ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা | ব্রয়লার মুরগির দাম ২০২৪

আসুন, ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্রয়লার মুরগির দাম ২০২৪ এবং আজকে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত করুন। কেননা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি বয়লার মুরগি অপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে।
ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে কেন বয়লার মুরগী খাওয়া খুবই ক্ষতিকর।কেনই বা মুরগি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, ওজন বৃদ্ধির জন্য কি সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রতিটি মানুষের প্রথম পছন্দই হচ্ছে মাছ ও মাংস। বর্তমান বাংলাদেশে গরু ও দেশি মুরগি ছাগলের মাংস অত্যাধিক দামি হয় যে মাংসটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি হল ব্রয়লার মুরগির মাংস। অত্যাধিক নরম সুস্বাদু, দামে কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় সবাই এই মাংস খেয়ে থাকে। এমনকি জায়গায় বয়লার মুরগি মাংস দেখা যায়।
ব্রয়লার মুরগির

ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের দেশে আমিষ এবং নিরামিষ দুই রকমের খাবার খেতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু কিছু মানুষ ডায়েট করার জন্য কেবল ফলমূল কাঁচা সবজি শাক জাতীয় খাবার খান। আবার অনেক লোক শাকসবজির সাথে মাংস খেতেও ভালবাসেন। মুরগির মাংস আমাদের দেহের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো ডায়েট বলে গণ্য করা হয়।  মুরগির মাংসের মধ্যে একটু বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
যা আমাদের দেহের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। আমাদের দেশে অনেক রকমের মুরগি পাওয়া যায়। এর ভেতর বহুল পরিচিত একটি মুরগি হলো ব্রয়লার মুরগি। এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হলো বয়লার মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বয়লার মুরগির উপকারও ক্ষতির দিক সম্পর্কে।

বয়লার মুরগির উপকারিতা
প্রোটিন: সাধারণত মুরগির মাংস প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আর প্রোটিনের কাজ হল দেহের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করা। বয়লার মাংসে চর্বি কম থাকার কারণে এটি মানুষের শরীরের ওজন কমাতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ভরা পেট খাবার পরও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বয়লার মুরগির অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার বলে ধারণা করা হয়।

বিষন্নতা দূর করে: বয়লার মুরগি মাংসে বেশি মাত্রায় কোন প্রায় ফটো ফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড রয়েছে। যার ফলে এক বাটি চিকেন সুপ সব মানুষের মনে স্বস্তি এনে দেয়। তাই ভীষণতা দূর করতে কয়েকটি চিকেনে চিকেন সুপে যথেষ্ট এটি মস্তিষ্ককে ছেড়ে টোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে টেনশনমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

হাড়ের ক্ষয় রোধ: বয়স্ক মানুষের আর্থাইটিস এবং হাড়ের ক্ষয় সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা অনেক বেশি। নেই খাবারের তালিকা প্রতিদিন বয়লার মুরগির মাংস রাখলে হারের করতে সহায়তা করে

হার্টের জন্য ভালো: বয়লার মুরগির মাংস হোমোক্রিস্টাইনের মাত্রা কমিয়ে হার্টের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাসকুলার জাতীয় রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। হেমোকিস্টাইন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। তবে এর মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে হাড়ের জন্য বেশ ক্ষতিকারক।
ফসফরাসের প্রাচুর্যতা: ব্রয়লার মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস রয়েছে। যা মানুষের দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এছাড়াও ফসফরাস লিভার কিডনি স্নায়ুতন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হজমে সাহায্য কারক: বয়লার মুরগির মাংস ভিটামিন বি-৬ রয়েছে। যা শরীরের বিপাকের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের চর্বি না বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তনালী ঠিক রাখতে ও বয়লার মুরগির মাংস বেশ কার্যকরী।

নিয়াসিন সমৃদ্ধ: মানুষের শরীরকে ক্যান্সার মুক্ত করার জন্য নিয়াসিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। মুরগি মাংসে যে পরিমাণ নিয়াসিন রয়েছে তাতে করে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এবং ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ থেকে যে সকল জিনগত সমস্যা উদ্ভব হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

