প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম অনলাইন
প্রিয় পাঠক, আসসালামুয়ালাইকুম/আদাব, আপনি কি
প্রতিবন্ধী
ভাতা আবেদন ফরম অনলাইন সম্পর্কে জানেন না? কিভাবে
প্রতিবন্ধী
ভাতা
অনলাইন
আবেদন করতে হয় জানেন না? তাহলে মূলত এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে একজন
প্রতিবন্ধী
সুবর্ণ নাগরিক কার্ড করা থেকে শুরু করে
প্রতিবন্ধী
ভাতা পাওয়া পর্যন্ত কি কি করনীয় বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আমি আপনাদের আরো জানাতে চলেছি একজন
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির
ভাতা
পাওয়ার যোগ্যতা কি, কত টাকা করে মাসিক ভাতা পাই, কত মাস পর পর ভাতা পায় ইত্যাদি
বিষয়ে। এজন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
২০০৫-২০০৬ অর্থবছর হতে প্রতিবন্ধী
ভাতা কার্যক্রম সরকার হাতে নিয়েছে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবন
যাত্রাকে সহজ করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রমটি চালু করা হয়েছে। এ কার্যক্রমটির প্রথম
দিকে খুব স্বল্প পরিমাণে এবং কম সংখ্যক
প্রতিবন্ধীকে ভাতা প্রদান করা
হলেও বর্তমানে ২০২৩২৪ অর্থবছরে ২৯ লক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই ভাতার
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম অনলাইন
একজন প্রতিবদ্ধী ব্যক্তির আবেদন অর্থাৎ সুবর্ণ নাগরিক কার্ড পাওয়ার প্রথম ধাপ
হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করা। ফরম পূরণ করার সময়
অত্যন্ত সতর্কতার সহিত ফরম পূরণ করতে হবে। কেননা ফর্মে ভুলভাল তথ্য দিয়ে ফরম
ফিলাপ করলে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। কিভাবে ফরম পূরণ করবেন এবং ফর্মে
কি কি তথ্য দিতে হয় সে সম্পর্কে নিচে ধাপে ধাপে চিত্রের সাহায্যে উল্লেখ করা
হলো।
প্রতিবন্ধীর আবেদন ফরম অনলাইন এবং অফলাইন এ দুটি পদ্ধতিতেই পূরণ করা যায়। অনলাইন
এবং অফলাইনে কিভাবে আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হয় তা আলোচনা করা হলো।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন
প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড অর্থাৎ সুবর্ণ নাগরিক কার্ড পাওয়ার জন্য আপনি ঘরে বসেই
খুব সহজেই উপজেলা সমাজসেবা অফিস বরাবর আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই
আবেদনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং এটা জানতে হবে যে আবেদন করার জন্য কি
কি প্রয়োজন এবং কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম
আবেদন রার জন্য ওয়েবসাইটটি লিংক হচ্ছে
https://www.dis.gov.bd/SurveyForm/OnlineApplication. আবেদন করার
এখানে ক্লিক করুন। এই লিংকে প্রবেশ করে আপনি খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আবেদনের
প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
প্রথম ধাপ
উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে সমাজসেবার একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে
যাবে। যেখানে আবেদন করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি সরূপ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা
হবে। আপনি নির্দেশনা গুলো ভালোভাবে পড়ার পর সবার নিচে অবগত হলাম এই নামে একটি
বাটন দেখতে পাবেন। আপনি সেখানে টিক মার্ক দিয়ে দিবেন।
টিক মার্ক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডান পাশে আপনি অবগত হয়েছেন কিনা হ্যাঁ অথবা না
দুইটি বাটন দেখতে পাবেন সেখান থেকে হা বাটনটি সিলেক্ট করার সঙ্গে সঙ্গে নিচের
চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে।
সূচনা অংশ
প্রথমে সূচনা অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় পূরণ
করতে হবে। তবে আপনি কোন ফ্রন্ট ব্যবহার করে তথ্য পূরণ করতে চান তা নির্বাচন করতে
হবে( Phonetic, Bijoy, Avro) এই তিনটির মধ্যে যেকোন একটি।
- A.1.,অ.১. A.1 এ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম ভোটার আইডি অনুযায়ী আর ভোটার আইডি না থাকলে জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে।
- A.2.,অ.২. এ অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জাতীয়তা উল্লেখ করতে হবে।
