বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ করার নিয়ম - প্রতি রিচার্জে ক্যাশব্যাক অফার
প্রিয় পাঠক,বিকাশ থেকে
মোবাইল
রিচার্জ করার নিয়ম সম্পর্কে কি আপনার অজানা? আপনি কি এটা জানেন না বিকাশ
একাউন্ট
খোলার নিয়ম? প্রতি রিচার্জে ক্যাশব্যাক অফার কত? তাহলে এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য। বিকাশ থেকে
মোবাইল
রিচার্জ এবং একাউন্ট খোলা থেকে যাবতীয় বিষয়েরসুষ্ঠ সমাধান পাওয়ার জন্য এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি আরো জানতে পারবেন বিকাশ একাউন্ট কিভাবে বন্ধ করতে হয় কিভাবে
বিকাশ
একাউন্টের
পিন নাম্বার চেঞ্জ করতে হয়, বিকাশ
একাউন্টের
পিন নাম্বার ভুলে গেলে করণীয় কি ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান
বাংলাদেশ
টাকা আদান প্রদানের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল বিকাশ।
বিকাশের
মাধ্যমে খুব সহজেই দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়।
এছাড়াও এই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনে
মোবাইল
রিচার্জ করতে পারবেন। তাই বিকাশ একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে
মোবাইল রিচার্জ
করা পর্যন্ত সম্পূর্ণ আলোচনা করা হলো
বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ করার নিয়ম
টাকা পাঠানো ছাড়াও বিকাশ মানুষের কাছে জনপ্রিয় কারণ হচ্ছে
বিকাশ একাউন্ট
থেকে খুব সহজে মোবাইল রিচার্জ করা যায়। দুটি উপায় অবলম্বন করা মাধ্যমে আপনি
বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।
ডায়াল কোড ব্যবহার করে বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ:
কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে আপনি বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।
প্রথম ধাপ: আপনার মোবাইল ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে ডায়াল করুন *২৪৭#
। ডায়াল করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে বিকাশ একাউন্টের মূল মেনুতে নিয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ: দ্বিতীয় ধাপে বেশ কয়েকটি অপশন প্রদর্শিত হবে। অপশন
গুলোর মধ্য থেকে তিন নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ নামে অপশনটি দেখতে
পাবেন।মোবাইল রিচার্জ এর জন্য তিন সিলেক্ট করুন পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান/সেম বাটন চাপুন।
তৃতীয় ধাপ: তৃতীয় ধাপে আপনি কোন ধরনের মোবাইল অপারেটর এ রিচার্জ
করতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে। বাংলাদেশের সব ধরনের মোবাইল অপারেটর এখানে শো
হবে। তার মধ্য থেকে আপনার পছন্দমত মোবাইল অপারেটর
বাছাই করুন। উদাহরণস্বরূপ রবি রিচার্জ করার জন্য এক চাপুন এবং
পরবর্তী ধাপে/সেন্ট বাটনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ: মোবাইল রিচার্জে আপনি প্রিপেইড নাকি পোস্টপেইড সিমে
রিচার্জ করতে চান সেটা নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি অটো রিচার্জ করতে চান
তাহলে অটো রিচার্জ সিলেক্ট করুন। আপনি যদি আপনার সিমের বিশেষ কোনো অফার
জানার পরে রিচার্জ করতে চান তাহলে বেস্ট অফার সিলেক্ট করুন।
আরো পড়ুন: আসল ভিটমেট ডাউনলোড করব কিভাবে
ইন্টারনেট প্যাক কিনতে চান তাহলে অবশ্যই ইন্টারনেট প্যাক সিলেক্ট করতে হবে
এছাড়াও ভয়েস প্যাক কিনতে চাইলে ভয়েস প্যাক বান্ডেল প্যাক কিনতে চলে বান্ডেল
প্যাক সিলেক্ট করতে হবে। আমরা সবাই যেহেতু প্রিপেইড সিম ব্যবহার করি তাই এক
টাইপ করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
পঞ্চম ধাপ: পঞ্চম ধাপে মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করুন।
ষষ্ঠ ধাপে: রিচার্জ এর পরিমাণ উল্লেখ করুন।
সপ্তম ধাপে: পিন নাম্বার প্রদান করুন এবংআপনার মোবাইল রিচার্জ
সম্পন্ন করুন।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করার ফলে এবং আপনার প্রধান কৃত তথ্য যেমন পিন নাম্বার এবং
একাউন্টে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকে তাহলে আপনার মোবাইল রিচার্জ সম্পন্ন
হবে। মোবাইল রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইলে মোবাইলে সফল
হয়েছে এরকম একটি ইনফরমেশন মেসেজ আসবে।
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল রিচার্জ
