কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় - মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক, আপনি কি কোমরে ও
পিঠের ব্যাথাই
ভুগছেন? আপনি নিশ্চয়ই
কোমর ব্যাথা
সারানোর সহজ উপায় জানতে চাচ্ছেন। এছাড়াও মহিলাদের
কোমর ব্যথার
কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই পোস্টটি মূল সহকারে পড়তে
হবে।
প্রিয় পাঠক এর পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন
ব্যায়াম করার
মাধ্যমে কিভাবে কোমরের ব্যথা কমানো যায়। কি কি ওষুধ খাওয়ার ফলে
কোমরের ব্যথা
দূর হয়ে যায় এছাড়াও কোন ধরনের
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
খাওয়া উচিত ইত্যাদি বিশেষ সম্পর্কে জানতে এই পোস্টের ভালোভাবে পড়ুন।
পেজ সূচীপত্র: কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
ব্যস্ত মানুষের জীবনযাত্রায় মানুষের জীবনকে কখন কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড়
করাচ্ছে সেটা সে নিজেও জানেনা। আর এ
ব্যস্ত জীবনযাত্রা
আমাদের শরীরে অনেক রকমের আঘাত জনিত সমস্যায় ব্যাথার অনুভব হলেও সেটা আমরা আমলে
নিই না। যার কারণে ব্যথা আস্তে আস্তে বেড়ে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ি।
কর্ম ব্যস্ত জীবনে তাই অনেকেই কোমর পিঠের ব্যথায় ভুগছেন। তাই এই পোস্টটিতে আমি
আপনাদের
ঘরোয়া উপায়ে
খুব সহজেই কিভাবে কোমরের ও পিঠের ব্যথা দূর করতে পারেন সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ
ধারনা প্রদান করব।
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
কোমরে ব্যথায় কমবেশি সবাকে ভুগতে লক্ষ্য করা যায়। কর্মজীবনে ব্যস্ততার কারণে
কখন কিভাবে এই
ব্যথার উৎপত্তি
হয় সেটা নিজেও বুঝতে পারেন না। অনেকে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার জন্য আবার অনেকেই
দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার জন্য এ ধরনের ব্যথা বেশি হয়ে
থাকে। এছাড়াও ভারী কিছু তোলার কারণে বা শোয়া বসার ত্রুটির জন্য কোমরে ব্যথা হতে
পারে।
আরো পড়ুন: পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
সময়মতো ব্যথা না সারানো হলে পরবর্তীতে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তাই
আসুন ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে
তেল ব্যবহার:
দুই থেকে তিন ফোটাফোঁটা ইউক্যালিপটাস অ্যাসেনশিয়াল অয়েল একটি বালটিতে হালকা গরম
পানির সাথে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ওই পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল করুন। এতে
পিঠের ব্যথা কমিয়ে মাজা স্নায়ু ব্যথা কমাতে সহায়তা করবে।
মেসেজ করা
প্রতিদিন সকালে এবং শোয়ার আগে কোমরে এবং পিঠে সরিষার তেল গরম করে নিয়ে
যন্ত্রণাদায়ক স্থানে ভালোভাবে মালিশ করলে ব্যথা অনেকটা কমে যায়। যদি আপনি মালিশ
করার পর গোসল করতে পারেন তাহলে আরও বেশি কাজে দেয়। এই পদ্ধতি বেশ কয়েকদিন
নিয়মিতভাবে পালন করার মাধ্যমে আপনি কোমরের এবং পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে
পারেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য
ওষুধের
থেকেও একটি কার্যকরী পদ্ধতি হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। অনেকগুলো ব্যায়াম রয়েছে
যেগুলো করলে কোমরের ব্যথা ভালো হয়ে থাকে বা কমে থাকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি
হলো ক্যাট পোজের মতো যোগা ব্যায়াম। এছাড়াও রয়েছে ডলফিন পোজ, বিগ টু পোজ, অফ
ওয়ার্ড ফেসিং ইত্যাদি।
নিয়ম স্ট্রেচিং করা
স্ট্রেসিং একটি খুবই কার্যকরী উপায়। এ কাজ করার জন্য শরীরের সমস্ত পেশিকে
প্রসারিত করে। যার ফলে কোমরের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই কোমরের ব্যাথা সারানোর
উপায় হিসেবে স্টেসিংকে নিয়মিত করতে বলা হয়।
গরম এবং ঠান্ডা প্যাক
গরম এবং ঠান্ডা পানি কোমরের ব্যথাযুক্ত স্থানে নিয়মিত ব্যবহার করলে এই তীব্র
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। ব্যথাযুক্ত স্থানে ঠান্ডা প্যাড নিয়মিত ব্যবহার
করলে কোমরের ফোলা ভাব কমে যায়। তারপর উক্ত স্থানে দুই থেকে তিন দিন গরম তোয়ালে
দিয়ে ভাত দিলে খুব সহজে ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
রসুনের ব্যবহার
কিছুটা রসুন বেটে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট আধা ঘন্টা ধরে কোমরের ভালো হবে
বালিশ করুন। তারপর উক্ত স্থানে সামান্য পরিমাণে গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে
নিন। এই পদ্ধতি চার থেকে পাঁচ কোয়া ওষুধ সেবন করতে পারলে সেটা আরো বেশি কার্যকর
হয়।
এলোভেরা জেল
অ্যালোভেরা গাছের পাতা খুব ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে অ্যালোভেরা জেল নির্মিত হারে
কোমরে ও পিঠে লাগাতে পারলে কোমরের এবং পিঠের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে তাছাড়া
অ্যালোভেরা জেল এর পাতা সেবন করতে পারলে সেটা আরো ভালো কাজে দেয়।
সরিষার তেল
ব্যথা নাশক হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসায় গ্রামাঞ্চলে সরিষার তেল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত
হতো। এবং সেটা খুব কার্যকরী ভাবে কাজ করে। দুই তিন চামচ তেল এর সাথে দুই থেকে তিন
তিন গোয়া রসুন একটু থেঁতো করে গরম করে ব্যথাযুক্ত স্থানে মালিশ করলে ব্যথা খুব
তাড়াতাড়ি কমে যায়।
হলুদের গোড়া
হলুদের গোড়ার সঙ্গে সামান্য পরিমাণে গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে মালিশ করুন এবং
উক্ত মিশ্রণটি সেবন করলে প্রচুর উপকার পেয়ে যাবেন যা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল কর্পূর ভালোভাবে মিশিয়ে গরম করে নিন এরপর উক্ত মিশ্রণটি
ঠান্ডা করে ওই তেল ভালোভাবে ব্যবহার করুন প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করার
ফলে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
নীলগিরি তেল
কোমরের ব্যথা সারানোর আরো একটু উপায় হলো নীলগিরি তেল। ব্যথাযুক্ত স্থানে
স্থানে এই তেল ভালোভাবে মালিশ করলে অনেকটাই ব্যথা কমে যাবে।
গরম সেক
ব্যাটা তীব্র আকার ধারণ করলে হাতের কাছে কিছুই না পেলে অন্তত হাতের কাছে যেই
কাপড় পাবেন সেই কাপড় দিয়ে গরম সেক দিন। এভাবে সেক দিলেন এতে অনেকটাই
ব্যথা কমতে সাহায্য করবে।
আদা চা
আদা চা এর অনেক গুণাবলী রয়েছে কোমরের ব্যথা সারাতে এইটা খুবই কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে।
পান পাতা
পান পাতা সঙ্গে ঘি লাগিয়ে গরম করে কোমরে এবং পিঠে ভালোভাবে শেখ দিলে ব্যথা
অনেকটাই কমে যাবে।
বরফের ব্যবহার
কোমরে খুব বেশি ব্যথা হলে উক্ত স্থানে খুব গরম অনুভূত হয়। সে কারণে ব্যাথা-যুক্ত
স্থানে বরফ দিয়ে সেক দিলে ব্যথা এবং ব্যথার প্রদোহ অনেকটা কমে যায়। ব্যথাযুক্ত
স্থানে দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর ১৫ মিনিট ধরে বরফ ধরে রাখুন এতে অবশ্যই ব্যথা