- A.3. অ.৩. প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোন জাতিসত্তার অর্থাৎ বাঙালি, চাকমা,তঞ্চঙ্গা, মুরং,খাসিয়া গারো সাঁওতাল,খাজন যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে হবে।
- A.4., অ.৪. এই অংশে মাতার নাম ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন অথবা ভোটার আইডি অনুযায়ী সঠিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
- A.5.,অ.৫. এই অংশে পিতার নাম ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন অথবা ভোটার আইডি অনুযায়ী সঠিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
- A.6.,অ.৬. প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিবাহিত হলে তার স্বামী/স্ত্রী নাম ভোটার আইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বাংলা ও ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
- A.7,অ.৭. এই অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অভিভাবক হিসেবে পিতা ও মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে পিতা মাতা না থাকলে অভিভাবক হিসেবে বড় ভাই অথবা যে কোন নিকটাত্মীয় এর নাম তার ভোটার আইডি অনুযায়ী বাংলা ও ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
- A.8.,অ.৮. এই অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য যিনি প্রদান করছেন অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তথ্য প্রদান করতে অক্ষম হলে তথ্য প্রদানকারীর নাম বাংলাতে এবং ইংরেজিতে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- A.9.,অ.৯. এই অংশে যে ব্যক্তির তথ্য প্রদান করছেন তার শহীদ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সম্পর্ক কি তা উল্লেখ করতে হবে।
- মোবাইল নাম্বার: উপরোক্ত তথ্য পূরণ করার পরে মোবাইল নাম্বার পূরণ করার জন্য একটি বক্স দেখতে পাবেন সেখানে একটি সচল মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন।
- ইমেইল এড্রেস: মোবাইল নাম্বারের পরের বক্সে ইমেইল এড্রেস পূরণ করার একটি বক্স দেখতে পাবেন এখানে আপনি চাইলে ইমেইল এড্রেস দিতে পারেন।
- জন্মতারিখ: এই অংশে জন্মতারিখ প্রথমে দিন-মাস-বছর এই ফরমেটে পূরণ করতে হবে।
- বয়স: জন্ম নিবন্ধন অথবা ভোটার আইডি অনুযায়ী তার বয়স কত তা পূরণ করতে হবে।
- জন্মস্থান: বাংলাদেশের কোন জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছে তা সিলেক্ট করতে হবে।
- পরিবারের সদস্য সংখ্যা: পরিবারের মোট সদস্য কয়জন তার মধ্যে পুরুষ কয়জন, মহিলা কয়জন, শিশু কয়জন, তৃতীয় লিঙ্গের কোন ব্যাক্তি আছে কিনা, এসব কিছু উল্লেখ করতে হবে।
- ব্যক্তি পরিচিতি নাম্বার: এ অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভোটার আইডি নাম্বার আর যদি ভোটার আইডি না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার যেকোনো একটি নম্বর প্রদান করতে হবে।
বর্তমান ঠিকানা: বর্তমান ঠিকানা যেভাবে পূরণ করবেন: বিভাগ-জেলা-(সিটি
কর্পোরেশন/উপজেলা/পৌরসভা)-ইউসিডি/ইউনিয়ন/পৌরসভা-ওয়ার্ড নাম্বার-বাড়ি/সড়ক নম্বর ও
নাম/গ্রাম এভাবে পর্যায়ক্রমে সঠিক তথ্য পূরণ করতে হবে।
স্থায়ী ঠিকানা: স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে ওপরে একটি (একই হলে টিক চিহ্ন দিন) এরকম একটি বাটন পাবেন আপনি সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন। আর যদি দুই ঠিকানা আলাদা হয় তাহলে বর্তমান ঠিকানা যেভাবে পূরণ করার নির্দেশনা দেওয়া আছে ঠিক একইভাবে থাই ঠিকানাও পূরণ করবেন।
স্থায়ী ঠিকানা: স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে ওপরে একটি (একই হলে টিক চিহ্ন দিন) এরকম একটি বাটন পাবেন আপনি সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন। আর যদি দুই ঠিকানা আলাদা হয় তাহলে বর্তমান ঠিকানা যেভাবে পূরণ করার নির্দেশনা দেওয়া আছে ঠিক একইভাবে থাই ঠিকানাও পূরণ করবেন।
উপরোক্ত সকল তথ্য পূরণ করার পর তথ্যগুলো যাচাই করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক
করবেন।
সেকশন- ০১: পরবর্তী বাটনে ক্লিক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেকশন-১ এ অংশের একটি
পাতা ওপেন হবে যেখানে আপনাকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সামাজিক ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত
