গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি - গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া ১০ টি উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন
গর্ভাবস্থায়
করলা খাওয়া যাবে কি না, গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া ১০ টি উপকারিতা।
গর্ভাবস্থায়
কি কি সবজি খাওয়া যাবে না আর কি কি সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত
উপকারী এসকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
প্রিয় পাঠক এই পোস্টটি পাওয়ার মাধ্যমে আপনি আরোও জানতে পারবেন
গর্ভাবস্থায়
শসা খাওয়া যাবে কিনা,
গর্ভাবস্থায়
লেবু খাওয়া যাবে কিনা, গর্ভাবস্থায় বেগুন খাওয়া যাবে কি না ইত্যাদি বিষয়ে
সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেন।
পেজ সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি?
একজন মহিলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো
গর্ভাবস্থায়।
কেননা একজন মহিলার
অনেক স্বপ্ন
লুকিয়ে থাকে এই সময়টাতে। তাই এই সময় কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত এবং কোন খাবার
গুলো
খাদ্য তালিকায়
রাখা যাবে না সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। আজকের এই পোস্টটির
মাধ্যমে আপনাদের পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করা হবে গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্য তালিকা
সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি?
করলা এমন একটি সবজি যাতে রয়েছে অনেক
পুষ্টি ও ভিটামিন। যখন কোনো নারী গর্ভ অবস্থায় থাকে তখন যে সকল সবজি খাওয়া তার জন্য অত্যান্ত
প্রয়োজন তার মধ্যে একটি অন্যতম সবজি হলো করলা। এতে অনেক ধরনের ভিটামিন আছে যেমন:
ভিটমিন A,C এবং B(B1, B2, ও B3)। এছাড়াও করলাতে আরো অনেক উপাদান এত রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
তার মধ্যে কয়েকটি হলো জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। আর এইগুলো উপাদান একটা
গর্ভবতী মেয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে রক্তে
শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার উপাদান। এমনকি করলা ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
করলাতে রয়েছে ক্যান্সার বিরোধী উপাদান। গর্ভকালীন সময় নারীদের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।
এ সময়টিতে
গর্ভবতী মহিলার খাবারের
তালিকার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। এর মধ্যে করলা অন্যতম একটি সবজি যা গর্ভবতী
মহিলা এবং গর্বের সন্তান উভয়ের জন্য কার্যকরী। একটি শিশুর ভালো পুষ্টির জন্য,
করলায় যে পুষ্টি আছে তা অনেক কাজে আসে।
গর্ভাবস্থায় আপনার কি পরিমাণ করলা খাওয়া উচিত:
আপনি যদি করলা খেতে চান তাহলে পরিমাণ মতো খাইতে হবে। একেবারে প্রচুর পরিমাণে
খাইলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির হয়ে দাঁড়াবে সুতরাং আমাদের নিয়ম অনুযায়ী
খাইতে হবে । গর্ভবতী অবস্থায় যদি আপনি তরকারিতে করলা খেতে চান তাহলে দুপুরে এবং
রাতে সামান্য পরিমাণ খেতে পারেন অথবা অন্যভাবে যদি খাইতে চান তাহলে সর্বোচ্চ দুই
কাপ পরিমান খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া ১০ টি উপকারিতা
করলা একটি ওষুধি গুণসম্পন্ন কাঁচা সবজি। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন
সি এবং ভিটামিন এ ছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন ইত্যাদি অত্যন্ত
স্বাস্থ্যকর উপাদান। কিন্তু প্রচুর পরিমাণ তেল দিয়ে করলা ভাজি করে রান্না করলে
ভিটামিনের পরিমাণ ওইটাই কমে যায়।
যেহেতু করলা একটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় গর্ভাবস্থায়
করলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে গর্ভবতী অবস্থায় করলা খাওয়ার ১০টি
উপকারিতা দেওয়া হলো:
১. হজমের ক্ষেত্রে করলা
গর্ভবতী অবস্থায় দেখা যায় যে অনেক মহিলাই কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হেমোরয়েড এই দুটি
জটিল রোগের মুখোমুখি হয় আর এই সমস্যা হতে মুক্তি পেতে করলা অনেকটা সাহায্য করে।
এই সবজি ওর ফলে হজম এবং পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা উন্নতি ঘটে এবং করলা খাওয়ার জন্য ওজন
নিয়ন্ত্রণ থাকে।
২. ভ্রুণের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ক্ষেত্রে করলা
ভ্রুণের জন্য প্রায় সকল পুষ্টি করলাতে রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি হলো পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড।ভ্রুণের সঠিকভাবে বিকাশের