আপনি যদি খুব সহজে এবং কম সময়ে মোবাইল রিচার্জ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার
মোবাইল ফোনে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। এরপর কয়েক পদ্ধতি
অনুসরণ করে আপনি মোবাইল রিচার্জ খুব সহজেই করতে পারবেন।
- প্রথমে আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ এ পিন নাম্বার দিয়ে লগইন করুন।
- লগইন সফল হলে আপনাকে বিকাশের হোম পেজে নিয়ে যাবে।
- হোম পেজে কয়েকটি অপশন যেমন সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট, অ্যাড মানি ছাড়াও আরো অন্যান্য অপশন প্রদর্শিত হবে।
- এখান থেকে আপনি মোবাইল রিচার্জ সিলেক্ট করুন।
- এরপর যে অপারেটর রিচার্জ করতে চান সেটি নির্বাচন করুন।
- কত টাকা নিয়ে কত টাকা রিচার্জ করতে চান টাকার পরিমান লিখুন।
- কোন মোবাইল নাম্বারে রিচার্জ করতে চান সেই নাম্বারটি টাইপ করুন।
- সর্বশেষ পিন নাম্বার দিয়ে ট্যাপ করে ধরে রাখুন।
- ট্যাপ করে ধরে থাকার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার মোবাইল রিচার্জ সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং আপনি বিকাশ অ্যাপ থেকে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন।
(পরামর্শ: মোবাইল রিচার্জ করার পর অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক
করে নিবনে।)
নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা লাগবে
ডিজিটাল বাংলাদেশ টাকা লেনদেন ছাড়াও সরকারি পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিকাশ
একাউন্টটি ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন ভুমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই
পাসপোর্ট এর টাকা প্রদান, বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফিস
প্রদান, ভোটার আইডি সংশোধনের জন্য আবেদন ফি পেমেন্ট করার জন্য বিকাশ
একাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়।
তাই বর্তমানে পেমেন্ট সংক্রান্ত এবং টাকা লেনদেনের সুবিধা গ্রহণের জন্য
বিকাশ একাউন্ট থাকা খুবই জরুরী। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা লাগবে তা
হল।
- ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি।
- স্মার্ট মোবাইল ফোন
- যে ব্যক্তির ভোটার আইডি ব্যবহার করে একাউন্ট খুলবেন তাকে অবশ্যই স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
এছাড়াও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসে খুব সহজেই নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন
এর জন্য যা লাগবে তা হল:
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার
- অ্যাট স্মার্টফোন
- ইন্টারনেট কানেকশন
- ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি
- যে ব্যক্তির আইডি দিয়ে একাউন্ট করবেন সেই ব্যক্তি
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি ইচ্ছা করলে ঘরে বসে খুব সহজেই নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। বর্তমান
বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটর রয়েছে। যেমন গ্রামীণফোন, টেলিটক, রবি,
বাংলালিংক, এয়ারটেল। যে কোন অপারেটর বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে খুব সহজে। ঘরে
বসেই বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম।
- প্রথমে প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন।
- এরপর লগইন/রেজিস্টার এ ক্লিক করুন।
- আপনি যে মোবাইল অপারেটরে একাউন্ট করতে চান সেটি নির্বাচন করুন এবং মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করুন।
- এরপর পরবর্তী ধাপে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশন কোডটি প্রদান করে পরবর্তী থাকে ক্লিক করুন।
- এরপর বিকাশে কিছু টার্মস এবং কন্ডিশন আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। শর্তগুলি ভালোভাবে পড়ে পরবর্তী তাপে এগিয়ে যান।
- তারপর যে ভোটার আইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট করতে চাচ্ছেন সেই ভোটার আইডির সামনে অংশ এবং পেছনের অং অংশের ছবি সমান্তরাল ভাবে পরিষ্কার ছবি তুলুন।
- পরবর্তীতে ক্লিক করলে ভোটার আইডির সকল তথ্য প্রদর্শিত হবে আপনি সকল তথ্য যাচাই করে পরবর্তী ধাপে ক্লিক করুন।
- এরপর পরবর্তীতে থাকে ক্লিক করলে আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে সেখানে যার ভোটার আইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তার ছবি তুলে নিন।
