ই পাসপোর্ট চেক করার ০২টি নিয়ম - ই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা

আপনি ই-পাসপোর্ট করবেন ভাবছেন কিন্তু ২০২৪ সালে অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক করার ০২টি নিয়ম ই- পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি কত জানেনা? আপনি যদি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে সম্পূর্ন জানতে চান তাহলে মূলত এই পোষ্টটি আপনার জন্য। কারন এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট চেক করার ০২টি নিয়ম
এই পোষ্টটি পড়ে আপনি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে, কত দিনে আপনি পাসপোর্ট হাতে পাবেন এবং কিভাবে আপনি পাসপোর্ট চেক করবেন এসকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই পোষ্টে।

পেজ ‍সূচীপত্রঃ ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট আবেদন চালু করেছে। এরই মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এ পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই পাসপোর্ট এর আবেদন যে কেউ ঘরে বসেই করতে পারে। পাসপোর্ট এর আবেদন করতে কি ডকুমেন্ট লাগবে, আবেদনের কতদিন পরেপাসপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে, ই পাসপোর্ট এর আবেদন ফি কত ইত্যাদি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
ই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট এর আবেদন করার পর আপনি যদি আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা যাচাই করতে চান তাহলে তা খুব সহজেই করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক অপশনে গিয়ে এক মিনিটের মধ্যেই আপনি আপনার পাসপোর্ট এর আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাসপোর্ট আবেদনের বর্তমান অবস্থা, পাসপোর্ট রিনিউ স্ট্যাটাস এবং ই পাসপোর্ট এর প্রিন্ট স্ট্যাটাস ও

কবে নাগাদ পাসপোর্ট হাতে পাবেন এই বিষয়গুলো জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট চেক করতে হবে। কি পাসপোর্ট চেক করার জন্য আপনি এই পাসপোর্ট এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর application application status এ ক্লিক করে আপনার ই পাসপোর্ট এর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আইডি অথবা পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে পাসপোর্ট এর অবস্থা চেক করতে পারবেন। 
আপনি যদি অনলাইন কাজে অভিজ্ঞ না হন তাহলে যেকোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে অথবা যারা কম্পিউটারে অনলাইনে কাজ করে থাকে তাদের কাছে আপনার ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে গেলেই পাসপোর্ট চেক করে নিতে পারবেন।

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট এর আবেদন চেক করতে পারবেন। পদ্ধতি দুটি হল
  • অনলাইনের মাধ্যমে
  • মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে

ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য কি লাগবে 

ই পাসপোর্ট এর আবেদন অনলাইনে করার শেষ হলে আপনি একটি আবেদন নাম্বার পেয়ে যাবেন। আবেদনপত্র যখন পাসপোর্ট অফিসে জমা দিবেন সেখান থেকে আপনাকে রেফারেন্স নাম্বার সহ একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করা হবে। এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ পাসপোর্ট এর আবেদন চেক করার জন্য প্রয়োজন হবে। সহজ ভাবে বলতে গেলে যা যা লাগবে তা হল।
  • অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি/রেফারেন্স নাম্বার
  • এপ্লিকেশন আইডি
  • জন্ম তারিখ(দিন মাস বছর উল্লেখপূর্বক)
ওপরে উল্লেখিত এই তিনটি তথ্য দিয়ে আপনি আপনার পাসপোর্ট খুব সহজেই চেক করতে পারবেন। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এপ্লিকেশন আইডি কোথায় পাবো? পাসপোর্ট এর আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে যে ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করা হবে উক্ত স্লীপের বাম পাশে এবং ডান পাশে একটি ইউনিক নাম্বার রয়েছে যাকে অ্যাপ্লিকেশন আইডি বলা হয়। 

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে নিচে একটি ডেলিভারি স্লিপ এর ছবি এবং আইডি নাম্বার লাল কালি দ্বারা চিহ্নিত করে দেওয়া হল।

অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

অনলাইনে এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে ই পাসপোর্ট ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে। কি পাসপোর্ট এর ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ লিংক হচ্ছে https://www.epassport.gov.bd/landing এই লিংকে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন। পোর্টাল প্রবেশ করার পর স্ট্যাটাস চেক পেজটি ভিজিট করুন।

