নগদে ক্যাশ আউট চার্জ কত ভ্যাট সহ - ২০২৪ সালে
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি নগদে
ক্যাশ আউট চার্জ কত ভ্যাট সহ এবং নগদ একাউন্ট দেখার
নিয়ম কোড কি? আপনি যদি এ বিষয় সম্পর্কে অবগত না হন তাহলে এই আর্টিকেলটি
পুরোপুরি পড়ার মাধ্যমে উক্ত বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে পারবেন। আর
সেজন্য অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পাঠ করুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি
একাউন্ট
সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন, কিভাবে নগদ একাউন্ট খুলতে হয়, কিভাবে নগদ একাউন্টে
টাকা দেখতে হয়, নগদ
একাউন্টে পিন
নাম্বার ভুলে গেলে করণীয় কি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান বাংলাদেশে টাকা পাঠানো এবং টাকা উঠানোর একটি জনপ্রিয়
মোবাইল ব্যাংকিং
একাউন্ট এর নাম হচ্ছে নগদ। নগদে
ক্যাশ আউট
চার্জ কম হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের
বিভিন্ন সরকারি
অনুদানকৃত টাকা
নগদের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সেজন্য নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট সম্পর্কে জানা
অত্যান্ত জরুরি। তাই নগদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম কোড
নগদ একাউন্ট মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এর মধ্যে বর্তমানে একটি জনপ্রিয় একাউন্ট।
এই নগদ অ্যাকাউন্ট একটি
মোবাইল ব্যাংকিং
একাউন্ট যা বাংলাদেশ প্রায় মোবাইলে মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকেন। যারা নতুন নগদ
একাউন্ট খুলেন তারা অনেকেই জানেন না বাটন ফোনে ডায়াল করে কিভাবে একাউন্টে টাকা
দেখতে হয়। ডায়াল কোড কত সেটাও না জানতে পারেন। আসুন জেনে যাক নগরের ডায়াল কোড
সম্পর্কে।
আরো পড়ুন:
কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয়
নগদে ডায়াল কোড হল তার *১৬৭#। এই কোডটি ডায়াল করার পর কয়েকটি ধাপে আপনি নগর
অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরন করতে
হবে।
প্রথম ধাপ: আপনার মোবাইলে ডায়ালপেটে গিয়ে ডায়াল করুন *১৬৭#।
দ্বিতীয় ধাপ: দ্বিতীয় ধাপে বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন এর মধ্যে হতে
মাই নগদ যত নাম্বারে আছে ঠিক ওই সংখ্যাটি লিখে সেন্ড করুন।
তৃতীয় ধাপ: তৃতীয় ধাপে আবারো কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন এর মধ্যে হতে
ব্যালেন্স চেক প্রথমটিতে অর্থাৎ এক সিলেক্ট করে সেন্ড করুন এবং পরবর্তী ধাপে
এগিয়ে যান।
চতুর্থ ধাপ: এই ধাপে আপনাকে পিন নাম্বার টাইপ করতে বলা হবে। পিন নাম্বারটি
প্রদান করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
৫ম ধাপ: ৫ম ধাপে গেলেই আপনার মোবাইলে নগদ একাউন্টে টাকার
পরিমাণ দেখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই অ্যাপ এর মাধ্যমে
নগদের ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। এর জন্য নিন্ম লিখিত পদ্ধতি অনুসরন করন।
১ম ধাপ: নগদ অ্যাপটি লগইন করুন।
২য় ধাপ: এরপর টাকার ওখানে ট্যাপ করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখলেই ব্যালেন্স
দেখতে পারবেন।
উপরোক্ত চিত্র ফলো করার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেউ ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
নগদে ক্যাশ আউট চার্জ কত ভ্যাট সহ
নগদ একাউন্ট থেকে থাকা উত্তোলন করলে কিছু পরিমান ভ্যাটসহ চার্জ প্রযোয্য। নগদ
একাউন্টের ক্যাশ আউট চার্জ নির্ভর করে আপনি কোন পদ্ধতিতে ক্যাশ আউট করছেন তার
