তল পেটের চর্বি কমানোর সহজ উপায়
আপনারা অনেকেই জানেন না যে, তল পেটের চর্বি কমানোর সহজ উপায়। শুধু তলপেটে চর্বি নয় মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কেও হয়তো বা জানেন না। তাই মেদ কমানোর জন্য কি কি করা প্রয়োজন অথবা কিভাবে আপনি আপনার মেদ সমস্যা বিশেষ করে মেয়েদের মেদ কমানোর প্রয়োজনীয় টিপস থাকছে এই পোস্টটিতে।
এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন তা হলো পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা, তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ সহ আরো বিস্তারিত থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে। তাই মেয়েদের মেদ কমানোর টিপস সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ভূমিকা
তলপেটে চর্বি, পেটের মেদ ভূড়ি বেড়ে দেওয়া এটা কোন নতুন কথা নয়। অনেকের স্বাভাবিকভাবেই আবার অনেকের ভুলভাল খাবার খেলে শরীরে মেদ বাড়তে পারে। শরীরে মেদ বাড়লে সেটা বেশ অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। তাই কিভাবে আপনি আপনার শরীরের মেদ কমাতে পারেন, এবং এর জন্য কি কি ব্যায়াম করা প্রয়োজন, কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
মেদ বাড়ায় সমস্যা বর্তমানে একটি অতিব পরিচতি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের মেদ বাড়লে আরো বেশি সমস্যা হয়। আর মহিলারা এই সমস্যা বেশি ভোগেন। কেননা অর্ধিকাংশ মহিলারা বাড়িতে থাকে তেমন কাজ করে না মোট কথা কোন রকম পরিশ্রম করে না। পরিশ্রম না করা ফলে তাদের মেদ অটোমেটিকভাবে বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন: ৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
যার জন্য তাদের চলাফেরা করতে বেশ অসুবিধা হয়। শুধু তাই নয় মেদ বাড়ার কারনে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হয় এবং শরির ফিটনেস অনেকটা বেমানান হয়ে যায়। মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর সহজ কয়েটি উপায় হল:
তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া
যখন কোন মানুষ কোন কিছু খাই সেটা সরাসরি পাকস্থিতে যায় এবং পাকস্থলিতে একটি সংকেত মানুষের মেমোরিতে অর্থাৎ ব্রেন এ পৗছে দেয়। তারপর মানুষের ব্রেন তাকে জানান দেয় যে তার পেট ভরেছে কিনা। খুব তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়ার জন্য পাকস্থলি থেকে ব্রেন এ সংকেত নাও যেতে পারে।
আরো পড়ুন: দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
তাই খাওয়ার সময় কোন তাড়াহুড়ো করবেন না। কেননা তাড়াহুলো করে খাওয়ার পলে আপনি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খেয়ে নিতে পারেন। আর অতিরিক্ত খাবার মানেই হচ্ছে আপনি বেশি প্রটিন, বেশি পুষ্টি, বেশি ক্যালরি খেতে ফেললেন। যা আপনার মেদ বাড়াতে যথেষ্ঠ পরিমান ভুমিকা রাখে।
সময় মেনে খাওয়া
সময়ের খাবার সময়ে খান। এক বেলার খাবার না খেয়ে অন্য বেলায় খাওয়ার জন্য অনেক বেশি খাবেন তা হবে না। এক বেলায় না হওয়ার ফলে অন্যবেলায় অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
খাবার প্লেট বেশি বড় না হওয়া
অনেক সময় বড় প্লেটে খাওয়ার সময় এক এক প্লেট অথবা তার বেশি খাবার খেলে মনে হয় অল্পই খাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার খাবারের প্লেট যদি অনেক বড় হয় অর্থাৎ প্লেটে অনেক বেশি খাবার ধরে তাহলে বড় প্লেটে এক বা তার একটু বেশি খেয়ে আপনি মনে করতে পারেন কমই খেলাম এটা ভুল। আসলে এটা আপনি নিজের অজান্তেই হয়ে যায়।