ল্যান্ডিং পেজ থেকে সরাসরি চেক স্ট্যাটাস পেজে প্রবেশ করার লিংক হচ্ছে https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status। সরাসরি স্ট্যাটাস চেক অপশনে প্রবেশ করতে Status Check এ ক্লিক করুন। চেস্ট্যাটাস অপশনে প্রবেশ করার সাথে সাথে আপনি নিচের প্রদর্শিত চকের মত একটি পেজ ওপেন হবে।

  • অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আইডি এর ঘরে আইডি নাম্বার অথবা ডেলিভারি স্লিপের অ্যাপ্লিকেশন আইডি নাম্বার অর্থাৎ রেফারেন্স নাম্বার টাইপ করুন।
  • এরপর ই পাসপোর্ট এর আবেদনকারীর জন্ম তারিখ প্রদান করুন।
  • নিচে একটি বক্স দেখতে পাবেন পাশে লিখা থাকবে i am not a robot। বক্সটি ফিলাপ করুন।
সর্বশেষে চেক বাটনে ক্লিক করলেই আপনার পাসপোর্টের আবেদনের স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে।

অফলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে মোবাইল এসএমএস এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই আপনার ই-পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনার মোবাইল এ মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে START স্পেস EPP স্পেস এপলিকেশন আইডি লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬৪৪৫ নম্বরে। উদাহরণস্বর: SRART EPP 1234-56782563.
আপনার পাসপোর্ট কি অবস্থায় আছে তা ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও আপনি ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে চেক স্ট্যাটাস এ গিয়ে ও আপনি অনলাইনেই আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। আশা করছি ই পাসপোর্ট এর আবেদনের চেক সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন।

ই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা

পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে ডেলিভারি স্লিপে পাসপোর্ট ডেলিভারির সময় উল্লেখ থাকে। কিন্তু উক্ত সময় আসার পরেও অনেকেই পাসপোর্ট হাতে পায় না। এজন্যই এজন্য অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন। যারা পাসপোর্টের নতুন অথবা পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন করার পরে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন, ফিঙ্গার দিয়েছেন, এবং বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করেছেন।
তারা অতি সহজেই পাসপোর্ট এর আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি অনলাইন এবং অফলাইন এ দুটি উপায়ে আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

অনলাইনের মাধ্যমে
এর জন্য আপনি পাসপোর্ট এর পোর্টাল প্রবেশ করে চেক স্ট্যাটাস অপশনটিতে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন আইডি নাম্বার/রেফারেন্স নাম্বার, জন্ম তারিখ, হিউম্যান রোবট টিক চিহ্ন দিয়ে চেক বাটনে ক্লিক করলেই আপনার এই পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

অফলাইনের মাধ্যমে
আপনি সরাসরি পাসপোর্ট এর আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে অথবা মোবাইলে এসএমএস করার মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন START স্পেস EPP স্পেস Application ID এবং সেন্ড করুন 16445 নাম্বারে ফিরতে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।

ই পাসপোর্ট কি

ই পাসপোর্ট হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এছাড়ও ই পাসপোর্টকে বলা হয় বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। আর একটু সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায়,  ই পাসপোর্ট এমন একটি পাসপোর্ট যার জন্য ই-পাসপোর্টধারীকে আলাদা করে কোন ধরনের আইডি বা অন্যান্য কাগজপত্রাদি বহন করতে হবে না। কারন ই-পাসপোর্টে একটি ইলেকন্ট্রিনিক্স ডিভাইস যুক্ত করা থাকবে এবং সেখানেই ভ্রমনকারীর যাবতীয় তথ্য বিদ্যমান থাকবে।
ই পাসপোর্ট কি
এই পাসপোর্টের বিষেশ সুবিধা হলো ই-গেটের মাধ্যমে কোন ভ্রমনকারী খুব দ্রুত ভ্রমন করতে অর্থাৎ পারাপার হতে পারবে। এর জন্য বিমান বন্দরে আলাদা করে লাইনে দাড়াতে হবে না। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে। যখন কোন ভ্রমনকারী তার পাসপোর্ট নিয়ে ই-গেটের সামনে দাড়াবে ক্যামেরা অটোমেটিক ভ্রমনকারীরর ছবি এবং হাতের ছাপ নিয়ে নেবে।