অনেকটাই কমে যাবে।
বেল ব্যবহার করা
কোমরের ব্যথা দূর করতে বর্তমানে সবচাইতে কার্যকরী উপায় হলো বেল্ট ব্যবহার করা।
কোমরের বেল্ট ব্যবহার করলে কাজ করার সময় কোমরের উপর সেরকম প্রেসার না পড়ায়
কারণে ব্যথা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করবে।
বালিশের ব্যবহার
কোমরের মাঝে মাঝে বরাবর একটি বালিশ রেখে তার ওপরে শুয়ে থাকুন। ব্যথাযুক্ত স্থান
নরম জায়গায় উপর ল্যান্ড করার কারণে অনেকটাই আরাম অনুভব হবে। যদি সম্ভব হয়
কোমরের নিচে বালিশ রেখে ঘুমাবেন।
নিয়মিত বিশ্রাম করা
কোমরের ব্যথা দূর করার জন্য বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। ব্যথা নিয়ে কাজ করলে
আরো অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই কোন ভারী কাজ করা থেকে অবশ্যই বিরত
থাকতে হবে। আর যদি হালকা ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে
কিছুক্ষণ ধরে বিশ্রাম নিন। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন যেন কোমরের ব্যথার উপর খুব বেশি
প্রেসার না পরে।
মেথি বীজ ব্যবহার
মেথি বীজের গোড়ার দুধের সঙ্গে মিশিয়ে একটি ভালো মিশ্রণ তৈরি করে ব্যথাযুক্ত
স্থানে মেসেজ করলে ব্যথা কমতে সাহায্য করবে।
লেবুর শরবত
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর আমরা সবাই জানি ব্যথা কমানোর জন্য
ভিটামিন সি খুবই কার্যকরী।
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাদ্য গ্রহণ
প্রতিদিন ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার খান। যেমন ঘি, দুধ, মাছ,
মাংস, ফল, বাদাম শাকসবজি ইত্যাদি খাবার খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম
এবং ম্যাগনেসিয়াম উৎপন্ন করে যে কোন ব্যাথা কমাতে সহাদা করে।
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
একই স্থানে একাধিক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে বা একটু বেশি কাজ কাম করলে মহিলাদের
কমানোর ব্যাথা অনেকটাই বেড়ে যায়। শুধু মহিলারা না ছেলেদের সমস্যা সম্মুখীন হতে
হয়। সে কারণেই ডাক্তারের পরামর্শ দেন যে আপনি প্রতিদিন যে পরিমানে হাটবেন তত
পরিমাণে সুস্থ থাকবেন। বেশি হাটাহাটি করলে শরীরের ওজন কমতে সাহায্য করে।
কিছু কিছু ব্যায়াম হাটার ফলে নিজে নিজেই সক্রিয় হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন ২০
মিনিটের জন্য নিয়মিত হাঁটাচলা করা শাস্তির পক্ষে খুবই উপকারী।
কোমর ব্যথার কারণ
মেয়েদের কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ হচ্ছে ফাইরো ফরমিস sandrome। ফাইরো ফরমিস
sandrome
আঘাত এবং অত্যাধিক নড়াচড়ার কারণে মেয়েদের কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে।
কাজ করতে গিয়ে আঘাত পেলে এবং অত্যাধিক কাজ করার জন্য বেশি নড়াচড়া করলে
কোমরের উপর প্রেসার পড়ে সে কারণেই কোমরের পেশী টান ধরে এবং কোমরে ব্যথা হতে
পারে।
বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়লে
অতিরিক্ত ওজনের ফলে বেশি হাঁটলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। এটি মহিলাদের একটি সাধারণ
সমস্যা। এ সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে শরীরে অতিরিক্ত ওজন। শরীরে অতিরিক্ত ওর জন্য
হলে হাঁটার সময় শরীরের সমস্ত চাপ শরীরের নিচের অংশে এসে পড়ে। এই অতিরিক্ত চাপের
কারণে কোমরের পেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ে আর সে কারণেই ব্যাথা হতে শুরু করে। দীর্ঘ
