শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনি কি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না এবং যে খাবার গুলো খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য খুবই উপকারি হবে। কেননা এই পোষ্টটির মাধ্যমে আমি আপনার একজন নবজাতক মায়েদের দুধ পান করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
প্রিয় পাঠক এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন গর্ভবতী মায়েদের কি কি উচিত এবং কি কি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, যেসব খাবার খেলে মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভুমিকা

একটি নবজাতকের জন্মের পর প্রধান খাদ্য হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। কিন্তু একজন শিশু জন্মে পর যে পরিমানে দুধ প্রয়োজন হয় কিছু কিছু মায়েদের পক্ষে যথেষ্ঠ পরিমানে দুধ উৎপাদন সে পরিমানে দুদ্ধ উৎপাদন করতে পারে না। অনেক মায়েদের হরমোন জনিত সমস্যার কারনে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এ সময় শিশুর জন্য বিকল্প খুজে বের করা খুব কঠিন।

তাই সে সকল মহিলাদের জন্য কিছু বিষেশ পদ্ধতি অবলম্বন করা এবং খাদ্য তালিকায় কিছু খাদ্য যোগ করলে দুধ উৎপাদন করার ক্ষমতা বাড়ে।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

মায়ের বুকের দুধ এমন একটি উপাদান যাতে সব ধরনের পুষ্টি  রয়েছে । শিশু জন্ম নেয়ার পরে তার বয়স ছয় মাস পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো খাবারের মধ্যে হল তার মায়ের বুকের দুধ। এবং এই সময় পরেও শিশুদের খাবারগুলো খাবে তার সাথে আরো দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো দরকার।

বুকের দুধ শিশুর জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় খাবার। শিশুর শারীরিক মানসিক বৃদ্ধি ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বুকের দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার । তবে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে মা যখন দুধ পান করাবে তখন মায়ের শরীরে যদি সেলেনিয়াম, ভিটামিন বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি না থাকে।  তবে যে শিশুকে দুধ খাওয়ানো হবে তারও কি উপাদানগুলোর ঘাটতি দেখা দিবে।
এক্ষেত্রে যে মা তার শিশুকে দুধ খাওয়াবে সেই দুধের পুষ্টিমান সম্পর্কেও তাকে জানতে হবে। এবং কি কি খাবার খেলে তার পুষ্টিমান উপাদানগুলো ঠিক থাকবে সেটা জানতে হবে। অনেক মা ই জানেন না যে তার সন্তানদের দুধ পান করানোর সময় কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন বা কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত।

চলুন জেনে নিই বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের কি কি খেতে হবে
  • যখন ই শিশু কে দুধ খাওয়াবে তখন ই দুধ খাওয়ানোর পূর্বে মাকে দুই অথবা এক গ্লাস পানি পান করা উচিত । এছাড়াও তরল জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেতে হবে । রস জাতীয় ফলের রস এবং পানিযুক্ত সবজি খেতে পারেন।
  • দুগ্ধজাতীয় খাবার সহ মাংস মাছ ডিম ছোলা বা ডাল জাতীয় বিভিন্ন ধরনের আবার গ্রহণ করা উচিত। এতে করে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং অত্যন্ত প্রয়োজন পুষ্টির চাহিদা তা পূরণ হয়।
  • সূর্যের আলো থেকে আমরা মূলত ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি আর যেটা বাচ্চা এবং মা উভয়ের জন্য প্রয়োজন তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় বাচ্চা এবং মাকে সূর্যের আলোতে থাকতে হবে।
  • পরিমাণ মতো সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন শাকসবজি খাওয়া দরকার। তারপর এই সময় অনেক ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয়ে থাকে তাই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া খাবে।
  • শিশুকে সঠিকভাবে বৃদ্ধি এবং মানসিক গঠন ঠিক রাখতে যে লবণে আয়োডিন আছে সেই লবণ খেতে হবে।
  • অনেক মেয়েদের একটি অভ্যাস আছে অতিরিক্ত চাপ কফি খাওয়া বা অনেকেই তামাক সেবন করে থাকে এগুলো বর্জন করতে হবে।
  • যদি কোন ওষুধের মাধ্যমে তার সমস্যা দূর করতে চায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
একটি মেয়ে মা হওয়ার জন্য তাকে একটি শিশুর জন্ম দিতে হয়। আমরা বলতে পারি একজন মা হতে প্রয়োজনের একটি শিশুর। এই শিশুকে জন্ম দিতে মায়ের অনেক কষ্ট হয় এবং শরীরের অনেক ক্ষয় হয় পূরণের জন্য পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হয় এবং শিশুকেও খাওয়াতে হবে। শিশুর খাবার বলতে প্রথম ছয় মাসের মধ্যে সর্ব উৎকৃষ্ট মানের খাবার হলো তার মায়ের বুকের দুধ। 
এতে করে শিশুর সঠিক শারিরিক গঠন করতে ও বুদ্ধি বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এই সময় খাবার তালিকা খুব ভালোভাবে নজর দিতে হবে। অনেক খাবার আছে যা সদ্য গর্ভপাত বা মা হয়েছে এরকম মানুষের খাওয়া উচিত নয়। তাই জেনে বুঝে আবার গ্রহণ করা উচিত।