ওপর। নগদে ক্যাশ আউট করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। পদ্ধতি গুলো হল:
- ডায়াল কোড ব্যবহার করে
- অন্যটি হলো নগদ অ্যাপ এর মাধ্যমে।
প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার মাধ্যমে খুব সহজেই ক্যাশ আউট, মোবাইল
রিচার্জ, সেন্ট মানি, পেমেন্ট করতে পারবেন। নগদ অ্যাপ আবার দুই ধরনের আছে।
- ইসলামিক নগদ একাউন্ট অ্যাপ।
- রেগুলার নল একাউন্ট অ্যাপ।
আপনি যদি প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন তাহলে আপনি রেগুলার নল
একাউন্ট পাবেন। আর যদি আপনার একাউন্টে ধরুন ইসলামিক হয় তাহলে আপনি নগদ
ইসলামিক নগদ একাউন্ট পাবেন। নগদ ইসলামিক অ্যাপ এ প্রতি হাজারে ক্যাশ আউট
চার্জ ১৫ টাকা এবং নগদ রেগুলার অ্যাপ দিয়ে ক্যাশ আউট করলে প্রতি হাজারে খরচ আসবে
১২.৫০ টাকা।
আপনি যদি ডায়াল কোডের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করে থাকেন তাহলে ক্যাশ আউট চার্জ ১৫
টাকা এবং ইসলামিক একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ও প্রতি হাজারে ১৫ টাকা রেগুলার একাউন্টের
ক্ষেত্রেও ১২.৫০ টাকা ভ্যাটসহ। ক্যাশ আউট পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে আপনার ক্যাশ আউট
চার্জসহ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ ১২. ৫০ টাকা রেগুলার নগদ একাউন্টের ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য।
নগদ একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়
বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রচলনে হওয়ার কারনে কাগজের নোটের ব্যবহার অনেটাই
কমে যাচ্ছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও ডিজিটাল লেনদেনের দিকে এগিয়ে
যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ও ডিজিটাল লেনদেন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডিজিটাল লেনদেনের মধ্যে বর্তমানে একটি অন্যতম মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম হচ্ছে
নগদ।
আরো পড়ুন: বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ করার নিয়ম
বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ এর অধীনে ২০১৮ সালে নভেম্বর মাসে একটি নতুন মোবাইল
ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান চালু হয়। যা বিকাশ একাউন্টের পরে বর্তমানে জনপ্রিয় স্থান
দখল করে নিয়েছে এই নগদ একাউন্ট। বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেস্টুন, অনলাইন
বিজ্ঞাপন, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে অনেক আকর্ষণীয় অফার এর বিজ্ঞাপন দিয়ে
গ্রাহকদেরকে আকর্ষিত করে তুলছে।
আর সে কারণে অনেক মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীদের মধ্যে নগদ একাউন্ট খোলা
সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন। অনেকেই এটা জানেন না যে নগদ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ।
নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে যে কেউ ঘরে বসেই খুব সহজেই নগদ একাউন্ট
খুলতে পারবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি সম্পর্কে:
তিনটি পদ্ধতি তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই নগদ একাউন্ট
খুলতে পারবেন।
০১. ডায়াল কোডের মাধ্যমে
- একাউন্ট খুলতে আপনার মোবাইলে ডায়াল অপশন থেকে ডায়াল করুন *১৬৭#।
- এরপর ৪ ডিজিটের একটি পিন সেট করতে বলা হবে। আপনি চার সংখ্যার একটি পিন প্রদান করবেন। তবে মনে রাখবেন যে পিনটি দিবেন সেটি যেন পরবর্তীতে ব্যবহার করার জন্য মনে থাকে এবং পিন নাম্বারটি অবশ্যই অন্য কাউকে জানাবেন না।
