সালমান শাহ এর মৃত্যু রহস্য - সালমান শাহ জন্ম কত সালে
প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই সালমান শাহ এর
মৃত্যু রহস্য
এবং তার সালমান শাহ এর শেষ ছবি কোনটি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই এই পোষ্টের
মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চলেছি কিভাবে প্রায়ত নায়ক
শালমান শাহ
রহস্য জনক মৃত্যু হয়। শালমান শাহ এর
মৃত্যু রহস্য
জানতে হলে অবশ্যই এই পোষ্টটি আপনাকর খু্ব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
এই পোষ্টেটিতে শুধু
শালমান শাহ
এর রহস্য জনক মৃত্যু বিষয়ে ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেমন তার প্রথম ছবি
কোনটি, কোন ছবি অসমাপ্ত রেখে তিনি মারা যান, তার কবরস্থান কোথায় ইত্যাদি বিষয়
উল্লেখ করা হল।
পেজ সূচিপত্রঃ সালমান শাহ এর মৃত্যু রহস্য
খুব অল্প সময়ের জন্য বাংলার চলচিত্রের অভিষেক হয় নায়ক সালমান শাহের। ঝড়ের মত আসে
আবার ঝড়ের মতোই চলে য়ায় নায়ক শালমান শাহ। তার কিভাবে চলচিত্র জগতে আসা, কত সালে
বিবাহ করে, কি কারেন মৃত্যু বরন করেন, তার অভিনিত চলচিত্রের জনপ্রিয় গান এ সমস্থ
ঘটনা তুলে ধরা হল এই পোষ্টের মাধ্যমে।
সালমান শাহ এর মৃত্যু রহস্য
পাঁচটি কারনকে প্রধান কারন হিসেবে দায়ী করা হয় সালমান শাহের মৃত্যুর কারন
হিসেবে। কারন গুলো হল
- নায়িকা শাবনুরর সাথে একটু বেশি মেলামেশা
- সাংসারিক জীবনে তার স্ত্রী সামিরার সাথে দ্বন্দ্ব
- সালমান শাহের একটু বেশি আবেগপ্রবনতা
- মায়ের প্রতি অগাধ ভালবাসা
- সামিরার কোন বাচ্চা বা সন্তান না হওয়া।
স্বাভাবিক ভাবে এই ৫ টি কারনকে সালমান শাহের মৃত্যর কারন হিসেবে দায়ী করা হলেও
কিছু দেখতে না পাওয়া কারন ও ছিল। যা ছিল অত্যান্ত সন্দেহজনক। শালমান শাহ যখন
মৃত্যু বরন করেন তার ২৪ বছর পর নাকি সালমানের আত্মহত্যার চিঠি পাওয়া যাই। মানে
সুই সাইড নোট। স্বাভাবিক ভাবে বলা যায় যে, একটি চিঠি ২৪ বছর পর কেন উদ্ধার করা
হল বা কিভাবে উদ্ধার করা হল।
আরো পড়ুন: মাদার তেরেসার সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে
আর ২৪ বছর একটি চিঠি সবার চোখ কিভাবে এড়িয়ে চলে গেল। ২৪ বছর কেউ কেন চিঠিটি
দেখতে পেল না। সন্দেহটা এখানে।তবে পুলিশ ও বাকি সবাই হ্যান্ড রাইট
স্পেশালিষ্ঠটের দ্বারা এটা প্রমানিত হয় যে, এই চিঠি সালমানের হাতের লিখা।
সালমান শাহ এর কবর কোথায়
- সালমানে মৃত্যুর তারিখ হল ৬-০৯-১৯৯৬ সাল
- মৃত্যুর স্থান: ইস্কাটন প্লাজা, নিজ বাড়িতে (ঘরে)
- তার সমাধি স্থান: সিলেটের শাহজালাল মাজারে
- পদবি: তার একটি অনবদ্য পদবি হল স্বপ্নের নায়ক, তাছাড়াও বাংলা সিনেমার রাজপুত, আধুনিক ঢাকা চলচিত্রের সুপারষ্টার।
সালমান শাহ জন্ম কত সালে
১৯৭১ সালের ছয় সেপ্টেম্বর জাকিগঞ্জ উপজেলার সিলেট জেলায় জন্ম গ্রহন করেন নায়ক
শালমান শাহ। তার পুরো নাম ছিল চৌধুরি মোঃ শাহরিয়ার ইমন। তবে সে ইমন নামেই পরিচিত
ছিল। তার পিতার নাম ছিল কমর উদ্দিন চৌধুরি ও মায়ের নাম ছিল নিলা চৌধুরি। তার নানা
একজন টিভি অভিনেতা ছিলেন। নানার হাত ধরেই শালমান শাহ চলচিত্র জগতে পা দেন।
ছোট বেলা থেকে ইমন গান গাইতে খুব পছন্দ করতেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে শালমান শাহ ছিল
বড়। জানা যায় যে ১৯৮৬ সালে বিটিভিতে একটি পল্লিগীতি বিষয়ক পরিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে
তিনি উর্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।
সালমান শাহ প্রথম ছবি
নায়ক শালমান শাহ ১৯৭১ সালে জন্ম নিলেও সিনেমায় অভিষেক হয় ১৯৯৩ সালে। তার অভিনিত
প্রথম সিনেমা হল “কেয়ামত থেকে কেয়ামত”। ছবিটিতে তার বিপরিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয়
করেন নায়িকা মৌসুমী। মৌসুমীর এর এটা প্রথম সিনেমা। ছবিটি পরিচালনা করেন সোহানুর
রহমান সোহান। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
ছবিটিতে প্রথমে নায়ক ও নাকিয়া হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নাঈম ও শাবনাজ কে। কিন্তু