- ছবি তোলা হলে তখন সকল তথ্য দেখে নিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
সাবমিট করা হয়ে গেলে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যে নাম্বারটি ব্যবহার করেছেন সেই
নাম্বারে কনফার্মেশন একটি এসএমএস প্রদান করা হবে। কনফার্মেশন এসএমএস আসতে ৪৮
ঘন্টা সময় লাগতে পারে আবার খুব তাড়াতাড়ি ও আসতে পারে।
আরো পড়ুন:
রবি সিমের অফার সম্পর্কে
কনফার্মেশন এসএমএস এ আপনাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি পিন সেট করতে বলা হবে। বিকাশ
অ্যাপ এ এসে পিন সেভ করুন বাটনে ক্লিক করে ৫ সংখ্যার একটি পিন নাম্বার প্রদান
করুন। মনে রাখবেন পিন নাম্বারটি যেন পর্যায়ক্রমিক সংখ্যা না হয়। একটু
সংখ্যাগুলো উল্টাপাল্টা করে যেমন: ৩৫২৮৭ এরকম পিন নাম্বার ব্যবহার করবেন।
এরপর বিকাশ অ্যাপ এ এসে আপনার একাউন্টটি লগইন করুন।আপনি যে পিন নাম্বারটি প্রদান
করবেন সেটি অবশ্যই গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। যাতে আপনি বিকাশ প্রতারকের হাত থেকে
রক্ষা পান।
বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে কেওয়াইসি এর মাধ্যমে একাউন্ট
আপনার নিকটবর্তী যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে কেউ আপনি খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট
খুলতে পারবেন। এর জন্য যা লাগবে তা হল:
- ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি
- মোবাইল ফোন
- যার আইডিটি ব্যবহার করবেন তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে
পদ্ধতি সমূহ:
- প্রথমে এজেন্ট আপনার মোবাইল ফোনে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য অপারেটর আনুষ্ঠানিক ভাবে একাউন্ট খোলার পারমিশন নিবেন।
- এরপর তার মোবাইলে একটি রেফারেন্স নাম্বার পাঠানো হবে সেটি প্রদান করুন।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সামনে এবং পিছনের অংশের ছবি তোলার জন্য দিন।
- এরপর ই কেওয়াইসি এন্ট্রি করার জন্য আপনার ছবি নেওয়া হবে।
- এরপর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইল ফোনে একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন।
- আপনার মোবাইলে বিকাশ পিন সেট করার জন্য ডায়াল করুন *২৪৭#
- একটিভ মেনু গিয়ে ৫ ডিজিটাল মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করুন।
- এরপর আবার কনফার্ম পিন নাম্বার দিন।
অ্যাকাউন্ট খোলার সব ধাপ শেষ হলে আপনার মোবাইল নাম্বার একটি বিকাশ একাউন্ট হিসেবে
গণ্য করা হবে। এখন এরপর আপনি প্রাথমিকভাবে আপনার মোবাইলে ক্যাশ ইন অ্যাড মানি
মোবাইল রিসার্চ করতে পারবেন। তবে জন্য কেওয়াইসি ফর্ম এর তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুই
থেকে চার দিন লাগতে পারে এরপর ক্যাশ আউট পেমেন্ট সব অপশন গুলো পেয়ে যাবেন।
বিকাশে একাউন্টে টাকা দেখার নিয়ম
বিকাশ একাউন্টে দুটি নিয়মে টাকা দেখতে পারবেন। ডায়াল করার মাধ্যমে আরেকটি হল
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে।
ডায়াল করার মাধ্যমে
প্রথমে বিকাশ ডায়াল কোড *২৪৭# ডায়াল করুন।
এরপর মাই বিকাশ যত নাম্বার আছে সেই নাম্বারটি টাইপ করে সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন
পরবর্তী ধাপে চেক ব্যালেন্স নামে ১ নম্বর অপশনে ১ টাইপ করুন।
এরপর পিন নম্বরটি প্রদান করুন।
করলে আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে পাবেন।
বিকাশ এ্যাপ ব্যাবহার করে ব্যালেন্স চেক
আপনার বিকাশ অ্যাপ এ গিয়ে আপনার পিন নাম্বারটি দিয়ে লগইন করুন
এরপর প্রথমে ব্যালেন্স দেখুন অপশন দেখতে পাবেন সেখান থেকে ট্যাপ করে ২ সেকেন্ডের
মত ধরে রাখার পর ছেড়ে দিলেই আপনার বিকাশের একাউন্টের ব্যালেন্সটি দেখতে পাবেন।
ছবি।
বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার
বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করার সময় অনেক সময় আপনারা বিভিন্ন রকমের সমস্যার
সম্মুখীন হতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করা
জরুরী হয়ে পড়ে। আপনি ঘরে বসেই বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে ডায়াল করতে হবে ১৬২৪৭ এবং০২-৫৫৬৬৩০০১।
এছাড়াও যে কোন প্রয়োজনে আপনি ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। ইমেইল
এড্রেসটি হলsupport@bkash.com.
