বাংলা আর্টিকেল লেখার বেসিক নিয়ম - আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার উপায়
সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাংলা
আর্টিকেল লেখার বেসিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার উপায়
উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলা আর্টিকেল লেখার বেসিক নিয়ম এই পোস্টটি
সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি একজন প্রফেশনাল
কন্টেন রাইটার হতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
লেখার বস হয়ে যাবেন। শুধু নিজের ব্লগেই নয় আপনি গেষ্ট ব্লগিং করেও আর্টিকেল
লেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে খুব সহজেই বিকাশে পেমেন্ট নিতে নিতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখার একজন মাস্টার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটি খুব ভালো করে
মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার বেসিক নিয়ম
যারা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাদের অবশ্যই একজন ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে
হবে। ভালো আর্টিকেল টাইটার না হলে আপনি আপনার কোন পোস্টটি google এ র্যাংক করাতে
পারবেন না। আর যদি আপনার পোস্ট রেঙ্ক না করে তাহলে আপনি কোন ক্লিক আশা করতে
পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
বাংলা আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি
বাংলা আর্টিকেল লেখার বেসিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
কিভাবে একজন প্রফেশনাল বাংলা আর্টিকেল রাইটার এবং আর্টিকেল লিখে কিভাবে মাসের লাখ
টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে।
কিওয়ার্ড কি
বাংলা আর্টিকেল লিখতে গেলে আপনাকে সর্বপ্রথমে জানতে হবে কিওয়ার্ড সম্পর্কে। তাহলে
প্রশ্ন হল কিওয়ার্ড কি? কিওয়ার্ড হচ্ছে সেই বাক্য যে বাক্যটি ব্যবহার করে কোন
মানুষ কোন বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনে উক্ত বাক্যটি লিখে
সার্চ করে। মানুষ কোন কিছু জানার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যে বাক্য বা শব্দ লিখে
সার্চ করে তাকে কিওয়ার্ড বলে। বাংলা আর্টিকেল লিখতে গেলে কিওয়ার্ড সম্পর্কে খুব
ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।
কিওয়ার্ডের প্রকার ভেদ
কিওয়ার্ডের প্রকার ভেদ রয়েছে। সাধারণত কিওয়ার্ড কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
- শর্টটেল কিওয়ার্ড
- লংটেল কিওয়ার্ড
শর্টটেল কিওয়ার্ড কি?
যে কিওয়ার্ডগুলো এক থেকে দুই শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ যে কিওয়ার্ড
গুলো খুবই ছোট বা শট তাকে শর্টটেল কিওয়ার্ড বলা হয়। যেমনঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি
লংটেল কিওয়ার্ড
যেগুলো কিওয়ার্ড তিন এর অধিক শব্দের সে সকল কেউ আটকে লং টেল্কিওয়ার্ড বলা হয়।
সাধারণত এ ধরনের কিওয়ার্ড তিন থেকে দশ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। যেমনঃ কিভাবে
বাংলা আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়।
কিওয়ার্ড নির্বাচন করার পদ্ধতি
বাংলা আর্টিকেল লেখায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ যে বিষয়টি হলো সেটি হল কিওয়ার্ড
নির্বাচন করা। আপনি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে না পারলে আপনার আর্টিকেল লেখাটি
সম্পূর্ণ বৃথা হয়ে যাবে। একটি আর্টিকেল লেখার জন্য একটি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন
করতে হবে। কিওয়ার্ড নির্বাচন করার পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।
প্রথমতঃ আমরা যারা নতুন ব্লগিং করি বা আপনারা যারা নতুন ব্লগার তারা কোন
ধরনের কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন লংটেল কিওয়ার্ড নাকি শর্টটেল কিওয়ার্ড।
এক্ষেত্রে আমার সাজেশন হলো আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে
লংটেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। কেননা শর্ট টেল কিওয়ার্ডে কমপিটিটর
অনেক হাই হয়ে থাকে।
সে কারণে শর্টটেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলে সেটা গুগলের র্যাংক করানো খুবই
স্টাফ হয়ে যায়। সেজন্য আপনাকে লংটেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। লংটেল
কিওয়ার্ড নেওয়ার সময় আর একটা বিষয়ে আপনার মাথায় রাখতে হবে কিওয়ার্ড যেন হুবহু
অন্য কারো কিওয়ার্ডের সাথে একেবারে মিলে না যায়। আর যদি মিলে যায় তাহলে তার
আগে পিছে কিছু কেটেকুটে কম-বেশি করে আপনার মত করে এবার তৈরি করে নিতে পারেন।
দ্বিতীয়তঃ আপনি লংটেল কিওয়ার্ড নির্বাচন করার পর সেই কিওয়ার্ডে নিয়ে
একটু রিসার্চ করতে হবে। রিচার্জ টা কিভাবে করবেন? কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য
আপনি অনলাইনে সাহায্য নিতে পারেন। অনলাইনে বেশ কয়েকটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এবং
কিওয়ার্ড জেনারেটর টুলস রয়েছে যেগুলোর দ্বারা আপনি কিওয়ার্ড রিচার্জ করতে
পারবেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি রিচার্স করবেন? যে কিওয়ার্ড আপনি নির্বাচন করেছেন সেই
কিওয়ার্ড নিয়ে গুগলে কতজন অলরেডি পোস্ট লিখে ফেলেছে, উক্ত কিওয়ার্ডে প্রতি
মাসে কি রকম চার্স হয় ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। যেগুলো
কিওয়ার্ডর search result একটু কম অর্থাৎ ২০০০-৪০০০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং
মাসিক সার্চ রেজাল্ট ৮০০-১০০০ এর মধ্যে আপনি সেই কি কিওয়ার্ড পারফেক্ট হিসেবে
নিতে পারেন।
আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল যেন উক্ত কিওয়ার্ডে বিপরীতে খুব বেশি
ব্লগাররা ব্লগ লিখে না থাকে। তাহলে সে কিওয়ার্ডে আর্টিকেল লিখে গুগলে র্যাংক
করানো খুবই সহজ হয়ে যাবে। যারা নতুন ব্লগার তারা অবশ্যই এই পদ্ধতিটি ফলো করবেন।
কিওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট করার নিয়ম
একটি পোস্ট লেখার জন্য কতটি কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন? একটি পোস্ট লেখার জন্য আপনি
পাঁচ থেকে সাতটি কিওয়ার্ড নিতে পারেন। বেশি কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লেখার একটি
বিশেষ সুবিধা রয়েছে। সুবিধাটি হচ্ছে যখন আপনি একটি পোস্টে ৭ টি কি ওয়ার্ড নিয়ে
পোস্ট লিখবেন তখন অন্যান্য ওয়েবসাইটের যে তথ্য প্রদান করা থাকবে আপনার একটি
পোস্টেই সে সকল তথ্য প্রদান করতে পারবেন।
এতে করে যখন কোন ব্যক্তি কোন বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করবে তখন google মনে করবে
অন্যান্য সাতটি ওয়েবসাইটে যে তথ্য প্রদান করা রয়েছে আপনার একটি ওয়েবসাইটের
একটি পোস্টে যে সকল তথ্য বিদ্যমান রয়েছে। এর জন্য গুগল আপনাকে রেঙ্কে অনেকটাই
এগিয়ে রাখবে। যে পাঁচটি কিওয়ার্ড আপনি নির্বাচন করবেন সেই কিওয়ার্ডগুলোকে তিনটি
ভাগে ভাগ করতে হবে।
- ফোকাস কিওয়ার্ড
- সেকেন্ড ফোকাস কিওয়ার্ড
- আদার্স কিওয়ার্ড
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কিওয়ার্ড কোথায় রাখবেন কিভাবে রাখবেন?