কেননা যে প্লেটে খাচ্ছেন সেই প্লেটটি তে অনেক বেশি খাবার ধরে। তাই বড় প্লেট ছেড়ে ছোট প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গ্রামাঞ্চলে মানুষ কে খাবার প্লেটের বদলে বড় প্লেট এমনি ভাট বাড়ার বড় বাটিতে খাবার খেতে দেখো যায়। আপনার যদি অনেক বড় প্লেটে খাবার খাওয়ার অবভ্যাস থাকে তাহলে তা ত্যাগ করুন।
লোভে পড়ে বেশি না খাওয়া
বাঙালিরা এমনিতে অনেক বেশি ভোজনপ্রিয় হয়ে থাকে। যার জন্য বেশি বেশি খাবার জন্য শরিরের মেদ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই ঘন ঘন খাবার অভ্যাস থাকলে না ত্যাগ করতে হবে। কথায় আছে, তোর বিয়েতে কপ্জি ডুবিয়ে অর্থাৎ অনেক বেশি খাবে। কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাল খাবারের লোভে পড়ে অনেক বেশি খাবেন না।
আবার অনেক পাল্লা দিয়ে ও খেতে দেখা যায়। যা শরির ও স্বাস্থের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। মনে রাখতে হবে যে ওভার ইটিং এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্য বাড়া থেকে শুরু করে এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত বেশি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মনে রাখতে হবে যেটুকু খাবার আপনার শরীরের জন্য এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন সেটুক খাবার খাবেন।
আনমনে হয়ে না খাওয়া
আপনি যখন যে কাজ করবেন সেটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে করবেন। যদি টিভি দেখেন মনোযোগ সহকারে দেখবেন। যদি খাবার খান মনোযোগ সহকারে খাবেন। যখন আপনি অমনোযোগী হয়ে খাবার খাবেন তখন আপনার শরীরে কতটুক খাবারের প্রয়োজন তার চেয়ে কম খাচ্ছেন নাকি বেশি খাচ্ছেন এ বিষয়ে কোন জ্ঞান থাকে না।
তাই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। আবার অনেকের গল্প করতে করতে খাওয়া কিংবা টিভিতে কোন মুভি, খেলা, বা নাটক দেখতে দেখতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয়েছে। এই খাবারগুলো অবশ্যই আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। তাই অন্যমানুষ্ক হয়ে খাবার খাবেন না। আপনার যেটুকু খাবার প্রয়োজন সেটুকু খাবার খুবই মনোযোগ সহকারে খাবেন।
অনিয়মিত ভাবে না ঘুমানো
যখন মানুষরের শরিরে পরিবর্তন আসে তখন খাওয়ার পর শরির একটু ঝিমিয়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে অনেকই ঘুমিয়ে পড়ে এত করে শরির স্বাস্থ অটোমেটিকভাবে বেড়ে যায়। সাধারণত খাবারের যে প্রোটিন বা ফ্যাট থাকে ঘুমালে এই প্রোটিন এবং ফ্ল্যাট গুলো শরীরে বেশি পরিমাণে কাজে লাগে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যখন আপনি চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে ঘুমাবেন।
তখন এমনিতেই শরীরে এক ধরনের পরিবর্তন অর্থাৎ শরীর ভারী ভারী ভাব হয়ে যাবে যা আপনার মেদ বা ভুড়ি বাড়াতে অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
খাবারের পরিবর্তন
ভাতে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট থাকে। তাই প্রত্যেক বেলায় ভাত না খেয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে অন্য খাবার বেছে নিতে পারেন। যেমন ধরুন রাতের বেলায় ভাতের বদলে রুটি খেতে পারেন।
সঠিক খাবার নির্বাচন করা
যে কোন খাবার খা ওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেটা ফ্যাটযুক্ত খাবার কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর খান।
ব্যায়াম করা