চোখ ভালো রাখে: যেকোনো খাবারের তুলনায় বয়লার মুরগির মাংস চোখে সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী। এই মুরগির মানুষের রয়েছে প্রোটিন, আলফা, বিটা ক্যারোটিন উপাদান যা সবগুলোই ভিটামিন এ-তে পাওয়া যায়। আর সে কারণে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মুরগির মাংসের তুলনা নেই।

বয়লার মুরগির অপকারিতা
ব্রয়লার মুরগি অনেকটাই কৃত্রিম উপায়ে বেড়ে ওঠার কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে চর্বি হয় যা মানুষের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে মানুষের শরীরকে ঝুঁকি সম্মুখীন করে। নিয়মিত যদি কোন মানুষ ব্রয়লার মুরগির মাংস খেয়ে থাকে তাহলে কোলেস্ট্রলজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। একটি মুরগির বেড়ে ওঠার নির্ভর করে হরমোনের ওপর। হরমোন স্বাভাবিক থাকলে স্বাভাবিকভাবে মুরগি বেড়ে ওঠে।

আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করে। কিন্তু বয়লার মুরগীকে খুব তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য হরমোনের ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। এ বয়লার মুরগি খাওয়ার জন্য এসব হরমোন মানুষের শরীরে অনেক ক্ষতি করে। বিশেষ করে মেয়েদের উপর এ প্রভাবটা খুবই বেশি পরে। কেননা এই মুরগি খাওয়ার ফলে মেয়েদের অল্প বয়সেই যৌবন চলে আসে। যা একটা অল্পবয়স্ক মেয়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর দিক।

অ্যান্টিবায়োটিক দ্রুত বৃদ্ধি: দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মানুষের শরীরে যে সকল এন্টিবায়োটিক পুশ করা হয় ঠিক সে সকল এন্টিবায়োটিক মুরগির শরীরেও দেওয়া হয়ে থাকে। এজন্য মুরগির মাংস মানুষের শরীরে এক বাজে প্রভাব ফেলে। তাই মুরগি কেনার আগে এই বিষয় পরীক্ষা করে নিন।

বিষাক্ত আর্সেনিক: মুরগির মাংসে যেসব বিষাক্ত আর্সেনিক রয়েছে এই আর্সেনিক মানুষের শরীরে খুবই ক্ষতিকারক ভূমিকা পালন করে। হরমোন ও অন্যান্য ঔষধ ব্যবহারের করার ফলে এ সকল আর্সেনিক মুরগির মাংসে পাওয়া যায়। তাই বয়লার মুরগি হতে সাবধান।

ব্যাকটেরিয়া: গবেষণায় দেখা গেছে সপ্ত নব্বই ভাগ মুরগির বুকের মাংস ব্যাকটেরিয়ার জন্য সংক্রামিত হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ বয়লার মুরগি মাংস খাওয়ার জন্য মানুষের শরীরেও এই ব্যাকটেরার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়।

কাঁচা মাসে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর হোটেলে যেভাবে একাধিক মুরগি একসঙ্গে রেখে তারপর দু-পাঁচটা মুরগির শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে যেতেই পারে। যখন মুরগি কাটা হয় তখনও কাঁচা রক্ত এবং কাঁচা মাংস যে ব্যাকটেরিয়া থাকে সেটাও ভালো মানুষের ভিতর চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এই জীবাণু যদি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে প্রতিটি মানুষই বেশ সমস্যার সম্মুখীন হবে

একটি পরামর্শ: যখন বাজার থেকে বয়লার মুরগি কিনবেন তখন সেটি নিয়ে আসার সময় আলাদা করে নিয়ে আসবেন। বাকি সবজির সাথে নিয়ে আসবেন না। কেননা সবজি সাথে নিয়ে আসলে সেখানে রক্ত ভরে কিছু ব্যাকটেরিয়া সবজির সাথে মিশে যেতে পারে। শুধু তাই নয় যখন করে ছুরি দিয়ে মাংস কাটবেন তখন ওই সময় ওই ছুরি দিয়ে কোন সবজি কাটবেন না।
যে প্লেটে কাঁচা সবজি রাখবেন তা অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে রাখবেন। যাতে ব্যাকটেরিয়া কাঁচা মাংস থেকে সবজির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। আর যদি কাঁচা মাসে যে ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে মানুষের শরীরে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা এবং বিভিন্ন রোগ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজকে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত

ব্রয়লার মুরগি খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠায় অল্প সময়ে খামারিরা অনেক লাভবান হয়ে থাকেন। যেহেতু কম সময়ে অনেক বেশি বেড়ে ওঠে তাই অল্প সময়ে অধিক লাভ পাওয়া যায়। সে কারণে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি খামারে এবং বাড়িতে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু সঠিক নাম না জানার জন্য ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা ক্রয় করতে অসুবিধায় পড়েন।
ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম

আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত
  • আফতাব কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬১ টাকা
  • কোয়ালিটি কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬৩ টাকা
  • প্রভিটা কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬১ টাকা
  • নারিশ কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬১ টাকা
  • আর এম আর কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা
  • নিউ হোপ কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৫৮ থেকে ৬২ টাকা
  • প্যারাগন কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা
  • সিপিআইআর কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা
  • এ১ কোম্পানির প্রতি পিস বয়লার মুরগির বাচ্চার পাইকারি দাম ৬০ থেকে ৬১ টাকা
উপরে বিভিন্ন কোম্পানির বয়লার মুরগীরে বাচ্চার দাম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করলাম। যদি এর দাম সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন।

ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হ্রাস
পোল্ট্রি তে বয়লার মুরগি বড় করা হয়। আর সে কারণে এই মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। ব্রয়লার মুরগির সাথে এই এন্টিবায়োটিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। যার জন্য মানুষের শরীরেও এন্ড্রোবায়োটিক বৃদ্ধি করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। আর সে কারণে এই মুরগির মাংস অত্যাধিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।

বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে পোল্টি মুরগি কে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে বড় করা হয় তা মোটেও স্বাস্থসম্মত পদ্ধতি না। মুরগিগুলোকে দ্রুত বেড়ে তোলার জন্য এবং ভারী স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এই কেমিক্যাল গুলো মানুষের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই যারা বেশি পরিমাণে এই মুরগি খাই তারা নানান রকম অসুখ-বিসুখে ভোগেন।

ফুড পয়জনিং
ব্রয়লার মুরগিতে একটি বিশেষ ধরনের ইকোলায় ব্যাকটেরিয়া আছে। এই ব্যাকটেরিয়া ফুড পয়জনিং এর জন্য বিশেষভাবে দায়ী। বয়স্করা বিশেষ করে বয়স্কদের পাশাপাশি বাচ্চা শিশুরাও ফুড পয়জনিং নিয়ে আক্রান্ত হয় অধিক পরিমাণে বয়লার মুরগি হওয়ার কারণে।

পুরুষত্ব হ্রাস
বর্তমান বাংলাদেশ পুরুষত্ব ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে এর কারণ হলো বয়লার মুরগি। গবেষণা করে দেখা গেছে যেসব পুরুষেরা বেশি পরিমাণে নিয়মিত বয়লার মুরগির মাংস খান তাদের জন্মদান ক্ষমতা স্বাভাবিক পুরুষের থেকে কমে যায়।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট

ব্রয়লার মুরগি পালনে দ্রুত লাভবান হওয়ার জন্য মুরগির ওজন বৃদ্ধি করার জন্য খাদ্য সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। কারণ খাবার কম বেশি হলে মুরগি বেড়ে উঠতে দেরি হতে পারে এবং মুরগি বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। আর যদি কোন মুরগি একবার আক্রান্ত হয় তাহলে আরো মুরগি খুব দ্রুত আক্রান্ত হতে পারে। তাই বয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির খাদ্য তালিকা উল্লেখ করা হলো