- প্রথমবার পিন প্রদান করার পরে আরো একবার কনফার্ম পিন প্রদান করতে বলা হবে। আপনি একই পিন নম্বর একইভাবে আবারও প্রদান করবেন এবং মনে রাখার জন্য প্রয়োজনে পিনটি কাগজে কোথাও লিখে রাখবেন।
আপনি প্লে স্টোর থেকে নগদ অ্যাপ ডাউনলোড করে খুব সহজেই নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
- প্রথমে প্লে স্টোর থেকে নগদ অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
- এরপরে নগদ অ্যাপ ওপেন করলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হবে এক্ষেত্রে আপনি রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করবেন।
- এরপরে আপনি যে নাম্বারে নগদ একাউন্ট খুলতে আগ্রহী সে নাম্বারটি প্রদান করে পরবর্তী অপশনে চাপ দিন।
- আপনি যেই সিমে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে চাচ্ছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি কোন অপারেটর অর্থাৎ রবি, বাংলালিংক, টেলিটক, গ্রামীণফোন এর মধ্যে আপনার সিম যে ক্যাটাগরি সেটি সিলেক্ট করুন।
- এ পর্যায়ে যে তথ্যগুলো দিতে হবে তা অবশ্যই সতর্কতার সহিত প্রদান করবেন। এখানে আপনাকে যার ভোটার আইডি দিয়ে নগদ একাউন্টটি খুলতে চান তার ভোটার আইডি কার্ডের সামনের এবং পিছনের অংশের ছবি তুলে পরবর্তী অপশনে চাপ দিন।
- পরবর্তী ধাপে আপনাকে একাউন্ট কারীর ছবি তুলতে হবে। মনে রাখবেন ছবি তোলার সময় আশে পাশে যেন আলো থাকে এবং মখমন্ডল স্পস্টভাবে দেখা যায়। ছবি তোলার সময় ক্যামেরা বরাবর তাকাতে হবে এবং বেশ কয়েকবার চোখের পলক ফেলতে হবে। সঠিকভাবে ছবি তোলা হলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
- এই ধাপে আপনাকে আপনার একাউন্টের পিন নাম্বার সেট করতে বলা হবে। আপনি আপনার ইচ্ছামত ৪ ডিজিটের পিন প্রদান করবেন এবং পরবর্তীতে আবারো কনফার্মেশন পিন প্রদান করতে বলা হবে প্রথমবার আপনি যে পিনটি ব্যবহার করেছেন পরবর্তীতে একই পিন প্রদান করে পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ শেষ ধাপ চাপ দিন।
- শেষ ধাপে আপনার নগর অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য একটি ওটিপি মেসেজ আসবে ওটিপি প্রদান করুন এই ঘরে ওটিপি দিলে আপনার নগদ একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি সব ধরনের লেনদেন এবং মোবাইল রিচার্জ ও পেমেন্ট করতে পারবেন।
এছাড়াও বাজারে উদ্যোক্তা সেন্টার অর্থাৎ যেখানে নগদের টাকা উঠানো এবং পাঠানো হয়
সে সকল দোকানে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি মোবাইল সিম
নিয়ে গিয়ে খুব সহ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
০৩. নগদ পয়েন্ট থেকে
বাজারে যেখানে নগদ টাকা লেনদেন করা হয় সেই নগদ উদ্যোক্তা সেন্টারে গিয়ে খুব
সহজে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
নগদ একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র দি ই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে এছাড়াও
আরো যে কিছু আনতে হবে তা হল:
- একটি সচল মোবাইল ফোন
- একটি সচল নিবন্ধনকৃত সিম
- ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি
- নগদ অ্যাপ
নগদ একাউন্ট পিন ভুলে গেলে করনীয় কি
অনেক সময় নগর একাউন্ট ব্যবহার করার সময় পিন নাম্বার ভুল পিন ব্যবহার করার কারণে
পিন নাম্বার লক হয়ে যেতে পারে। আবার ব্যবহারকৃত পিন নাম্বার ভুলে যেতে পারেন
কিংবা অন্য কোন কারণে পিন নাম্বার পরিবর্তন করতে আগ্রহী হলে আপনি নিজেই নোদের পিন