যে খাবার গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে

কাঁচা শাকসবজি
যে সময় বাচ্চাকে দুধ পান করানো হয় সেই সময় মা ফুলকপি বাঁধাকপি এই ধরনের কাঁচা শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। এগুলো হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এবং অতিরিক্ত পে ঁয়াজ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে কেননা গ্যাসের সমস্যা হয় যা মা ও শিশু উভয়ের অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ক্যাফেইন
যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের কখনোই ক্যাফেইন পান করা যাবে না। কেননা শিশু যখন তার মায়ের দুধ পান করবে তখন এর উপাদানগুলো শিশু শরীরেও প্রবেশ করবে। এতে করে শিশুর ঘুমের উষা দেখা দিবে। বুকের দুগ্ধ পান করানোর সময় কোমল জাতীয় পানীয় পান করা যাবেনা। এতে করে সন্তান সুস্থ থাকে।

পারদ যুক্ত মাছ
রসালো জাতীয় মাছে পারদ থাকে । এমন একটি পদার্থ যা মানুষের জন্য অনেক বড় ক্ষতিকর এবং মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। আর এটি বেশিরভাগ ক্ষতি হয় গর্ভবতী মা এবং সদ্য গর্ভপাত হওয়া মা এবং শিশুর জন্য ।

যে খাবার গুলো খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়

একটি শিশুর জন্য সর্ব উত্তম খাবার হলো তার মায়ের বুকের দুধ। আর প্রতিটা মায়ের ইচ্ছে সন্তানকে সঠিক ও সুস্থভাবে বড় করা। এই আশায় দীর্ঘদিন সে তার বাচ্চাকে তার বুকের দুধ পান করায়। বেশিরভাগ সময়  লক্ষণীয় যে যারা প্রথমবার সন্তান জন্ম দেয় তাদের বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো নিয়ে যে সমস্যা হয় সেটা হল সন্তান যথেষ্ঠ পরিমানে দুধ পায় না। হয়তোবা তার কারণ তারা জানে না যে কেন এরকমটা হয়ে থাকে।
সন্তান কম দুধ পাই বলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। কোন ধরনের বা কি কি খাবার খেলে মায়ের বুকের দুধের প্রবাহ ধরে রাখতে পারবে সে বিষয়টা তুলে ধরা হলো ।

প্রায় সময় ছোট বাচ্চাদের কান্না করতে দেখা যায়।  এতে করে আমাদের মনে এরকম ধারনা হয় যে বাচ্চার হয়তোবা ক্ষুধা পেয়েছে। আসলে বিষয়টা এমন নয়। বাচ্চার শরীর একদম মলিন । একটু ঘষা পেলেও বাচ্চারা কান্না করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে ভেজা কাপড়ের জন্য অথবা ঠান্ডা লাগার জন্য বাচ্চারা কান্না করে থাকে এজন্য শুধু খাওয়ার বিষয়টা নিয়ে চিন্তা না করে অন্য বিষয় নিয়েও আমাদের ভাবা উচিত।