ক্রমিক

মুরগির বয়স

মুরগির ওজন

দৈনিক খাদ্য গ্রহনের পরিমান

দৈনিক বৃদ্ধির পরিমান

মোট খাদ্যের পরিমান

০১

০০ দিন

৩৯-৪৪ গ্রাম

০০ গ্রাম

০০ গ্রাম

০০ গ্রাম

০২

০১ দিন

৬০ গ্রাম

১৫-১৬ গ্রাম

১৮-২০ গ্রাম

২৫-৩০ গ্রাম

০৩

০২ দিন

৭৫-৮০ গ্রাম

১৭-১৯ গ্রাম

১৮-২০ গ্রাম

২৮-৩২ গ্রাম

০৪

০৩ দিন

৯০-১০০ গ্রাম

২০-২২ গ্রাম

২৩০২৪ গ্রাম

৪৫-৫০ গ্রাম

০৫

০৪ দিন

১২০-১২৫ গ্রাম

২৩-২৫ গ্রাম

২৩-২৫ গ্রাম

৭০-৭৩ গ্রাম

০৬

০৫ দিন

১৪৫-১৫০ গ্রাম

২৬-২৮ গ্রাম

২৫-২৬ গ্রাম

১০০-১০৫ গ্রাম

০৭

০৬ দিন

১৭৮-১৮০ গ্রাম

৩০-৩২ গ্রাম

২৮-৩০ গ্রাম

১৩২-১৩৩ গ্রাম

০৮

০৭ দিন

২১০-২১২ গ্রাম

৩৪-৩৫ গ্রাম

৩১-৩৩গ্রাম

১৬৫-১৭৬ গ্রাম

০৯

০৮ দিন

২৪৫-২৪৭ গ্রাম

৩৮-৪০ গ্রাম

৩৪-৩৫ গ্রাম

২০০-২০৫ গ্রাম

১০

০৯

২৮৩-২৮৫ দিন

৪০-৪৩ গ্রাম

৩৯-৪০ গ্রাম

২৪৫-২৫০ গ্রাম

১১

১০ দিন

২২৫-২৩০ গ্রাম

৪৩-৪৫ গ্রাম

৪০-৪২ গ্রাম

২৯৫-২৯৬ গ্রাম

১২

১১  দিন

৩২৫-৩৫০ গ্রাম

৪৭-৫০ গ্রাম

৪১-৪৪ গ্রাম

৩৯৬- ৩৪৮ গ্রাম

১৩

১২ দিন

৪২০-৪২২গ্রাম

৫৫-৫৭ গ্রাম

৪৭-৫০ গ্রাম

৪০০-৪০৫ গ্রাম

১৪

১৩ দিন

৪৭০-৪৭৫ গ্রাম

৬০-৬২ গ্রাম

৪৭-৫০গ্রাম

৪৬০-৪৬৫ গ্রাম

১৫

১৪ দিন

৫২৫-৫৩০ গ্রাম

৬৫-৬৭ গ্রাম

৫২০৫৫ গ্রাম

৫৩০-৫৩৫ গ্রাম

১৬

১৫ দিন

৫৮৫-৫৯০ গ্রাম

৭০-৭৩ গ্রাম

৫৬-৬-গ্রাম

৬০০-৬০৫ গ্রাম

১৭

১৬ দিন

৬৫০-৬৫২ গ্রাম

৭৫-৭৭ গ্রাম

৬০-৬৩ গ্রাম

৬৮০-৬৮২ গ্রাম

১৮

১৮ দিন

৭১৫-৭২০ গ্রাম 

৮০-৮৫ গ্রাম

৬৫-৬৬ গ্রাম

৭৬০-৭৬৫ গ্রাম

১৯

১৮ দিন

৭৮৪-৭৮৬ গ্রাম

৮৭-৯০ গ্রাম

৬৫-৯০ গ্রাম

৮৫০-৮৫৫ গ্রাম

২০

১৯ দিন

৮৫৫-৮৬০ গ্রাম

৯০-৯৫ গ্রাম

৭০-৭৫ গ্রাম

৯৪৫-৯৫০ গ্রাম

২১

২০ দিন

৯৩০-৯৩৩ গ্রাম

৯৮-১০০  গ্রাম

৭৫-৭৮ গ্রাম

১০৪৫-১০৫০গ্রাম

২২

২১ দিন

১০০৫-১০১০-গ্রাম

১০০-১০৬  গ্রাম

৭৫-৭৮ গ্রাম

১১৫০-১১৫৫গ্রাম