সময় ধরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে এই সমস্যা আরও বেশি হতে পারে।
পেশি স্প্যাম হয়ে গেলে
কখনো কখনো অতিরিক্ত তাপের কারণে বা আঘাত লাগার কারণে এক বা একাধিক বেশি ভুল ভাবে
সরে যায় যার কারণে বেশি প্রেম হয়ে যায়। এ সমস্যা তখনই হয় যখন মেরুদন্ডের উপর
অত্যাধিক পরিমাণে চাপ পড়ে। আর যার কারণে পেছনের পিসি গুলো দৃঢ়তা সৃষ্টি করে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি ও এ ধরনের সমস্যা খুব
বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বেশি গুলো ঠিকঠাক জায়গায় চলে যাওয়ার পরে ব্যথা আপনা
আপনি ছেড়ে যায়।
ভুলভাল ভাবে চলাফেরা বা হাঁটাচলা করলে
হাঁটা বা চলাফেরা করলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে এতে শরীরের ছোটখাটো
কোন সমস্যা চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায় তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় যে হাঁটাচলা
অবশ্যই প্রতিদিনের রুটিনে রাখা উচিত হবে। তবে সব কিছুর একটা সব ক্রিয়া-কলাপের
একটা নিয়ন্ত্রিত অবস্থা রয়েছে। ভুল সময় হাঁটলে বা ভুলভাবে হাঁটলে বা হাঁটার
নিয়ম না জানলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। যেমন ধরুন সামনের দিকে ঝুকে হাঁটলে কোমরে
ব্যথা হয়ে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকলে
মেয়েরা একটু গল্প করতে বেশি ভালোবাসে। সে কারণে তারা একই জায়গায় অনেকক্ষণ
পর্যন্ত একই জমিতে বসে থাকার কারণে অনেক সময় কোমরের ব্যথা হয়ে থাকে।
কোমর ব্যথা প্রতিকার
- কিছু ভরা টোটকা ব্যবহার করে মেয়েদের কোমরে ব্যথা দূর করা সম্ভব হয়।
- নিয়মিত হাঁটা চলা করা
- ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া
- ব্যথার যুক্ত স্থানে গরম সেঁক দেওয়া
- ব্যথাযুক্ত স্থানে সরিষার তেলের মালিশ করা
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা
- দুশ্চিন্তা না করা
- ভারী কোন কাজ না করা
- কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়া
- সামনের দিকে ঝুকে না হাটা
- হাই হিল ব্যবহার না করা ইত্যাদি।
কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম
কোমরে ব্যথার অন্যতম কারণ হলো অসতর্কভাবে হাঁটাচলা এবং ওঠাবসা করা। সঠিকভাবে
চলাফেরা ওঠাবসা করলে কোমরের ব্যথা তেমন হয় না। কোমরের ব্যাথা হলে ওষুধ সেবন
পাশাপাশি ঘরোয়া উপায় অবলম্বনে পাশাপাশি ব্যায়াম করলে কোমরে ব্যাথা থেকে মুক্তি
লাভ করা সম্ভব হয়।
যা ওষুধের চেয়েও অনেক ভালো কাজে দেয় খুব কম সময়ে সহজে এমন কিছু ব্যান রয়েছে
যা নিয়মিত অনুশীলন করলে কোমরের ব্যথা সেরে যায় ব্যায়ামগুলো হল।
আরো পড়ুন:
দাঁতের মাড়ির ব্যাথা কমানো উপায়
এই ব্যায়ামগুলো প্রতিদিন সকালে এবং রাতে বিছানায় শুয়ে থেকে করতে পারেন
ব্যায়ামগুলো করতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৭ মিনিট
প্রথমে একটি সমতল বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন এরপর দুই হাত শরীরে দুই পাশে
সোজা করে রেখে পা দুটো সোজা করে রাখুন যাতে হাঁটু ভাঁজ না হয়। তারপর এক পা আস্তে
আস্তে উপরে তুলুন। উপরে যত সম্ভব। পা ওপরে তুললে কোমরের উপর মাজা বরাবর প্রেসার
পড়বে। এই অবস্থায় তাই ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড একই পজিশনে থাকুন।
তারপর এক পা নামিয়ে ফেলে আবার আরেক পা একইভাবে ওপরে তুলে আট থেকে দশ সেকেন্ড
স্থির থাকুন।
