মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

সম্মানিত পাঠক আপনি কি এটা জানতে আগ্রহী যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে জানেন না? তাহলে এই পোস্টটি মূলত আপনার জন্য খুবই কার্যকরী হতে চলেছে। কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখলে কি কি কাজ করতে হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করব।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
প্রিয় পাঠক, এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো যে বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন তা হল, ফ্রিল্যান্সিং শিখলে কিভাবে কাজ করতে হয়, একজন ফ্রিল্যান্সারের ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তারা কি ধরনের কাজ করবেন ইত্যাদির বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

বর্তমান সমাজের তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষেরাই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অযথা সময় নষ্ট করে। কিন্তু আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউব মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে সেই সময়গুলোকে কাজে লাগাতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া সঠিকভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

আপনি হয়তোবা একটু অবাক হবেন যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। অনেকে এই বিষয়টা মেনে নিতে চাই না যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায়। আসলেই কি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ ব্যবহার করা খুবই ভালো হবে।

অনেকে প্রশ্ন করেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজগুলো করা অত্যন্ত সহজ। আবার অনেকে বলেন মোবাইল ফোন দ্বারা আদৌ কি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা সম্ভব? মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি অনায়াসে অনেক টাকা ইনকাম করতে সামর্থ্য হবেন। যদি আপনি মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার জেনে থাকেন এবং কিভাবে কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে জেনে থাকেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার আগে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন বেছে নিতে হবে। সঠিক মোবাইল ফোন বেছে নেওয়ার ফলে আপনার কাজগুলো করতে অত্যন্ত সহজ হবে। যেমন ধরুন আপনার মোবাইলের স্ক্রিন টি একটু বড় হতে হবে, মোবাইলের স্টোরেজ বেশি হতে হবে, ‍ram ও rom এবং প্রসেসর সবগুলোই ভালো হতে হবে।

সঠিক মোবাইল ফোন নির্বাচন করার পরে আপনাকে মোবাইল ফোনে মোবাইল অফিস সেটাপ করে নিতে হবে। আপনি একটি ভালো মানের ডেস্কটপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি ভালো মানের ব্লুটুথ কিবোর্ড নিতে পারেন। তাহলে কাজ করতে আপনার বেশ সুবিধা হবে। আমি আপনাদের মাঝে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এর পাঁচটি উত্তর সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন পাঁচটি কাজ মোবাইল ফোন দ্বারা করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায়ঃ
  • ইউটিউব
  • ব্লগিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ওয়েব ডিজাইন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
ইউটিউব
মোবাইল দ্বারা ইউটিউব এ ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেল আপলোড করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো ইউটিউবারের সহযোগিতা এবং ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। বর্তমানে যারা বড় বড় ইউটিউবার রয়েছেন তারা সর্বপ্রথম মোবাইল দিয়ে youtubing শুরু করেছিলেন।

প্রথমে ইউটিউবে আপনাকে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে তারপর নির্দিষ্ট একটি নিশ সিলেক্ট করে সে বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে হবে। আস্তে আস্তে আপনার ভিউ যত বাড়বে ততই আপনার ইনকামও বাড়তে থাকবে। তবে ভিডিও এডিট করার জন্য কিছু সফটওয়্যার অবশ্যই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে আপনার ভিডিওর মান ভালো এবং মাধুর্যপূর্ণ হয়। যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন তা হলোঃ
  • পাওয়ার ডিরেক্টর
  • ক্যান মাস্টার
কনটেন্ট রাইটিং
বর্তমান অনলাইন জগতে বা ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সকল কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ হল কন্টেন্ট রাইটিং। একজন কনটেন্ট রাইটারের মূল্য অনেক এবং কন্টেন রাইটিং একটি যথেষ্ট পরিমাণে সম্মানজনক কাজ। কন্টেন্ট রাইটিং আপনি খুব সহজেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আপনার দক্ষতা এবং আপনার স্কিলকে কাজে লাগাতে হবে। 

