অনলাইনে কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়
২০২৪ সালে অনলাইনে কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায় এবং অনলাইনে জমির নামজারি করার নিয়ম কি? আপনারা অনেকেই জমির খাজনা ও খারিজ করার কথা ভাবছেন। কিন্তু কিভাবে জমির খাজনা দিতে হয় বুজতে পারছেন না। কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসেই জমির খাজনা দেওয়া যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই পোষ্টটি সম্পর্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শুধু জমির খাজনা ছাড়াও কিভাবে জমির
অনলাইনে খারিজের
আবেদন করতে হয়, অনলাইন থেকে কিভাবে আপনার খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়, জমির নকশা
কিভাবে দেখা যায় এসব সম্পর্কে সম্পর্ন আলোচনা করা হল।
পেজ সূচীপত্রঃ অনলাইনে কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়
- ভূমিকা
- অনলাইনে জমির নামজারি করার নিয়ম
- ভূমি সেবা ও খতিয়ান
- ভূমি সেবা অনলাইন
- অনলাইনে কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়
- সি এস রেকর্ড বলতে কী বোঝায়
- নামজারি কি
- ভূমি সেবা - apps
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
আগেকার সময় অবৈধ্য উপায় অবলম্বন করে জমি কেনা বেচা হত। কে কার জমি, কোন জমি,
কোন খতিয়ান থেকে কোন দাগ রেজিষ্ট্রি করা হচ্ছে তা ও বুজরতে পারতো না। তাইে এই
সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার অনলাইনে কিভাবে জমির খাজনা দেওয়া য়ায়, খারিজ ও
খতিয়ান সহ আরো অনেক সেবা অনলাইনে পেতে পারেন।
অনলাইনে জমির নামজারি করার নিয়ম
ইতোপূর্বে আপনাদের ই নামজারি কি, সে সম্পর্কে ধারনা দেওয়া চেষ্টা করেছি।
এবারে আপনি কিভাবে ই নামজারির আবেদন করতে হয় সে সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা
করবে। নামজারির আবেদন করতে যে সকল কাগজ প্রয়োজন তা হল।
- আবেদন কাররির ভোটার আইডি ফটোকপি।
- আবেদন করির ছবি ও স্বাক্ষর।
- আবেদনকারি একাধিক হলে প্রত্যেকের ভোটার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষর।
- ভোটার আইডি না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি হলে ওয়ারিশন সনদ।
- ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের হাল রশিদ।
- ই নামজারির আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
ভূমি সেবা ও খতিয়ান
আমরা অনেকেই জানিনা খতিয়ান শব্দের অর্থ কি। আসলে খতিয়ান বলতে কোন একটি মৌজার
একাধিক ভূমি মালিক বা ভুল সম্পত্তির বিবরণ একটি ভূমি রেকর্ডে জরিপ করে এক
জায়গায় রাখা হয় তখন তাকে একটি খতিয়ান বলা হয়। একটি খতিয়ানে একাধিক দাগ
থাকে। দাগে দাগে জমির পরিমানও উল্লেখ থাকে।
আপনি যে সকল খতিয়ানের অনলাইন কপি পাবেন সেগুলো হচ্ছে সিএস , এসএ, পিএস, আর এস
বি এস। বর্তমান সরকার জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ভূমি সেবা চালু
করেছে ।
- অনলাইনে ই-নামজারি আবেদন
- অনলাইনে ভুমি উন্নয়ন কর
- খাস জমির বন্দোবস্ত সেবা
- অর্পিত সম্পত্তি ব্যাবস্থাপনা সেবা
- সায়রাত মহাল ব্যাবস্থাপনা সেবা
- স্মার্ট ভূমি নকশা।
- নামজারি রিভিও
- মিসকেস
ভূমি সেবা অনলাইন
বর্তমান সরকার এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই
পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল কিভাবে আপনি জমির নামজারি করতে পারেন,
ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারেন, অনলাইন থেকে কিভাবে জমির খতিয়ান উত্তোলন করতে
পারেন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি জমির জরিপ করতে পারেন।