সমতল বিছানায় শীত হয়ে শুয়ে একি পজিশনে থেকে এক পায়ে বদলে এবারে দুই পা তুলে
কিছু সময় ধরে স্থির থাকুন আবার নিচে নামানো।
এবারে হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে হাটু বুক বরাবর লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে
দশ সেকেন্ড আট থেকে ১০ সেকেন্ড করতে পারেন একইভাবে অপর হাঁটু বুকে লাগাতে হবে এবং
একই সময় ধরে থাকতে হবে।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
এবারে একসঙ্গে দুই হাটু ভাঁজ করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরতে হবে।
সবশেষের ধাপটি হলো দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিকে সোজাসুজি করে ১০ সেকেন্ড
ধরে রাখতে হবে।
প্রতিটি ধাপ ব্যায়াম করার সময় এক থেকে ১০ গুনা পর্যন্ত ১০ সেকেন্ড হিসেবে ধরে
নেওয়া হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে দুই থেকে তিনবার রাতে এবং সকালে নিয়মিতভাবে
কোমরের ব্যায়াম করলে মাংসপেশীর ব্যথা কমে যায় এবং বেশিগুলো শক্তিশালী করে তোলে।
যার ফলে সামান্য কারণে কোমরের ব্যথা আর হয় না।
কোমর ব্যাথা সারানোর ঔষধ
কোমরের ব্যাথা সারানোর অনেকগুলো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে যা পেশাদার
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে ব্যথা অনেকটাই সেরে যায়। কোমরের ব্যথার
ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই কারণ চিহ্নিত করা দরকার। কেননা আনুমানিকের উপর
নির্ভর করে ব্যথায় ওষুধ খেলে ব্যাথা সারানোর পরিবর্তে আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা
সহ অন্যান্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর সে কারণে চিকিৎসা পরামর্শ অনুযায়ী কোমরের ব্যথার ওষুধ সেবন করতে পারেন
কোমরের ব্যাথা সারানোর জন্য ভালো ওষুধ হলো
- ন্যাপ্রক্সেন সোডিয়াম
- আইবুপ্রোফেন
কোমরের ব্যাথা সারানোর জন্য এই দুটি ঔষধ বেশ কার্যকরী। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে এই
ওষুধ সেবন করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে ওষুধের
মিথস্ক্রিয়ার ফলে শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়াও কোমরের ব্যাথা সারানোর
আরো কিছু ওষুধের নাম হল।
- Naspro (500mg) কোম্পানি পপুলার দাম ০৯ টাকা। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Diproxen (500mg) ড্রাগ কোম্পানি ০৭ টাকা মূল্য। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Naprox(500mg) স্কেপ কোম্পানি দাম ১১ টাকা । (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Ecless(500 mg) ইনসেপ্টা কোম্পানি ০৯ টাকা মূল্য। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Napro a (500mg) একমি কোম্পানি দাম ০৮ টাকা। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Napryn (500 mg) হেলথ কেয়ার কোম্পানি দাম ১১ টাকা। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Napro (500mg) এরিস্টো ফার্মা কোম্পানি ৭ টাকা। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Xenapro (500 mg) রেনেটা কোম্পানি দাম ৮ টাকা। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Nuprafen (500 mg) বেক্সিমকো কোম্পানি দাম ৮ টাকা। (প্রতি পিচ ট্যাবলেট)
- Sonap ( 500mg)
- Xenapro (500mg)
- Nuprafen (500mg)
- Diproxen (500mg)
- Sonap ( 500mg)
কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