ফোকাস কিওয়ার্ড অবশ্যই আপনার পোস্টের টাইটেল হবে এবং পোস্টের শুরুতে প্রথম
লাইনেই উক্ত কিওয়ার্ড একবার ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। ফোকাস কিওয়ার্ড পোষ্টের
মধ্যে একবার রেখে ফোকাস কিওয়ার্ড সম্পর্কে একটি প্যারাগ্রাফ লিখতে হবে।
যার শব্দ হবে ৫০০-৭০০ন শব্দের। ফোকাস কিওয়ার্ড অবশ্যই খোখে পড়ার মতো অর্থাৎ
ট্রাফিক দেখলেই যেন উক্ত কিওয়ার্ড সম্পর্কে পড়ার আগ্রহ মনের মধ্যে তৈরি হয়
এরকম কিওয়ার্ড নিতে হবে।
সেকেন্ড ফোকাস কিওয়ার্ড
সেকেন্ড ফোকাস কিওয়ার্ড পোস্ট এর শুরুতে দ্বিতীয় লাইনে একবার ইমপ্লিমেন্ট করতে
হবে এবং পোস্টের ভিতর একবার মোট দুই থেকে তিনবার রাখবেন। সেকেন্ড ফোকাস কি
ওয়ার্ড বলতে এরকম এটা কিওয়ার বোঝায় যখন কোন ট্রাফিক ফাস্ট কিওয়ার্ড দিয়ে
সার্চ করার মাধ্যমে আপনার পোস্ট খুঁজে না পেলেও সেকেন্ড কিওয়ার্ড দিয়ে
যেন সার্চ করে খুঁজে পায়।
এটি সহজ ভাবে বুঝায়, ধরুন আপনি মাছ ধরার জন্য ছয়টি ফাঁদ পেতেছেন। ফাদগুলো এমন
ভাবে সাজিয়ে রেখেছেন যেন মাছটি প্রথম ফাঁদে থেকে পালিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় ফাঁদে
আটকা পড়ে, দ্বিতীয় ফাঁদে থেকে পালিয়ে গিয়ে তৃতীয় ফাঁদে আটকা পড়ে, তৃতীয়
ফাঁদ থেকে পালিয়ে গিয়ে চতুর্থ ফাঁদে অর্থাৎ কোন না কোন ফাঁদে আটটা পড়বেই।
কিওয়ার্ড গুলোকে ঠিক একইভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্টের মধ্যে রাখতে হবে।
আদারস কিওয়ার্ড
প্রথম এবং দ্বিতীয় কেউ ওয়ার্ড ব্যতীত যে কিওয়ার্ডগুলো নিবেন সেগুলো হচ্ছে
আদার্স কিওয়ার্ড। এই কিওয়ার্ডগুলো পোস্ট এর ভেতরে অন্তত দুইবার করে রাখবেন এবং
প্রতিটি কিওয়ার্ড সম্পর্কে ৫০০ থেকে ৭০০ শব্দের প্যারাগ্রাফ লিখবেন।
নির্বাচিত কিওয়ার্ড এর বিপরীতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
কিওয়ার তো নির্বাচন করলেন এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো আমি
উক্ত কিওয়ার্ড সম্পর্কে আমি তেমন কিছু তো জানিনা তাহলে লিখবো কি করে? লেখাটা খুব
সহজ। এর জন্য আপনাকে নিজস্ব বুদ্ধি খাটিয়ে লিখতে হবে। আপনি যে কিওয়ার্ড
সম্পর্কে লিখবেন সেই কিওয়ার্ড নিয়ে গুগলে সার্চ করুন। এবং একটি ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করুন দেখবেন যে উক্ত ওয়েবসাইটে অনেক তথ্য প্রদান করা আছে।
আপনি উক্ত ওয়েবসাইট ভালোভাবে পড়ার পর আপনার নিজের মত করে আপনার ওয়েবসাইটে
লিখবেন। লেখার সময় অবশ্যই আপনি চার থেকে পাঁচটি ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে ভালো ভালো
তথ্য গুলো তুলে ধরবেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে লিখতে গিয়ে দেখবেন আবার
কপিরাইট যেন না হয়। তিন থেকে চার লাইন লেখার পর গুগলে সার্চ করে দেখবেন কপিরাইট
ধরছে কিনা।
এভাবে আপনি প্রতিটি কিওয়ার্ড সম্পর্কে সার্চ করে করে রিসার্চ করে করে একটি ভালো
আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবেন যেন আপনি যে ওয়েবসাইটটি ফলো করে আর্টিকেল লিখছেন
তার থেকে অবশ্যই ভালো হয়।
আর্টিকেল এলাইমেন্ট এবং ক্লিয়ার ফরমেটিং
পুরো পোষ্টের লিখা কিন্ট্রোল প্লাস এ দিয়ে সিলেক্ট করে ক্লিয়ার ফরমেট করে নিতে
হবে। যাতে করে পোষ্ট লিখার সময় যদি কোন এক্সট্রা ফরমটে গ্রহন করে তাহলে সেটি দুর