২৩

২২ দিন

১০৮৫-১০৯০গ্রাম

১১০-১১২ গ্রাম

৮০-৮১ গ্রাম

১২৬০-১২৬৫গ্রাম

২৪

২৩ দিন

১১৭০-১১৭২ গ্রাম

১১৫-১২০ গ্রাম

৮০-৮২ গ্রাম

১৩৮০-১৩৮৩ গ্রাম

২৫

২৪ দিন

১২৫৫-১২৫৭গ্রাম

১২২-১২৫ গ্রাম

৮৩-৮৫  গ্রাম

১৫০০-১৫০৬ গ্রাম

২৬

২৫ দিন

১৩৪০-১৩৪৫গ্রাম

১২৭-১৩০ গ্রাম

৮৫-৮৭ গ্রাম

১৬৩০-১৬৩৫ গ্রাম

২৭

২৬ দিন

১৪৩০-১৪৩৫ গ্রাম

১৩০-১৩৫ গ্রাম

৮৫-৯০ গ্রাম

১৭৭০-১৭৭২ গ্রাম

২৮

২৭ দিন

১৫২০-১৫২৫গ্রাম

১৩৫-১৪০ গ্রাম

৮৫-৯০ গ্রাম

১৯০৫-১৯১১ গ্রাম

২৯

২৮ দিন

১৬১০-১৬১৫গ্রাম

১৪৫-১৫০ গ্রাম

৯০-৯৫ গ্রাম

২০৫৫-২০৬০গ্রাম

৩০

২৯ দিন

১৭০৫-১৭১০ গ্রাম

১৫০-১৫৫ গ্রাম

৯০-৯৫ গ্রাম

২২১০-২২১৩গ্রাম

৩১

৩০ দিন

১৮০০-১৮০৫গ্রাম

১৫৫-১৫৮ গ্রাম

৯৫-৯৭ গ্রাম

২৩৭০-২৩৭৫গ্রাম

৩২

৩১ দিন

১৯০০-১৯০২গ্রাম

১৬০-১৬৫ গ্রাম

৯৫০৯৮ গ্রাম

২৫৩০-২৫৩৫গ্রাম

৩৩

৩২ দিন

১৯০০-১৯৫৯গ্রাম

১৬৫-১৭০গ্রাম

৯৭-১০০ গ্রাম

২৭০২-২৭০৫গ্রাম

৩৪

৩৩ দিন

১৯৯৭-১৯৯৮গ্রাম

১৭০-১৭৪ গ্রাম

৯৮-১– গ্রাম

২৮৭০-২৮৭৬গ্রাম

৩৫

৩৪ দিন

২১৯০-২১৯৫গ্রাম

১৭৫-১৮০গ্রাম

৯৯-১০১ গ্রাম

৩০৫০-৩০৫৫গ্রাম

৩৬

৩৫ দিন

২২৯০-২২৯৫গ্রাম

১৮০-১৮৫গ্রাম

১০০-১০৩ গ্রাম

৩২৩৫-৩২৪০গ্রাম

৩৭

৩৬ দিন

২৩৯০-২৩৯৫গ্রাম

১৮৫-১৮৮গ্রাম

১০০-১০৫ গ্রাম

৩৪৩০-৩৪৩৫গ্রাম

৩৮

৩৭ দিন

২৪৯০-২৪৯৫গ্রাম

১৯০-১৯৫গ্রাম

১০০-১০৫ গ্রাম

৩৬৩৫-৩৬২০ গ্রাম

৩৯

৩৮ দিন

২৫৯০-২৫৯৫গ্রাম

১৯০-১৯৬গ্রাম

১০০-১০৫ গ্রাম

৩৮১০-৩৮১৫গ্রাম

আজকের ব্রয়লার মুরগির দাম ২০২৪

বর্তমান বাজারে মানুষের দাম অতিরিক্ত হওয়ায় বয়লার মুরগিকে গরিবের খাসি বলা হয়ে থাকে। তার কারণ স্বল্প মূল্যে বাজার থেকে এ মাংস কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সে হারে মানুষের নাম বেশি হয় গরুর এবং খাসির মাংস কিনতে পারেনা। সে সকল মানুষের একমাত্র ভরসা হলো বয়লার মুরগি।