তথ্য প্রদান করতে হবে যথা:
লিঙ্গ: পুরুষ/মহিলা/হিজড়া যেকোনো একটি বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
বৈবাহিক অবস্থা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য
প্রদান করতে হবে। তথ্যগুলো হল-
অবিবাহিত/বিবাহিত/তালাকপ্রাপ্ত/বিধবা/বিপত্নীক/বহুবিবাহ/সামি/স্ত্রী বিচ্ছিন্ন এর
যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে হবে।
ধর্ম: প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ইসলাম/হিন্দু/বৌদ্ধ/খ্রিস্টান/অন্যান্য যে কোন
একটি ধর্মের বৃত্তটি ভরাট করুন।
আবাসস্থল: আবেদনকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কেমন এলাকায় বসবাস করে অর্থাৎ
গ্রাম/শহর/বস্তি যে কোন একটি বৃত্ত ভারাট করুন।
আবাসস্থল: ভৌগোলিক অবস্থান সমতল/হাওর/উপকূল/চর/পাহাড়/বন/অন্যান এর মধ্যে
যেকোনো একটি সিলেক্ট করুন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু অর্থাৎ তার
পড়াশোনার সর্বোচ্চ ডিগ্রিটি বৃত্ত ভরাট করুন।
প্রতিবন্ধকতার কারণ: কি কারণে প্রতিবন্ধী হয়েছে তার কারণ অর্থাৎ
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী নাকি দুর্ঘটনা/অসুস্থতা/ভুল
চিকিৎসা/অন্যান্য কারণে প্রতিবন্ধী হয়েছেন তা উল্লেখ করতে করুন।
নির্যাতনের বিবরণ: এ অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোন ধরনের শারীরিক মানসিক
সামাজিক যৌন নির্যাতিত কিনা তা উল্লেখ করুন।
সুবিধা প্রাপ্তির বিবরণ: প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্য কোন সরকারি সুবিধার
আওতাভুক্ত কিনা তা উল্লেখ করুন।
- ছিন্নমূল/ভাসমান কিনা তা উল্লেখ করুন।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিবারে আর কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে কিনা তা উল্লেখ করুন।
- কোন সামাজিক সমিতি বা প্রতিবন্ধী কোন সংগঠনের সদস্য কিনা তা উল্লেখ করুন।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আত্মনির্ভরশীল নাকি অন্যের উপর নির্ভরশীল তা উল্লেখ করুন।
- সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিবন্ধী তা উল্লেখ করুন।
- সকল তথ্য প্রদান করা হলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
সেকশন-২: পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর সেকশন-২ এর অংশ প্রদর্শিত হবে এ
অংশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পেশা ও আয় সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পেশা কি অর্থাৎ কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করে সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে।
- আবেদনকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের বৃত্ত ভরাট করুন।
এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
সেকশন-৩: সেকশন-৩ এ এই পেজে প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক কিছু প্রশ্ন উত্তর দিতে
হবে। প্রশ্নগুলো হল:
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চোখে দেখতে অসুবিধা হয় কিনা।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চশমা থাকা সত্ত্বেও দেখতে অসুবিধা হয় কিনা।
- অন্যান্য ব্যক্তিদের চেয়ে দিনেও রাতে দেখতে কোন সমস্যা হয় কিনা।
- কানে শুনতে পান কিনা।
- হিয়ারিং এইড থাকা সত্ত্বেও কানে শুনতে সমস্যা হয় কিনা।
- হাঁটতে কোন সমস্যা হয় কিনা।
- শারীরিক পোশাকের পরিধানে কোন সমস্যা হয় কিনা।
- হাঁটতে বা হাত ঘোরানোর সময় হাত পায়ে কোন দুর্বলতা বা জড়তাবোধ হয় কিনা।
- সমবয়সীদের তুলনায় কোন কিছু দেখতেও শিখতে অসুবিধা হয় কিনা।
- অস্তিত্ব নেই এমন কোন আওয়াজ শুনতে বা কিছু দেখতে পায় কিনা।
- পুরনো কোন ভয়ের স্মৃতি মনে পড়লে নিজেকে গুটিয়ে নেয় কিনা।
- কথা বুঝতে অসুবিধা হয় কিনা।
- কথায় কিংবা আচরণে মনের ভাব প্রকাশ করতে অসুবিধা হয় কিনা।
- চোখে চোখে তাকায় কিনা।
- একা থাকার প্রবণতা আছে কিনা।
- কোন জিনিস নিয়ে খেলার কল্পনামূলক খেলা বা খেলতে অসুবিধা হয় কিনা।
- কোন কারণ ছাড়াই রেগে যাওয়া বা ধ্বংসাত্মক কাজ করে কিনা।
- যেখানে সেখানে পায়খানা করে পরিবেশ নষ্ট করে কিনা।
- একই কথা বারবার বলে কিনা।