জন্য ক্যালসিয়াম ও সরবরাহ করে থাকে এবং ভ্রূণ কে চমৎকার করে তোলে।
৩.মলত্যাগের উন্নতির ক্ষেত্রে করলা
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি জটিলতা যা একটি অস্বস্তি অনুভূতির কারণ
এবং ব্যাথার কারন হয়ে থাকে।করলা খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে অনেকটা
কাজ করে থাকে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করলার কাজ
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মেয়েকে সবসময় নিজেকে সুস্থ রাখার প্রয়োজন এবং সুস্থ
থাকতে ভিটামিন এর প্রয়োজন এবং করালাতে রয়েছে অনেক পরিমাণে খনিজ সমৃদ্ধি ভিটামিন
যা একজন গর্ভবতী থাকার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় সবজি। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে।
৫. অ্যান্টি ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে করলা
গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই নিয়মিত করলা
খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এটিতে অনেক পুষ্টি উপাদান
রয়েছে যার ফলে গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
৬. ফাইবার যুক্ত সবজি
করলা একটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। করলা পেটের হজম শক্তি কয়টা বৃদ্ধি
করে শরীরের মধ্যে আবর্জনা এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারের আশঙ্কা কমাতে
সাহায্য করে। মহিলাদের সুস্থ রাখার জন্য এবং নিজেকে ফিট এবং স্লিম রাখার
জন্য এই খাবার অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও করলা পতনতন্ত্রের ক্লোরেস্টরেল সমৃদ্ধ
এসি সমৃদ্ধ এসিড ড বজায় রেখে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে যে
কারণে প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
০৭. উচ্চ ফোলেট সামগ্রী
একজন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কেননা ডিএন এ নতুন
কোর্স উৎপাদন আর এন এ উপাদান সৃষ্টি করে ভ্রনের বিকাশকে উৎসাহিত করে। এতে করে
গর্ভে থাকা নবজাতকের সম্ভাব্য নিউরন টিউব ত্রুটি এবং জন্মগত অক্ষমতা দূর করতে
সহায়তা করে তা যথাক্রমে মেরুদন্ড ও মস্তিষ্কে প্রবাহিত করে।
০৮. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
করলা যেহেতু একটি উচ্চ ফাইবা সমৃদ্ধ খাবার তাই এই সবজি হজম বৃদ্ধি করতে সহায়তা
করে। যে কোন ধরনের উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করলেও করলা
এক্ষেত্রে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য
এবং হেমোরয়েড এ দুটি সমস্যা সম্মুখীন বেশি হয়ে থাকে মহিলারা। আর করলা এসব দূর
করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
০৯. স্বাস্থ্যকর ত্বক
করলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর আমরা সবাই জানি যে ভিটামিন সি
ত্বকের এর জন্য কতটা উপকারী। গর্ভাবস্থায় করোলা খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন
ব্রণের এবং পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১০. রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণে করে
যে সকল মহিলারা ডায়াবেটিস অবস্থায়
গর্ভবতী
হয়েছেন তাদের জন্য করলা একটি খুবই উপকারী খাবার। কেননা কেরালাতে কার্বোহাইডেট কম
থাকে এবং ফাইভারে পরিমাণ অত্যাধিক থাকার কারণে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গর্ভবতী অবস্থায় করলা খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যে সকল খাবারে উপকার রয়েছে সেসব খাবারের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই
কোন খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। করলার ও অনেকগুলো
উপকারের পাশাপাশি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে। যেমন
- অনেক সময় দেখা যায় অনেকের শরীরে হঠাৎ করেই বিষক্রিয়া বেড়ে যায়। এটার কারণ হলো করলা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া করলা। অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলেই মূলত এই সমস্যা দেখা দেয়।
- খাওয়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে তার বীজ যেন খেয়ে না ফেলি এবং গর্ভবতী কালীন সময়ে অতিরিক্ত করলা খেলে পেটে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত তিতা খাবার বা করলা খাইলে পিরিয়ডসের মাত্রা বেশি হতে পারে আবার গর্ভপাতের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়।
সবশেষে আপনারা একটা জিনিসই লক্ষ্য করবেন যে কোনো খাবার খাওয়ার আগে আমাদের অভিজ্ঞ
লোক বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না ?