হয়। এবার অ্যালাইনমেন্ট অপশন থেকে জাস্টিফাই করে নিতে হবে।
আর্টিকেলের গ্রামাটিক্যাল ইরর চেক
সমস্ত আর্টিকেল লেখা শেষ হয়ে গেলে আপনাকে আর্টিকেলটি পুনরায় রিভাইস করতে হবে।
যেন ভাষাগত কোন অমিল না হয় আবার আর্টিকেলি কোন বাক্য অর্থাৎ বানান ভুল না হয়।
যদি ভুল হয় সেগুলো ঠিক করে নেবেন। একে বলা হয় গ্রামাটিকাল ইরর চেক। সঠিক
আর্টিকেল সঠিক ভাষার আর্টিকেল গুগলে র্যাংক করাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
আর্টিকেল ফরমেটিং
এরপর আপনাকে আর্টিকেল ফরমেটিং করতে হবে। ফরমেটিং বলতে পুরো পোষ্টটাকে প্যারায়
প্যারায় সাজাতে হবে। একটি প্যারায় ৩ লাইন থেকে ৩.৫ লাইন লেখা থাকতে হবে। কেননা
প্যারাগ্রাফ অনেক বেশি লাইন হলে পাঠক পড়তে অসস্থী বোধ করে। তাই প্যারাগ্রাফ অনেক
বেশি না রাখায় ভাল। আচ্ছা, এর পর আপনার আর্টিকেল যদি কোন লিষ্টিং করার প্রয়োজন হয়
তাহলে সেগুলোকে বুলেট লিষ্টিং করতে পারেন। এ কাজটি কিভাবে করবেন। খুব সোজা-
উদাহরনঃ
- আম
- জাম
- কাঠাল
- লিচু
- কমলা
বুলেট লিষ্টিং এর বিষয় বস্তু সম্পর্কে যদি কিছু বর্ননা করতে চান তাহলে কিভাবে
করবেন? চলুন সে বিষয়ে ধারনা নেওয়া যাক। উদাহরনঃ
আমঃ এখানে আম সম্পর্কে অথ্যাৎ আমার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কোন জেলায়
বেশি আম পাওয়া যায়। আম খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ৩ থেকে ৩.৫ আপনি চাইলে
তার লিখতে পারবেন। সেক্ষেতে লেখাগুলোকে প্যারায় প্যারায় সাজাতে হবে।
জামঃ এখানে আম সম্পর্কে অথ্যাৎ আমার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কোন
জেলায় বেশি আম পাওয়া যায়। আম খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ৩ থেকে ৩.৫ আপনি
চাইলে তার লিখতে পারবেন। সেক্ষেতে লেখাগুলোকে প্যারায় প্যারায় সাজাতে হবে।
কাঠালঃ এখানে আম সম্পর্কে অথ্যাৎ আমার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কোন
জেলায় বেশি আম পাওয়া যায়। আম খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ৩ থেকে ৩.৫ আপনি
চাইলে তার লিখতে পারবেন। সেক্ষেতে লেখাগুলোকে প্যারায় প্যারায় সাজাতে হবে।
লিচুঃ এখানে আম সম্পর্কে অথ্যাৎ আমার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কোন
জেলায় বেশি আম পাওয়া যায়। আম খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ৩ থেকে ৩.৫ আপনি
চাইলে তার লিখতে পারবেন। সেক্ষেতে লেখাগুলোকে প্যারায় প্যারায় সাজাতে হবে। আম,
জাম, কাঠাল, লিচু অবশ্যই বোল্ট করে নিবেন।
এরপর আপনার লেখার কিওয়ার্ড আন্ডারে যদি সাব কিওয়ার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি
যেভাবে পোষ্ট সাজাবেন এবার সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। ধরুন আপনি কিওয়ার্ড নির্বাচন
করেছেন, কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি। তাহলে অবশ্যই আপনি প্রথমে কলা খাওয়ার
উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। তাহলে আপনি এই প্যারাটি কিভাবে সাজাবেন? উদাহরন
প্রদান করা হলঃ
কলা খাওয়ার উপকারিতা
এখানে আপনি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। কলা খেলে
কি হয়, কি জাতীয় কলা খাওয়া শরিরের পক্ষে ভাল। কলাতে কোন কোন ভিটামিন থাকে ইত্যাদি