- ঘুমের সমস্যা আছে কিনা।
- নিজেকে অথবা অন্যকে আঘাত করে কিনা।
- পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ করে কিনা।
- কোন ধরনের মৃগী রোগ আছে কিনা।
উপরোক্ত প্রশ্ন উত্তর গুলো সঠিকভাবে প্রদান করার পর নিচে স্বাক্ষর আপলোড করার
একটি বক্স প্রদর্শিত হবে। আপনি উক্ত বক্সে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্ক্যান করা
স্বাক্ষরটি আপলোড করবেন। মনে রাখতে হবে ক্যান করার স্বাক্ষরের ফাইলটি ১৫০
কিলোবাইট এর কম হতে হবে। সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর নিচে দাখিল করুন বাটনে
চাপ দিন।
প্রতিবন্ধী সুবর্ন নাগরিক আবেদন ফরম অফলাইন
আবেদনটি সফলভাবে গৃহীত হয়েছে এবং পাশে একটি ফর্ম নাম্বার উল্লেখ থাকবে তার নিচে
অনলিপি ডাউনলোড করুন বাটনটিতে চেপে ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নেবেন।
তারপর আবেদনের তারিখ হতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আপনার নিকটস্থ উপজেলা সমাজসেবা
কার্যালয়ে জমা দিবেন। জমাদার সময় আরো যে ডকুমেন্ট লাগবে তা হল।
- আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি।
- ভোটার আইডি অথবা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার কর্তৃক প্রতিবন্ধীর ধরন (তীব্র/মৃদু/মাঝাড়ি) উল্লেখ পূর্বক প্রত্যয়ন পত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)।
এরপর সমাজসেবা অফিসার আপনার কাগজপত্র দি জমা নিয়ে ফরমের একটি অংশ আপনাকে প্রদান
করবে। প্রধানকৃত অংশে আপনি প্রতিবন্ধীর সুবর্ণ নাগরিক সনদ কবে পাবেন তার তারিখ
উল্লেখ করা থাকবে উক্ত তারিখে আপনি অফিস থেকে আপনার সুবর্ণ নাগরিক কার্ডটি সংগ্রহ
করতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম অফলাইন
আপনার সমাজ সেবা অফিসে যদি অনলাইন আবেদনের সিস্টেমটি চালু না থাকে তাহলে আপনাকে
অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে এবং তা সঠিকভাবে পূরণ করার পর সবার সহ
অফিসে জমা দিতে পারবেন। আবেদন ফরমটি পাওয়ার জন্য লিঙ্ক হচ্ছে
https://www.dis.gov.bd/Documents/DisForm/Disability%20Form.pdf. ফরমটি ডাউন লোড
করতে
এখানে ক্লিক করুন।
উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে একটি পিডিএফ ফাইল এর ফরম ওপেন হবে। আপনি
সেখান থেকে ফরম প্রিন্ট করে নেবেন। ফরমটি নিচের চিত্রের মতো এবং যে তথ্যগুলো পূরণ
করতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম পূরন
প্রথম পাতায় যে তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে তা হলো:
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম বাংলা ও ইংরেজি ভোটার আইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতার নাম বাংলাতে এবং ইংরেজিতে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা বাংলাতে এবং ইংরেজিতে।
- জন্মতারিখ দিন মাস বছর এই ফরমেটে লিখতে হবে
- সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পেশা উল্লেখ করুন।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ধর্ম এবং জাতীয়তা উল্লেখ করুন।
- প্রতিবন্ধকতার কারণ উল্লেখ করুন।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পুরুষ মহিলা অথবা তৃতীয় লিঙ্গের কিনা তা উল্লেখ করুন।
- পরিবারে কতজন সদস্য আছে তা উল্লেখ করুন।
- প্রতিবন্ধকতার সহায়ক কিছু আছে কিনা যেমন হুইল চেয়ার এ জাতীয় কিছু।
- পরিবারে আর কোন সদস্য প্রতিবন্ধী আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমাজসেবা অফিস কর্তৃক প্রতিবন্ধিতা জরিপ অনুযায়ী ব্যক্তির পরিচয় নম্বর আছে কিনা যদি থাকে তাহলে উল্লেখ করুন।
- ভোটার আইডি যদি থাকে তাহলে ভোটার আইডি নাম্বার উল্লেখ করুন।
- এর আগে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ করেছেন কিনা তাহলে করুন।
- শিক্ষাবৃত্তির পান কিনা উল্লেখ করুন।
- প্রথম পৃষ্ঠার সবার নিচে আবেদনকারীর স্বাক্ষর এবং একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করুন।
২য় পৃষ্ঠা:
দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় আবেদনকারী যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি না হয় অর্থাৎ প্রতিবন্ধী
ব্যক্তি আবেদন করতে অপারগ হলে যে ব্যাক্তি আবেদন কারীর তথ্য দিবেন তার সকল তথ্য
