকে দুর করতে কাচা মরিচ বেশ কার্যকরী।

মধু: মধু পেটের ব্যাকটেরিয়া দুর করা জন্য খুবই উপকারী। সকালের খারের সঙ্গে মধু খান।

কলা: পেটের আলসার নিয়ময়ে আরেকটি উপদান হল কলা। প্রতিদিন ৩-৪ টি কলা খাওয়া উচিত।

বাঁধাকপি: বাধা কপিতে এক ধরনের এন্টি অক্সাইড রস থাকে। যা পাকস্থলীর আলসারের জ্বালা কমাতে সহায়তা করে।

মেথি পাতা: মেথি পাতা খাবার নিয়ম হল এককাপ জল ও এক চিমটি লবণ ভালভাবে ফুটাতে হবে। এরপর প্রতিদিন দুই বার খেতে হবে।

নারিকেল পানি: আলসার যখন বেশি মাত্রায় সংক্রামণ হয় এবং বেশি মাত্রায় জালা পোড়া হয়। তখন নারিকেল পানি পান করেতে হয় ইহা পেটকে ঠাণ্ডা রাখে।

নারিকেল তৈল: আলসার রোগীদেরকে খাবারের সহিত নারিকেল তেল যোগ করা উচিত কারণ নারিকেল তেলে কিছু পরিমাণে এন্ট্রি ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আলসারের ব্যাকটেরিয়াকে নিরাময় করতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না

গ্যাস্ট্রিক রোগীদের অনেক খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। গ্যাস্ট্রিক রোগীদের যেসব খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত তা নিম্নরূপ:
  • অনেকেই সকালে খালি পেটে ছোলা জাতীয় খাবার খাই। ছোলা বেশ আঁশযুক্ত খাবার এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • অনেকে সবজি যেমন কচুর তরকারি খেতে বেশি ভালবাসেন। এ জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। তাই এ জাতিয় খাবার না খাওয়ায় ভাল।
  • সয়াবিন, বুট এ জাতিয় খাবার গ্যাস বেশি বৃদ্ধি করে এছাড়াও ছোলা, বুট ও আঁশযুক্ত খাবার। এই জাতিয় খাবারে ফাইবার বিদ্যমান থাকে যা পাকস্থলীর হজম প্রণালীতে বেশ অসুবিধা সুষ্টি করে এবং গ্যাসিট্রকের সৃষ্টি হয়।
  • দুধ ও দুগ্ধ জাতিয় খাবার খেলে অনেকরে বদহজম হয় তাই যাদের এ জাতিয় খাবারের সমস্যা হয় তারা এ জাতিয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • বাদাম এক ধরনের আশ যুক্ত খাবার এতে বেশি পরিমানে চর্বি থাকে তা গ্যাস্ট্রিক রোগীদের এই খাবার না খাওয়ায় শ্রেয়।
  • ড্রিংক্স জাতিয় খাবার খেলে অনেক সময় পেটে বুদবুদানির সুষ্টি করে। তাই এটি পরিত্যাগ করতে হবে।
  • এছাড়াও স্ন্যাক জাতীয় খাবার, হোটেলর খাবার, বাহিরের ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত তৈল জাতিয় খাবার মোটকথা যে খাবার গুলো খেলে আপনার সমস্যা অনুভূত হচ্ছে সেই খাবার গুলো পরিত্যাগ করাই উচিত।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, গ্যাস্ট্রিক রোগীদের প্রধান ওষুধ হল নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া। এছাড়াও ভেষজ ঔষধ বেশ কার্যকরী। আর আপনারা যখন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাবেন অবশ্যই পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই পোষ্টটি সবার সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url