১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি

দক্ষিন এশিয়ার ১১৯ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পৌছে গিয়েছে ই-পাসপোর্ট এর যুগে। বর্তমানে যে কোন গুরুত্বপূর্ন কাজে লোকজন দেশের বাহিরের যাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। আর সে জন্য জেনে রাখা দরকার কিভাবে ই-পাসপোর্ট করতে হয়, কত টাকা লাগে, কত সময় লাগে এবং কিভাবে আপনি পাসপোর্ট ডেলিভারি পাবেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। আর্টিকেলের এ পর্যায়ে ই পাসপোর্ট এর আবেদন ফ্রি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে এবং সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হয়। কোন ক্যাটাগরি কত টাকা ফি তা নিন্মে উল্লেখ করা হল

৪৮ পেজের পাসপোর্ট ৫ বছরের মেয়াদে ফি ও বিতরনের ধরন
  • সাধারন পাসপোর্ট ডেলিভারি ২১ দিনে, টাকার পরিমান ৪০২৫ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ১০ দিনে, টাকার পরিমান ৬৩২৫ টাকা।
  • অত্যান্ত জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ০২ দিনে, টাকার পরিমান ৮৬২৫ টাকা।
৪৮ পেজের পাসপোর্ট ১০ বছরের মেয়াদে ফি ও বিতরনের ধরন
  • সাধারন পাসপোর্ট ডেলিভারি ২১ দিনে, টাকার পরিমান ৫৭৫০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ১০ দিনে, টাকার পরিমান ৮০৫০ টাকা।
  • অত্যান্ত জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ০২ দিনে, টাকার পরিমান ১০,৩৫০ টাকা।
৬৪ পেজের পাসপোর্ট ৫ বছরের মেয়াদে ফি ও বিতরনের ধরন
  • সাধারন পাসপোর্ট ডেলিভারি ২১ দিনে, টাকার পরিমান ৬৩২৫ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ১০ দিনে, টাকার পরিমান ৮৬২৫ টাকা।
  • অত্যান্ত জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ০২ দিনে, টাকার পরিমান ১২,০৭৫ টাকা।
৬৪ পেজের পাসপোর্ট ১০ বছরের মেয়াদে ফি ও বিতরনের ধরন
  • সাধারন পাসপোর্ট ডেলিভারি ২১ দিনে, টাকার পরিমান ৮০৫০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ১০ দিনে, টাকার পরিমান ১০,৩৫০ টাকা।
  • অত্যান্ত জরুরি পাসপোর্ট ডেলিভারি ০২ দিনে, টাকার পরিমান ১৩,৮০০ টাকা