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা অফিসেও বিকাশের পার্সোনাল সেবা কেন্দ্র রয়েছে। আপনি
চাইলে সরাসরি সেখানে গিয়েও সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
বিকাশ ব্যবহারকারীদের প্রতারক চক্রের হাত থেকে বাঁচার উপায়
আপনি অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করে এবং আপনার রেজিস্ট্রেশন কৃত মোবাইল নাম্বারে
বিকাশ একাউন্ট খুলবেন যাতে পরবর্তীতে মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে
বিকাশ একাউন্ট ফিরে পেতে একাউন্ট মালিকানা যাচাই করতে সুবিধা হয়।
- বিকাশে ব্যবহৃত পিন নাম্বার, সিকিউরিটি কোড, ওটিপি কোড সবসময় গোপন রাখার চেষ্টা করুন।
- বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো এবং উত্তোলন করার সময় প্রয়োজন তথ্য যাচাই করব প্রদান করুন।
- বিকাশ এজেন্টের কাছে ক্যাশ আউট করার জন্য সব সময় ক্যাশ আউট ফর্ম এজেন্ট এই অপশনটির মাধ্যমে ক্যাশ আউট করুন।
- প্রত্যেক বার টাকা পাঠানো এবং টাকা উঠানোর পর আপনার ব্যালেন্স চেক করুন।
- মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে দ্রুত হেল্পলাইনে জানিয়ে রাখুন।
- আপনার একাউন্টের পিন নাম্বার সিকিউরিটি কোড কোথাও লিখে রাখবেন না বা অন্য কাউকে জানাবেন না।
- বড় ধরনের পুরস্কার জেতা লটারি জেতা এ ধরনের কল থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে আপনি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
- আপনার পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেবেন না।
(পরামর্শ: একটা বিষয় মনে রাখবেন বিকাশ কখনোই আপনার পিন নাম্বার বা সিকিউরিটি কোড
জানতে চাইবে না)
বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ
দেশের যেকোনো প্রান্তে এজেন্টের মাধ্যমে আপনি ক্যাশ আউট করতে পারেন খুবই
নিশ্চিন্তে। যাদের অ্যাপ আছে অ্যাপ ব্যবহার করে ক্লিক করে এজেন্ট নাম্বার প্রদান
করে পিন নাম্বার প্রদান করলেন ক্যাশ আউট সম্পন্ন হবে। ডায়াল কোড করে প্রয়োজনে
নির্দেশনা অনুসরণ করে ক্যাশ আউট করতে পারেন। ক্যাশ আউট চার্জ প্রতি হাজারে ১৮.৫০
টাকা।
বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড অফার
বিভিন্ন সময় কোম্পানি বিভিন্ন অফার প্রদান করে থাকে। বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে
ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি বেশ কয়েকটি অফার পাবেন।
- বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সঙ্গে সঙ্গে ২৫ টাকা বোনাস পেয়ে যাবেন।
- প্রথমবার বিকাশ অ্যাপ থেকে মোবাইল রিচার্জ করলে ২৫ টাকা বোনাস পাবেন।
- দুমাস পর্যন্ত টেবিল এডমানি, মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানি, কোন সার্চ ছাড়াই করতে পারবেন এবং ৭৫ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাবেন।
কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বিকাশে
বর্তমান তরুণরা মোবাইল গেমে খুবই আসক্ত। কিন্তু অনেকেই জানে না মোবাইলে গেম খেলার
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এবং তার বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টটি গ্রহণ করতে
পারবেন। সাধারণত অনলাইনে বিগ গেম গুলো বিশেষ করে, কেরাম, লুডু এ ধরনের খেলায়
অংশগ্রহণ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি থাকছে অনলাইন কিছু গেম পাগ ফ্রী
ফায়ার।
আরো পড়ুন:
এই গেমগুলো খেলার মাধ্যমে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে এবং এই টাকা বিকাশের
মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এছাড়াও গেম খেলে টাকা ইনকাম করার বেশ কয়েকটি
অ্যাপস রয়েছে যেগুলো প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে খুব সহজেই গেমগুলো
খেলতে পারবেন এবং টাকা ইনকাম করতে পারবেন অ্যাপগুলো হলো
- Money Bingo Clash
- WinZo app
- Dream 11
- Money Bingo Clash
- Hago
- MPL – India’s Biggest Gaming App
- 1xbit
- WHAFF Rewards
- স্কোয়াট মোবাইল গেমিং অ্যাপস
মন্তব্য
বিকাশ একাউন্টে টাকা লেনদেন করা খুব সহজ। বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে মানুষ খুব
সহজেই এবং জরুরী প্রয়োজনে টাকা লেনদেন করতে পারে। কিন্তু অনেকে আবার অনেক
প্রতারণার স্বীকারও হচ্ছে। সে কারণে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করার সময় সব
ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আরো অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে
ওয়েবসাইট ফলো করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url