বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কে ছিলেন

আমার অনেকেই জানিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাস। এই স্বাধীনতা যুদ্ধের বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কে ছিলেন এবং কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এসব বিষয় সম্পর্কে হয়তোবা জানতে আগ্রহী। তাই বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে খুব মনোযোগ সহকারে পাঠ করুন।
বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কে ছিলেন
এর মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠিত হওয়ার কারণ সমূহ, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ কতটি সেক্টর বিভক্ত ছিল, প্রতিটি সেক্টর কমান্ডার কে ছিল কত দিন ধরে যুদ্ধ চলছিল, যুদ্ধের ফলাফল সহ বিস্তারিত থাকে পোস্টটিতে।

ভূমিকা

বাংলাদেশ তথা বিশ্বের  ইতিহাসে যেগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে ছিল তার মধ্যে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহান তাৎপর্য ও গুরুত্ব বয়ে আনে। আমরা সাধারণত বইয়ের পাতায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়লেও মুক্তিযুদ্ধের আসল কাহিনী কি, কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, কতজন বাঙ্গালী প্রাণ হারিয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ কে ছিলেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কত লোক প্রাণ হারায়

বিশ্বের ইতিহাসে যতগুলো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয় তার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায় অসংখ্য নারী ইজ্জত হারায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঠিক কতজন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে তা নিয়ে গণমাধ্যম তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিভিন্ন রকম তথ্য রয়েছে।


বিশ্বের বিভিন্ন এনাফাইক্লোপেডিয়া এবং বিভিন্ন বইতে দুই লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য মতে ধারণা করা হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব ও পাকিস্তানের উপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়। ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ রাতে পশ্চিম পাকিস্তানীরা সামরিক বাহিনী নিয়ে একটি গণহত্যা চালায়। 

মাঝরাতে হঠাৎ এ আক্রমণ করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্থানের এতে অসংখ্য বাঙালি প্রাণ হারায়। শুধু সাধারণ মানুষই নয় হত্যাকান্ড চালানো হয় বিভিন্ন প্রকৌশলী কবি ডাক্তার সাহিত্যিক বিজ্ঞানী শিক্ষক বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মানুষের উপর। পশ্চিম পাকিস্তানিরা প্রায় বাংলাদেশের ৩০০ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।

কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল

১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ কালো রাতে হিসেবে পরিচিত।  অসংখ্য মানুষকে অমানবিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গুলি বর্ষন করে হত্যা করে। ঠিক পরের দিন ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সাল শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলার পর ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের বাহিনীর আর্ত সমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধ।

দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের উপর নানান রকম অত্যাচার এবং বহু মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছেঁড়া হেচড়া করে।

কার নেতৃত্বে কীভাবে সংঘটিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ

তৎকালীন সময়ের সেনাবাহিনীর জেনারেল নাম ছিল জেনারেল এম এ জি ওসমানী। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে দেন। প্রতিটি সেক্টরে কমান্ডার নিযুক্ত করেন। ১১ টি সেক্টর কমান্ডার মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলেন পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। সেক্টর কমান্ডার নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করার জন্য গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।


১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিন নির্মম আক্রমণের কোনো নিষ্পত্তি না হলে সেই রাতের গণহত্যার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ টি হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ৫টি কারণ

সাধারণত পূর্ব পাকিস্তানের কাছ থেকে মুখের ভাষা অর্থাৎ বাংলা ভাষাকে কেড়ে নেওয়ার ফলেই এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল।
  • সামাজিক কারণ: পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সামাজিক গত দিক দিয়ে বেশ পার্থক্য ছিল আর এ কারণে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
  • ভৌগোলিক কারণ: পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে অঞ্চলগত দিক থেকেও দুই অংশে বিভিন্ন পার্থক্য বা বৈষম্য দেখা যায়। যার জন্য পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের উপর নানা রকম শাসন ও শোষণ চালাত।
  • অর্থনৈতিক কারণ: অর্থনৈতিক দিক দিয়েও পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে অনেক বৈষম্য ছিল। যে বৈষম্য পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মেনে নিতে সক্ষম ছিল না সম্ভবত কারণেই অর্থনৈতিক কারণ কে স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
  • রাজনৈতিক কারণ: তৎকালীন সময়ে নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ অনেক আসন পাওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতায় বসতে পারেনি। এই ঘটনা পূর্ব পাকিস্তানকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য অনেকটাই প্রেরণা দিয়েছিল।
  • সাংস্কৃতিক কারণ: পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের উপর সাংস্কৃতিকগত দিক দিয়েও অনেক বৈষম্য করে রেখেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সেনারা বাংলা কে বাদ দিয়ে উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। যেটা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কিছুতেই মেনে নেয়নি। সঙ্গত কারণেই এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কতটি সেক্টর ছিল

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশকে ১১ টি যুদ্ধক্ষেত্রে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরে আলাদা আলাদা কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সেক্টরে দেশের বিভিন্ন জেলাকে ভাগ ভাগ করে এক একটি কমান্ডার আন্ডারে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং সাধারণ বাহিনীর কেউ প্রতিটি সেক্টরে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কে ছিলেন

মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছিল তথা প্রাণ হারিয়েছিল তাদের বিভিন্ন উপাধিতে খেতাব দেওয়া হয়। সর্বশ্রেষ্ঠ খেতাব ছিল বীর শ্রেষ্ঠ যা সাতজনকে দেওয়া হয়েছিল। আরো তিনটে খেতাব ছিল সেগুলো হলো বীর উত্তম, বীর বিক্রম, এবং বীর প্রতীক। ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বীর উত্তম উপাধি তে ভূষিত করা হয়।


১৭৫ জনকে বীরবিক্রম উপাধি দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে যতগুলো খেতাব দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেতাব দেওয়া হয়েছিল বীর প্রতীক খেতাব। ৪২৬ জনকে তাবে ভূষিত করা হয়েছিল। খেতাব প্রাপ্তের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ছিলেন মোঃ শহিদুল ইসলাম তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। সে মুক্তিযুদ্ধের সময় লালু নামে পরিচিত ছিল।

বীর প্রতীক প্রাপ্তদের মধ্যে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধা ছিল যার নাম ছিল তারামন বিবি এবং আরেকজন হলেন সেতারা বেগম। যিনি ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর মনে রাখার কৌশল

  • ১ নম্বর সেক্টর সেক্টর: এক নাম্বার সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডারের নাম ছিল মেজ জিয়াউর রহমান এবং মেজর রফিকুল ইসলাম। এলাকা ছিল তৎকালীন সময়ের ফেনী নদী হতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি এবং ফেনী জেলা।
  • দুই নম্বর সেক্টর: দুই নাম্বার সেক্টর কমান্ডার ছিল মেজর খালিদ মোশারফ। দুই নাম্বার সেক্টরের এলাকা ছিল ঢাকা।
  • তিন নম্বর সেক্টর: তিন নাম্বার সেক্টরের কমান্ডারের নাম ছিল কেএম শফিউল করিম আর এলাকা ছিল সিলেট এবং ময়মনসিংহ।
  • চার নম্বর সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন আর সি দত্ত। এলাকা ছিল প্রায় একসময় বিস্তৃত সীমান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত সিলেট জেলা, হবিগঞ্জ থেকে দক্ষিনে কানাইঘাট পর্যন্ত। চার নম্বর সেক্টরে ছোট ছোট ছয়টি সাব সেক্টর ছিল এই সেক্টরে ৯০০০ জন গণবাহিনী ছিল।
  • ৫ নাম্বার সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিল মীর শওকত আলী এবং এলাকা ছিল ভারত রাষ্ট্র দিয়ে ঘেরা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল যার নাম বাঁশতলা নামে পরিচিত।
  • ছয় নাম্বার সেক্টর: ইয়ং কমান্ডার বাশার সেক্টর এলাকা ছিল ঢাকা।
  • ৭ নম্বর সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন নুরুজ্জামান এবং এলাকা ছিল রাজশাহী দিনাজপুর পাবনা ও বগুড়া জেলার কিছু অংশ।
  • আট নাম্বার সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার নাম হচ্ছে ওসমান চৌধুরী এবং এলাকার নাম হচ্ছে যশোর কুষ্টিয়া দৌলতপুর সাতক্ষীরা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলা কিছু অংশ।
  • নয় নাম্বার সেক্টর: ৯ নম্বর সেক্টরের এলাকা ছিল বরিশাল পটুয়াখালী খুলনা জেলার কিছু অংশ। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল। জলিলের পর দায়িত্ব পালন করেন মেজর জয়নাল আবেদীন।
  • ১০ নাম্বার সেক্টর সমগ্র সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল, নৌ কমান্ডো এবং অভ্যন্তরীণ নৌবাহিনী এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রধান সেনাপতি নেতৃত্বে ১০ নম্বর সেক্টর টি পরিচালিত হতো।
  • ১১ নম্বর সেক্টর: ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে সেক্টর গতিতে ছিল। এই সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজরুর রহমান। এগারো নম্বর সেক্টরকে সাতটি সাব সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌবাহিনী কোন সেক্টরে ছিল

পূর্ব পাকিস্তানিরা পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করেছিল। তাদের মধ্যে একটি ছিল। ১০ নাম্বার সেক্টর সাধারণত নৌ বাহিনী আন্ডারে ছিল কারণ ১০ নাম্বার সেক্টর সমুদ্র অঞ্চলে হয় হাওয়াই নৌ কমান্ডো ও অভ্যন্তরীণ নৌবাহিনী এই সেক্টরটি পরিচালনা করত।

যখন যে প্রধান সেনাপতি দায়িত্ব পালন করতেন তারই নেতৃত্বে ১০ নং সেক্টরটি পরিচালিত হতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় দশ মাস সেক্টর বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর কোন সাব সেক্টর ছিল না।

শেষ কথা

পৃথিবীর ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য তথা হৃদয়বিদারক মূলক যুদ্ধ হচ্ছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। কারণ মাতৃভাষার জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে যুদ্ধ করার বিরল ইতিহাস এ যুদ্ধের মাধ্যমেই রচিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে আরো জানতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন এবং পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে সবার সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url