প্রদান করতে হবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য চিকিৎসকের প্রত্যয়ন
আপনারা অনেকেই এই ভুলটা করে থাকেন চিকিৎসকের প্রত্যয়ন পত্রে। চিকিৎসকের
প্রত্যায়ন পত্র চিকিৎসক নিজেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে যাচাই-বাছাই করে অর্থাৎ
প্রাথমিক পরীক্ষা করে তার সম্পর্কে একটি রিপোর্ট স্বরুপ প্রত্যায়ন পত্রে
স্বাক্ষর করে দেবেন। এক্ষেত্রে আপনার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ
দায়িত্বগত ডাক্তার এর কাছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কে নিয়ে যেতে হবে।
ডাক্তারি প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষর হয়ে গেলে ফরমটি সমাজসেবা অফিসে জমা দিবেন।
আবেদনপত্রের সাথে যেই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন তা হলো:
- পূরনকৃত আবেদন ফরম আবেদন ফরম।
- ভোটার আইডি অথবা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার কর্তৃক প্রতিবন্ধীর ধরন (তীব্র/মৃদু/মাঝাড়ি) উল্লেখ পূর্বক প্রত্যয়ন পত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)।
আবেদন গ্রহণ করার পর আপনাকে একটা স্লিপ প্রদান করা হবে। পরবর্তী তারিখে মুড়িটি
নিয়ে আপনার প্রতিবন্ধীর সুবর্ণ নাগরিক কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া
আপনার অনেকেই জানেন না যে ঘরে বসেই প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য খুব সহজেই আবেদন করা
যায়। কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাতে এই ভাতা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সরকার
প্রতিবন্ধীদের আবেদন অনলাইনে দাখিল করার সিস্টেমটি চালু করেছে। অনলাইনে
প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনের লিঙ্ক হচ্ছে
https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication. কয়েকটি ধাপ সঠিক ভাবে অনুসরন করার
মাধ্যমে আপনি আবেদন সম্পন্ন করতে পারবে।আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রথম ধাপ: সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভাতা আবেদন ওয়েবসাইটে প্রবেশ।
এখানে ক্লিক করুন
bhata.gov.bd সমাজসেবা অধিদপ্তরের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনি আবেদন
করতে পারবেন। তাছাড়া যিনারা আগে থেকেই এই ভাত আর আওতাভুক্ত তাদের আবেদন করার কোন
প্রয়োজন নাই।
প্রথমে দেখতে পাবেন নির্বাচন করুন নামে ড্রপডাউন একটি অপশন। এই ড্রপডাউন অপশনে
ক্লিক করে আরো কিছু অপশন পাবেন। সেখান বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধী এই তিন ধরনের ভাতা
আবেদন করার অপশন পাবেন। সেখান থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার ধরন সিলেক্ট করলে পরবর্তী
একটি পাতা আপনার সামনে চলে আসবে।
আরো পড়ুন: ওয়ারিশ সনদ ফরম পূরণ করার নিয়ম
দ্বিতীয় ধাপ ০২: ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য
যাচাই:
দ্বিতীয় ধাপে উপরের চিত্রের মত একটি পাতা দেখতে পাবেন। সেখানে আপনাকে প্রতিবন্ধী
ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আইডি কার্ড
থাকে তাহলে আইডি কার্ড নাম্বার এবং জন্ম তারিখ এর ঘরে প্রদান করার পর যাচাই করুন
বাটনে ক্লিক করলে এনআইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য প্রদর্শিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপ ০২: জন্ম নিবন্ধন দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য যাচাই:
আর যদি জন্ম নিবন্ধন দ্বারা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তথ্য যাচাই করতে চান তাহলে জন্ম
নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্মতারিখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম পিতার নাম মাতার নাম
বাংলাতে এবং ইংরেজিতে, বিবাহিত হলে স্ত্রী/স্বামীর নাম বাংলাতে এবং ইংরেজিতে পূরণ
করবেন এরপর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির লিঙ্গ, ধর্ম, নমিনির নাম, নমিনির মোবাইল নাম্বার
ভোটার আইডি নাম্বার জন্ম তারিখ, লিঙ্গ সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
যেগুলো বক্স লাল তারকা চিহ্নিত সেগুলো বক্সের তথ্য পূরণ করা বাধ্যতামূলক লাল বক্স
ছাড়া অন্যান্য তথ্য পূরণ না করলেও আবেদন সফলভাবে সাবমিট হবে।
