প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

আপনি চুল ওঠা সমস্যায় ভুগছেন? তাই প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সমূহ এবং ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় সমূহ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। অনেক কিছু দ্বারা চেষ্টা করার পরও এর সমাধান করতে পারছেন না। অনেক চেষ্টার পর বুজতেও পারছেন না কিভাবে চুল ওঠা সমস্যার সমাধান করবেন। তাই এ সম্পর্কে জানতে এই পোষ্টটি খুব মনোযাগ সহকারে পড়ুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সমূহ এবং ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় সমূহ সম্পর্কে তাছাড়ও চুল ওঠা বন্ধ করার জন্য কিকি খাবার খেতে হবে, কি তেল ব্যবহার করতে হবে, মেয়েদের চুল ওঠার কারন কি ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান বিশ্বে প্রায় লোকই চুল ওঠার সমস্যা ভুগছেন। করো মাথা থেকে অল্প অল্প করে চুল ওঠে মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে।আবার কারো মাথায় সব চুল ওঠে টাক হয়ে গেছে। বয়স্কদের এই সমস্যা বেশি হলেও বর্তমানে তরুন তরুনিরা ও চুল ওঠা সমস্যায় ভুগছেণ। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সমুহ এবং বিশেষ করে মেয়েদের ও ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় সমুহ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

চুল পড়া এমন একটি সমস্যা যা নারী-পুরুষ উভয় এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে ছেলেদের থেকে মেয়েরা চুলের দেখভাল একটা বেশি করে থাকে। চুলের বিভিন্ন অংশ থাকে তাই মাথার চুল সবগুলো একসাথে উঠে যায় না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মাথার চুল উঠতে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে অল্প বয়সেই চুল ওঠার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জিনগত কারণে অল্প বয়সেই মাথার চুল উঠে যায়। চুলের রোগ এবং শরীরের অন্যান্য রোগের জন্য মাথার চুল উঠে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। সাধারণ ভাষায় একে টাক পড়া বলে তাই ছেলেরা এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তা আলোকপাত করা হলো:

প্রোটিন: সাধারণত খাবারে প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়ে যেতে পারে। তাই স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা পরিবর্ত করে মাংস, মাছ, ডিম সহ প্রটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। চর্বি যুক্ত খাবার শরীরে ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করে চুল ওঠা দূর করে। তবে পুরোটা দূর করার জন্য ভিটামিন ই ব্যবহার করুন।

চুল পরিষ্কার রাখা শরীর ও স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য যেমন ভালো খাবার প্রয়োজন তেমনি চুলকে সুস্থ রাখার জন্য চুল নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন চুলে তেমন কিছু ব্যবহার না করলে ফুলের গোড়ায় অনেক রকমের নোংরা ময়লা জমে যায়। নিয়মিত তুলে সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল পরিষ্কার থাকে এবং চুল ওঠা অনেকটা কমে যায়। অনেক ছেলেরা জানেন না গোসল করার পর চুলের গোড়া ভেজা থাকার কারণে চুল আছড়ানোর সময় চুল পড়ে যায়।


 চুল পড়া কমানোর জন্য পেঁয়াজের রস খুবই উপকারী। শোয়ার সময় পেঁয়াজের রস মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন এভাবে বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করলে চুল ওঠা কমে যাবে।

পানি: শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে চুল উঠে যেতে পারে। তাই চুল ওঠা সমস্যার সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

গ্রিন টি: সবুজ চা চুল উঠার সমস্যার সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একটা গরম পানিতে সবুজ চার টি ব্যাগ তারপর চা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে চুলে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। এভাবে এক ঘন্টা রাখার পরে চুল ধুয়ে ফেলুন এক সপ্তা টানা ব্যবহার করার পরে দেখবেন যে চুল ওঠার সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে।

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যথা:

প্রথম উপায়: চুল নিয়মিত মেসেজ করা। নিয়মিত মেসেজ করার ফলে ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চাল ন অনেকটাই বেড়ে যাবে। এছাড়াও এক চামচ ভিটামিন ই মাথায় মেসেজ করতে পারেন। ভিটামিন ই চুলের প্রয়োজনীয় নিউট্রিশান অভাব দূর করে। ভিটামিন ই এর সাথে চায়ের মিশাতে পারেন এবং মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে খুব ভালো করে মালিশ করুন। যাতে চুলের গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে মিশ্রণটি পৌঁছে যায়। 


এভাবে চার পাঁচ মিনিট ধরে ভালোভাবে মিশ্রণটি মেসেজ করুন। তারপর যা করতে হবে চিরুনি দিয়ে কয়েক ভাগে চুল ভাগ করে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু বা অন্য কিছু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাথায় চুল উঠার জন্য দিনে দুই থেকে তিনবার ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে। মনে রাখবেন বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দ্বিতীয় উপায়:
  • সাধারণত চুলের গোড়ায় ফলিকল থাকে। যদি কাঁপানোর (ভাইব্রেশান) মাধ্যমে মাথায় ফলিকল উদ্দপিত করা যায় তাহলে মাথায় নতুন চুল গজানো সম্ভব হয়ে থাকে। সাধারণত বাজারে কাঁপানোর জন্য ভাইব্রেটিং ম্যাসেঞ্জার পাওয়া যায়। এর ফলে আপনি ক্যাল্পে ভালোভাবে তাদেরকে ঘুরিয়ে মাথায় দিয়ে ভালো মেসেজ করে নিতে পারেন বিশেষ করে যে জায়গা গুলো থেকে চুল বেশি পরিমাণে পড়ছে।
  • সে জায়গায় বেশি মালিশ করতে পারেন। এভাবে ছয় থেকে ৮ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার মেসেজ করতে পারেন।
  • নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন এবং চিরুনি দিয়ে চুল আছড়ান।
  • পেঁয়াজ বাটার ফলে পেঁয়াজ থেকে যে রস পাওয়া যায় এটি আপনি চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল গজাতে অনেকটা সাহায্য করবে।
  • আপনি নিয়মিত মেহেদি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। মেহেদি চুলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করুন।
  • ভালো কালোজিরা তেল ব্যবহার করুন।
  • খাদ্যের পরিবর্তন করা: আপনি যে খাবারগুলো খাবেন আর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া চুলের জন্য খুবই ভালো। যেমন মাছ মাংস দুধ ডিম এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন।

নতুন চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে

বর্তমান সময়ে বয়স্ক ব্যক্তিদের ছাড়াও তরুণ তরুণীদের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক কিছু ভাবে চুল ওঠার সময় সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন। ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়াভাবে পুরোটা সমস্যার সমাধান করতে পারেন। যার ফলে আপনার মাথায় নতুন চুল উঠতে পারে। বেশ কিছু নিয়ম যদি আপনি সঠিকভাবে মানতে পারেন তাহলে মাথা ভর্তি নতুন চুল। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো


  • পিয়াজের রস ব্যবহার: কয়টি পেঁয়াজ বেটে নেওয়ার পর পেঁয়াজের রস মাথায় ভালো হবে মালিশ করার মাধ্যমে ব্যবহার করলে মাথায় নতুন চুল উঠতে পারে। পেয়াজের রস মাথায় মালিশ করার পর আধাঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো হবে ধুয়ে ফেলুন।
  • মধু এবং আপেল সিডার এর গুড়া একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে মাথায় মালিশ করার পর আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো হবে ধুয়ে ফেলুন।
  • নতুন চুল গজাতে যে তেল ব্যবহার করবেন তা হলো অলিভ অয়েল এবং অ্যালোভেরা। এই উপাদানগুলো দিয়ে একটি খুব ভালো হেয়ারপ্যাক করে নিতে পারেন এবং এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে চুল মালিশ করতে পারেন। কমপক্ষে মালিশ করার আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • এছাড়াও ল্যাভেন্ডার অয়েল রোজ মেরী অয়েল পি টি অয়েল ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • যে সকল খাবার খাবেন তা হল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং আর জাতীয় খাবার প্রতিদিন তাজা ফল খান ভালো ভালো সবজি খান গাজর ডিম দুধ ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খান