রিসেট করে নিতে পারবেন। এর জন্য কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করতে হবে।
প্রথম ধাপ: ডায়াল করুন *১৬৭*
দ্বিতীয় ধাপ: এরপর নগদের মূল মেনু থেকে সবার নিচে পিন রিসেট নামে একটি
অপশন দেখতে পারবেন আপনি সেখানে চাপ দিন।
তৃতীয় ধাপ: আপনি যদি পিন ভুলে যান তাহলে তৃতীয় ধাপে এসে ফরগেট পিন
অর্থাৎ এক সিলেক্ট করুন আর যদি পিন নাম্বার চেঞ্জ করতে চান তাহলে দুই সিলেক্ট করে
পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ: চতুর্থ ধাপে আপনার রেজিস্টার কৃত ভোটার আইডি নাম্বার প্রদান
করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ: পঞ্চম ধাপে আপনার অর্থাৎ তার আইডি দিয়ে নগদ একাউন্ট খোলা
হয়েছে তার ভোটার আইডি থেকে জন্মসাল প্রদান করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
ষষ্ঠ ধাপ: ষষ্ঠ ধাপে টাকা লেনদেন সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।
আপনি সর্বশেষ ৯০ দিনে কোন টাকা লেনদেন করেছেন কিনা। আর যদি করে থাকেন তাহলে কত
টাকা পাঠিয়েছেন বা কত টাকা উঠেছেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
সপ্তম ধাপ: আপনার লেনদেনের সর্বশেষ দশটি লেনদেনের তথ্য প্রদান করতে হবে।
আপনি কি ধরনের লেনদেন করেছেন সেটি সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
অষ্টম ধাপ: অষ্টম ভাবে কত টাকা লেনদেন করেছেন তার পরিমাণ উল্লেখ করুন এবং
পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান। এই ধাপে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন। এই ধাপে সবাই সঠিক তথ্য
দিতে ব্যর্থ হয়। ৭ম ধাপে সর্বশেষ ১০ টি লেদেনের কথা বলা হয়েছে। আপনি ০৩
মাসের মধ্যে যে ধরনের দেনদেনের তথ্য প্রদান করতে চান সেই লেনদেন সিলেক্ট করে
সর্বশেষ ১০ লেনদের সম্পর্ন টাকা যোগ করে মোট টাকার পরিমান উল্লেখ করতে হবে।
নবম ধাপ: আপনি প্রদান কিছু তথ্য সঠিক হলে নবম ধাপে একটি কনফার্মেশন এসএমএস
আসবে এটার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
দশম ধাপ: কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার পর আবার পুনরায় স্টার *১৬৭# ডায়াল
করুন এবং আবার এখানে ৪ ডিজিট পিন নতুন পিন সেট করতে বলা হবে। এবার আপনি নতুন পিন
সেট করুন।
নগদ কাস্টমার কেয়ার লোকেশন
লেনদেন সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যার জন্য প্রায় সময় নগদ কাস্টমার কেয়ারের সাথে
যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। আপনি যদি নগদ কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার
জানেন তাহলে ঘরে বসেই খুব সহজেই কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলে আপনার সমস্যার
সমাধান করে নিতে পারবেন। কাস্টমার কেয়ারের দুটি নাম্বার হলো।
- 16167
- 09609616167
এই নাম্বারে যেকোনো সিম থেকে কল করে আপনার নগদ সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার কথা
জানাতে পারবেন তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ নগদের হেল্পলাইন নাম্বার আরো পেতে পারেন
কিন্তু এ দুটি নাম্বার ছাড়া অন্য কোন নাম্বারে আপনি নদে কাস্টমার কেয়ারের সাথে
যোগাযোগ করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন:
বিকাশ প্রতি রিচার্জে ক্যাশব্যাক অফার
যদি কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগের আর একটি মাধ্যম হল ইমেইল এড্রেস। ইমেইল
এড্রেস এর মাধ্যমে আপনি যে কোন সমস্যা কথা মেইল করার মাধ্যমে কাস্টমার কেয়ারের
কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। মেইল করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নগদ কাস্টমার কেয়ারের সাথে