১। আমরা যেটা দেখে বুঝতে পারব যে বাচ্চা সঠিক পরিমাণ দুধ পাচ্ছে কিনা না হল একটি বাচ্চা কমপক্ষে দিনে ৬ থেকে ৮ বার প্রস্রাব করছে কিনা। যদি না করে তাহলে বুঝতে হবে পরিমাণ মতো দুধ খেতে পাচ্ছে না। আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করতে হবে প্রথম দুই দিন বাচ্চা প্রস্রাব নাও করতে পারে । এতে অনেকেই টেনশন করেন কিন্তু এটা এটা স্বাভাবিক বিষয় ।

২। আবার লক্ষ্য করতে হবে বাচ্চা ওজন বাড়ছে কিনা। স্বাভাবিকভাবে সাত দিন পর থেকে তার ওজন বাড়তে থাকে। যদি না বাড়ে তাহলে বুঝে নিতে হবে সঠিক পরিমাণ দুধ সে পাচ্ছে না।

৩। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করি যে বাচ্চা দুধ খাওয়ানোর পরেও কান্না করছে । তার একমাত্র কারণ হলো দুধ সঠিক নিয়ম অনুযায়ী না খাওয়ানো । একটি দুধ সম্পূর্ণ খাওয়ানো উচিত । অল্প অল্প করে খাওয়নোর জন্য এই বিষয়টা দেখা যায় ।

যে সকল খাবার মায়েদের বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে পারে তা হল।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান না করার কারেন।
  • বাচ্চা প্রসবের পর শারিরিক পরিশ্রম বেশি পরিমানে করলে।
  • নবজাতক মায়েদের ভিটামিন যুক্ত খাবারের অভাবে।
  • মায়েদের শরিরে হরমোনের সমস্যা হলে।
  • খুব বেশি পরিমানে অ্যান্ট্রেবায়োটিক ঔষুধ সেবন করলে।
  • শরিরে শর্করা, আমিষ, মিনারেল ইত্যাদি উপাদানের অভাব হলে।
মায়ের বুকের দুধ তৈরী হয় কিভাবে এবং কিভাবে নিঃসরিত হয় ?
শিশু যখন তার মায়ের দুধের বোটায় টান দেয় তখন মায়ের ব্রেইনের দুটি হরমোন নিঃসরিত হয় তা হলো প্রোলাকটিন এবং অক্সিটোসিন । স্তন বের কেরতে অক্সিটোসিন কাজ করে এবং অক্সিটোসিন বেশি দুধ বেশি বের হয় ।

যে খাবার খেলে বুকের দুধ আসে

শিশু জন্ম নেওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত তার একমাত্র খাবার হলো তার মায়ের বুকের দুধ । কেননা তাকে আর অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো হয়না । এর মধ্যে অনেক মা আছে নবজাতকের সঠিক পরিমান দুধ তার বাচ্চা রা পায় আবার অনেকের দুধ পাওয়া যায়না । তার অন্যতম একি কারণ হলো তার খাবার তালিকা । যারা নতুন মা হয়েছে তাদের খাবার তালিকায় নজর দিতে হবে । 
সব কিছু নিয়ম মেনে না খেলে তার বাচ্চা সঠিক পরিমাণ দুধ পাবেনা । ফলে বাচ্চার বেড়ে ওঠার জন্য সমস্যা হয়ে দাড়াবে । এর মধ্যে কিছ খাবার আছে যেগুলো খেলে দুধ বৃদ্ধি পায় । তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি আলোচনা করা হলো ;

ওটস
সুপার ফুড খাবার বলা হয় ওটস কে । কেননা এত রয়েছে নানা রকম ভিটামিন ক্যালসিয়াম এর উপাদান। তাই এই খাবার খেলে দুধর পরিমাণ বাড়ে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে তাই এ ওটস একটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় খাবার ।

মেথি
মেথির গুনাগুন সর্ম্পকে আমরা প্রায় সকলেই জানি । নতুন করে এর বর্ণণা দেওয়ার কিছুই নাই। তবুও কয়েকটি জিনিস আমাদের জানার বাহিরে থেকে যায় । যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য মেথর দানা বা মেথির শাক অত্যান্ত প্রয়োজন । এত দুধের পরিমাণ বাড়ে ।