চুল পড়া বন্ধ করতে কোন ভিটামিন খেতে হবে

সাধারণত পুষ্টির অভাবে মানুষের মাথায় টাক পড়তে পারে। শরীরে পুষ্টি ঘাটতি হলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে মানুষের মাথার চুল উঠে যেতে পারে। বিশেষ করে এই সমস্যার ভোগেন তরুণ তরুণীরা। তরুন তরুণীদের বেশ অনেক সময় দেখা যায় যে তারা নিজের ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করে থাকেন। ফলে শরীর অনেকটা দুর্বল এবং সুষম খাদ্যের অভাব দেখা দেয় যার।



  • প্রোটিন: ভিটামিন বিশেষ করে ভিটামিন এ, বি, সি, আরন এবং জিঙ্ক প্রচুর পরিমাণে শরীরে গ্রহণ করা দরকার। অতিরিক্ত চুল ওঠা আরেকটি কারণ হচ্ছে বিশেষ করে থাইরয়েড সমস্যার কারণে চুল বেশী মাত্রায় উঠে যেতে পারে।
  • অনেক বেশি চুল ওঠার সমস্যা পি সি ও এস একটি বিশিষ্ট কারণ হতে পারে। ডিম্বশ্বর মানুষের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেন হরমেনা তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই পিসিএস আক্রান্ত হলে ডিম্বাশ্বয় খুব বেশি পরিমানে এন্ড্রোজেন উৎপন্ন করে। যার কারনে মাথার চুল পলে যেতে পারে।
  • খুব বেশি দিন ধরে চুল ঢেকে রাখার কারণে মাথা অনেকটা সাঁতস্যাঁতে হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে মাথায় চুলকানি সহ বিভিন্ন রোগ হয় যার জন্য মাথার চুল উঠে যেতে পারে।
  • বর্তমান সমাজের তরুণ ও তরুণীরা চুলে রং করে থাকে। আর এই চুলের রং সাধারণত রাসায়নিক পদার্থ থেকে সৃষ্টি করা হয়। যার জন্য চুল ভেঙে যায় এবং চুল পড়ে যায়।
  • কিছু কিছু শ্যাম্পু আছে যাতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় এবং এর রাসায়নিক কারণে মাথা ত্বক থেকে তেল বেরিয়ে যায়। এর ফলে চুল অনেকটা শুষ্ক হয়ে পড়ে। চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় এবং চুল বড় হওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল উঠে যায়।
  • চেহারা সুন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেক তরুণ তরুণী গোসল করার পর ভেজা চুল টানটান করে বেঁধে রাখার জন্য চুল গোড়া থেকে উঠে যায়।
  • চুলের রোগের নাম হচ্ছে ট্রাইকেটিলোম্যানিয়াম রোগ। এটি এমন একটি রোগ যাকে মেন্টাল ডিসঅর্ডার বলা হয় অর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক রোগ। এর রোগ হলে প্রায় লোকেরই মাথার সমস্ত চুল উঠে মাথা টাক হয়ে যায়।তাই ট্রাইকেটিলোম্যানিয়াম আক্রান্ত রোগীদের জন্য চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে এক বিশেষ ধরনের থেরাপিস্ট দেওয়া হয়ে থাকে।
  • যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ যেমন অস্ত্রেপাচার বা যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা জনিত আঘাত, অত্যাধিক অসুস্থতা বা অনেক বেশি জ্বর হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে চুল উঠে যেতে পারে।
  • অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ

অল্প বয়সের চুল পড়া কারণ হলো:

মানসিক অশান্তির: মানষিক অশান্তি চুল ওঠার অন্যতম কারন। তাই চুল ওঠা কমানে মানুষিক চাপ কমানে হবে। বর্তমানে তরুন তরুনিরা অনেক রাত জাগার ফলে অনিয়মিত ঘুমের কারনে মানষিক চাপ বেড়ে য়ায়।
  • পুষ্টিহীনতা: চুলের যে পরিমানে পুষ্টি প্রয়োজন তা যদি না পাই তাহলে চুল উঠে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত ডায়েট করা: নিজের সৌর্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য প্রায় লোক ডায়েট করে থাকে। কিন্তু অনিয়মিত ডায়েট করার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রটিনের অভাব দেখা যায়। সে কারনে মাথার চুল ওঠা সহ আরো অন্যান্য রোগের সম্মখিত হতে হয়।
  • জ্বর কিডনি ও অন্যান্য অসুখ: দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারনে মাথার চুল ওঠে যায়। বিষেষ করে লিভার ও কিডনির অসুস্থতা। তাছাড়ও টাইফয়েড জনিত রোগের কারনে ও মাথার চুল ওঠে যায়।
  • রক্তস্বল্পতা: কোন কোন সময় বিভিন্ন ধরনের থিরাপি নেওয়ার পর রক্তসল্পতার কারনে ও চুল ওঠে যায়।
  • হরমোন সমস্যা: বয়সের তুলনায় সঠিক মাত্রায় শরিরে হরমোন উৎপন্ন না হলে বিভন্ন রোগ এবং মাথার চুল ওঠে যায়।

মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ

মেয়েদের চুল পড়ার কারণগুলো হচ্ছে:
  • ডায়েট: বর্তমান তরুন ও তরুনিরা নিজেকে আকর্ষনীয় করার জন্য অনিয়মিতভাবে ডায়েট করে থাকে। যার জন্য শীরর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমানে শরির ভিটামিন পায়। ফলে শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে বিভিন্ রোগ সহ মাথার চুল উঠে যায়।
  • খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন: অনিয়মিতভাবে ঘুমানোর জন্য খাওয়া দাওয়ায় ও অনেক অনিয়ম হয়ে থাকে। কোন কোন সময় কাজের ব্যাস্ততার কারনে খাবারে অনেক অনিয়ম হয়। কখনো বাহিরের ফাষ্ট ফুড জাতীয় খাবার ও খাই বর্তমান যুগের জনগন। ফলশ্রতিতে বিভিন্ন রোগের সম্মখিন হওয়ার কারনে মাথার চুল ওঠে যায়।
  • ভিটামিন ই এর অভাব: আপনারা সবাই জানেন ভিটামিন ই চুলের জন্য কতটা জরুরি। ভিটামিন ই-এর অভাবে মাথার চুল উঠে যায়।

  • জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল খাওয়া: মেয়ে সাধারন যৌবনে সাধ নেওয়ার জন্য বিয়ের অনেক দিন পর ও বাচ্চা নেয় না। যার জন্য মেয়েরা জন্ম নিয়ন্ত্রন করার জন্য বিভিন্ন বড়ি খেয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে চুল ওঠার কারন হয়ে দাড়ায়।
  • বিভিন্ন স্টাইল করা: চুলের অনেক রম স্টাইল করার জন্য অনেকে চুলে রং করে, আবার অনেক চুলে হিট দেয়। এসব কারনে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং পড়ে যায়।
  • থাইরয়েড হরমোন জনিত সমস্যা: বিশেষ করে মেয়েরা এই হর মোনের সমস্যার সম্মখিত বেশি হয়। মেয়েদের মাসিক হওয়ার সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।

মন্তব্য:

চুল ওঠা একটি সাধারন সমস্যা। তবে এই সমস্যা নিয়ে বেশি মাথা না ঘামানোয় ভাল। তবে যদি চুল ওঠার সাথে অন্য কোন রোগ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তার চিকিৎসা করাতে হবে। চুল ওঠার জন্য যদি আপনি কোন ধরনের ঔষুধ বা তেল ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনযায়ী করবেন। এই পোষ্ট আপনার ভাললাগলে অবশ্যই সবাই সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url