নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম আমি ফ্রিল্যাংসিং ইনফর-এর এডমিন আলমগীর হোসেন আপনাদের জানাতে চলেছে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয় সম্পর্কে। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে না জানেন তাহলে এই পোস্টটি মূলত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
প্রিয় পাঠক এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম কি, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কত টাকা জরিমানা প্রদান করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান বাংলাদেশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো খুব কঠিন কাজ। আর গাড়ি চালাবে কেন যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো সম্পূর্ণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বর্তমানে লোকাল রাস্তায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি ছাড়াতে পারলেও আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে গাড়ি ক্রয় করতে পারবেন না। সে কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা প্রতিটা মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয়

সরকারি আইন মেনে গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত আমরা সাধারণত এ সম্পর্কে জানিনা। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি নির্ভর করে আপনি কি ধরনের লাইসেন্স করছেন তার উপর। একেক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর খরচ এক এক এক রকম। এর মধ্যে আবার রয়েছে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বেশ কিছুদিন পূর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফ্রি ছিল ২৫৪৫ টাকা। যা বছরে শুরুতেই অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফি ১৬২০ টাকা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৫৫ টাকায়। আর পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ২৪৩০ টাকা করা হয়েছে। যা পূর্বে ছিল ১৬৮০ টাকা। গাড়ি চালানোর জন্য শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স করলেই হবে না আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

সাধারণত পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে যে  ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চালাতে সম্ভব। যখন কোন ব্যক্তি চাকিুরির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন তাকে অবশ্যই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো রোডে গাড়ি চলাচল করতে পারবেন। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ পাঁচ বছর। ০৫ বছর পর আবারো রেনু করতে হবে।পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ৭৫০ টাকা।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

এ ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত নিজের যানবাহন চালানোর জন্য ব্যবহৃত করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যখন নিজে নিজের গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করে থাকে তখন তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলা হয়। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি নিজস্ব এলাকায় নিজের যানবাহন নিজ জেলার ভেতর চলাচল করতে পারবেন।

এই ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদ ১০ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্সটি হালনাদাগ করে নিতে হবে। এর জন্য পুনরায় পরীক্ষা, ভেরিফিকেশন, বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

সাম্প্রতিক ড্রাইর্ভিং লাইসেন্স ফি

বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশন হওয়ার হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফিএ কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমি আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের অরিজিনাল খরচ সম্পর্কে এবং বর্তমান খরচ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত
  • হালকা মোটরযান এবং মোটরসাইকেলের যেকোনো একটির জন্য আবেদন ফি ৩৪৫ টাকা।
  • মোটরসাইকেল এবং এর সাথে হালকা মোটরসাইকেল একই সাথে লাইসেন্সের শিক্ষানবিস আবেদন করলে কি লাগবে ৫১৮ টাকা।

স্মার্ট কার্ড ফি
  • নবায়ন পি সহ ০৫ বছরের মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ১৬৮০ টাকা।
  • ১০ বছর মেয়াদে অপেশাদার ২৫৪২ টাকা নবায়ন ফি সহ।
  • আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি ২৫০০ টাকা।

নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

মাত্র কয়েক বছর আগেই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য মানুষকে বিআরটি অফিসে হুমড়ি খেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এসে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আর নয় বিআরটি অফিসের দৌড়াদৌড়ি। এখন থেকেই ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সহ রেজিস্ট্রেশন এবং রেজিস্ট্রেশন ফি অনায়াসে প্রদান করতে পারবেন।
বর্তমানে যারা নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করেছেন তাদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা অত্যন্ত জরুরী। অনেকেই শুধু নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাটি করে থাকেন। অথবা ইউটিউবে নাম দিয়ে ড্রাইভিং কিভাবে  লাইসেন্স চেক করার নিয়ম এর ভিডিও দেখেন। অনেক ওয়েবসাইট আবার নাম দিয়ে ড্রাইভিং কিভাবে লাইসেন্স চেক করা সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বা কনটেন্ট লিখেছেন।

নাম দিয়ে ড্রাইভিং কিভাবে লাইসেন্স চেক করার উপায় আছে,  মনে মনে এমন বিশ্বাস নিয়ে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়ে থাকেন। আর্টিকেল রাইটার অনেক লেখালেখির পর মন্তব্য করেন যে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় না। তাই ইউটিউব এর ভিডিও দেখা এবং কনটেন্ট পড়া দুইটাই আপনার বৃথা সময় নষ্ট হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কি নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়?
উত্তর: না বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার কোন সুযোগ নেই। কেননা আপনি যদি নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর চেক করতে চান তাহলে একই নামের একাধিক ব্যক্তি তথ্য চলে আসে। সে কারণে আপনি আসলে কোন ব্যক্তি এটা নির্দিষ্ট করা বিআরটির সার্ভারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর সে কারণেই বিআরটি সার্ভার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার কোন অপশন চালু রাখেননি।
তবে আপনি আপনার রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে অনলাইনে খুব সহজেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স টি চেক করতে পারবেন। মোবাইলে এসএমএস করার মাধ্যমেও আপনি আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চেক করে নিতে পারবেন। মোবাইল ফোনে অ্যাপস ডাউনলোড করে ডিএলচেকার নামে অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিয়ে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চেক করতে পারবেন।