একজন গর্ভবতী মহিলা
বা একজন মায়ের খাবার তালিকা সর্ম্পকে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন । তার কি কি
খাবার খাওয়া হবে আর কোন কোন খাবার খাওয়া যাবেনা সেটা জানতে হবে । এছাড়া তার
গর্ভের সন্তান হুমকির মুখে পড়বে।মেয়েদের সব থেকে কঠিন সময় হলো গর্ভঅবস্থা এবং এর
শেষের দিকে কষ্ট একটু বেশি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
গর্ভবতী মা বা অন্তরসত্তা মা যে খাবার খায় তা তার গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক কাজে
লাগে। তাই গর্ভকালীন সময়ে কিছু কিছু খাবার ত্যাগ করতে হবে । সবজি যেটাই হোক না
কেনো না ধুয়ে খাওয়া যাবেনা। যেকোনো সবজি বা কাঁচা ফলমূল খাওয়ার আগে ভালো করে
ধুয়ে নিতে হবে । গর্ভবতী অবস্থায় যে যে সবজি খাওয়া যাবেনা তার মধ্যে কয়েকটি হলো:
১। পেঁপে
কাঁচা পেঁপে বা আধা পাকা পেঁপে আমরা কম বেশি সব মানুষ ই খায় কিন্তু কোনো মহিলা
যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তার এই ধরনের পেঁপে খাওয়া যাবে না তার কারণ হলো পেঁপে তে
থাকে ল্যাটেক্স নামক উপাদান যা গভের্র বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর।
২। আনারস
আনারস প্রায় সবার ই একটি প্রিয় ফল তার কারণ এটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল । আর
আনারসে থাকে ব্রোমালিন এর উপাদান থাকে যা গর্ভবতী মেয়ের পেটের সন্তানের জন্য
ক্ষতিকর । এর ফলে সন্তান প্রসবের সময় সমস্যা হতে পারে। তাই আনারস না খাওয়ায় ভালো
।
৩। করলা
এত রয়েছে সেপনিক ও মারোডিসিন নামক অনেক ক্ষতিকর এক পদার্থ যা খেলে গর্ভবতী মায়ের
গর্ভের সন্তানের সম্যাসার কারণ হয়ে দাড়ায় । তােই করলা না খাওয়ায় ভালো।
৪। সজিনা ডাটা
সজিনা ডাটা সবজি হিসেবে অনেক জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর। কিন্তু এতে এক ধরনের উপাদান
আছে যার নাম সিটেস্টেরল যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর এজন্য সজিনা ডাটা না
খাওয়ায় উত্তম ।
৫। অ্যালোভেরা
আমরা দৈনন্দিন জীবনে রূপচর্চা বা বিভিন্ন ছোট-বড় রোগের জন্য অথবা পেট পরিষ্কার
রাখার জন্য অনেকেই নিয়মিত অ্যালোভেরা শরবত খেয়ে থাকি। কিন্তু কোন মহিলা যখন
গর্ভবতী হয় তখন তার অ্যালোভেরা খাওয়া ঠিক না কারণ তার গর্বের সন্তানের সমস্যা
হতে পারে।
৬। আধা সিদ্ধ ডিম
গর্ভবস্থায় কোন গর্ভবতী মহিলা যদি ডিম খেতে চায় তাহলে তাকে ডিমিটি ভালোভাবে
সিদ্ধ করে তারপরে খেতে হবে কেননা আধা সিদ্ধ ডিমে সালমোনেলা দূষিত হয় এর ফলে পেটের
সমস্যা বা বমি বমি ভাব হয় তাই গর্ভবতী মহিলাদের আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত নয়।
৭। বাহীর থেকে কেনা সবজি সালাদ
গর্ভবতী অবস্থায় বাইরে কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়। কেননা বাহিরের খাবার পরিষ্কার
থাকে না এতে অনেক জীবানু থাকে যার ফলে গর্ভবতী মা এবং সন্তান উভয়ের সমস্যা হতে
পারে তাই বাহিরে সবজির তৈরি কোন সালাদ খাওয়া যাবে না।
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি?