অনলাইনে মাধ্যমে আপনি জমির দলিল চেক করতে পারেন। এমন এক সময় ছিল যখন খতিয়ান
উত্তোলনের জন্য জেলা অফিসে খতিয়ানের জন্য আবেদন করতে হতো তারপর কিছুদিন পর
খতিয়ান দেওয়া হতো তারা অনেক চার্জও লাগত। কিন্তু বর্তমানে আপনি ঘরে বসেই আপনি
আপনার দাগ নাম্বার অথবা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে খতিয়ান চেক করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
ই পাসপোর্ট চেক করার ০২টি নিয়ম
এমনকি খতিয়ানটি উত্তোলনও করতে পারবেন। আপনার পার্শ্ববর্তী যেকোনো ইউনিয়ন
ডিজিটাল সেন্টার থেকে খতিয়ানটি উত্তোলন করতে পারবেন অথবা যে কোন অনলাইন
কম্পিউটারের দোকান থেকে আপনি আপনার করতেন দেখতে পারবেন ও উত্তোলন করে নিতে
পারবেন এর জন্য আপনাকে জেলা ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস কোথাও যেতে হবে না।
আপনার কোথায় কতটুক জমি আছে তার অংশীদার কে কে এবং খতিয়ানের কোন অংশের জমি
ছাড়া পড়েছে কিনা এ সমস্ত বিষয় জানতে এবং ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার জন্য যেহেতু
খতিয়ানের প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার অথবা যে কোন
অনলাইন কম্পিউটার দোকান থেকে উত্তোলন করে নিতে হবে।
খতিয়ান উত্তোলনের জন্য আপনাকে শুধু ভোটার আইডি নিয়ে এবং মোবাইল নাম্বার নিয়ে
কম্পিউটার দোকানের যেতে হবে। আমাদের দেশে যেগুলো খতিয়ান অনলাইন সার্ভিস পেয়ে
থাকে সেগুলো হচ্ছে পিএস সিএস আরএস এস এ বি এস। আমি প্রতিটি খতিয়ান সম্পর্কে
সংক্ষিপ্ত ধারণো দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ভূমি উন্নয়ন কর
এমন একটা সময় ছিল মানুষ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক ভোগান্তির সম্মখিন হতো। ঠিকমত
জমির খাজনা দিতে পারতো না। জমির খাজনা দেওয়ার জন্য যেসকল কাগজ প্রয়োজন তা হল
- জমির খতিয়ান
- জমির মালিকের ভোটার আইডির কপি
- যদি ওয়ারিশরা খাজনা দিতে চান তাহলে অবশ্যই ওয়ারিশন সার্টিফিকেট লাগবে।
- যে ওয়ারিশ খাজনা প্রদান করবে তার ভোটার আইডি।
- যদি জমির দলিল দিয়ে খাজনা দিতে চান তাহলে জমির দলিলের কপি।
- বর্তমানে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা পদ্ধত্তি উল্লেখ করা হল।
- প্রথমে আপনাকে ভূমি উন্নয়ন কর এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- নাগরিক কর্নার থেকে একটি একাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে।
- তারপর নাগরিক লগইন থেকে একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে।
- একাউন্টে প্রবেশ করার পর ভোটার আইডি ভেরিফাই ও অন্যান্ন তথ্য পূরন করতে করতে হবে।
- তার পরজেলা,উপজেলা, খতিয়ান নম্বর, হোল্ডিংনং, খতিয়ান আপলোড ও ওয়ারিশন সার্টিফেকেট আপলোড করতে হবে। ওয়ারিশন সার্টিফিকেট আপলোড করার পর জমির কোন মালিকের ওয়ারিশ তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- সবষেশে সংরক্ষন বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এভাবে আপনি যতটা খতিয়ান আছে সব গুলো একটি একটি করে আবেদন করতে হবে। আবেদনের প্রায় এক সপ্তাহ পরে স্থানীয় ভুমি অফিসের কর্মকর্তা আবেদনটি মুঞ্জুর করবে। আর তখনি আপনি অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খাজনা দিতে পাবেন।
অনলাইনে কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়
বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ডিজিটাল ভূমি সেবা আরো উন্নত করা
হয়েছে। মানুষ ঘরে ঘরে বসেই জমিয়ে খাজনা খতিয়ান সবকিছু দিতে পারছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ভুমিসেবা কে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য