রসুন
রসুন আমাদের একটি নিত্য খাদ্য তালিকার একটি খাবার। ভেষজের গুণে ভরপুর এই রসুন। শিশুর মায়েদের দুধ উৎপাদনের জন্য রসুন খুবই কার্যকরী খাবার। রসুন শুধু দুধ উৎপাদন করতে নয় বরং প্রজনন ক্ষমতাকে অনেক বৃদ্ধি করে থাকে। সে কারণে নির্দ্বিধায় পাওয়া যায় রসুন শুধু দুধ উৎপাদনই নয় মাতৃত্বকালীন সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

তিল
শিশুর মায়েদের দুধ উৎপাদনের জন্য তিলের বড়া, তিলের নাড়ু এবং তিলের ভর্তা খাওয়ার জন্য উপদেশ প্রদান করা হয়ে থাকে। তার কারণ হলো তিল উৎপাদনের জন্য খুবই উপকারী খাবার। তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগো-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং ইন্ট্রোজনের মতো উপকারী উপাদান।

পাকা পেঁপে
সাধারণত গর্ভকালীন সময়ে গর্ভকালীন মায়েদের টাকা পেঁপে খাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়ে থাকে। কিন্তু শিশুর জন্মের পর ফাঁকা পেঁপে দুধ উৎপাদন করতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাকা পেঁপে শিশুর মায়েদের শরীরের অক্সিটোসিন নামক হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর সে কারণে শিশুর যথেষ্ট পরিমাণে দুধ না পেলে অবশ্যই নিয়মিত পাক্ পেঁপে খান।

নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে

মানুষের দেহে শ্বাসনলি এবং খাদ্যনালী পরস্পর পাশাপাশি অবস্থান করে। তাই খাবার খাওয়ার সময় খাদ্যনালীতে খাদ্য না গিয়ে যদি শ্বাসনালীতে যায় তাহলে এক্সি ওঠে ভিশন লাগে কখনো বা নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয় নবজাতকের জন্য গলায় দুধ আটকে দেওয়া খুবই ভালো কারণ অনেক সময় শ্বাসকষ্টের দুধ আটকে শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শিশুর দুধ খাওয়ার সময় গলায় দুধ আটকে গেলে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন

প্রথমত
হঠাৎ যদি শিশুর গলায় দুধ বা খাবার আটকে গিয়ে শিশু ছটফট করে তাহলে কিছুকে ঘনঘন কাশি এবং ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিতে হবে। চোখগুলো বড় বড় করে তাকিয়ে মুখ দিয়ে লালা বের করে ফেলতে হবে। 

দ্বিতীয়ত
অনেক সময় অক্সিজেনের মাথা কমে গেলে শিশু দুধ খাওয়ার সময় দুধ খাদিতে না গিয়ে শ্বাসনালীতে গিয়ে শিশুর নেশার বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে প্রয়োজনমতো শিশুকে নিঃশেষ নেওয়ার জন্য সহযোগী করতে হবে যাতে করে গলা থেকে দুধ নেমে যায়

তৃতীয়ত
গর্ভবতী মায়েরা যদি বুঝতে না পারেন যে শিশুর গলার দুধ আটকে গেছে এ সময় শিশু যদি বেশি কান্নাকাটি করে জোরে জোরে বমি করে মুখ যদি কালচে হয়ে যায় তাহলে আপনি বলবেন যে শিশুর গলা দুধ আটকে গেছে এ সময় আপনাকে শিশুকে খাড়া করে একটু হাঁটাহাঁটি করবেন এবং পিঠে আলতো করে তাপ দিবেন তাহলে আস্তে আস্তে গলা থেকে দুধ নেমে যাবে।

চতুর্থত
শিশুকে শুয়ে থেকে দুধ খাওয়ানো যাবে না। দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে ঘাড়ের নিচে হাত দিয়ে ভালো করে ধরে পিঠে হাত দিয়ে ভালো করে দুধ খাওয়াতে হবে। আর দুধ আটকে গেলে কয়েকবার শিশুকে চাপড়ে দিতে হবে।

পঞ্চমত
শিশুর গলায় দুধ আটকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে। শিশুকে খাড়া করে বুকের উপর হেলান দিয়ে নিতে হবে অথবা দুহাত দিয়ে ধরে ঝুলিয়ে দিতে হবে।