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। কলা খাওয়ার উপকারিতা লিখাটি বোল্ট এবং
ফন্ট সাইজ থেকে লার্জ করে নিবেন।
কলা খাওয়ার অপকারিতা
এখানে আপনি কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। কলা খেলে
কি হয়, কি জাতীয় কলা খাওয়া শরিরের পক্ষে ভাল। কলাতে কোন কোন ভিটামিন থাকে ইত্যাদি
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। কলা খাওয়ার উপকারিতা লিখাটি বোল্ট এবং
ফন্ট সাইজ থেকে লার্জ করে নিবেন।
আর্টিকেল ডেকোরেশন
আর্টিকেল ডেকোরেশন কি? ডেকোরেশন মানে বুঝতেই পারছেন সাজানো। আর্টিকেলকে পাঠকের
দৃষ্টি আকর্শন করার জন্য এবং গুগলে র্যাংক করার জন্য আটিকেল ডেকোরেশন খুবই
গুরুত্বপূর্ন। তাহলে কিভাবে ডেকোরেশন করবেন? এক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব পথমে যে কাজ
করবেন তা হলোঃ
আপনি আপনার পোষ্টটিতে যত গুলো কিওয়ার্ড নিয়েছেন সব কিওয়ার্ড কে প্যারাগ্রাফ থেকে
হেডিং এবং ফন্ট সাইজ লার্জেষ্ট করতে হবে।
পেজ সূচী পত্র তৈরি করার নিয়ম
পোষ্টকে অনেক সুন্দর করার জন্য পেজ সূচী পত্র তৈরি করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন।
কারণ পাঠকের আপনার পুরো পোষ্ট পড়ার প্রয়োজন না ও হতে পারে। এক্ষেত্রে পাঠকের যে
অংশ পড়া জরুরি পাঠক সূচীপত্রে সে অংশে ক্লিক করে খুব সেহজেই পড়ে নিতে পারবেন। পেজ
সূচীপত্র দেখতে নিন্ম রুপ হবে।
এ কাজ করার জন্য আপনার প্রতিটি কিওয়ার্ড সর্বপ্রথমে পেজ সূচীপত্রের নিচে সাজাতে
হবে। এরপর প্রতিটি কিওয়ার্ডকে একটি লিংক দিতে হবে তারপর সেই লিংককে আবার পেজ
সূচীপত্রের কিওয়ার্ডের সাথে লিংকিং করতে হবে।
স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম
পোষ্ট লেখার সময় কোন বিশেষ অংশের স্ক্রিন শট পোষ্টের মধ্যে ইমপ্লিমেন্ট করা
প্রয়োজন হতে পারে বা হয়। স্ক্রিন নেওয়ার অনেক টেকনিক আছে। আপনি সহজ একটি সফটওয়ার
ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়াটি নাম হলো লাইটশট সফটওয়ার। কিভাবে স্ক্রিন শট নেবেন
এবং পোষ্টের মধ্যে রাখবেন তার একটি উদাহরন দেওয়া হল।
ইমেজ সংযুক্ত করা
আপনার পোষ্টের মূল ফিচার ইমেজ অবশ্যই নিজে বানানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও পোষ্টোর
বিভিন্ন অংশে আপনি ছবি রাখতে পারবেন। যখন আপনি অনলাইন থেকে ছবি নেবেন অবশ্যই ছবি
লিংক কপি না করে ছবিটি সেভ করে নিবেন। এর পর যেভাবে ছবি পোষ্টে যুক্ত করবেন না
নিচের ছকে দেখানো হলো।
অনলাইন হতে ছবি নেওয়ার নিয়ম
অনলাইন হতে আপনি সকল ছবি ডাউনলোড করে পোষ্টের মধ্যে েইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন
না। এজন্য আপনাকে প্রথকে টুলস এ যেতে হবে। তার পর Usage Rights এ ক্লিক করে
ক্রিয়েটিভ এ কমন লাইসেন্স থেকে ছবি নিতে হবে। নিচে একটি উদাহরন দেওয়া হল।
আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা
আপনি যদি কোন ব্লগার ওয়েবসাইজ ভিজিট করেন তাহলে দেখবেন যে একটি আর্টিকেলে মধ্যে
লেখক অন্য একটি পোষ্টের লিংক দিয়ে আরো পড়ুন নামে একটি সেশন যুক্ত করেছেন। তাহলে
পাঠক পড়তে পড়তে আরো পড়ুন সেকশন পছন্দ করার ফলে পাঠক যদি সেই পোষ্ট ও পড়ে তাহলে
আপনার ক্লিক ও বাড়বে ইনকাম ও হবে। একাজ কিভাবে করবেন?