তৃতীয় ধাপ: ডিএসএস নম্বর প্রদান
উপরোক্ত সকল তথ্য প্রদান করা পর একটু নিচে আসলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কার্ড
অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে। এর জন্য ডি আই এস নামে একটি বক্স থাকবে
উক্ত বক্সে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাগরিক সুবর্ণ কার্ডের একটি ব্যক্তির পরিচিতি
নাম্বার থাকবে সে নাম্বারটি সঠিকভাবে প্রদান করুন এবং প্রতিবন্ধী তার ধরনের কোড
নির্বাচন করে যাচাই বাটনে ক্লিক করুন।
- সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করার পর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সুবর্ণ প্রতিবন্ধী কার্ড হতে সকল তথ্য নিচে প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও যেগুলো তথ্য নতুন করে দিতে হবে তাহলে:
- বৈবাহিক অবস্থা
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পরিবারের সদস্য সংখ্যা, পুরুষ, মহিলা, হিজড়া উল্লেখপূর্বক
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পেশা
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাৎসরিক আই
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য অর্থাৎ তিনি কর্মক্ষম নাকি আংশিক কর্মক্ষম।
- তিনি সরকারি অন্যান্য কোন সুবিধা পান কিনা
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যে বাড়িতে বসবাস করেন সেটা কিসের তৈরি
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যে ঘরে ঘুমান সেই ঘরের দেওয়াল কোন উপকরণের তৈরি
- যেখানে তিনি বসবাস করেন সেটা তার নিজস্ব নাকি সরকারি নাকি অন্য মালিকানা
- তিনি কোন ধরনের প্রতিবন্ধী। মৃদু, মাঝারি অথবা তীব্র।
চতুর্থ ধাপ: আবেদনকারীর যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য
চতুর্থ ধাপে আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন। প্রথমে
বর্তমান ঠিকানা যেমন: বিভাগ-জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড নাম্বার-পোস্ট কোড
নাম্বার-গ্রামের নাম-হোল্ডিং নাম্বার এ সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। একইভাবে
বর্তমান ঠিকানা ও পূরণ করুন তবে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে একই
নামে একটি বক্স দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করলে অটোমেটিকলি ভাবে সকল তথ্য ফিলাপ
হয়ে যাবে।
পঞ্চম ধাপ: নগদ মোবাইল একাউন্ট নম্বর
পঞ্চম ধাপে আপনাকে একটি নগদ একাউন্ট কৃত মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। মোবাইল
নাম্বারের ঘরে মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করে নগদ একাউন্ট আছে কিনা তা চেক করে নিতে
হবে। মনে রাখবেন আপনার মোবাইলে নম্বরে যদি নগদ একাউন্ট না থাকে তাহলে আবেদন করতে
পারবেন না। কারণ মোবাইল নাম্বার দেওয়া সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল নাম্বারে নগদ একাউন্ট
আছে কিনা সার্ভার সেটা চেক করে নিবে।
তাই আবেদন করা ২৪ ঘন্টা পূর্বে আপনার মোবাইল নাম্বারে নগদ একাউন্ট খুলে নেবেন। আর
মোবাইল নম্বর নিজের নাকি পরিবারের সদস্যের না নিকটাত্বীয়ের তা উল্লেখ করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ: অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কিত সকল তথ্য:
ষষ্ঠ ধাপে আরো কিছু অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ও আছে কিনা।
- খানা প্রধান এর বয়স কত।
- পরিবারের কোনো শিশু আছে কিনা।
- খানা প্রধান এর কত যোগ্যতা কত।
- বাড়িতে মোট কয়টি সবার ঘর আছে।
- খাওয়ার জন্য আলাদা কোন ঘর আছে কিনা।
- বাড়ির দেওয়াল কোন উপকরণের তৈরি।
- ঘরের ছাদ কোন উপকরণের তৈরি।
- বাড়িতে নিজস্ব বিদ্যুৎ আছে কিনা।
- খাওয়ার পানির উৎস কোথায়।
- বাড়িতে কোন আছে কিনা।
- মোট জমির পরিমাণ কতটুকু।
- নিজস্ব আবাদি জমি কতটুকু, বসতবাড়ি জমি কতটুকু, বর্গা চাষী কিনা।
নলকূপ, টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক পাখা,, মোবাইল ফোন, রেডিও,
ক্যামেরা, আসবাবপত্র, পাওয়ার টিলার, সাইকেল, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক মিটার, গরু
ছাগল, গভীর নলকূপ, আরো ইত্যাদি জিনিসপত্রাদি আছে কিনা।
এছাড়াও গত এক বছরের মধ্যে আবেদনকারী স্থায়ী বাসস্থান হতে অন্য কোন স্থানে