তবে এই মুহূর্তে যারা বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে এই পোস্টটি পড়ছেন তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, ভারত সরকার নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর চেক করার সিস্টেমটি চালু রেখেছে। এর জন্য আপনাকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন

ইন্ডিয়া থেকে কিভাবে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন

যারা ইন্ডিয়া থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো লাইসেন্সে হাতে পান নাই তারা শুধুমাত্র নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। লিংক হচ্ছে - 
https://parivahan.gov.in/parivahan ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন
সর্ব প্রথমে আপনি এই লিংকে ক্লিক করে ভারত মহারাষ্ট্রের মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট এন্ড হাইওয়ে এই সাইটে প্রবেশ করুন। সার্চ করলে নিচে চিত্রের মতো একটি ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হবে সেখান থেকে আপনি সবার নিচে দেখতে পাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স রিলেটেড সার্ভিস নামে একটি অপশন রয়েছে আপনি সেখানে ক্লিক করুন।
ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ধাপ ০১
ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে নিচের চিত্রের মধ্যে একটি চিত্র প্রদর্শিত হবে এবং আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে সেখান থেকে আপনি আপনাকে আপনার স্টেট সিলেক্ট করতে হবে।
ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ধাপ ০২

সিলেট করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক দিবেন। পরবর্তী ধাপে আপনাকে নিচের চিত্রের মত একটি পাতা প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে স্ক্রল করে একটু নিচে নামলে অ্যাপ্লাই অনলাইন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনি এপ্লাই অনলাইনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে আরো অনেকগুলো অপশন প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে আপনি other option থেকে ফাইন্ড অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনি ফাইন্ড অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার এ ক্লিক করুন।
ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ধাপ০৩
এরপর আবারো আপনি যে স্টেটে বসবাস করেন বা যে স্টেট থেকে দাখিল লাইসেন্স এর আবেদন করেছেন সেই স্টেট টি সিলেক্ট করে নেবেন। সিলেট করার পর একটু নিচে আরটিও নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন আপনি যেই অঞ্চল থেকে আর আবেদন করেছেন সেটি সিলেক্ট করে নেবেন। একটু নিচে দিকে নামলে আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে।
ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ধাপ ০৪
সেখানে আপনার নামের প্রথম অংশ, মধ্য অংশ এবং শেষের অংশ তারপর জন্ম তারিখ এবং সর্বশেষ একটি ক্যাচ দেখতে পাবেন ক্যাপসটির পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক দিলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের যাবতীয় তথ্য প্রদর্শিত হবে।

সেখান থেকে আপনি আরো বিস্তারিত জানতে চাই দেখতে চাইলে গেট ডিটেলস এ ক্লিক করুন। গেট ডিটেলসে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড যাবে সেই ওটিপি কোডটি প্রদান করুন। otp প্রদান করে সাবমিট করলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য দেখতে পাবেন। তবে এটা শুধু ভারত-মারাষ্ট্রের জন্যই প্রযোজ্য হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে

আপনি যদি ভেবে থাকেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন তাহলে আপনার মাথায় কিছু বিষয় প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খায়। সেটা হল কোথায় গিয়ে ডাইভিং লাইসেন্স করবেন, কার মাধ্যমে করাবেন, একটু পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলা যায় যে, কোন দালালের মাধ্যমে করাবেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সে ফি কত দালালের ফি কত? যেন দালাল ছাড়া কোন লাইসেন্স হয় না। 
বর্তমানে অনলাইনে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন দালালের সহায়তা নিতে হবে না। কিন্তু তার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত, কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর টাকা পেমেন্ট করতে হয় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে।