গর্ভবতী কোনো মহিলার স্বাস্থের জন্য শসা অনেক উপকারি খাদ্য। কেননা শসাতে রয়েছে
অনেক ধরনের ভিটামিন। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম
,আয়রন, ক্যালসিয়াম এইগুলার উৎস শসাতে রয়েছে। আর এই উপাদানগুলো তার গর্ভের
সন্তানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভকালীন সময়ে হরমনের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য
করা যায় এবং রক্তচাপ ওঠা নামা করে।
আর এই সময় যদি পরিমাণ মতো শসা খাওয়া যায় তাহলে অনেক উপকার হয়। রক্তচাপের মাত্রা
ঠিক রাখার জন্য এবং গর্ভের সন্তানের জন্য প্রয়োজন ।
শসা খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা:
- যাদের ক্যালরি মাত্রা কম তাদের জন্য শসা একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।
- শসা খাওয়ার জন্য আমাদের ত্বক অনেক ভালো থাকে।
- গর্ভবস্থায় অনেক গর্ভবতী মহিলা পেট ফুলে যায় । শসা খেলে এই ধরনের সমস্যা হয়না ।
- পরিমাণ মতো নিয়মিত শসা খাওয়ার মাধ্যমে মল ত্যাগের কোনো সমস্যা থাকেনা ।
- রক্তে শর্করা মান নিয়ন্ত্রণে শসা অনেক কাজ করে থাকে ।
শসার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও আছে
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না আমরা যে খাবার খাবো তা অবশ্যই পরিমান মতো হতে হবে ।
শসাতে রয়েচে কিউকারবিটাসিন এর মতো টক্সিন এর উপস্থিতি রয়েছে। যা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অতিরিক্ত শসা স্বাস্থ্যের
জন্য হুমকি স্বরুপ ।
গর্ভাবস্থায় বেগুন খাওয়া যাবে কি
গর্ভবস্থায় সবকিছূ খাবার ডাক্তারের পরামর্শে খাওয়া উচিৎ তবুও আমাদের নিজস্ব কিছু
ধারনা থাকা দরকার । বেগুনে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিনের উপাদান যা গর্ভবতী মহিলার
জন্য খুবই প্রয়োজন। এর ফলে হজমের সমস্যা, নিদ্রাহীনতা দূর হয় । রক্ত কনিক ও
বৃদ্ধি হয় বেগুন খাওয়ার মাধ্যমে ।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম
আবার অনেক সমস্যা ও আছে যাদের বেগুন খাওয়া উচিৎ না । গর্ভবতী কোনো মহিলার যদি
এলার্জি তাকে তাহলে তাকে বেগুন থেকে দূরে থাকতে হবে । আবার অনেক সময় দেখা যায়যে
অকাল প্রসবের মতো মারাত্নক হুমকির মুখে পড়ে যায় গর্ভবতী মহিলা । বেগুন বা যেকোনো
ফল খাওয়ার আগে ভলোভাবে দুয়ে খেতে হবে । এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের
গর্ভাবস্থায় বেগুনি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন।
- জন্মগত ত্রুটি: জন্মগত ত্রুটি দূর করতে সহায়তা করে।
- ভ্রূণের বৃদ্ধিতে: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি নিয়ে আসিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন এ রয়েছে যা রক্ত হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে ভ্রনের বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: অনেক মহিলারই গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। বিভিন্ন কারণে গর্ভবতী মহিলাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। আর বেগুন খাদ্য তালিকায় রাখলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
- হজম করতে সাহায্য করে: গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের লোকদের দেখা যায়। এ সমস্যাটি হয় হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণে। আর বেগুন মানুষের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং গর্ভের সন্তানকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানের সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরে বিভিন্ন জীবাণুর প্রকোপ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের যে কোন সমস্যা দূর করে।