বিদেশে ছিলেন কিনা।
গত এক বছরে কোনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কোন সহায়তা পেয়েছেন কিনা।
৮ম: আবেদন সংরক্ষন করা:
সঠিকভাবে প্রদান করার পর সবার নিতে সংরক্ষণ নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন সেখান
থেকে আপনি আবেদনটি সংরক্ষণ করবেন। এরপর আবেদনের প্রিন্ট অপশন থেকে আবেদন পত্রটি
প্রিন্ট করে নিতে হবে।
সপ্তম ধাপ: আবেদন প্রিন্ট
সঠিকভাবে আবেদন করার পর আবেদন পত্রটি আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/সমাজসেবা অফিস
জমা দিতে পারেন। আবেদন পত্রের সাথে আর যেগুলো ডকুমেন্ট যুক্ত করতে হবে তা হলো:
- আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীর ভোটার আইডির ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- প্রতিবন্ধী কার্ড অর্থাৎ প্রতিবন্ধী সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের ফটোকপি।
- নমিনি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও নমিনি দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- আবেদনের সময় যে নগদ একাউন্ট নাম্বার প্রদান করেছেন সেই মোবাইল নাম্বার আইডি কার্ড অথবা প্রতিবন্ধী কার্ডে লিখে দিতে হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনের জন্য কি কি কাগজ লাগে
হয়তোবা আপনারা অনেকেই জানেন না কি কি করার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া যায়।
অনেকেই শুধু আইডি কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আর্জি করে।
কিন্তু না প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার সুবর্ণ নাগরিক প্রতিবন্ধী
কার্ড থাকতে হবে। এছাড়াও আরো যে কাগজ লাগবে তা হল:
- ভোটার আইডি/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- প্রতিবন্ধী সুবর্ণ নাগরিক কার্ড এর ফটোকপি
- নমিনির ভোটার আইডির ফটোকপি।
- আবেদনকারী এবং নমিনির দুই কপি ছবি।
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
- একটি সচল নগদ একাউন্ট নাম্বার।
- নমিনির মোবাইল নাম্বার।
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার কি কি যোগত্যা থাকা দরকার
প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা নাও পেতে পারেন। কিছু শর্ত
সাপেক্ষে আপনি ভাতার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন যেমন:
- আপনি যে এলাকায় আবেদন করবেন অবশ্যই সেখানকার স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অবশ্যই প্রতিবন্ধীর পরিচয় স্বরূপ সুবর্ণ নাগরিক কার্ড ধারী হতে হবে।
- স্থানীয় প্রতিনিধি কর্তৃক অথবা সমাজসেবা অফিসার কর্তৃক সিলেক্টেড হতে হবে।
- নগদ একাউন্ট ধারী মোবাইল থাকতে হবে।
- নাগরিক সুবর্ণ কার্ডের তথ্য সমাজসেবা অনলাইন ডাটাবেজে এন্টি থাকতে হবে।
- প্রতিবন্ধী সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের নাম্বার সঠিক হতে হবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য গরিব অসহায় বিধবা ছাত্র এ ধরনের ব্যক্তিরা যদি প্রতিবন্ধী হয়
তাহলে এদের প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা সর্বাগ্যে)
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার অযোগত্যা সমূহ
আমাদের সমাজে কিছু শ্রেণীর ব্যক্তির যা আছে যারা প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও এই
ভাতার আওতাভুক্ত হতে পারবেন না। যেমনঃ
- যদি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি চাকরিজীবী হন।
- যদি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি চাকরি থেকে অবসর হওয়ার পরে আবেদন করেন।
- যদি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্য কোন সরকারি সুবিধা আওতা ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে।
- যদি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বেসরকারি কোন সাহায্য সংস্থা অথবা সমাজকল্যাণমূলক কোনো সংগঠন থেকে নিয়মিতিক হারে সাহায্য পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি এই ভাতার আওতাভুক্ত হতে পারবেন না।
প্রতিবন্ধী ভাতা কয় মাস পর পর দেয়
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকারি আর্থিক সাহায্যের একটি অন্যতম দিক হলো
