ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে - ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে এসব প্রশ্ন সবার মনেই থাকে। আপনি হয়তোবা ডিজিটাল মার্কের্টিং শিখতে চাইছেন কিন্তু কিভাবে শিখবেন বুজতে পারছেন না। এই পোষ্টের মাধ্যেমে আপনানি কিভাবে ডিজিটাল মার্কের্টিং শিখবেন তা সম্পুর্ন আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কের্টিং শিখতে চান তাহলে এই পোষ্টটি ভালভাবে পড়ুন।
এই পোষ্টটিতে শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শেখানো হয় শুধু তাই নয় বরং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে,ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন,ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হল।
ভূমিকা
বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ন পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। কারন মানুষ ঘরে বসে সকল সেবা পেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষৎ কি, কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
- ডিজিটাল মার্কেটিং করতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক।
- যে বিষয় সম্পর্কে মার্কেটিং করতে চান সে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে।
- সৃজন শীল
- নিয়মিত অনশীলন করা
- কোন আইটি প্রতিষ্ঠানে কোর্সের মাধ্যমে শিখে মার্কের্টিং করা।
- ইউটিউব এ ভিডিও দেখে শেখা
- বিভিন্ন ওয়বেসাইটের আর্টিকেল পড়ে শেখা।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত সময় লাগতে পারে সেটা আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপনার ধৈর্যের উপর নির্ভর করবে। তবে সাধারণত একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শিখতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে এবং দক্ষ মার্কেটার হতে হলে আপনাকে কমপক্ষে দুই বছর ডিজিটাল মার্কেটিং এর পিছনে সময় ব্যয় করতে হবে।
প্রথম তিন মাস
আপনি যদি নতুন কম্পিউটার ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে প্রথম তিন মাস আপনাকে ভালোভাবে কম্পিউটার বেসিক নলেজ আয়ত্ত করতে হবে। আর যদি আবেগে কম্পিউটার জানাশোনা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো একটি পার্ট প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের যেকোনো একটি পার্ট শেষ করতে প্রথমত তিন মাস আপনাকে একটি ভালো ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
এই তিন মাসে আপনি ভালোভাবে কম্পিউটার চালানো সহ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেসব দক্ষতা প্রয়োজন সে সকল বিষয়ের সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে।
পরের তিন মাস
আপনি যদি প্রথম তিন মাস ভালোভাবে কম্পিউটার শেখেন তাহলে পরের তিন মাসে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে সকল পার্ট রয়েছে সে সকল পার্ট সম্পর্কে বেসিক ধারণা লাভ করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা লাভ করা সহ আরো অন্যান্য পাঠ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে।
প্রথম তিন মাস এবং দ্বিতীয় তিন মাস মোট ছয় মাস সময় ধরে যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পেছনে সময় দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক বিষয়গুলো জানতে পারবেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করতে পারবেন। আপনি এটা অবশ্যই ভালো কোন কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট হতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যমে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস করে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে বেসিক ধারণা লাভ করতে পারবেন।
পরের ছয় মাস
প্রথম তিন মাসে কম্পিউটার বেসিক ধারণা এবং দ্বিতীয় তিন মাসে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা লাভ করার পর পরবর্তী ছয় মাসে আপনাকে ভালোভাবে সকল থিওরি প্র্যাকটিস করতে হবে। আপনার সকল কনসেপ্ট, সকল অভিজ্ঞতা, সকল প্র্যাকটিস বিভিন্ন ট্রাটেজি এপ্লাই করতে হবে। এভাবে টানা ১২ মাস প্র্যাকটিস করার পর আপনি নিজেকে একটা ছোটখাটো ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন বলে আশা করা যেতে পারে।
যদি আপনি ভালোভাবে কাজ করেন তাহলে। সব থেকে ভালো পদ্ধতি হল আপনি কোন আইটি সেন্টার হতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর উক্ত আইটি সেন্টারের সাথে প্র্যাকটিস স্বরূপ তাদের সাথে কাজ করা। এতে করে আপনি সিনিয়রদের থেকে ভালো কিছু শিখতে এবং প্র্যাকটিক্যালি কিভাবে কাজ করতে হয় সেগুলো বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করতে পারবেন।
পরের এক বছর
