পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম | পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি আপনি নিশ্চয়ই পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি অবশ্যই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় খুজছেন। কিন্তু অনেক ডাক্তার কবিরাজ এর কাছে দৌড়াদৌড়ির পরেও আপনি পাইলস থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি উপায় সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করুন।
পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম
প্রিয় পাঠক এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে, পাইলস এর ব্যাথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে, পাইলস এর মলম নাম, পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয় কিনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম

বর্তমানে আমাদের দেশে একটি জটিল ও কঠিন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাইলস। সাধারণত পায়ুপথের একটি জটিল রোগ হল পাইলস। এই রোগটি হলে রোগীকে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। বেশি দিন এই রোগ শরীরে স্থায়ী থাকলে আস্তে আস্তে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে। অনেকে এই রোগ কে আবার অর্শ রোগ ও বলা হয়ে থাকে।
এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম

পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম

পায়ের রোগ হলে রোগীদের মলত্যাগের রাস্তায় অর্থাৎ পায়ুপথের অঞ্চল সমূহে যন্ত্রণাদায়ক রক্তনালি বেড়ে যায়। বর্তমানে প্রায় লোকেরই সমস্যা দেখা যায়। মানুষের জীবনযাত্রা এবং খারাপ খাদ্যাভাসের কারণে এই লোকটি হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করা বেশ কঠিন। পােইলস এর সমস্যা বেড়ে গেলে ওষুধ সেবন করা অত্যন্ত জরুরি। যে সকল ওষুধ পাইলসের জন্য ডাক্তাররা রেকমেন্ড করেন তা হল

ড্যাফলন ৫০০ এমজি ট্যাবলেট
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ট্যাবলেট টি তিন বেলায় একটি করে ট্যাবলেট খেতে হয়। সমস্যা যদি অত্যন্ত বেশি হয় তাহলে কোন ডাক্তার দুটি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন। সর্বমোট ৭ থেকে ১০ দিন খেতে হয়। যে সময় এই ওষুধটি সেবন করতে হয়।
  • শিরা অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলে গেলে।
  • অর্শ রোগ অর্থাৎ পাইলস হলে।
  • পায়ের নিচে বা পায়ের পাতা পায়ের গোড়ালি হাত ফুলে গেলে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয়।
এই ওষুধটি ক্ষতিকারক দিক
  • কখনো কখনো পাতলা পায়খানা ও তার ডায়রিয়া হতে পারে
  • পেটে ব্যথা হতে পারে
  • মাথা ব্যথা হয়ে থাকে
  • কখনো কখনো বমি বমি ভাব হয়
  • পাকস্থলীতেও ব্যথা অনুভব হয়।
এই ওষুধের বৈশিষ্ট্যসমূহ
  • মদ্যপান করার সময় এই ঔষধ শরীরের জন্য নিরাপদ না। আর সে কারণে মধ্যপন করার সময় অবশ্যই এই ওষুধ সেবন করা যাবে না।
  • গর্ভবতী মহিলাদের এই ওষুধ নিরাপদ নয় কারণ এভাবে জীবনের ফলে ভ্রমণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।
  • শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের এই ওষুধ খাওয়া নিরাপদ নয় এতে এই ওষুধের প্রতিক্রিয়া শিশুর শরীরের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • ড্রাইভিং করার সময় আপনি এই ওষুধটি নিরাপদেই সেবন করতে পারবেন।
  • যে সকল রোগীদের নিয়ে সমস্যা রয়েছে তাদের এই ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকায় শ্রেয় কেননা এই ওষুধটি কিডনি সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • যে সকল রোগীদের লিভারের সমস্যা রয়েছে সকল রোগীদের এই ওষুধ সেবন না করাই ভালো কেননা এই ওষুধের ক্রিয়া লিভার বিফল হওয়ার মত লিভারের সমস্যা গুলো আরো বাড়িয়ে তোলে।
  • এই ওষুধের কার্যকারিতা ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
  • ওষুধটি সেবন করার ৩০মিনিট পরেই এর কার্যকারিতা শুরু হতে থাকে।
ওষুধটি যেভাবে কাজ করে
ড্য়াফলন ট্যাবলেট (৫০০ এম জি) শিরাজনিত রোগের চিকিৎসা করার জন্য একটি সেমি-সিন্থেটিক ওষুধ। এই ওষুধ শিরার দেওয়ালের উপর নোরপাইনফ্রাইনের ভাসোকনস্ট্রিকশন বা রক্তবাহ-সংকোচনের প্রভাবকে দেরি করে শিরাস্থ ক্যাপ্যাসিট্যান্স বা আধৃতি এবং ভিতর থেকে চাপের ফলে ফোলার ক্ষমতাকে কম করে। এছাড়াও ওষুধটি লসিকানালীর নিষ্কাশনকে উন্নত করে লসিকানালীর সংকোচনের তীব্রতা এবং পুনরাবৃত্তির হারকে বাড়িয়ে তোলে।