প্রতিবন্ধী ভাতা। যা সরকার ১০০% প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই ভাতা প্রদানের
কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রত্যেক মাসেই ভাতা পেয়ে থাকেন।
যেহেতু মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হয় তাই প্রতি মাসে
না দিয়ে দুই মাস পর অর্থাৎ তিন মাসের ভাতা একযোগে প্রদান করা হয়। আর এর
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এই ভাতা পাবে।
কত টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়
২০০৫ থেকে ২০০৬ এই অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতার কর্মসূচি টি চালু করেছে সরকার।
প্রতিবন্ধী ভাতা চালু হওয়ার সময় এক লাখ চার হাজার ছেষট্টি জনকে মাসে দুশো টাকা
করে ভাতা প্রদান করা হয়। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতাভুক্ত সুবিধা অনেক বেড়ে
গিয়েছে সাথে সাথে টাকার পরিমাণও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রত্যেক মাসে ৮৫০ টাকা করে তিন মাস পর পর ২৫৫০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে
প্রদান করা হয়। এই টাকা মোবাইল থেকে উত্তোলনের যে খরচ হয় সরকার সে টাকাও প্রদান
করে থাকে।
প্রতিবন্ধী ভাতার প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ:
দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী
ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। কেননা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে
এমন কিছু প্রতিভা তাকে যা বিকাশিত করার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথা
রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব। এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সরকার মাথায় রেখে
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করে থাকেন। যেমন
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক এবং সামাজিক উন্নয়ন করা।
- সাংবিধানিক আইনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।
- অসহায় দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা প্রদান স্বরূপ প্রতিবন্ধী ভাতা আওতায় নিয়ে আসা।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড চেক
প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড অর্থাৎ সুবর্ণ নাগরিক কার্ড সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য
আপনাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম
সাইট এর কথা বলা আছে। অনেক ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম তথ্য দেওয়া থাকলেও বা
ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও প্রতিবন্ধী কার্ড চেক করার জন্য এখনো কোনো
পাবলিক সাইট সরকার পাবলিস্ট করে নাই।
তবে কিছু সূত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিবন্ধী কার্ড চেক করতে
পারবেন।
প্রথমত: যখন আপনি অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন তখন ডিএসএস-এ
আপনার কার্ডের নাম্বার দিয়ে এবং কোড নাম্বার দিয়ে আপনার কার্ডটি যাচাই করতে
পারবেন। যদি কার্ড সঠিক হয় তাহলে যাচাই বাটনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার
সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের সকল তথ্য নিচে প্রদর্শিত হবে।
দ্বিতীয়ত: সমাজসেবা অফিসে কম্পিউটার অপারেটরে কাছে গিয়ে আপনি এ কার্ডটি
চেক করতে পারবেন।
তবে প্রতিবন্ধী কার্ডে আপনি ভাতা পান কিনা কিংবা আপনার প্রতিবন্ধী কার্ড দিয়ে
অন্য কেউ ভাতা পায় কিনা সে বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই সমাজসেবা অফিসে গিয়ে
আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব সমাজকর্মীকে অবহিত করলে তিনি আপনার
কার্ড চেক করে দেখবেন যে উক্ত কার্ডে কোন ভাতা হয়েছে কিনা।
শেষ কথা
একটা বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখবেন শুধু ঘরে বসে আবেদন করার মাধ্যমে আপনি ভাতা
অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে
চেয়ারম্যান মেম্বার বা অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা তথা আরো অন্যান্য ভাতা পাওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে এবং আবেদন
সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url