যে ব্যাংকে ই-পাসপোর্ট টাকা জমা দেবেন

আগে কার সময় ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট হতো এত লোকজান অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হতে হত। বর্তমানে ই- পাসপোর্ট ১০ বছর মেয়াদে করলে অনেক সুবিধা হয়েছে তবে আপনি ইচ্ছে করলে এখনো ০৫ বছরের মেয়াদে পাসপোর্ট করতে পারবেন। খুব স্বল্প খরচে আপনি ১০ বছর মেয়াদে ই-পাসপোর্ট করতে পারবেন।
১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর ফি হল ৫৭৫০ টাকা যা ৫ বছরের খরচের তুলনায় অনেক কম। এই টাকা আপনি ই-চালানের মাধ্যমে, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ ৫ টি ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেওয়া হয়। দুটি উপায় অবলম্বন করে আপনি ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
  • অনলাইন এর মাধ্যমে
  • অফলাইনের মাধ্যমে
অফলাইনের মাধ্যমে
অফলাইনের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হলে আপনাকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা করে জমা রশিদ আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে হয়তোবা পাসপোর্ট যত টাকা তার থেকে একটু বেশি টাকা লাগতে পারে কেননা ব্যাংকে আবেদনের টাকা জমা দেওয়ার জন্য চার্জ প্রযোজ্য হবে। পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি ই-পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
০৫ টি ব্যাংকের নাম হল
অনলাইনের মাধ্যমে
অনলাইনে ekpay এর মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন। পেমেট অপশন গ্রলো হল:
  1. bKash
  2. Upay
  3. Dmoney,
  4. Bank Asia
  5. OK Wallet
  6. Nagad
  7. Rocket
  8. UCB
  9. City Bank
  10. DBBL
  11. AB Bank
  12. MBL Rainbow
  13. EBL
  14. Brack Bank
  15. American Express
  16. Midland Bank
  17. Master Card
  18. VISA Card
অনলাইনে পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে এখানে ক্লিক করুন  
https://ibas.finance.gov.bd/acs/general/sales#/home/dashboard প্রবেশ করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে পারবেন।
চারটি পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে আপনি পাসপোর্ট এর পিক প্রদান করতে পারবেন
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অতি সহজেই পাসপোর্ট এর ফি প্রদান করতে পারবেন। যেমন
২. ইন্টারনেট ব্যাংকিং
যেসব ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন সেসব
  1. AB Bank
  2. Agrani Bank Limited
  3. Bangladesh Commerce Bank Limited (BCB)
  4. BDBL Limited
  5. Bank Asia
  6. Brac Bank
  7. Community Bank
  8. Dutch-Bangla Bank
  9. Eastern Bank Ltd
  10. Islami Bank Ltd
  11. Midland Bank Ltd
  12. Modhumoti Bank Ltd
  13. Mutual Trust Bank Ltd
  14. National Bank Limited
  15. NRB Bank Limited
  16. NRB Commercail Bank Ltd
  17. One Bank Ltd
  18. Prime Bank Ltd
  19. Sonali Bank Ltd
  20. Southeast Bank Ltd
  21. Premier Bank
  22. Trust Bank Ltd
৩. Card Payment System
  • Visa
  • Master Card
  • American Express
  • Nexus Pay
৪. ব্যাংক কাউন্টারে জমা (যদি থাকে)

টাকা জমা দেওয়ার সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইনে এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর ফি প্রদান করার বিশেষ সুবিধা হল আপনাকে এক্সট্রা করে আর ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অনলাইনে টাকা জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সঙ্গে নিয়ে সরাসরি আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট এর আবেদনটি জমা দিতে পারবেন।

আবেদন করার সময় পেমেন্ট অপশনে গিয়ে অনলাইন পেমেন্ট অপশনটি সিলেক্ট করলে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, এক পে এর মাধ্যমে কি পাসপোর্ট প্রদান করতে পারবেন। আমি আপনাদের সাজেস্ট করব মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ই পাসপোর্টের টাকা প্রদান করতে।

এর জন্য আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্টে অথবা নিকটস্থ কারো বিকাশ একাউন্টে ই-পাসপোর্ট এর আবেদন ফি অর্থাৎ আপনি কি ধরনের পাসপোর্ট এর আবেদন করতে চাচ্ছেন এবং তার জন্য যত টাকা প্রয়োজন সে পরিমান টাকা আপনার বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট যেকোনো একটিতে প্রবেশ করান।
আবেদনের এক পর্যায়ে অনলাইন পেমেন্ট অপশন এবং অফলাইন পেমেন্ট অপশন পাবেন। সেখান থেকে অনলাইন পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করুন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অপশনটি সিলেক্ট করে আপনি যে মোবাইল ব্যাংকিং-এর দ্বারা টাকা পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। এরপর আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার প্রবেশ প্রদান করুন।

আপনার মোবাইলে প্রেরিত ৬ সংখ্যার ওটিপি কোড প্রদান করুন। সর্বশেষ পিন নাম্বার দিয়ে সাবমিট দিলে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইলে পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার মেসেজটি প্রদর্শিত হবে।
পেমেন্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে এবং পেমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন। 
https://www.epassport.gov.bd/instructions/passport-fees

