চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

আপনারা অনেকেই চুলকানির রোগে ভুগছেন। তাহলে চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন। যাদের রক্তে এলার্জি আছে তারাও এই চুলকানি রোগের শিকার। তাই কিভাবে রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানবেন তাই নিয়ে আলোচনা করব। চুলকানি রোগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন
এছাড়াও চুলকানি রোগের কারণ কি এ রোগের লক্ষণ কি এ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কি এ রোগের জন্য কি ওষুধ ব্যবহার করা প্রয়োজন বাচ্চাদের এলার্জিজনিত কারণে চুলকানি হলে কিভাবে তাদের করবেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

গরম আবহাওয়ায় একটি অন্যতম সমস্যা হল চুলকানি। খুব গরম আবহাওয়া চুলকানি বেশ অস্বস্তি সৃষ্টি করে। তাই এলার্জির কারণে যে চুলকানি হয় এবং সাধারন চুলকানি বলতে বাদ বা দাউদ কেন হয় এর লক্ষণ কি, চুলকানি দূর করার সহজ উপায়, মলদ্বারে চুলকানি হলে কি করবেন, বাচ্চাদের চুলকানি হলে কিভাবে দূর করবেন ইত্যাদি বিষয়ে সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

রক্তের বিভিন্ন কণিকা যেমন শ্বেত কণিকা লোহিত কণিকা এবং ইসিনোফিল থেকে রক্তের এলার্জি উৎপাদিত হয়। যার ফলে অনেক কষ্ট এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। তবে খুব বেশি ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া না হলে ঘরে বসেই এর প্রতিকার করা সম্ভব। রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো


কোয়ারসেটিন যুক্ত খাবার
সাধারণত প্রকৃতির বিভিন্ন ফল ও সবজি থেকে যে খাবার পাওয়া যায় সে খাবারের প্রচুর পরিমাণ কোয়ারসেটিন থাকে। এই খাবার গুলো বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বা প্রদাহ বিরোধী অর্থাৎ এন্টিহিস্টামিন হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে বেরি ফল, সাইটার্স ফল, আপেল, পেঁয়াজ এগুলো ফল প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন আছে এই খাবারগুলো আপনি অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখবেন।
মধু ও হলুদ
যে কোন ধরনের প্রদহ কমাতে বা দূর করতে হলুদের কোন জুড়ি নেই। তবে এ শক্তি আরো বেশি শক্তিশালী হয় যখন হলুদের সাথে কিছু পরিমাণ মধু মিশ করা হয়। এক চামচ হলুদের গুড়ার সাথে এক চামচ মধু মিশ্রণ করে প্রতিদিন খেতে পারেন। হলুদে যে প্রাকৃতিক কারকিউমিন নামে অ্যান্টি হিস্টামিন হিসেবে কাজ করে যখন মধুর মিশ্রণ শান্তি প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় করা যায়

প্রবায়োটিকস যুক্ত খাবার
প্রবায়োটিকস যুক্ত খাবার গুলো হল কেপির, দই, স্যুরকট,কিচমিচ। এই খাবার গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই যে কোন ধরনের প্রদহ দুর করতে প্রবায়োটিকসগুলি একটি সফল প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং স্বাস্থের উন্নতি তরান্বিত করতে সাহায্য করে।
আদা চা
আদাতেও প্রচুর পরিমাণে এন্টিহিস্টামিন রয়েছে। এন্টি হিস্টামিন শরীরে প্রদহ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যা এলার্জি জনিত রোগের কারণে যে চুলকানি সৃষ্টি হয় তার দূর করতে সাহায্য করে। এটি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে একটি আদার টুকরো সিদ্ধ করে একটি গ্লাসে দশ মিনিটের মত ভিজিয়ে রেখে শরবত করে বা চায়ের মত করে খেতে পারেন।