নরমানাল ৫০০ এমজি ট্যাবলেট
এই ওষুধটি রেনেটা লিমিটেড কোম্পানির একটি খুব ভালো ওষুধ। যে সকল রোগীদের খুব বেশি সমস্যা হয়েছে সে সকল রোগীরা দিনে তিনবার এই ওষুধটি খেতে পারেন এবং আরো বেশি সমস্যা হলে দিনে দুটি করে মোট তিন দিন খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসরের পরামর্শ অনুযায়ী হবেন। অবশ্যই খাওয়ার পর ভরা পেটে খাবেন। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হবে।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

পাইলস একটি জটিল এবং কঠিন রোগ এই রোগ হলে রোগীর মলদ্বারে বেটিং হয় অত্যাধিক পরিমাণে ব্যথা অনুভব হয়। বর্তমানে পাইলস রোগে অনেক মানুষকে ঘুরতে দেখা যায়। প্রতিটি মানুষের মলদ্বারে রক্তনালি রয়েছে। যখন মন ত্যাগ করতে যায় তখন এই রক্তনালী গুলো খুলে যায়। এরপর মল বের হওয়ার সময় মনের আঘাতে রক্ত লেগে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়। আর এই সমস্যাকেই আমরা সাধারণত পাইলস বলে থাকি।

পাইস রোগের কারণ
অনেকগুলো কারণে পাইলস রোগ হতে পারে যেমন
  • দীর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় বসে থাকলে।
  • বাথরুম করতে বেশি সময় লাগলে।
  • কষ্টকাঠিন্য হলে।
  • পাতলা পায়খানা অর্থাৎ ডায়রিয়া হলে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে।
  • পায়খানার ভাব হওয়ার পরও পেটে পায়খানা চেপে রাখলে।
  • বার্ধক্য জড়িত কারণে।
  • যকৃত রোগ  কারণে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে রাত জেগে থাকলে।
  • পায়ুপথে জনপ্রিয়া যৌন ক্রিয়া সম্পাদন করলে।
  • শারীরিক পরিশ্রম কম করলে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম না করলে।
  • ফাইবারযুক্ত খাবার কম খেলে।
  • অতিরিক্ত ভারি মালপত্র বহন করলে।
  • বংশ হগত কারণে।
  • শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে ইত্যাদি।
পাইলস রোগের লক্ষণ
যে সকল উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন যে পাইলস হয়েছে লক্ষরগুলো হলো
  • মলত্যাগের সময় মনের সাথে তাজা রক্ত কিংবা মরা রক্ত বের হলে।
  • মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা অনুভব হলে।
  • মলত্যাগের রাস্তায় চুলকুনি হলে।
  • মলদ্বার গোটা হয়ে গেলে।
  • মলদ্বার চারপাশে ব্যথার কারণে ফুলে গেলে।
  • মলদ্বার ব্যাথা হলে।
পাইলস হলে করণীয়
কিছু অভ্যাস নিয়মিত পালন করলে এবং কিছু খাবার নিয়মিত খেলে এই রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। এছাড়া কি কি অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত এই রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য তা নিয়ে আলোকপাত করা হলো।
  • পায়ুপথ নিয়মিত পরিষ্কার করা।
  • খুব ব্যাথা হলে হালকা গরম পানি দিয়ে পায়ুপথ ভিজিয়ে নিতে পারেন।
  • বেশি পরিমাণে পানি পান করুন।
  • প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন সবজি ফলমূল ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেতে পারেন।
  • শারীরিক পরিশ্রম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • যেগুলো খাবারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায় যে সকল খাবার থেকে বিরত থাকুন।
  • অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
  • ওজন যদি বেড়ে যায় ওজন কমিয়ে আদর্শ ওজন নিশ্চিত করুন।
  • দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে টয়লেটে মলত্যাগের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
  • খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি

পাইলস হলো একজন মানুষের পায়ুপথের এবং মলদ্বার এর নিচে অবস্থিত এবং প্রসারিত প্রধান যুক্ত ধমনী। যখন একজন মানুষের মলত্যাগের সময় কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ কথা হয় অথবা একজন মহিলা গর্ভকালীন সময়ে এ সকল ধমনীর ওপর বিশেষ প্রভাব পড়ে গেলে পাইলসের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে ফাইল থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

হোমিওপ্যাথি ঔষধ এবং চিকিৎসা
বেশিরভাগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা রোগীদের Sulphur নামের ঔষধ প্রতিদিন সকালে এবং Sulphur এই ওষুধটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেবন করতে বলেন। এই ওষুধগুলো কয়েক মাস নিয়মিতভাবে খেলে বেশিরভাগ পাইলস ভালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বিশেষ কোন ওষুধের দরকার হয় না। এই ওষুধগুলো সরাসরি পাইল এর সমস্যা দূর করে না।

এই ওষুধটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার মাধ্যমে আস্তে আস্তে পাইয়েসের সমস্যা নির্মূল করে থাকে। কোন কোন হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী মনে করেন তিনটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পৃথিবীতে সকল রোগ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। ওষুধগুলো হল নাক্স ভমিকা, সালফার, থুজা। যদিও এটা একটি রহস্যময় বাক্য।
এর উদাহরণস্বরূপ হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞানীরা এটা বলেন যে, যদি কোন শহরের সব ড্রেন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সকল দূষিত আবর্জনা ড্রেন ভর্তি হয়ে শহরের মধ্যে প্রবেশ করে গোটা শহরকে দূষিত করে ফেলবে। ঠিক তেমনি একজন মানুষের দেহের যাবতীয় আবর্জনা বের হয় মলত্যাগের মাধ্যমে। আর যদি নিয়মিত এবং সঠিকভাবে মলত্যাগ না হয় তাহলে শরীরের আবর্জনা শরীরকে বিষাক্ত করে তোলে।

শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন হৃদরোগ, কিডনি রোগ, স্নায়ু রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস সহ আরো অন্যান্য মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এই তিনটি ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মতে সবথেকে সেরা ওষুধ।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগের প্রক্রিয়া
যে সকল মানুষের অত্যাধিক পরিমাণে কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে এবং কিছুতেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব হচ্ছে না সে সকল রোগীরা Calendula officinalis নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। যদি মলদ্বার বেশি পরিমাণে ফুলে যায়, ইনফেকশন হয়, যদি ঘা হয়, অত্যাধিক পরিমাণে ব্যথা অনুভব হয় তাহলে Calendula officinalis ওষুধটি কিছু পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নরম কাপড় অথবা তুলো মিলিয়ে মলদ্বারের স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর প্রয়োগ করুন।
ব্যথা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে আপনি দু ঘন্টা পর পর ঘন ঘন প্রয়োগ করতে পারেন যেকোনো ধরনের মারাত্মক ইনফেকশন বা ঘা জাতীয়  আলসার হোক না কেন এই ওষুধ ব্যবহারের দুই তিন দিনের মধ্যে যাবতীয় ব্যথা সেরে যাবে। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাতে যে রকম ব্যথা না শোক স্যাভলন, ডেটল, ইত্যাদি রকমের ঔষধ রয়েছে।