আপনি এসকল বিষয় সর্ম্পর্কে না জানেন তাহলে কিছুতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে তার পরিষ্কার ধারণা প্রদান করব এই পোস্টের মাধ্যমে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা যা লাগে তা হল।
  • সদ্য তোলা এক কপি ছবি যার মাপ হবে ৩০০ ফিক্স জেল বাই ৩০০ পিক্সেল এবং ছবিটি সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোবাইটের মধ্যে হতে হবে।
  • শারীরিক ফিটনেস্বরূপ মেডিকেল সার্টিফিকেট। এক্ষেত্রে মেডিকেল রেজিস্টার কিন্তু ডাক্তারের শৈসহ ফর্মটি ফিলাপ করে দিতে হবে। ফরমটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন এরপর ফরমটি স্ক্যান করে ৬০০ কিলোবাইটের মধ্যে সেভ করে নিতে হবে।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট এর  লিংক: 
  • (https://bsp.brta.gov.bd/resources/pdf/Editable_BRTA%20Application%20Form-Medical%20Report.(English)_converted.pdf)
  • স্মার্ট কার্ডের স্ক্যান কপি। ফাইলে সাইজ হবে ৬০০ কিলোবাইটের মধ্যে হতে হবে।
  • বাড়ির বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিল অথবা পানি বিল যেকোনো একটি ফটোকপি।
  • সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণীর পাশের সার্টিফিকেট আর যারা ssc পাস করেছেন মেট্রিক পাশের সার্টিফিকেটের ফটোকপি। ফাইলে সাইজ হবে ৬০০ কিলোবাইট এর মধ্যে হতে হবে।
আবেদন করার জন্য উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টটি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর মাতার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করার জন্য যে কাগজগুলো সংবেদিত হবে তা হল।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি।
  • ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পাসপোর্ট এর পাতার ফটোকপি (ইন্টান্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে)

ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কত টাকা জরিমানা?

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যেহেতু দন্ডনীয় অপরাধ সেহেতু এই অপরাধ করলে অবশ্যই শান্তি ভোগ করতে হবে। তাই লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে আপনাকে জরিমানা সহ আরো অনেক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে কত টাকা জরিমানা দিতে হয় এবং কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় এবং কি কি হয়রানি সম্মুখীন হতে হয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
  • বাংলাদেশে আইনি ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো এসো ৬৬ ধারার আইনে বলা হয়েছে যে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান বা অন্যান্য কোন গণপরিবহন ড্রাইভিং করলে ড্রাইভিং করা সম্পূর্ণ নিষেধ। এই ধারার ৪ ও ৫ নম্বর বিধান ভঙ্গ করলে শাস্তি স্বরূপ জরিমানা অনেক ২৫০০০ টাকা এবং ছয় মাসের জেল।
  • ধারা নম্বর ৬৭: যদি একজনের লাইসেন্স আরেকজনের নিয়ে ড্রাইভিং করে এ বলা হয়েছে ছয় নম্বর বিধান লংঘন করলে আইন ভঙ্গকারীর শাস্তি হবে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং এক মাসের জেল।
  • ধারা নাম্বার ৬৮: বলা হয়েছে কোন নাগরিক যদি এই আইনটি অমান্য করে তাহলে তার আইন অমান্যকারের জন্য ৯ নম্বর বিধান লঙ্ঘনের জন্য ৩০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে।
  • ধারা নাম্বার ৬৯: অপরাধের ধরন এই আইনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত প্রদান এবং নবায়ন সংক্রান্ত ধারা ১০ নং বিধানে বলা হয়েছে লংঘনকারী শাস্তি হবে নূন্যতম এক লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং ৬ থেকে ২ বছরের জেল।
  • ধারণা ৭০: ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার, বাতিল হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মোটর গাড়ি চালানোর জন্য ১২ নম্বর আইন লঙ্ঘন এর অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং তিন মাসের জেল।
  • ধারা নাম্বার ৭১: যদি কোন ব্যক্তির লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার অথবা বাতিল হয়ে থাকে তাহলে উক্ত ব্যক্তির ১২ নাম্বার আইন ভঙ্গের জন্য ৫০০০ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের জেল প্রদান করা হবে।
  • ৯৬ নং ধারা নাম্বার: যদি কোন মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠাতা বা পরিচালনা সংক্রান্ত ধারা ৬৩ নং বিধান লঙ্ঘন করলে ভঙ্গ করলে উক্ত ব্যক্তির শাস্তি এক লক্ষ টাকা এবং কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ট্রাফিক আইন মেনে নিজের গতি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ রেখে গাড়ি চালান।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

সচরাচর ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে অনেকের অনেক রকমের প্রশ্ন থাকতে পারে। যে প্রশ্নগুলো ড্রাইভিং করার সময় মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়। আমি আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করব।

বিআরটিএ এর কাজ কি?

বিরাটি অফিসের কাজ হল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পেশাদার মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দুটি উপায়ে চেক করতে পারেন
  • অনলাইনে মাধ্যমে
  • এবং মোবাইল এসএমএস করার মাধ্যমে

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার ০৫ টি উপায়

  • অনলাইনে প্রবেশ করে রেফারেল নাম্বার দিয়ে
  • মোবাইল ফোনে এসএমএস করে
  • বি আর টি অফিসে যোগাযোগ করে
  • মোবাইলে অ্যাপস ডাউনলোড করে
  • বি আর টি এ ওয়েবসাইট ভিজিট করে

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সবথেকে ভালো সফটওয়্যার হলো DL চেকার।
  • এছাড়াও বিআররটির সফটওয়্যারটি আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারেন

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। কোর রকমের দালাল ছাড়াই সরকারি আইন মেনে ড্রাইড্রিং লাইসেন্স করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url