ষষ্ঠ
শিশু দুধ আটকার জন্য বেশি কান্নাকাটি করলে বুকের উপর হেলান দিয়ে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে।

যদি মা ও শিশু নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি

সাধারণত একজন নবজাতকের জন্মের পর বেশ কান্নাকাটি করে থাকে। আর এ সময় মায়েরা শিশুদের দুধ খাওয়ান মাধ্যমে কান্নাকাটি বন্ধ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব অবস্থায় সঠিক পজিশনের না থাকলে কিছুকে দুধ খাওয়ানো ঠিক হবে না। এতে শিশু মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে শিশুকে দুধ খাওয়াবেন তা হলো
  • একজন শিশুর জন্ম গ্রহন করার এক ঘন্টার মধ্যেই মেয়েদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • নবজাতকের মা যখন আরামদায়ক অবস্থানে থাকবেন সেই সময় দুধ খাওয়াতে হবে
  • প্রয়োজনে দেয়ালে হেলান দিয়ে অথবা বালিশের হেলান দিয়ে বসে থেকে অথবা হালকা করে শুয়ে দুধ খাওয়াতে পারেন
  • বসে থেকে দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর পিঠ সোজা রাখতে হবে আর কাঁধ উঁচু অবস্থানে রাখবেন না
  • অবশ্যই শিশুকে অবশ্যই কোলে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
  • নবজাতকের বুক এবং পেটে মায়ের বুকের এবং পেটের সাথে লাগানো অবস্থায় দুধ খাওয়াতে হবে
  • মায়েদের মাথা গান কাঁধ সব সময় সোজা রাখতে হবে
  • শিশু অবশ্যই সম্পূর্ণ মায়ের দিকে অবস্থান করবে
  • নবজাতকের ঘাড়ের নিচ দিয়ে মাথার নিচে হাত দিয়ে এবং আরেক হাত পিটের নিচে দিয়ে পা বরাবর রেখে ভালোভাবে ধরে শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে।

নবজাতকের বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

একজন শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধ খুবই উপকারী খাবার। এ সময় অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে মায়েদের তার শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে। অনেকে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় কি খাওয়া যাবে কি খাওয়া যাবেনা, কিভাবে দুধ খাওয়াতে হবে ইত্যাদি রকমের প্রশ্নের করতে দেখা যায়। তাই শিশুদের বুকের দুধ খাওয়া নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন উত্তর উল্লেখ করা হলো।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো সময় মা আনারস খেতে পারবে?

আনারস যদি ও একটি খুবই উপকারী ফল। কিন্তু গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদের আনারস খেতে অনেকেই বারণ করে থাকেন। তাই উপকারী ফল হওয়া সত্বেও শিশুকে দুধ খাওয়ানো অবস্থায় আনারস না খাওয়াই ভালো হবে।

বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়?

বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে অনেক সময় বাচ্চার ভীষণ লাগতে পারে এবং গলায় দুধ খেতে পারে।

বুকের দুধ পড়ে যায় কেন?

সাধারণত দুধের পরিমাণ বেশি হলে এবং বাচ্চা কে প্রয়োজন অনুযায়ী দুধ না খেলে অনেক সময় মেয়েদের বুকের দুধ এমনিতেই পড়ে যায়।

কোন ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে?

পাকা পেঁপে, পাকা পেঁপে খেলে মায়েদের বুকের দুধ উৎপাদন অনেকটা বৃদ্ধি পায়।

কোন মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে?

সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক মাছ প্রচুর পরিমাণে রসালো হওয়ার কারণে এই মাঝখানে মায়েদের দুধ বৃদ্ধি পায়।

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি প্রথম সন্তানের অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরুক্ত প্রশ্নগুলো আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তাই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ে সকল নিয়ম ফলো করে একজন নবজাতককে দুধ খাওয়াবেন এবং খাওয়ানোর পরামর্শ দিবেন। যদি একটি নবজাতক দুধ না খেয়ে অনেক বেশি কান্নাকাটি করে অথবা দুধ খেতে না চায় তাহলে অবশ্যই পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url