প্রথম বছর ভালো ভাবে প্র্যাকটিস করে একজন জুনিয়র ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি মাল্টিপল নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ভিন্ন ভিন্ন নিশে কাজ করে অনেক বেশি এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে পারেন। আর আপনি যত বেশি এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করবেন আপনার তত বেশি ক্লায়েন্ট আসবে এবং এজেন্সি হতে জব অফার আসতে থাকবে।
দ্বিতীয় বছর
আগের দুই বছর ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ক্লায়েন্টদের সাথে ছোটখাটো কাজ করে এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করার পর আপনি নিজেকে একজন মধ্য লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারেন। এরপরে যা করতে হবে আগের মতই প্রচুর প্র্যাকটিস এবং প্রচুর পরিমাণে কাজ করতে হবে। সেই সাথে আপনার বিভিন্ন বিষয়ে লার্নিং প্রশিক্ষণ চালু রাখতে হবে।
টানা তিন বছর পর
টানা তিন বছর আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর নিজেই একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। কেননা তিন বছরে আপনি যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করেছেন এবং ক্লায়েন্টদের অনেক ভালো সার্ভিস প্রদান করেছেন।
কোন কোন সময় ভুল করেছেন আবার ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন এই সব কিছু মিলিয়ে আপনি তিন বছর পরে ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে ফেলবেন।
উপরের বর্ণনা হতে এটা ধারণা লাভ করা যায় যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে এক বছর সময় লাগে। আর মার্কেটিং স্টেজে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আপনাকে টানা তিন বছর বিরতিহীন ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে সাধারনত ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে যে মার্কের্টিং করা হয়, আর একটু ভালভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি পন্থা যেখানে ইন্টারনেট, সোসাল মিডিয়া, মোবাইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ঠ কোন পন্য, নির্দিষ্ঠ কাষ্ঠমারদের বা নির্দিষ্ঠ লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বা জানান দেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার
ডিজিটাল মার্কের্টি সাধারনত দু প্রকার
- অনলাইন মার্কের্টিং
- অফলাইন মার্কেটিং
অনলাইন মার্কের্টিং
অনলাইন মার্কের্টি আবার ৭ প্রকার
- এসইও, সম্পূর্ণরূপে যাকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- পিপিসি মার্কেটিং
- যোগাযোগের মাধ্যম অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- অফলঅইন মার্কেটিং
অফলাইন মার্কেটিং আবার চারটি ভাগে বিভক্ত
- রেডিও মার্কেটিং
- টিভি অর্থাৎ টেলিভিশন মার্কেটিং
- স্মার্টফোন অর্থাৎমোবাইল মার্কেটিং
- যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স বিলবোর্ড এর মাধ্যমে মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে করতে হয়
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে অনলাইনের মাধ্যেমে নিদিষ্ঠ কোন পন্যের সুবিধা, এডভাইটাইজ প্রচার করা হয় এমন মার্কেটিংকে বলে। অনলাইনের মাধ্যম বলতে সোসাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, হোটাসঅ্যাপ, ইনষ্ট্রাগ্রাম ইত্যাদি। আবার ই-মেইল, এসইও এর মাধ্যমে। বর্তমোন বিশ্বে যাবতীয় খবর ঘরে বসেই জানা সম্ভব হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে ইনকাম করার ১০০টি সহজ উপায়
অনলাইনে ইন্টারনেট কানেকশন ও অফলাইনের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌছে দিতে হয়। এই মার্কেটিং মার্কেটিং করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এবং অফলাইন যেমন মোবাইল ফোন রেডিও সাইনবোর্ড এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংকরা হয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন
আপনি যদি এসইওতে এক বছরের কম অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বার্ষিক বেতন হিসেবে আসবে ১ লক্ষ টাকা। এবং আপনি বাৎসরিক ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে একটি জবো পেয়ে যেতে পারেন। আর যদি চার বছর বা তার বেশি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বাৎসরিক ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
আপনি কেমন কাজ করছেন আপনার ধৈর্য কি রকম কাজ করার এবং আপনার কাজ করার ধরনটা কি রকম, সবকিছু মিলিয়ে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় নির্ভর করে। অনেকে অনেক রকম প্রশ্ন করে সর্বোচ্চ কি রকম ইনকাম হতে পারে। এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা খুব কঠিন কারণ কাজ যতো বেশি ইনকাম ও তত বেশি হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যে সকল জিনিস শিখানো হয় তার ভেতর একটি হচ্ছে এসইও যার পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনি এসিওর মাধ্যমে কিভাবে মার্কেটিং করতে পারেন সেটা ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
- বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ সবচাইতে সহজ মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। আপনি কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করে মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা বা তার কম বা বেশি ইনকাম করতে পারেন সে বিষয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর শেখানো হয়।
- বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ মাধ্যমে ইমেইল। বাংলাদেশে ইমেইল তেমন ব্যবহার না হলেও বিদেশে আমরা যেভাবে আইডি কার্ড ব্যবহার করে থাকি ঠিক বিদেশীরা একইভাবে ইমেইল ব্যবহার করে থাকে তাই বলাই যাই ইমেইল মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইমেইল আপনি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মার্কেটিং করতে পারেন সে বিষয়ে শেখানো হয়।
- বাংলাদেশের তরুন তরুণী থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের মানুষ youtube-এ আসক্ত ইউটিউবে বিভিন্ন রকম ভিডিও সবাই দেখে থাকে তাই ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি কিভাবে মার্কেটিং করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সেটি দেখানো হয়ে থাকে।
- আমাদের দেশে অনেকগুলো কমার্শিয়াল কোম্পানি যারা তাদের পণ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করার অফার দিয়ে থাকে। আপনি যে কোন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেইল বা যে কোন ইন্টারেস্ট সংযোগের মাধ্যমে মার্কেটিং করে বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি যে টাকা কমিশন পাবেন সেটা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
- ওয়েবসাইটের এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্টিকেল বা বিভিন্ন ব্লগ লিখে সেটার দ্বারা আপনি মার্কেটিং করতে পারেন আর ডিজিটাল মার্কেটিং এ এটি শিখানো হয়ে থাকে।
- মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আপনি কিভাবে মার্কেটিং করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তা শেখানো হয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে ইন্টারনেটের ব্যবহার ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি, সোশ্যাল মিডিয়াম ব্যবহার বৃদ্ধি, মানুষের বুদ্ধিমত্তা মানুষের দক্ষতা ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়ার উপর। বর্তমান ইন্টারনেট যুগ তাই বলা যায় ইন্টারনেট ছাড়া মানুষ কিছুই করতে পারে না। আর ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং ভবিষ্যৎ ততই উজ্জ্বল।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার প্রধানত দুইটি কৌশল আছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট বানানো, ইউটিউব ইউটিউব থেকে টিউটোরিয়াল দেখে, এক্সপার্ট কোন ডিজিটাল মার্কেটার কে ফলো করেও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। আরো একটি পদ্ধতি হচ্ছে কোন আইটি সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে।
আপনার কোনটা পছন্দ এবং কোনটাতে আপনার সুবিধা বেশি সেটা আপনার অবশ্যই ইচ্ছাশক্তিমান নির্ভর করবে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা প্রথম এবং প্রধান কৌশল হচ্ছে আপনার ধৈর্য শক্তি। কারণ ধৈর্য শক্তি থাকলে আপনি কখনোই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন না এবং একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন না।
ডিজিটাল মার্কেটিং a to Z
মানুষ সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে মার্কেটিং করে থাকে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। এর এক বিশেষ সুবিধা হল মানুষের জন্য কম সময়ে তার কাজটা সেরে ফেলতে পারে। বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব অনেকটা বেশি বিস্তার করছে। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কি।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন পণ্য নির্দিষ্ট কোন লোকজনের ওপর প্রচার করা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি দুটি উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন সেটা প্রধানত ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও দেখে আরেকটি হচ্ছে এক্সপার্ট কোনো ডিজিটাল মার্কেটের কাছ থেকে মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার বা তারও অনেক বেশি ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ঘরে বসেই কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনার অবশ্যই প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক। কোন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যমে তাহলে অবশ্যই একটি ভালো আইটি প্রতিষ্ঠানে আপনাকে ভর্তি হতে হবে।
লেখক এর শেষ কথা
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অন্যথায় শুধু টাকা এবং সময় দুইটা নষ্ট হবে। আমার পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url