তার ছবিটির জন্যএকটু বেশি পারিশ্রমিক নিতে চাইলে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান
একটি নতুন মুখ আনার পরিকল্পনা করলেন। ঠিক সেই মুহুর্তে শালমান শাহ ও মৌসুমি কে
পেয়ে জান পরিচালক। তার ছবিটি তাদের দুজনকে দিয়ে করোনো হয়।
আরো পড়ুন:
মনিষীদের জীবনি সম্পর্কে
ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান নিজেও অভাক হয়ে যান। ছবিটিা
দর্শক এভাবে নিবে এটা কেউ কল্পনা করেনি। মোট কথায় একটি রোমানটিক জুটি হিসেবে নায়ক
শালমান শাহ ও মৌসুমি কে সেরা জুটি হিসেবে মেনে নেয়। বাংলার চলচিত্রে একটি আলোড়ন
সুষ্টি করে এই ছবিটি। ছবিটিতে আরো একজন খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।
আর সে হল কন্ঠশিল্পী আগুন। ছবিটির অভিনয় ও গান গুলো সবার মুখে মুখে সুর তুলে দেয়।
তাই ৯০ দশকের সময়ে শ্রেষ্ঠ ছবি হিবেবে আক্ষায়িত করা হয়।
সালমান শাহ বউ
অনেক সালমান শাহ বউ শাবনুরকে মনে করে। কারন তার মোৗসুমির পর শাবনুর ই হল
রোমান্টিক নায়ক। আসলে শালমান শাহ এর বউ এর নাম হল সামিরা। সামিরা জানায় শালমান
শাহ তাকে পছন্দ করে বিয়ে করে। কিন্তু সালমান শাহিএর মা তার তার পরিবার চেয়েছিল
নায়িকা শাবনুরের সাথে সালমান শাহের বিয়ে হক। সামিরা আরো বলেন যে, শাবনুর প্রায়
সময় আমাদের বাড়িতে আসত।
কক্সবাজারে সুটিং এর সময় শানুর নাকি শালমান শাহকে আটকে রেখেছিল একটি রুমে। সালমান
শাহ সেখান থেকে পালিযে বাড়িতে আসে।পুলিশ ও এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যে, সামিরার
শাশুরি ও শাবনুরের পরিবারের সদস্যরা শাবনুরের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী
ছিলেন। আর এই একটি কারন হল সালমান আত্মহত্যার।
সালমান শাহ এর শেষ ছবি কোনটি
সালমান শাহ বেশ কয়েকটি ছবি অসমাপ্ত রেখে মারা যান। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল:
- প্রেমের বাজি
- তুমি শুধু তুমি
- কে অপরাধী
- মন মানে না
- প্রেম পিয়াসি
প্রেম পিয়াসী সিনেমাটি অসমাপ্ত রেখে মৃত্যু বরন করেন সালমান শাহ। ছবিটি পরবর্তীতে
রিয়াজ কে সম্পর্ন করানো হয়। ছিবিটির কোন গানে সুটিং করতে পারে নাই। তাই প্রতিটি
গানে সালমানের ড্যামি ব্যাবহার করা হয়।এই ছবিটিতে সালমান শাহ ও শাবনুর এত
অন্তরঙ্গভাবে অভিনয় করেছি যে।
সবার মনে হয়েছিল তারা দুজন ছবির অভিনয় নয় বরং তাদের বাস্তব জীবেনর কাহিনী নিয়ে
সংলাপ বলছে। শাবনুর ও শালমান শাহের অভিনয় এতোটাই দুর্দান্ত ছিল যে, ছবিটির অভিনয়
দেখে সালমান শাহের দাম্পত্য জীবনে সংঘাত সৃষ্টি হয়। ছবিটির শেষে নায়ক ও নাকিয়া
দুজনকেই আত্মহত্যা করতে দেখা যায়।
ছবিতে শাবনুরের প্রতি ভালবাসায় আত্মহত্যা করার দৃশ্য সালমান শাহের বউ কিছুতেই
মেনে নেয় নি। যার জন্য সামির ও শালমান শাহের মধ্যে দ্বন্দ্ব সুরু হয়। আর এই
দ্বন্দ্ব-ই সালমানের জীবনে শেষ দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। কারন এই দ্বন্দ্ব-এর পরেই নায়ক
সালমান শাহ আত্মহত্যা করে। সেই সূত্রে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয় বরং তাকে
হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
সালমান শাহ মোট ছবি কয়টি
অল্প সময় অভিনয় করলে ও সালমান শাহ ২৭ টি ছবিতে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। তার
অভিনিত সব সিনেমাই ব্যাবসা সফল ছিল। তার ছবির নায়িকা চরিত্রে দেখা যায় মৌসুমি,
লিমা, শাবনাজ, শাবনুর ও শাহনাজসহ অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে।
শেষ কথা
বাংলা সিনেমাতে সালমান শাহ যে কয়টি সিনেমা করেছে না থেকে অনেক স্টাইল বর্তমান
জেনারেশনে দেথা যায়। তিনি ৯০দশকে ২০২৩ সালের স্টাইল তার সিনেমাতে দেখা যায়।
আর্শয্যের বিষয় হল ৯০ দশকে যে ছেলের জন্ম হয়নি সে ছেলেটি ও সালমান শাহের ভক্ত।
এতে প্রমানিত হয় যে, সালমান শাহ এমন একটি চরিত্র যা যুগে যুগে চলে আসছে চলে আসবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url