ভূমি সেবার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল দলিল এবং খতিয়ান অনলাইনে করা হয়েছে এজন্যই
খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছেন অনলাইনে জমির খতিয়ান।
বর্তমান সময়ে যেগুলো খতিয়ান প্রয়োজন তার ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে
আরএস খতিয়ান আর এসেছে সর্বশেষ খতিয়ানের মাধ্যমে মানুষ জমি রেজিস্ট্রি ও ভূমি
উন্নয়ন কর প্রদান করতে পারে খুবই ওই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান
বিগত যে ভূমি পেয়েছে বা ক্ষতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল সেই জরিপে ও খতিয়ানে
অনেক ত্রুটি-বিস্তুতি থেকে গিয়েছিল আর এই ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমি জরিপ করার সিদ্ধান্ত নেই যা আর এস বা হেভি সেরেল
সার্ভার পরিচিত এই গ্রুপে খতিয়ানের নকশা ও নির্ভুলভাবে গ্রহণ করা হয় আর একেই
বলা হচ্ছে আর এস খতিয়ান বা সর্বশেষ খতিয়ান।
সি এস রেকর্ড বলতে কী বোঝায়
বাংলাদেশ প্রতিটি জেলা ভিত্তিক যে নকশা ও ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় সেটা
হচ্ছে সিএস খতিয়ান। আমাদের দেশে সরকার কর্তৃক ১৯৬৫ সাল বা তারপরে এক কথায়
জমিদারি অধিগ্রহণ প্রজাতান্ত্রিক আইন জারি করার পর এক ধরনের খতিয়ান প্রকাশ করা
হয় সেটা হচ্ছে সিএস রেকর্ডিং ও খতিয়ান।
নামজারি কি
যদি কোন ব্যক্তি জমি ক্রয় করে অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হয়ে থাকেন
তবে সে যতক্ষণ না পর্যন্ত নামজারি আবেদন করছে জমিটির ততক্ষণ জমি তার নামে হবে
না মোটকথা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বা ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত
সম্পত্তির নিজস্ব মালিকানা বা নিজের নামে খতিয়ান করার পদ্ধতি হচ্ছে ই-নামজারি।
আসুন আমরা জমা খারিজি সম্পর্কে একটু জেনে নেই
- জমাখালি সম্পর্কে জানতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে জমা খারিজ কি। যখন পৈতৃক সম্পত্তি প্রাপ্ত হওয়ার সময় একাধিক মালিকানা থাকে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ধরুন আপনার পিতারা চার ভাই বা আপনার দুইটা দাদা, দাদুর সম্পত্তির অনেকগুলা সে ক্ষেত্রে জমিগুলা কিন্তু দাদুর নামে এন্টি করা আছে এখন ওয়ারিশটা সব ভিন্ন ভিন্ন ।
এমতাবস্থায় ওয়ারিশগন বিভক্ত হওয়ার কারণে জমিগুলো আলাদা করার প্রয়োজন হয়ে
পড়ে আর সেজন্যই জমা জমি যে যার নামে করে নেওয়ার পদ্ধতি হচ্ছে জমা খারিজ
পদ্ধতি ধরা যাক আমার বাবার সম্পত্তি আমরা পাঁচ ভাই সমানভাগে ভাগ করে দিয়ে যে
যার নামে বা নিজস্ব নামে নেওয়া নামই হচ্ছে জবা খারিজি এতে হয় কি আপনার নিজস্ব
নামে তৈরি হয়ে যায়।
ভূমি সেবা - apps
ভূমি সেবা কে আরো এগিয়ে নেতে সরকার ইতি মধ্যে ভূমি সেবা - apps চালু করেছে। এই
এ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই সকল সেবা অতি সহজেই পাবেন। এর এ্যাপস পাওার
জন্য আপনার মোবাইলে প্লে-ষ্টোর গিয়ে ভুমি সেবা লিখে সার্চ করে এই এ্যাপস
ডাউনলোড করতে পারবেন। বর্তমানে ভূমি সেবার আলাদা আলাদা অ্যাপস প্লে স্টোরে
দেখতে পাওয়া যায় যেমন।
- ভূমি সেবা ও নাম দিয়ে জমিয়ে খুঁজুন
- ভূমি উন্নয়ন কর
- নামজারি
- ই খতিয়ান
- ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি
- স্মার্ট ভূমি পিডিয়া
- ভূমি সেবা-ভূমি উন্নয়ন কর
- ভূমি জরিপ ক্যালকুলেটর
- স্মার্ট ভূমি নকশা
- ভূমি ও রেজিষ্ট্রি সেবা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url