সব ধরনের ব্যায়াম একটি মানুষের শরির জন্য খুব ভাল। তাই শরির স্বাস্থ ঠিক রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম এর কোন বিকল্প নেই।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
আপনার শরীরের মেদ কমানো এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। একটা মানুষ ইচ্ছে করলেই তার শরীরের ওজন বাড়াতে ও কমাতে পারে। যে খাবারগুলো শরীরের মেদ বাড়াতে ও কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী তা নিচে উল্লেখ করা হলো
সবজি জাতীয় খাবার: সাধারণত সবজি জাতীয় খাবারে ফাইবার এবং মাইক্রো উপাদান থাকে সেগুলো খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে খাবার খুব দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে যা চর্বি কমাতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফাইবার যুক্ত খাবার দেহের যে চর্বির অংশ রয়েছে।
আরো পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায়
মলত্যাগের সময় সেগুলোও মলের সাথে বের করে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল এবং ফলের রসেও অনেক ফাইবার রয়েছে যা ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং আপনার শরীরের ফ্যাট অর্থাৎ চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি: চা খেলে মানুষের মন অনেকটাই সতেজ থাকে। আর পেটের মেদ কমাতে গ্রিন টি বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই আজেবাজে ধরনের চা খাওয়ার অভ্যাস না করে নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন।
বাদাম: যদিও বাদাম ফ্যাট জাতীয় খাবার তারপরও অনেক স্বাস্থ্যবিদরা মনে করেন যে সব ধরনের ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কিছু কিছু ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের প্রোটিনের উপাদান ঠিক রেখে শরীরকে সুস্থতা রাখতে সাহায্য করে। ফ্যাট কমানোর জন্য যেমন ভিটামিনের প্রয়োজন তেমনি শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন কমানোর জন্য আবার খাবারের প্রয়োজন।
মাছ: সামুদ্রিক মাছে এক বিশেষ ধরনের অ্যাসিড থাকে। এই এসিড পেটের চর্বিকে সরাতে এবং আমাদের শরীরে যতটুকু চর্বির প্রয়োজন তার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
মসলা: মসলা হিসেবে রান্নায় যে সকল মসলার ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশ গুলোই স্বাস্থ্যের পক্ষে অর্থাৎ মেদ বাড়াতে পারে। আমাদের দেশে যে সকল মসলা রান্নায় ব্যবহার করলে শরীরের সাথে সমঝোতা রাখতে পারে সে মসলাগুলো হল হলুদ, রসুন, আদা, দারুচিনি। এই মসলাগুলো শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রেখে খাবার খেয়ে সুস্বাদু করতে এবং হজম করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সাইড থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পানি: বিভিন্ন খাবার খাওয়ার জন্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় পদার্থ অর্থাৎ বর্জ্য পদার্থ জমা হয়ে থাকে আর সেগুলো যদি শরীর থেকে বের করে না দেওয়া হয় তাহলে শরীরে অদ্ভুত রকমের পরিবর্তন অর্থাৎ অটোমেটিকলি শরীরের মেদ বাড়তে পারে। এই অপ্রয়োজনীয় পদার্থ শরীর থেকে বের করার জন্য আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ লিটার জল খেতে হবে।
আশ জাতীয় খাবার: বিভিন্ন ধরনের আশ জাতীয় খাবার রক্তের ইনসুলিন বাড়াতে বেশ সহায়ক এবং এই ইনসুলিন শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। আঁশ জাতীয় খাবারে বেশি পরিমাণ যে ভিটামিন টি থাকে তা হচ্ছে ভিটামিন বি। আর আপনারা সবাই জানেন ভিটামিন বি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কতটুকু বাড়ায়। তাছাড়া ও শরীরের বিএমআর প্রক্রিয়া শরীরকে সঠিক প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