প্রাকৃতিক মধু
প্রাকৃতিক মধু সাধারণত বনে পাওয়া যায়। সাধারণ সাধারণ এলার্জি দূর করার জন্য কাঁচা মধুর বেশ উপকারী। আপনি প্রতিদিন রুটির সাথে বা অন্য কিছুর সাথে নিয়মিত এক চামচ পরিমাণ প্রাকৃতিক মধু খেলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে ওঠে শরিরে। তাই শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এলার্জি সহ আরো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যেটি এলার্জির চুলকানি মোকাবেলা করতে বেশ সহায়তা করে যেসব খাবারের ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো খাবার হচ্ছে স্ট্রবেরি, কাঁচামরিচ, বেল মরিচ, বিভিন্ন জাতীয় কাঁচা ফল ইত্যাদি।

এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

ত্বক মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই নিজেকে অনেকটা সুদর্শন এবং দুষ্ট থাকার জন্য সকলেই সব ধরনের চেষ্টা করে থাকে। ত্বরক যদি কোন রকমের চুলকানি বা এলার্জি থেকে রোগ থাকে তাহলে বেশ অস্বস্তি হয়। অনেক সময় চুলকানির কারণে মান সম্মানের ও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই সঠিক রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে এটি নির্মাণ করা খুবই জরুরী।


কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এনার্জি জনিত রোগ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। চুলকানি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
  • আপনি যখন বাড়ি থেকে বের হবেন অবশ্যই মুখমন্ডল কাপড় বা অন্যকিছু দিয়ে ঢেকে বের হবেন। প্রয়োজনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিয়মিত পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করুন। কারণ বাহিরে থেকে আসার পর অনেক ধুলো ময়লা মুখমণ্ডলে থাকার কারণে অনেক সময় চুলকানির সৃষ্টি হয়।
  • বিভিন্ন রকমের জেল ব্যবহার করুন যেমন এলোভেরা জেল অর্থাৎ অ্যালোভেরা থেকে তৈরি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কাজ শেষ করার পর গোসল করবেন। কেননা কঠোর পরিশ্রম করলে শরীর থেকে অনেক ঘাম বের হয়। এই ঘাম বিভিন্ন রকমের ধুলো ময়লা চুষে নেয়। আর এই অবস্থায় যদি গোসল না করা হয় তাহলে শরীরে লেগে থাকা ঘাম এবং ধুলোবালি থেকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি এবং চুলকানি জনিত রোগ হতে পারে।
  • অবশ্যই ফিল্টার করার পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  • আমরা অনেকেই কর্পূর তেল এবং নারকেল তেল সম্পর্কে জানি। এই তেল গুলা এলার্জি এবং ত্বকের চুলকানি দূর করতে বেশ সহায়ক। তাই নিয়ম অনুসারে এই তেল গুলো কে মালিশ করে ব্যবহার করুন।


  • ফিটকিরির পানি পরিষ্কারক হিসেবে খুবই কার্যকর। যে জায়গাতে বেশি পরিমাণ চুলকাবে সেখানে আপনি সরিষার তেল ও করপুত তেল ফিটকারির পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করুন।
  • নিমপাতা বিভিন্ন রোগের বিশেষ করে চুলকানি এলার্জি এছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। নিম পাতার পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করলে শরীর থেকে অনেক জীবাণু চলে যায়। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস পান করলেও পেটের বিভিন্ন জীবাণু দূর হয়ে যায় নিম পাতা এক ধরনের এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
  • এছাড়াও কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলা খুবই জরুরী যেমন ধরুন যখন আপনার চুল কবে তখন খুব বেশি চুলকাবে না। সব ধরনের সাবান বা ক্রিম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেগুলো খাবারে এলার্জি আছে সেগুলো খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