থেকে কীর্তি সমাধান মুলক ইমেইল পেতে পারেন।ইমেইল এ্যাড্রেস info@nagad.com.bd।
উপরোক্ত নাম্বার ছাড়াও প্রত্যেকটি জেলা জেলায় নগদের আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। আপনি
যে অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত সেই জেলার নগর হেল্পলাইন নাম্বার লিখে সার্চ করলে আপনি খুব
সহজেই আপনার জেলা অফিস এর হেল্পলাইন নাম্বার পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে সরাসরি
অফিসে গিয়েও আপনার সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।
বিকাশ থেকে নগদে টাকা ট্রান্সফার
অনেক সময় বিশেষ কোনো কারণে আমাদের এক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে আরেক
ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা জরুরি হয়ে পড়ে। তবে এক
ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকিং নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এ টাকা পাঠানোর জন্য বেশ কিছু
নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হবে। আপনি গুগলে অনেক ওয়েবসাইট এবংইউটিউবে এ বেশ কিছু
ভিডিও দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুন:
রবি সিমে পিন লক হলে করনীয়
যেখানে বিকাশ থেকে নগদে টাকা ট্রান্সফার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি কখনো এ
সকল ভিডিও দেখে সফলতা পেয়েছেন? উত্তরটা অবশ্যই না হবে। উত্তর কেন না হবে সেটা
আমাদের সবারই জানা। প্রথম কারণ হচ্ছে ভিডিওগুলোতে ভুয়া তথ্য প্রদান করা হয়।
কেননা আপনি বিকাশ অথবা নগদের মূল মেনুতে প্রবেশ করার পর বিকাশ থেকে নগদে বা নগর
থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফারের কোন অপশন দেখতে পাবেন না।
এখন পর্যন্ত নগদ থেকে বিকাশে বা বিকাশ থেকে নগদে এককথায়
মোবাইল
ব্যাংকিং টু মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মানি র্টান্সপার সিস্টেম এখনো চালু হয়নি। মোট কথা
এ ধরনের সার্ভিস মোবাইল ব্যাংকিং এখনো চালু করে নাই। তাই ভুলেও এ সকল ভিডিও দেখে
টাকা র্টান্সপারের টাকা র্টান্সপারের জন্য আগ্রহী হবেন না।
আরো পগুন:
বিকাশে পিন নম্বর ভুলে গেলে করনীয় কি
তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা নিতে
পারবেন।
কিভাবে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন? আচ্ছা এর জন্য আপনাকে বিকাশ থেকে বিকাশে
এজেন্টে টাকা ক্যাশ আউট করতে হবে। এবং এজেন্টের দ্বারা ক্যাশ আউটকৃত টাকা আপনার
নগদ একাউন্টে ক্যাশ আউট করে নিতে হবে।
কিংবা আপনার কাছের অন্য কারো নাম্বারে যদি বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে
আপনি সেন্ড মানি করে টাকা বিনিময় করার মাধ্যমে বিকাশ থেকে নগদে এবার নগদ থেকে
বিকাশে টাকা নিতে পারবেন।
মন্তব্য
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অনেক সুবিধা থাকলেও এর অনেক অসুবিধা ও রয়েছে। অসুবিধা বলতে
অনেকেই প্রতারকের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার মাধ্যমে অনেক টাকা একাউন্ট থেকে হারিয়ে
ফেলেন। আবার অনেকে টাকা সেন্ড করার সময় ভুলভাল নাম্বারে টাকা সেন্ড করে ফেলেন।
এর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন
করবেন।
একটা বিষয় মনে রাখবেন, আপনার পিন নাম্বার এবং আপনার মোবাইলে প্রেরিত ওটিপি কোড
আপনার পার্সোনাল কোড। নগদ অফিস কখনই আপনার পিন নম্বর এবং ওটিপি কোড জানতে চাইবে
না। ভুলেও এ সমস্ত তথ্য অন্য কাউকে প্রদান করবেন না। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url