ঠিক তেমনি হোমিওপ্যাথিও রয়েছে Calendula officinalis নামের ঔষধ। এই ওষুধটির ক্ষমতা অত্যাধিক। মলদ্বারে কালচে রক্ত পড়লে Hamamelis Virginica ঔষধটি ১০-১৫ মিনিট পর পর সেবন করতে পারেন। যদি পায়খানা করার সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার ফলে রক্তশূন্য হয়ে শরির দূর্বল হয় তাহলে রক্ত শূন্যতা দূর করা জন্য China officinalis ঔষধ খেতে পারেন।

পাইলস রোগে সবথেকে ভাল ঔষধ হল Aesculus Hippocastanum। তল পেটের সকল সমস্যা সমাধান করতে এই ঔষদ খুবই কার্যকরী। 
Aesculus Hippocastanum
এর প্রধান লক্ষন হল
  • কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ মলে ধরন বড় আকার করে মল শক্ত করে।
  • রক্তবিহীন এবং রক্তক্ষরন।
  • মলদারের খোচা মারার মত যে ব্যাথা।
  • তলপেটের দূর্বলতা।
  • পায়ের অবশ ভাব দূর।
  • মলদ্বার শুকনো শুকনো ভাব।
  • অতিরিক্ত হাটলে রাগের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।
  • রোগির অত্যাধিক বদমেজাজী ইত্যাদি।
  • নিন্ম মাত্রায় দিনে ২-৩ বার করে আর বেশি মাত্রায় ১০-১৫ দিন একই মাত্রায় সেবন করতে পারেন।
Aloe socotrina
লক্ষন সমূহ
  • কোষ্টকাঠিন্য
  • মাথায় রক্ত সঞ্চয়
  • কিছু সময় পর পর মাথা ব্যাথা
  • পেটের তলপেটে ব্যাথা
  • কোমরের বাথ ব্যাথা
  • শীতকালে পাইলসের সমস্যা বেশি আকার ধারন করা।
  • খাবার গ্রহন করার পর পর পায়খানার ভাব হওয়া।
  • ঘুমের মধ্যে মল বের হয়ে যাওয়া
  • পাইলস দেখতে আঙুর ফলের মতো হওয়া।
  • রক্তক্ষরন হওয়া।
  • অতিরিক্ত পরিমানে ব্যাথা হওয়া
  • গরম অথবা ঠান্ডা পানিতে ব্যাথার আরাম অনুভব হওয়া।
  • কোষ্টকাঠিন্য
Collinsonia canadensis
লক্ষন সমূহ
  • পেটের ও মলদ্বারের সাথে প্রচন্ড পরিমানে মাথা ব্যাথা হওয়া।
  • হাঁটুর সাথে তলপেটে ব্যাথা হওয়া।
  • পায়খানার সাথে আম ও রক্ত বের হওয়া।
  • মেয়েদের মাসিকের সময় পােইলস হওয়া।
  • মলত্যাগের সময় মলদ্বার বের হয়ে আসা।
  • হার্টের সমস্যা হওয়া এবং বার বার পাইলসের সমস্যা হওয়া।
Peoniaofficinalis
এর প্রধান লক্ষন হল
  • পায়খানার রাস্তার যন্ত্রনা ও জালাপোড়া হওয়া।
  • মলদ্বারে চুলকানি হওয়া।
  • মলদ্বার ফুলে যাওয়া।
  • মলদ্বারে ফোড়া ফেটে বের হওয়া
  • রক্তনালী ফুলে যাওয়া।
  • দুঃস্বপ্ন দেখা
Muriaticum acidum
এর প্রধান লক্ষন হলো
  • চোখে কম দেখা।
  • ব্রেন লোপ পাওয়া এবং মাথাব্যাথা।
  • চোখে উল্টাপাল্টা দেখা।
  • হটাৎ করে ইচ্ছের বাহিরে প্রস্রাব অথবা পায়খানা বের হওয়া।
  • প্যারালাইসিস হওয়া।
  • মলদ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ইনফেশন হওয়া।
  • রক্ত পুজম নিঃস্বাসে অনেক বেশি দুর্গন্ধ হওয়া।
  • কানপচ, শরীরের ঘাম নিঃশ্বাস সবই দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া।