কোমরের ব্যথা প্রয়াসের মানুষের হয়ে থাকে। অনেক সময় বার্ধক্য জনিত কারণে এই
ব্যথা কম বেশি হয়। আবার কোন কোন সময় কাজকর্ম করার জন্য এবং অতিরিক্ত পরিমাণে
হাঁটার কারণে কোমরের ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো কখনো শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও
কোমরের ব্যথা হয়ে থাকে। কবরে ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা সবথেকে ভালো।
আরো পড়ুন: পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ব্যথায় পরিমাণ অতিরিক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন জরুরী হয়ে
পড়ে। কবরের ব্যথা কমানোর যে ট্যাবলেট সবথেকে ভালো সেটা হচ্ছে ডাইক্লোপেনাক এবং
প্যারাসিটামল।
Esgipyrin 50 Mg/500 Mg Tablet
একটি নন-স্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ঔষধ যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের
ব্যথা কঠোরতা প্রদোহ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করে এই ওষুধটি মূলত বিভিন্ন আঘাতের কারণে
মস্তিষ্কের ব্যথা, রুমোটয়েড আর্থথ্রিটিস, বেদনাদায়ক মাসিক ট্র্যাশগুলি ,
অস্টিওআর্থারাইটিস, অ্যানিলাইজিং স্প্লন্ডাইলাইটিস এবং মাইগ্রাইন্স এর জন্য
ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই ওষুধটির অনেক ভাষা প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন মাঝেমধ্যে ডাইরিয়া হতে
পারে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, মাথাব্যথা হতে পারে, ওজন কমে যেতে
পারে, শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে
তাদের জন্য আরও বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যেমন চোখে ঝাপসা দেখতে
পারে, উল্টাপাল্টা দেখতে পারে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
যেভাবে মুখমন্ডল ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু বড় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
রয়েছে যেমন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত হতে পারে, পেটে আলসার হতে পারে,
রক্তচাপ বৃদ্ধি ইত্যাদি।
কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
কোমরের ব্যথার জন্য লিন্ডাক এবং শরীরের ক্যালসিয়াম ঘাটতি মেটানোর জন্য
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে পারেন।
ব্যাথা ভালো হওয়ার জন্য এর নাম হলো নিশো ৫০০/২০ এমজি
ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জন্য coralcal-D ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করার জন্য Radiant এর কোরাক্যাল-ডি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট।
কোমরের ব্যাখার জন্য anaflex,relaxo এবং ক্যাসিয়ামের জন্য ক্যালবোডি খূব ভাল
ট্যাবলেট
ক্যালসিয়াম এর জন্য সবচেয়ে ভাল ট্যাবলেট হচ্ছে
- sandocal-D
- calbon-D
- cora-D
- coralcal-D
- calvimax-D
- ক্যালসিয়ামের জন্য Ostocal-D
কোমরের ব্যথা কেন হয়
প্রতিটি মানুষের লিগামেন্ট রয়েছে শুতোর চিকন টিস্যু যা হার এবং জয়েন্ট অর্থাৎ
পায়ের গিরার মধ্যে দিয়ে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
শরীরের এসব অংশে পেশি ও লিগামেন্টে হঠাৎ করে আঘাত টান বা চাপ পড়লে কোমরে ব্যথা
হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষের মেরুদন্ড হাড় গুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু চাকতি বা ডিস্ক
রয়েছ।