প্রত্যেক মানুষেরই কোন না কোন বিষয়ে একটু বেশি অভিজ্ঞতা এবং একটু বেশি জানার এবং জানানোর কৌতূহল বেশি থাকে। আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং পড়তে এবং মানুষকে জানাতে ভালবাসেন সেই বিষয়টি নির্বাচন করুন। উক্ত বিষয়ের উপর আপনি খুব মাধুর্য পুণ্য ভাষা এবং ভালো ভালো শব্দ ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে রাইটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। 
আপনি যত সুন্দর ভাবে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন ততই তাড়াতাড়ি আপনার খুব ভালো সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। আপনি যে বিষয়ে সম্পর্কে ভালো জানেন বা বোঝেন সে সম্পর্কে লিখতে আপনার খুব বেশি সময় প্রয়োজন হবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি যে বিষয়ে সম্পর্কে জানেন সেই বিষয়ে কোন কন্টেন্ট লিখতে গেলে লেখাটি আপনি অত্যন্ত গোছালোভাবে লিখতে পারবেন।

অবশ্যই আপনাকে গুগলের ট্রামস এবং কন্ডিশন মেনে কনটেন্ট লিখতে হবে। অনলাইন জগতে বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন ধরনের মন মানসিকতার মানুষ রয়েছে। যাদের চাহিদা এক এক রকমের। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে লেখালেখি করলে কেউ না কেউ আপনার বিষয়ের সাথে পরিচিত হবে এবং আপনার কন্টেনটি পড়ার জন্য গুগলে সার্চ করে আপনার পোস্টটি পড়বে।

এতে করে আপনার কনটেন্ট রাইটিং এর দক্ষতা ভালো হবে এবং এ থেকে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে আই ইনকাম ও করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো একজন কন্টেন্ট রাইটারের সম্মান অনেক বেশি। আরও একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় সেটি হল আপনি যদি ভালো কনটেন্ট রাইটার হন তাহলে দেশি এবং বিদেশি বড় বড় কোম্পানিতে আপনার কনটেন্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন উচ্চ মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে হবে।কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনি কিছু অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। যে অ্যাপস গুলো তে আপনি আপনার কনটেন্ট গুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারবেন এবং প্রয়োজনমতো বিক্রিও করতে পারবেন। অ্যাপসগুলো হলঃ
  • গুগল ডকস
  • ডব্লিউপিএস অফিস
  • Microsoft office world
ব্লগিং
বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ হল ব্লগিং করা। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ব্লগিং করে খুব সহজেই আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর ব্লগিংয়ে যে কাজগুলো করতে হয় সেই কাজগুলো আপনি খুব সহজেই মোবাইল দ্বারা করতে পারবেন। ব্লগ নিয়ে কাজ বলতে আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে কনটেন্ট পাবলিস্ট করে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি চাইলে কনটেন্ট লিখে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আর এই কাজটি করার জন্য আপনার একটি স্মার্টফোন হলেই করা সম্ভব।

গ্রাফিক্স ডিজাইন
আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি বড় সেক্টর হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এক থেকে দুই বছর গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর কোর্স করতে হবে এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। আপনি যদি একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে শুধুমাত্র কয়েকটি মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে

খুব সহজেই ভালো মানের লোগো এবং ইমেজ এবং ব্যানার তৈরি করতে পারবেন। মোবাইল দ্বারা লোগো এবং ব্যানার তৈরি করে বড় বড় মার্কেটপ্লেসে সেগুলো ভালো দামে বিক্রিও করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কিছু সফটওয়্যার এর সহযোগিতা নিতে হবে। যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন। সফটওয়্যার গুলো হলঃ
  • pixellab
  • Canva
  • Adobe Spark
  • Adobe Illustrator Draw
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েব ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই HTML এবং CSS সম্পর্কে জানতে হবে। HTML এবং CSS এর কাজ আপনি জানলে খুব সহজেই মোবাইলে দিয়ে করতে পারবেন। আর যদি না জানেন তাহলে মোবাইলের মাধ্যমে কাজগুলো জেনে নিতে পারবেন। তবে বলা বাহুল্য যে, আপনি যদি ভালো ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে শিখতে চান ভালো মানের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন মনের ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি জানতে হবে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রান্সিংয়ে কি ধরনের কাজ করতে হয়। আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমি আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণ করার চেষ্টা করব।

ফ্রিল্যান্সিং কি
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশেষ রকমের কাজ করার ধরন, যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত আপনার দক্ষতা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে বড় মার্কেটে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নিজেই সেই কাজটি করে দিতে পারেন। এবং তার বিনিময়ে আপনি মোটা অংকের টাকা অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করতে পারবেন। 