পাইলস এর ব্যাথা কমানোর ঔষধ

অর্শ গেজ এবং পাইলস নিয়ে মানুষের মনে বিভিন্ন রকমের ভুল ধারণা রয়েছে। কেননা এই রোগ সম্পর্কে না জেনে, কুসংস্কারে মাধ্যমে, অপ্রচার করে, ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের মনে বিভ্রান্ত আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিটি মানুষের তাই তার রোগের সঠিক এবং সুন্দর চিকিৎসা পেতে। আমাদের দেশে এরকম অনেক চিকিৎসক রয়েছে যিনারা ফাইল সম্পর্কে না জেনে বিভিন্ন রকমের চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

এতে একজন রোগীর জন্য খুবই মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে। পায়েসের সমস্যা প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। যেমন

প্যারাসিটামল
ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খুবই কার্যকরী একটা ওষুধ। প্যারাসিটামল সাধারণত ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটটি ব্যাথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাইলসের ব্যথা বেড়ে গেলে প্রতিদিন দুইটি করে ট্যাবলেট সকাল এবং বিকেলে সেবন করতে পারেন। যদি ব্যথা পরিমান আরো অত্যাধিক হয় তাহলে তার থেকে ৫ ঘন্টা পর পরও আপনি এই ওষুধটি সেবন করতে পারবেন।

আইবুপ্রোফেন
ব্যথা কমানোর জন্য আপনি আইবুপ্রোফেন সেবন করতে পারেন। তবে অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হলে এই ওষুধ সেবন না করায় ভালো। কেননা এই ওষুধটি রক্তক্ষরণের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেয়।

ট্রামাডল ও টাপেন্টাডল
ব্যথা কমানোর আরেকটি ব্যাথা নাশক ওষুধের নাম হলো ট্রামাডল ও টাপেন্টাডল। ব্যথা কমানোর জন্য এই ওষুধ অত্যাধিক কার্যকরী। কিন্তু পাইলসের জন্য বেথা নাশক হিসেবে এই ওষুধ না খাওয়াই ভালো। কেননা এই ওষুধটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা বাড়িয়ে পাইলসের সমস্যা আরো বেশি এবং ব্যথা আরো গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

পেট্রোলিয়াম জেলি
পাইলসের ব্যাথা কমানোর জন্য যেকোন রকমের পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। যেহেতু পেট্রোলিয়াম জেলি একটি পিচ্ছিল কারক পদার্থ তাই মলত্যাগের সময় ঘর্ষণের মাত্রা কমে গিয়ে ব্যথা কম অনুভব হবে।

পাইলস এর মলম নাম

ব্যথা কমানোর জন্য মলম ব্যবহার করা খুবই উত্তম। পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য কয়েকটি মলমের মধ্যে অন্যতম হলো
  • জাইলো ৫% মলম
  • পাইলোস্প্রে (PiloSpray) এবং পাইলোকিট (PiloKit)
  • Erian Ointment Cream
  • Dictamni Cream
  • Anustat Cream
  • ডোবেসিল এলডি অয়েন্টমেন্ট
  • Rectocare Ointment
উপরে উল্লেখিত মলমূলের মধ্যে এটি কার্যকরী মলমের নাম হল জাইলো ৫% মলম। তাই এ মলমের কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছু ধারনা প্রদান করা হলো

জাইলো ৫% মলম

এটি একটি অ্যানেসথেটিস স্থানীয় মলম। যেকোনো ধরনের ত্বকে ক্ষতিকারক পোড়ার মতো এবং ব্যথা থেকে দ্রুত উপশম করার জন্য এই মলমটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কোথাও পুড়ে গেলে এবং যৌনাঙ্গ অথবা মলদ্বারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করতে এই বানানটি স্বাভাবিক ব্যবহৃত হয়। তবে এই বড় মেয়ের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন ব্যবহারের সময় জ্বলন্ত বা স্টিসিং সেন্সেশন রোগ হওয়া।
  • শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হওয়া।
  • ঘুমের পরিবর্তন হওয়া।
সকল ধরনের পার্শ্ববর্তী প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন।