আরো পড়ুন: দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়
এসব চাকরি বা ডিস্ক নড়ে গেলে পিঠ এবং কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। পাশাপাশি নিতম্ব
কোমর ও পায়ের ঝিমঝিম বা খসখস করা দুর্বল হওয়ার মত লক্ষণ দেখা দেয়। কখনো কখনো
কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। মানসিক চাপে পড়লেও এ ধরনের
ব্যথা হয়ে থাকে। এই কোমর ব্যথার বেশ কয়েকটি লক্ষণ হলে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হতে
পারে। যেমন
- নিতম্বের আশেপাশে অর্থাৎ পায়খানার রাস্তা চারপাশে অবশ হয়ে যাওয়া বা খোঁচা খোঁচা ব্যথা লাগা।
- প্রস্রাব এবং পায়খানা স্বাভাবিকভাবে ধরে রাখতে না পারা।
- প্রস্রাব করতে সমস্যা হওয়া কখনো কখনো প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- শরীরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- কখনো কখনো বুকে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা অনুভব করা।
- শরীরের ওজন হঠাৎ করে কমে যাওয়া।
- হঠাৎ করে জ্বর অনুভব হওয়া।
যে কাজগুলো করলে ব্যথা কমে যায় তা হল
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- ব্যথাযুক্ত স্থানেসেক দেওয়া।
- ব্যথা হওয়ার পর বিশ্রাম শেষে পুনরায় কাজে ফিরে যাওয়া।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করা।
- কোমরে মালিশ করা।
অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন
মাঝেমধ্যে কিছু কিছু সময় অল্প বয়সেই অনেক মানুষের মধ্যে কোমরের ব্যথা লক্ষ্য
করা যায়। এই ব্যথা আস্তে আস্তে পায়ের নিচের দিকে গিয়ে পা অনেকটা ঝিমঝিম এবং
অবশ ভাব করে তোলে। অনেকে এরকম ব্যথায় গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আস্তে আস্তে
ব্যথা বেড়ে যায়। যেসব কারণে অল্প বয়সেই কোমরের ব্যথা হয় তা হল।
- অনেক সময় ধরে একই জায়গায় একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকলে।
- বসার চেয়ার অর্থাৎ কম্পিউটার বা টেবিলে চেয়ার যদি সামনের দিকে ঝুলে থাকার মত হয় তাহলে কোমরের টান লেগে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
- ড্রাইভিং করার সময় ড্রাইভারের সিট যদি সামনের দিকে ঝুকে তাহলে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- দীর্ঘক্ষন সময় শুয়ে থেকে অথবা উপুর হয়ে বই পড়লে।
- ভারী কোন জিনিস তোলামেলা করলে।
- বেশি রাত জেগে মোবাইল দেখলে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ হলে।
- এছাড়াও অল্প বয়সে কিছু কিছু বদভ্যাস রয়েছে যা কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন রাত জেগে জেগে ওয়েস্টার্ন মুভি দেখলে।
যেসব উপসর্গ কোমর ব্যথায় কারণ হিসেবে গণ্য করা হয় তা হল
- অল্প হাটাহাটি করলেই হাত-পা লেগে যায় এবং শরীরে ক্লান্তি চলে আসে।
- কোমরের ব্যথা প্রথমে কম থাকলেও আস্তে আস্তে তা বৃদ্ধি হতে থাকে।
- আস্তে আস্তে ব্যথা কোমর থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
- শুয়ে থাকলে ব্যথা কিছুটা কম অনুভূত হওয়া।
- একটু কাজকর্ম করলে বা বেশি নড়াচড়া করলে খুব তাড়াতাড়ি কোমরের ব্যথা অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া।
- ঘুম থেকে ওঠার পর হাঁটতে অসুবিধা হওয়া।
- পা অবশ হয়ে আসা এবং ভারি ভারি ভাব হওয়া।
- কোমরের মাংসপেশীতে কামড়ানোর মত ভাব হওয়া।
ব্যথা কমানোর উপায়
- ব্যথার পরিমাণ তীব্র হলে চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন।