তল পেটের চর্বি কমানোর সহজ উপায়
পেটের তথা তলপেটে চর্বি বেশ অস্বস্তি জনক। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে তলপেটের চর্বি অনেক বেশি মাত্রায় বাড়তে পারে। কারণ গ্যাস্ট্রিকের জন্য পেট ভারী ভারী হয়ে থাকে এবং গ্যাস হয়ে থাকে। তল পেটের চর্বি কমানোর সহজ উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো
তলপেটে চর্বি কমাতে যে বিষয়টি বিশেষ কাজে দেয় তা হচ্ছে খাদ্য তালিকা। আপনার খাদ্য তালিকায় যে খাবারগুলো রাখবেন তা হল
- কাঁচা সবজি: সবজি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর কাঁচা সবজি বিশেষ করে কাঁচা সবজির সালাত খাবারের সাথে খেলে পেটের চর্বি কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
- বিভিন্ন রকমের ফল: ফলমূলে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সাইড থাকে এবং ফলের রস হজম শক্তিকে বাড়িয়ে পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- সালাত খাওয়া: যে কোন ধরনের মুখরোচক খাবার খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই কাঁচা সবজি দিয়ে কিছু পরিমাণ সালাত সাজিয়ে নিতে হবে। কেননা মুখোরোচক খাবার এমনিতেই শরীরের চর্বি বাড়িয়ে দেয় আর এই ছালাত খেলে আপনার চর্বি কমাতে অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
- আরো কিছু খাবার খেলে এবং নিয়মিত ভাবে খাবার খেলে, নিয়ম মেনে ঘুমালে, প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার তলপেটে চর্বি অনেকটাই কমে যাবে।
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়
তলপেটের চর্বি কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন নির্ভর করবে আপনার তলপেটের মেদ কতটুকু কমবে। পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় উল্লেখ করা হলো:
সময়মতো ঘুমানো ও ঠিকমতো ঘুম থেকে উঠতে হবে। তবে খুব ভরে ঘুম থেকে ওঠায় সবচেয়ে ভালো।
- খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই থেকে তিন গ্লাস পানি খাওয়া। মুখের যে লালা থাকে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ফাইবার তো খাবার খাওয়া: যেমন শাকসবজি জাতীয় খাবার ফলমূল জাতীয় খাবার।
- অতিরিক্ত কার্বোহাইডেট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এ জাতীয় খাবার মেদ বাড়ায়।
- তাছাড়াও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার তৈলাক্ত খাবার, মুখরোচক খাবার , বেশি তৈলাত্যক খাবার এসব খাবার থেকে সর্বদাই বিরত থাকতে হবে।
- দুধ চা জাতীয় খাবার না খাওয়া
- নিয়মিত পানি পান করা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ ঘরে বসেই বানানো যায়। আপনি কিভাবে ঘরে বসেই তলপেটে চর্বি কমানোর ওষুধ বানাবেন তা আলোচনা করছি। ঘরোয়াভাবে তলপেটে চর্বি কমানোর ওষুধ বানাতে যেগুলো উপাদান প্রয়োজন তা হলো জিরা এবং আদার রস, পরিমাণ হলো এক চামচ পাউডার ও দুই চামচ। এই ওষুধ নিয়মিত সেবন করার ফলে আপনার পেটের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে।
এছাড়াও চর্বি কমাতে আরো যা খেতে পারেন সেটা হচ্ছে কালোজিরা। কারণ কালোজিরা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা সবজির ভেতর শসা ও পেটের চর্বি কমাতে বেশ কার্যকরী।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর জন্য ব্যায়াম কোন জুড়ি নেই। কয়েকটি ব্যায়াম কিভাবে করবেন তা উল্লেখ করা হলো:
সিট আপ:
এই ব্যায়ামের জন্য যা করতে হবে প্রথমে আপনাকে একটি সমান জায়গায় যেমন ধরুন ঘরের মেঝেতে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর পা দুটো জড়িয়ে নিয়ে হাতের পজিশন হবে হাঁটু বরাবর সামনের দিকে। এবার আপনি সোজা হয়ে সামনের দিকে বসে পড়ুন। মনে রাখবেন পায়ের পজিশন ভাজ থাকবে। এরপর আবারো আপনি আগের মতো শুয়ে পড়ুন।
তবে বসে থাকা অবস্থায় বেশিক্ষণ না থাকাই ভালো। এভাবে বেশ কয়েকবার উঠুন এবং বসুন। কমপক্ষে দশ বার করার পরে একটু বিশ্রাম নিন। এরপর আবার শুরু করুন।
ক্রাঞ্চেস:
করার জন্য আপনাকে আগের মতোই মেঝেতে প্রথমে শুয়ে পড়তে হবে। এবার যা করতে হবে দুই পা একটু ফাঁক রেখে হাঁটু ভাঁজ করতে হবে। আপনার হাতের পজিশন হবে মাথার পিছনে। মাথার পিছনে হাত রাখা অবস্থায় নিঃশ্বাস নিতে এবং স্বার্থ ছাড়তে উপর দিকে উঠতে হবে। এ কাজটি করার সময় আপনি অবশ্যই আপনার পেটের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
কারণ করার সময় আপনার পেটের উপর অনেক প্রেসার পড়বে। এ ব্যায়াম করার সময় আপনি উপরের দিকে সবসময় তাকিয়ে থাকবেন। তাহলে আপনার পেটের উপর প্রেসার অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
লেগ রেইচ:
এর জন্য আপনাকে সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়তে হবে। এবার আপনি পায়ের পজিশন হবে ৯০ ডিগ্রি সোজা উপরে তোলা। এবার নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা দুটো নিচে নামাতে হবে। কিন্তু মাটিতে ঠেকানো যাবে না। তাহলে আপনার পেটের উপর কিছুটা পেশা সৃষ্টি হবে এভাবে আপনাকে কিছুক্ষণ ধরে ব্যায়াম করতে হবে।
প্লাংক:
এই ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে মেঝেতে উপরে শুতে হবে কিন্তু আপনার শরীরের ভার থাকবে আপনার ২ কনুই এবং পায়ের উপর। একটু উঁচু হয়ে শরীরকে মাজা থেকে পিঠ বরাবর সমান্তরাল রাখতে হবে। এ অবস্থায় আপনাকে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড থাকতে হবে। আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন এভাবে ব্যায়াম করবেন আবার একটু বিশ্রাম নিবেন আবার ব্যায়াম করতে শুরু করবেন।
এক সপ্তাহে পেটের মেদ কমানোর উপায়
সঠিক নিয়ম কানুন মানার মাধ্যমে এক সপ্তাহে পেটের মেদ কমানোর যেতে পারে। কিভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে পেটের ম্যাপ কমানো যায় চলুন একটু যেনো না যাক।
- খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া। এতে গ্যাস হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।খাবার তাড়াতড়ি হজম হয়।
- খাবারে লবনের পরিমান কমানো।
- যেকোন চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়া।
- নিয়মিত হাাঁটা।হাটলে শরিরের রক্ত সচল থাকে।
- রাতের খাবার খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া। ঘমোতে যাওয়ার ২-৩ ঘন্টা আগে।
- আপনার খাদ্যের একটি রুটিন করা।
- নিয়ম মেনে ঘুমানো।
ছেলেদের পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম ছবি সহ
প্রথম চিত্র
দ্বিতীয় চিত্র
চতুর্থ চিত্র
শেষ কথা
কিছু নিয়ম সঠিকভাবে মানলে এবং কিছু খাবার নিয়ম মেনে খেলে আপনার শরীলের মেদ অতি সহজেই কমাতে পারবেন। শরীরের মেদ কমানো জন্য আরো প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে এই ওয়েবসাইটের পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন আর পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url