পাইলোস্প্রে (PiloSpray) এবং পাইলোকিট (PiloKit)
পাইলসে অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য পাইলোস্প্রে (PiloSpray) এবং পাইলোকিট (PiloKit) এই ওষুধটি খুবই কার্যকর। পাইলসের অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য আক্রান্ত স্থানে সরাসরি এই স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। পাইলস রোগ নির্ধারণ করার পর সময়মতো এটি ব্যবহার করলে ব্যাথা , জ্বালা পোড়া, চুলকানি, রক্তপাত এবং ফোলাভাব খুব দ্রুত কমে যায়।

পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

পাইলস রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি লাভের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরী। যে খাদ্যগুলো তে সমস্যা বাড়াতে পারে সে সকল খাবার থেকে বিরত থাকা কার। যেমন
  • অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার না খাওয়া।
  • ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার না খাওয়া।
  • বেশি ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • যেসব খাবারে এলার্জি রয়েছে সে সকল খাবার না খাওয়া।
  • যাদের বংশে পাইলসের সমস্যা রয়েছে তাদের গরুর মাংস সম্পূর্ণরূপে না খাওয়াই ভালো।
পাইলস রোগ সাধারণত মলত্যাগের সময় ব্যাথা অনুভব হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। এটি মানুষের দেহের নিচের ভাগের শিরকক্ষ এ ফল জড়িত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। দুই রকমের পাইলস মানুষের শরীরে ঢুকতে লক্ষ্য করা যায়। বাহিক্য এবং অভ্যন্তরীণ্য। গ্যাস্ট্রিক ডায়রিয়া গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাবার গ্রহণের উপর নির্ভর করে নিম্নভাবে শিরার উপর বিভিন্ন রকমের প্রভাব পড়ে।
কিছু কিছু সময় পাইলসের কারণে মলত্যাগের সময় রক্তপাত ঘটে। পাইলসের সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকের পরামর্শ পাশাপাশি কিছু খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার খেলে পাইলসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে খাবারগুলো হল।
  • বাদামি চাল
  • চালের পাস্তা
  • ওটমিল
এ ধরনের খাদ্য পায়খানা নরম করে এবং মলদ্বারে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বেশ কিছু সবুজ পাতা সবজি রয়েছে যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকায় হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেমন
  • বাঁধাকপি
  • ফুলকপি
  • পেঁয়াজ
  • ব্রকলি
  • গাজর
  • শসা
  • টমেটো ইত্যাদি জাতীয় খাবার।
ফল মুলেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ ও পদার্থ রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রে ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। যেমন
  • আঙুর ফল
  • আপেল
  • কিসমিস
  • আলু বোখরা ইত্যাদি।

পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়

মলদ্বারের টিস্যুতে ক্যান্সারের কোষ গুলো যখন টিউমারে পরিণত হয় ঠিক তখনই পাইপথে ক্যান্সার হয়। পায়ুপথে ক্যান্সার হলে অত্যন্ত ব্যথা এবং মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত লক্ষ করা যায়। মলদ্বারের ক্যান্সার থেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্যান্সার করতে পারে। সে কারণেই ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে উপসর্গ বোঝা মাত্রই বিলম্ব না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পায়ুপথের ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ হলো
  • পাতলা পায়খানা বা মল।
  • মলদ্বারে চুলকানি বা মলদ্বার থেকে স্রাব।
  • তন্ত্র অভ্যাসের পরিবর্তন।
  • মলদ্বারের খালে একটি বৃদ্ধি।
  • পায়ুপথে অত্যাধিক পরিমাণে চুলকানি।
  • মলত্যাগের সময় মনের সাথে রক্তপাত।
  • মজার ফুলে যাওয়া এবং অত্যন্ত অত্যাধিক ব্যথা অনুভূত হওয়া।

লেখক এর মন্তব্য

পাইলসের সমস্যাকে কোন ছোটখাটো সমস্যা ভেবে অবহেলা করবেন না। পাইলসের উপসর্গ বুঝতে পারার মাত্রই দ্রুত চিকিৎসা নিন। অন্যথায় পাইলসের সমস্যা থেকে ক্যান্সার এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সে কারণে পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে এবং ওষুধ সেবন করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url