আরেকটি কথা বললে কিছুতেই ভুল হবে না যে, আমাদের দেশের আতিথিয়েতা অর্থাৎ আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকে রাখা জন্য খাদ্যের তালিকায় যদি কারো নাম উঠে আসে তাহলে সর্বপ্রথম বয়লার মুরগির মাংসের নামটি সবার উপরে থাকবে। কেননা আত্মীয়-স্বজনদের মানুষের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গরুর বা মহিষের মাংস অথবা অন্যান্য প্রাণীর মাংস কিনে খাওয়ানো সম্ভব হয় না।
তাই মানির মান বয়লার মুরগি রাখতে সাহায্য করে। বয়লার মুরগি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তাই এর দান সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। । আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমি আপনাদের বয়লার মুরগির দাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাহলে আসুন জেনে না যাক বয়লার মুরগির বাজার মূল্য।

বয়লার মুরগি পিস হিসেবে নয় কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। তাই আপনি প্রয়োজন অনুসারে ছোট কিংবা বড় বয়লার মুরগি বাজার থেকে কিনতে পারবেন। বর্তমানে বয়লার মুরগির বাজার মূল্য ১৭০ টাকা কেজি থেকে ১৯০ টাকা কেজি পর্যন্ত। পূর্ব থেকে বয়রা মুরগির দাম অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে তার কারণ হলো বাজার মূল্য অত্যাধিক বেশি।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ

বয়লার মুরগির সাধারণত শূন্য থেকে ৩৫ দিন পর বিক্রির জন্য উপযোগী হয়ে যায়। আপনারা যারা বয়লার মুরগি পালন করবেন এরকম চিন্তা ভাবনা করেছেন তাদের অবশ্যই এই মুরগির ওষুধের সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত ২৫ দিনের পর থেকে ৪০ দিনের মধ্যে বয়লার মুরগি বিক্রির জন্য পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত হয়ে যায় প্রস্তুত হয়ে যায়।
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ
আর এই কয়দিনের মধ্যে বয়লার মুরগিকে কিছু প্রয়োজনের ওষুধ এবং ভিটামিন খাওয়াতে হয়। সব সময় একই রকম ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না মুরগির বেড়ে ওঠার দিনে দিনে ওষুধের প্রণালীও পাল্টাতে থাকে যেমন

এক থেকে তিন দিনের মধ্যে ওষুধ প্রণালী
বয়লার মুরগির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওষুধ প্রণালী। সঠিক সময় সঠিক ওষুধ দিতে ব্যর্থ হলে বয়লার মুরগি ওজন কিছুতে বৃদ্ধি পাবে না। বয়লার মুরগির প্রথম একদিন থেকে তিন দিনের মধ্যে ওষুধ প্রণালী হল আপনি বোর্ডিংয়ে বার্তা পাওয়ার পর অবশ্যই প্রথম তিন ঘন্টা সাদা পানি অথবা ব্যবহার করতে পারেন পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত একটানা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ যেমন নিউ মেশিন ।

০৪-০৭ দিনের ওষুধ প্রণালী
অনেক অনেক খামারিরা চিন্তিত হয়ে পড়েন চার থেকে সাত দিনের মধ্যে কি ওষুধ খাওয়াতে হবে। চতুর্থ দিনে আপনি ২৪ ঘন্টা থায়ামিন প্লাস বা বি ওয়ান। বি টু বি ভিটামিন ব্যবহার করতে পারেন পঞ্চম দিনে ভিটামিন এ ডি থ্রি প্লাস ভ্যাকসিন ব্যবহার করবেন। সকালে ভিটামিন এ ডি থ্রি দুপুরে সাদা পানি এবং রাতে ভ্যাকসিন দিয়ে আবারো এ ডি থ্রি দিবেন তারপর ষষ্ঠ ও সপ্তম দিনে ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে।
০৮-১০ দিনের ওষুধ প্রণালী
৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বয়লার মুরগি ওষুধগুলো হল লিভার টনিক এডি৩ জিংক এবং ভ্যাকসিন। অষ্টম নবম দিন সকালে সাদা পানি অথবা লিভার টনিক দুপুরে ড্রিঙ্ক রাতের বেলায় টেটভেট ব্যবহার করতে হবে।