গরমের সময় মানুষের ত্বকের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে চুলকানির সমস্যা। সাধারণত সুষ্ক এবং এলার্জির সমস্যার কারণে চুলকানির সমস্যা হতে পারে। তবে কারো ক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে ঘামাচি বাড়ানোর কারণে চুলকানি হতে পারে। চুলকালে সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ঘরোয়া উপায় বেঁচে নিতে হবে। কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি দূর করা যায় তা উল্লেখ করা হলো:
  • যদি আপনার ধামাচির কারণে ত্বকের চুলকানির সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায় তাহলে আপনাকে যে বিষয়টাকে উপর গুরুত্ব দিতে হবে তা হল নিয়মিত গোসল করা। গোসলের পানিতে আপনি ওটামিল মিশিয়ে নিতে পারেন এবং তার সাথে দুই চামচ ওটসের গোসলের জলের সাথে মিশিয়ে গোসল করলে চুলকানি অনেকটাই কমে যাবে।
  • ত্বকের যে অংশে আপনার বেশি পরিমাণ চুলকানি হচ্ছে এখানে আপনি অ্যাপেল সাইডার ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এক চামচ এপেল সাইডার এক কাপ জলে মিশিয়ে তারপর তুলু ভিজিয়ে চুলকার স্থানে লাগাতে পারেন অ্যাপেল সাইডার ভিগিনারে যে এসেটিক এসিড রয়েছে তা আপনাকে চুলকানির হাত থেকে রক্ষা করবে।
  • অনেক বেশি চুলকানোর জন্য আপনার ত্বক লাল হতে পারে। যার কারনে ত্বক দেখতে অনেকটা বিস্রী লাগে। এই সমস্যা হলে আপনি যেটা করতে পারেন সেটা হল পটাশিয়াম জেলির সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে উক্ত স্থানে লাগালে ব্যথা অনেকটা দূরে যাবে।


  • ত্বক সুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে চুলকানি হতে পারে এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে গোসল করার পরে নারিকেল তেল গায়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে নারিকেলের তেল ত্বকের চুলকানি এবং চুলকানির কারণে সৃষ্ট প্রদাহ দূর করতে পারে।
  • খুব বেশি পরিশ্রম করার কারণে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে প্রয়োজনে আপনাকে দিনে দুবার গোসল করতে হবে। কারণ ঘামের কারণে শরীরে ঘামাচি হতে পারে এবং তার থেকে অনেক বেশি চুলকানি হতে পারে। তাই প্রয়োজনে দিনে দুবার ভালোভাবে গোসল করুন।

চুলকানির জন্য কোন মলম ব্যবহার করা হয়

চুলকানির কারণে আমরা প্রায় অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি এবং মলম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু চুলকানি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় সব থেকে ভালো। অনেক সময় ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হলে আপনি মলম ব্যবহার করতে পারেন। যে মলমটি চুলকানির জন্য বেশ কার্যকরী এটি হচ্ছে সালোবেট মলম। এই মলম চুলকানি স্থানে এবং তার আশেপাশে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

মলদ্বারে চুলকানি দূর করার উপায়

মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় পাঁচ শতাংশ লোক মলদ্বারে চুলকানি সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু সবাই লজ্জার কারণে এই রোগটি গোপন করেন। এই সমস্যা হলে অনেক অস্বস্তি পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ রোগীর চিকিৎসা নিতে ভয় করে। এ রোগের নতুন চিকিৎসা গবেষকরা বের করার চেষ্টা করছেন। তবে চল্লিশের বেশি পুরুষের এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে।
মলদার অপরিষ্কার রাখা
মলত্যাগ করার পর মোল্লার অপরিষ্কার রাখলে চুলকানি সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে আপনি ভেজা টিসু ব্যবহার করতে পারেন অথবা পানি কিংবা অন্য কিছু দিয়ে মলদ্বার ভালোভাবে মলত্যাগের পর পরিষ্কার করে নেবেন। তবে এ পদ্ধতিতে অনেক স্বাস্থ্যসম্মত তাও নয় কারণ ভেজা টিস্যু ব্যবহার করার কারণে অনেকের এলার্জি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।