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

আগের পাসপোর্ট-এ ছবি ও আবেদন ফর্মে সত্যায়িত করা অনেক জামেলা থাকলে ও বর্তমানে ই-পাসপোর্টে থাকছে না এসব জামেলা। কিছু সাধারন কাগজ পত্রাদির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পাবেন। যে সকল কাগজ পত্র লাগবে তা হল
  • যদি আপনার আগে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে পূূর্বের পাসপোর্ট কপি।
  • ভোটার আইডি কাডের ফটোকিপি।
  • অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জন্ম নিবন্ধন ।
  • ভোটার আইডি কার্ড  A4 কাগজে হতে হবে।
  • জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই ইংরেজি ভার্সন থাকতে হবে।
  • পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ড-এর ফটোকপি A4 কাগজে হতে হবে।
  • স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/মেয়র/সিটি কর্পোরেশন এর কাছ থেকে নাগরিক সনদ পত্র।
  • বিবাহিত আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রী ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপ।
  • পাসওয়ার্ড জানা আছে এরকম একটি ইমেইল নাম্বার।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।

ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া 

আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদন। আবেদন করা জন্য যে কাজ কাগজ পত্র প্রয়োজন তা হল, ভোটার আইডি, পিতা ও মাতার ভোটার আইডি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে জন্ম নিবন্ধন। আবেদন প্রক্রিয়া পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করার পর আবেদনটি সম্পন্ন হবে।

১ম ধাপ: নতুন ই-পাসপোর্ট আপনার এলাকায় ইতিমধ্যে চালু আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। চেক করতে এখানে ক্লিক করুন https://www.epassport.gov.bd/landing/notices/33

২য় ধাপ: আপনার ই-পাসপোর্টের আবেদন ফরম অনলাইনে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।

৩য় ধাপ: আপনার পাসপোর্টে এর ফি প্রদান করুন।

৪র্থ ধাপ: আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যান বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির জন্য ।

৫ম ধাপ: সকল পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

আবেদন ফরম পূরন প্রক্রিয়া:
  • প্রথমে আপনাকে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • আপনি যে উপজেলা ও কোন পাসপোর্টের এরিয়া আওতায় আবেদন করবেন সেটি নির্বাচন করতে হবে।
  • আপনার জি-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
  • উক্ত ওয়েব সাইটের ঢুকে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • আপনি কোন ধরনে পাসপোর্ট করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে।
  • আবেদন ফর্মে আপনার প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য, মোবাইল নম্বর, নাগরিকত্ব তথ্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরন করতে হবে।
  • আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য পূরন করতে হবে।
  • আবেদনকারীর পূর্বের পাসপোর্ট আছে কিনা সেটা পূরন করুন। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য প্রদান করুন। অন্য দেধে পাসপোর্ট করা থাকেল তার তথ্য প্রদান করুন। তারপর আপনার ভোটার আইডি নম্বর দিন।
  • পিতা ও মাতা নাম, পেশা, জাতীয়তা, ভোটার আইডি নং (অপশনাল) প্রদান করুন। যদি পিতা ও মাতা মৃত হয় তাহলে পেশার ঘরে Other সিলেক্ট করুন।
  • বৈবাহিত অবস্থা নির্বাচন করুন। বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর নাম, ঠিকানা, পেশা, জাতীয়তা, ভোটার আইডি নং উল্লেখ করতে হবে।
  • কত বছরের জন্য এবং কত পেজের পাসপোর্ট করতে চান সেটি নির্বাচন করুন।
  • জরুরি যোগাযোগের মাধ্যম সাথে সম্পর্ক উল্লেখ পূর্বক নাম, ঠিকানা, মোবাইল নংপ্রদান করতে হবে।
  • Delivery Options & Appointment নির্বাচন করুন। জরুরি অথবা নরমাল ডেলিভারি সিলেক্ট করুন। এখানে পাসপোর্ট ফির টাকার পরিমান প্রদর্শিত হবে।
  • এ পর্যায়ে আবেদন কারীর সকল তথ্য প্রদর্শিত হবে। সকল তথ্য যাচাই করার পর আপনি আবেদন পত্রে প্রদত্ত সকল তথ্য সত্য। আমি পাসপাের্ট আইন এবং বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত আছি। কোন অসত্য তথ্য প্রদান অথবা কোন তথ্য গােপন করলে উক্ত আইন/বিধানাবলি আমার উপর আরােপযােগ্য হবে এত একমত পোষন করে বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
  • এরপর অনলাইনে না অফলাইনে পেমেন্ট করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং অনলাইনে হলে পেমেন্ট সম্পর্ন করার পর। সাবমিট বাটনে ক্লিক করে। আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিন।
  • আবেদন ফর্ম ও টাকা জমার রশিদ সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আপনি যে পাসপোর্ট এর অধীনে আবেদন করছেন সেখানে জমা দিতে হবে।
  • অফিস তাদের আবেদন জমা নেওয়ার সময় আপনার হাতের আঙুলের ছাপ সহ চোখের ফিঙ্গার ও নেওয়া হবে।
  • সব শেষে আপনার ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফেকেশন হবে। তবে আপনার যদি এনওসি বা পুরাতন পাসপোর্ট থাকে তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন

নতুন ই পাসপোর্টের আবেদর করার থেকে পাসপোর্টের আবেদন সংশোধন করা অত্যান্ত জটিল কাজ। তাই আবেদন করার সময় অত্যান্ত সর্তকতার সাথে পূরন করুন। অনেক সময় পাসপোর্ট এর আবেদন করার সময় কিছু ভূল হতে পারে। আবেদন ভুল হলে তার জন্য আপনাকে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। আপনার কি ভুল হয়েছে তার বিপরিতে কাগজ জমা দিতে হবে।

ধরুন আবেদন আপনার আইডির সাথে অমিল হলে আপনার আইডি।
দুটি উপায় অবলম্বন করে আপনি পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে।

১ম: ছোটখাটো কোন ভূল হলে পাসপোর্ট অফিসের কম্পিউটার অপারেটর সাথে অনুরোধ করে ঠিক করে নিতে পারেন।
২য়: আর বড় ধরনের ভূল পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ করে আবেদন ঠিক করে নিতে পারেন।

আবেদন বাতিল করার নিয়ম
পাসপোর্টের আবেদনের তারিখ উল্লেখ পূর্বক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী উপ-পরিচালক বরাবর দরখাস্ত করতে হবে। আবেদন পত্রে নিজের নাম ও পিতা ও মাতার নাম উল্লেখ করতে হবে। এরপর আদেন আইডি উল্লেখ করতে হবে। আবেদনে আপনার যে অংশ ভূল হয়েছে তা উল্লেখ করে ভূল অংশের আবেদন কপি সংযুক্ত করতে হবে। এর পর আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করে আঞ্চলিক অফিসে জমা দিতে হবে।

আবেদন বাতিল করার পদ্ধতি
লিখিত আবেদন আঞ্চলিক অফিসে জমা দেওয়ার পর আবেদন কারির মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে। তখন আবেদনকারীকে পাসপোর্টে পোর্টালে প্রবেশ করে একাউন্ট লগইন করতে হবে। একাউন্টে ঠুকলে স্টাসাস ক্যানসেল অপশন প্রদর্শিত দেখাবে। এর পর ডিলিট অপশনে ক্লিক করে আবেদনের সম্পূর্ণ তথ্য বাতিল করতে হবে। বাতিল হলে আবার পূনরায় আবেদন করতে হবে।

তবে কোন কান সময় আবেদন বাতিল হতে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদি আবেদন করতে সমস্যা হয় তাহলে কিছুদিন দেরি করতে হবে।

আপনার সার্টিফিকেটটি ও ব্যবহার করতে পারেন কিংবা আপনার পিতা মাতার ভোটার আইডির দ্বারা আপনি আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফরম ই-পাসপোর্ট অফিসে পাবেন। আবেদন ফরম পূরন করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংযুক্ত করে আবেদন সম্পর্ন করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

অনলাইনে আবেদন ফরম পূরন করার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। আর কোন প্রতারক চক্রের নিকট থেকে বিরত থাকবেন। সরকারি নিয়ম মেনে আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন সম্পর্ন করুন। আমার এই পোষ্টটি আপনার ভাললাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url