১১-১৫ দিনের ওষুধ প্রণালী
থেকে ১৫ দিনের বাচ্চা কে যে মুরগি ওষুধ খাবেন সেটা সাধারণত জাতীয় ওষুধ। এই ওষুধ বাহাত্তর ঘন্টা অর্থাৎ তিন দিন একইভাবে খাওয়াতে পারেন ওষুধ টা হল এমোডিস। এছাড়াও রেনব্যাক, রেনামাইসিন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ দিনের মাথায় আপনি সকালে সাদা পানি কপার সালফেট ব্যবহার করতে পারেন।

১৬-১৭ দিনের ওষুধ প্রণালী
১৬ থেকে ১৭ দিনে যে ওষুধ খাবেন তা হলো ১৬ তম দিনে সকালে সাদা পানি দুপুরে ব্রিটেন জাতীয় অথবা ক্যালসিয়ামতে ওষুধ রাতের বেলা সাদা পানি ১৭ তম দিনে একইভাবে ওষুধ অর্থাৎ এডি থ্রি ব্যবহার করে পরবর্তী ছয় ঘন্টা পুনরায় ভিটামিন ডি থ্রি দিতে পারেন।

১৮ থেকে ২১ দিন
১৮তম দিনে সাদা পানি পরিবর্তে উটটেড টালভেট ব্যবহার করতে পারেন ১৭ থেকে ২১ তম দিন পর্যন্ত মুরগির রোগ সংক্রমণ বেড়ে যায়। তাই এ সময় প্রয়োজনীয় ঔষধ বয়লার মুরগিকে প্রদান না করলে সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

বাইরে থেকে ২৫ দিন বাড়ি থেকে ২৫ তম দিনে ওষুধ গুলো হল টকশাল এবং ডিবেট সকালে পানিতে তিনটি টকশাল এবং রাত্রে পানিতে একটানা তিন দিন।

ভিটেট ব্যবহার করবেন
২৬ থেকে ৩০ দিন ৩০ দিনের বাচ্চাকে প্রতিদিন সকালে পিএ ইচ দুপুরে ভিটামিন সি এবং রাত্রে ভিটামিন এ ডি থ্রি ব্যবহার করবেন অতিরিক্ত গরম হলে ভিটামিন সি জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা খুবই জরুরী

৩১-৩৫ দিনের ওষুধ
৩১ থেকে ৩৫ দিন সকালে সাদা পানি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং রাত্রেবেলা সিপ্রক্সিন প্লাস আমাশার ওষুধ ব্যবহার করবেন কেননা এই সময়ের পরেই মুরগিকে বিক্রি করতে হবে তাই আমাশা হলে মুরগির ওজন অত্যাধিক পরিমাণে কমে যাবে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে

বয়লার মুরগি যেহেতু খুব দ্রুত কম সময়ের মধ্যে বেড়ে ওঠে তাই ময়লার মুরগির মাংস এবং ডিম নিয়ে বিভিন্ন মানুষের মনে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থেকে থাকে। এরকম একটা প্রশ্ন হচ্ছে বয়লার মুরগির ডিমে এলার্জি আছে কিনা। অনেকে মনে করেন বয়লার মুরগি ডিমে এলার্জি আছে। ধারণাটা ভুল বিশেষজ্ঞদের মতে বয়লার মুরগি অনেকটাই স্বার্থসম্মত এই মুরগির ডিমে কোন ধরনের এলার্জি নেই।

লেখকের মন্তব্য

একটি মুরগি স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা দরকার ব্রয়লার মুরগি তার থেকে অনেক দ্রুত বেড়ে ওঠে। তার পেছনে কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন কেমিক্যাল এবং হরমোন জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহার। যেহেতু এই মুরগির বৃদ্ধি স্বাভাবিক নয় সেহেতু বলা যেতে পারে যে এই মুরগির মাংস ততটাও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url