ভেজা টিস্যুতে অ্যালার্জি প্রবাহিত স্যানিটাইজার এর কেমিক্যাল থাকে। তাই যাদের অ্যালার্জি রয়েছে ভেজা টিসু ব্যবহার না করাই ভালো। পায়ুপথের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা জনিত কারণে চুলকানির সমস্যা খুবই কমই হয়ে থাকে।
মলত্যাগের দুর্বল মাংস পেশি
সাধারণত যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের পায়ুপথের মানুষের মাংশ পেশি দুর্বল হয়ে থাকে। যার জন্য মলদার দিয়ে মলত্যাগের আগেই সময় মলের ভেজা রস বের হয়ে ভিজে যায়। আর এ কারণে চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
ত্বকের রোগ
একজিমা একটা ত্বকের রোগ এবং সরিয়াসিস রোগী একটি ত্বকের রোগ। এই রোগের কারণে মালদার তথা ত্বকের অন্যান্য অংশে বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে।

এছাড়া আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেমন খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা ব্যবহার করা মানুষের দুশ্চিন্তায় কারণে এবং শরীরের অন্যান্য রোগের কারণে সাধারণত মলদারে চুলকানি হয়ে থাকে।

বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

অনেক বাবা মায়ের আছেন যারা বাচ্চার শরীরে চুলকানি দেখলে খাবার যেমন ডিম, বেগুন, মাছ এসব খাওয়ানো বন্ধ করে দেন। আবার কোন কোন সময় এলার্জির ওষুধ ও খাওয়ান। ফলে চুলকানি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু পরবর্তীতে আবারো এ সমস্যার সম্মুখীন হন। সাধারণত এলার্জি হলে বাচ্চাদের পেট খারাপ হয় অনেক সময় বমিও করতে পারে আবার শ্বাসকষ্ট হয়।


যেসব খাবার খেলে এনার্জি সমস্যা হচ্ছে সেগুলো খাবার খাবারের মেনু থেকে বাদ রাখবেন। অনেক সময় দুধ দুধ খেলেও বাচ্চাদের এলার্জি হয়ে থাকে। তাই দুধ না খাইয়ে দুদ্ধজাতীয় খাবার খাওয়াতে পারেন। বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে বাচ্চাদের এনার্জি হতে পারে। বাচ্চাদের অ্যালার্জি হলে হাত হাত পা লাল হয়ে যায়। তাই বাচ্চাদের পোকামাকড় থেকে দূরে রাখায় ভালো।

বাচ্চারা পছন্দ করে বিশেষ করে ধুলোবালি নিয়ে খেলাধুলা করতে। কিন্তু ধুলাবালি থেকে বাচ্চাদের এলার্জি হতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব বাচ্চাকে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখবেন এবং বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন।

পায়ে চুলকানি দূর করার উপায়

অতিরিক্ত সময় পা ভিজে থাকলে পায়ে চুলকানি হতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। পায়ে চুলকানির দূর করার কয়েকটি টিপস উল্লেখ করা হলো
  • অতিরিক্ত সময় ধরে পা ভেজে থাকে এরকম স্যান্ডেল পরিহারকরতে হবে।
  • ভেজা কাদা এড়িয়ে চলতে হবে যদিও কখনো ভেজা কাঁদার সম্মুখীন হন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • কাঁচা হলুদের রস চুলকানি দূর করতে বেশ। তাই কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগাতে পারেন।
  • পেঁয়াজ বেটে রস বের করে চুলকানিস্থানে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
  • যদি চুলকানি কারণে ইনফেকশন হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও পুদিনা পাতার রস, নিমপাতা রস লাগাতে পারেন এগুলো অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।

আরো কয়েকটি টিপস হল
  • চুলকানো স্থানে যতটা সম্ভব কম হাত দিবেন অর্থাৎ যদ্দুর সম্ভব না চুলকানোই ভালো।
  • হাত পায়ের নখ ছোট রাখবেন কারণ নখের ভিতর মাটি ঢুকে অনেক সময় চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • গোসলের সময় ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না এতে এলার্জি সমস্যা নিয়ে যেতে পারে।
  • শরীরের আদ্রতা যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা সবজি ও সবজি জাতীয় খাবার খেতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

চুলকানির সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা করাই সবচাইতে ভালো। আপনি যদি চুলকানি কোন ওষুধ বা মলম ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই পোস্টটি করার মাধ্যমে আপনি যদি এতটুকু উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই এ সবার সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url