এ কাজটি করার জন্য অন্য একটি পোষ্টের টাইটেল কপি করে আরো পড়ুন লিখার পর পেষ্ট করে
উক্ত পোষ্টের লিংক কপি করে এই লিখার সাথে লিংকিং করেলেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।
উদাহারনঃ
ডাউনলোড এবং অন্যান্ন বাটন যুক্ত করা
আপনি চাইলে আলাদাভাবে ডাউনলোড বাটন যুক্ত করতে পারবেন।উদাহরনঃ
ইনটারনাল এবং এক্সটারনাল লিংকিং করা
যে আর্টিকেল টি লিখবেন সেই আর্টিকেলের সাথে মিল আছে এরকম আরো পোষ্টের লিংক আপনি
আপনার আর্টিকেলের মধ্যে রাখতে পারেন। উদহারনঃ
ইনটারনাল লিংক
এক্সটারনাল লিংকিং
সম্মান সূচক বাক্য ব্যবহার
আর্টিকেলের মধে অবশ্যই আপনি/আপনার এসব সম্মান সূচক বাক্য ব্যবহার করতে হবে। যাতে
করে পাঠক পোষ্টটি পড়ে সন্তুষ্ট হয়।
আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার উপায়
এখন আমি আপনাদের আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। আপনি কি জানেন
একজন কনটেন্ট রাইটার মূল্য কত? ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবথেকে সম্মানের কাজ হলো
আর্টিকেল লিখার কাজ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন? কারন একটি ভাল কনটেন্ট সবাই লিখতে
পারে না। একজন ভাল আর্টিকেল রাইটারের যেসব গুনাবলি ও যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তা হল।
- ভাষা জ্ঞান দক্ষতাঃ ভাষা জ্ঞান সবার থাকে না। পোষ্টে কি ধরনের শব্দ ব্যবহার করতে হবে তাও জানে না। না জেনে আটিকেল লিখলে তা একেবারে বিশ্রি লাগে।
- হার্ড মেমোরি
- দ্রুত কোন বিষয় সম্পর্কে আইডিয়া নিয়ে আসা।
- অবশ্যই মেধাবি হওয়া।
- যে কোন বিষয়কে সম্মান করা
- অত্যাধিক পরিমানে ধৈর্য় থাকা।
আর এই গুন গুলো সবার থাকে না। তাহলে অবশ্যই অবশ্যই বুজতে পেরেছেন একজন আর্টিকেল
রাইটিং করা কেন এতো সম্মানের কাজ। এবার আশা যাক ইনকাম এর বিষয়ে।
আপনি যদি একজন ভালো রাইটার হোন তাহলে আপনার প্রতিটি পোষ্ট ২০০-৫০০ এমনকি আরো অনেক
বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। আপনার যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি
শুধু কনটেন্ট রাইটিং শিখে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথা
কনটেন্ট রাইটিং যেহেতু অত্যান্ত সম্মান জনক পেশা তাই আপনি বিনা দিধায় এই কাজ টি
করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url