গর্ভাবস্থায় ঢেঁড়স/ভেন্ডী খাওয়া যাবে কি
গর্ভবতী সময়ে অবশ্যই মায়ের খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার
রাখা প্রয়োজন । কেননা মা ও গর্ভস্ত সন্তান উভয়ের পুষ্টি প্রয়োজন এর মধ্যে অনকে
গুলো সবজি রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ঢেঁরস বা ভেন্ডি । আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা
যে ঢেঁড়সের উৎস আমাদের দেশে না। এটা আফ্যিকা মহাদেশের একটি সবজি ।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ
লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত
হয়ে থাকে এই সময় যদি পরিমাণ মতো ঢেঁড়স খাওয়া যায় তাহলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেননা এর আঁশ গুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় । ঢেঁড়স
যেভাবে আপনি খাওয়ারউপযোগী করবেন তা হলো তরকারি হিসেবে বা ভাজি করে । অনেক সময়
গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দেখা দেয় ঢেঁরস এর মাধ্যমে এই সমস্যা ও দূর হয় ।
- গর্ভাবস্থায় ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
- ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে
- এটি একটি সাইবার সমৃদ্ধ খাবার
- ঢেঁড়স অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপাদনের খুব ভালো উৎস
- ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার
- ঢেঁড়সের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি?
গর্ভের সন্তানের সুন্দর বিকাশের জন্য এবং দৈহিক গঠনের জন্য প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি প্রয়োজন । আমরা জানি যে টক জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি
থাকে । আর লেবুতে একটু বেশি ভিটামিন সি এর উপাদান থাকে ।
গর্ভাবস্থায় প্রায় সব মেয়ের ই একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে থাকে তা হলো বমি বমি ভাব ।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
যদি গর্ভবতী মহিলা লেবুর রস খায় তাহলে তার আর এই সমস্যা হবেনা বলে আশা করা যায় ।
গর্ভেল সন্তানের জন্য বিকাশ ঘটায় এই লেবু বা লেবুর রস । আবার যাদের অম্বল আছে
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা তাদের লেবু খাওয়া ঠিক না । এতে করে অম্বল বৃদ্ধি পায় ।
অতিরিক্ত সবকিছুই গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর ।
- গর্ভাবস্থায় লেবুর উপকারিতা
- বমি বমি ভাব দূর করে।
- অনাক্রম্যতা এবং ভ্রূণের বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
- ফোলেট জাতীয় খাবার হওয়ার কারনে ভ্রূণের স্নায়বিক বিকাশ সহায়তা প্রদান করে।
লেখক এর মন্তব্য
একজন মহিলার জন্য গর্ভাবস্থা অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত। তবে এই সময়টা অনেক ঝুঁকির
সম্মূখীন হতে হয়ে। সে কারনে গর্ভবতী মহিলাদের নিজের এবং গর্ভের সন্তানের ঝুকি
এড়াতে প্রয়োজনীয় খাবার সম্পর্কে জানা অত্যান্ত জরুরি। তাই যে কোন খাবার খাওয়ার
পূর্বে অবশ্যই সে খাবার সম্পর্কে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সম্পর্কে জেনে খাবেন। আর
বড় ধরনের সমস্যার সম্মূখীন হলে অবশ্যেই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url