- ঠিকঠাক ভাবে বিশ্রাম নেবেন।
- ব্যথা যদি তিন দিনের অধিক সময় পর্যন্ত হয় তাহলে অবশ্যই ফিজিওথেরাপি স্ট এর সাহায্য নেবেন।
- যখন তখন ব্যথার ওষুধ খাবেন না।
- কোমরের ব্যথার কমানোর ব্যায়াম শিখে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
কোমর ব্যথার খাবার
কোমরের ব্যথা এটি একটি বেশ পরিচিত সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই অতিরিক্ত সময় এক
স্থানে বসে থাকার কারণে এ ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে। কর্মব্যস্ততার কারণে কাজ থেকে
উঠে একটু হাটাহাটি করতে না পারার কারণে ব্যথা বেশি হতে পারে। সেইসঙ্গে
পুষ্টিকর খাবারের অভাবে কোমরের ব্যথা হতে পারে। কোমরে ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য
নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি খাদ্যাভাস পরিবর্তন আনা জরুরী। যে খাবারগুলো কোমর
ব্যথা দূর করতে সহায়তা করবে তা হলো।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
সাধারণত সামুদ্রিক মাছ বাদাম চিয়া সীড ইত্যাদি এ ধরনের খাবারে ওমেগা ৩ ফ্যাটি
অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে লক্ষণীয়g তাই রান্নার কাজে সরিষার তেল এবং অলিভ অয়েল
দ্বারা রানা সম্পন্ন করুন।
প্রোটিনযুক্ত খাবার
যেগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে সেগুলো খাবার খেলে শরীরের
প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব দূর করে কোমরে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। মাছ,-মাংস,
ডিম, দুধ, দেশি মুরগির মাংস, পাতলা ডাল বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ইত্যাদি
প্রোটিনযুক্ত খাবার।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যুক্ত খাবার
কোমরের ব্যথা ছাড়াও যে কোন ধরনের ব্যাথার দূর করতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যুক্ত
খাবার খাবারের গুরুত্ব অত্যাধিক। বেশিরভাগ মসলাতে এ ধরনের ভিটামিন লক্ষ্য করা
যায়। যেমন গোলমরিচ,দারুচিনি কাঁচা হলুদ ইত্যাদি।
কাঁচা শাকসবজি
যে সকল শাকসবজি মাটির নিচে থেকে হয় শাকসবজি খেলে কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য
করে। যেমন ধরুন বিট, গাজর, মুলা, শালগম ইত্যাদি এ ধরনের শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে
এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি ফাইবারযুক্ত খাবার এগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে
রয়েছে। যেমন ধরুন পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলির মত সবজিতে এ ধরনের
ভিটামিন রয়েছে।
ফল
ব্যথা কমাতে প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা ফল খেতে পারেন। এ ফলের তালিকায় রয়েছে আপেল,
চেরি ফল, বেরি ফল, আনারস, লেবু জাতীয় ফল, আঙ্গুর ফল ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের একটি বদ অভ্যাস হলো অল্প ব্যথা হলেই ওষুধ সেবন করা। ব্যথার ওষুধ এর প্রচুর
পরিমানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সে কারণে ব্যথার ওষুধ তখনই খাবেন
যখন ব্যথা তীব্রতা অত্যাধিক হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ পাবেন। মনে রাখবেন ওষুধের
পার্শক্রিয়া থেকে থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ওষুধ সেবন করা
অত্যন্ত জরুরী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url