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি আপনার কাজের সময় নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মূল্য প্রদান করা হবে। আপনি যত মূল্যের কাজ করতে চান সেটি আপনি মুক্তভাবে চুক্তি করে নিতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা যেখানে আপনি আপসহীন ভাবে কাজ করতে পারবেন।

মোটকথা ফ্রিল্যান্সিং বলতে একটি মুক্ত পেশাকে বোঝানো হয়ে থাকে। আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং কি সে বিষয়ে আপনি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন
বর্তমান যুগ অনলাইনে যুগ বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এই আধুনিক যুগে কমবেশি সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে আপনার সর্বপ্রথম যে জিনিসটি লাগবে সেটি হচ্ছে ভালো ইন্টারনেট কানেকশন। কেননা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ অর্থাৎ ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ খুঁজে নিতে হবে। 

ক্লায়েন্টের কাজ থেকে কাজ নিয়ে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করে আবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিতে আবারো আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন নিম্নে সে সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে আলোকপাত করা হলো।

কাজের দক্ষতা
ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে নতুন নতুন প্রজেক্ট তৈরি করতে হবে তার জন্য আপনার নিজস্ব কাজের দক্ষতা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে প্রচার করতে হবে। কেননা আপনি কি কাজ পারেন সেটা যদি ক্লায়েন্টরা বুঝতেই না পারে তাহলে তো আপনি অনলাইন থেকে কোন কাজ পাবেন না বা কেউ আপনাকে কোন কাজ দিবে না। 

আপনি যে কাজটি করতে পারেন এবং যে কাজে আপনার দক্ষতা অনেক বেশি সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার প্রচারণা করতে হবে। যেমন ধরুন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ, ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস, ইত্যাদি মার্কেট মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের স্কিল সম্পর্কে ভালোভাবে প্রচার করতে হবে।

বেশি বেশি আপনার দক্ষতা প্রচার করলে অবশ্যই আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনি যদি উক্ত কাজের জন্য পারফেক্ট হন তাহলে অবশ্যই আপনি বড় বড় প্রজেক্টের কাজগুলো পেয়ে যাবেন।ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন অনলাইনে বা মার্কেটপ্লেসে যে দক্ষতা গুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন তা হলঃ
  • আপনাকে একজন ভালো মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হবে।
  • একজন ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই এসইও এ এক্সপার্ট হতে হবে।
  • ভালো মানের কনটেন্ট রাইটার হতে হবে।
  • পূর্বের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে খুব ভালো কাজে দেয়।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রথম ধাপ
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর বড় বড় মার্কেটপ্লেসে বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে হবে যে সেখানে কোন কাজ চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের জন্য কি পরিমাণ টাকা প্রদান করে থাকে। তারপর আপনাকে উক্ত কাজ করার জন্য যেসব দক্ষতা প্রয়োজনে সেসব স্কিল অর্জন করতে হবে। 

দক্ষতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো প্রশিক্ষক এর কাছে ট্রেনিং নিতে হবে। আর সর্বপ্রথম আপনার ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে জিনিসটা থাকা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন সেটি হল ধৈর্য। না থাকলে আপনি কখনোই ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ করতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়, কাজ করার আগে কোথায় কাজ শিখব, কার কাছে শিখব, কোন কাজগুলো শিখব, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোর্স করা সবথেকে ভালো। এরকম অনেক প্রশ্ন ফ্রিল্যান্সিং করার আগ পর্যন্ত আপনার মনে থাকতে পারে। তবে আপনি কোন কাজটি করতে পারবেন কোন কাজে আপনার স্কিল বেশি আছে তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। 
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের চারটি পদ্ধতির কথা বলবো যে পদ্ধতি গুলো জানলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজটি করা সহজ এবং কোন কাজটি করে বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। তাহলে চলুন চারটি পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

প্রথম পদ্ধতি
প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে সেটি হল আপনি যে ডিভাইস দ্বারা কাজ করতে চাচ্ছেন সে ডিভাইস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। যেমন ধরুন আপনি কি ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।
  • আপনি কম্পিউটার নাকি ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চাচ্ছেন
  • যে কম্পিউটার বের করতে চাচ্ছেন তার প্রসেসর কত
  • উক্ত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম কি রকম
  • রেম কত জিবি রম কত জিবি
  • কোন মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ইন্সটল করা আছে ইত্যাদি।
যদি আপনি ডিভাইস তথ্য সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকে তাহলে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপে প্রপারটিতে গিয়ে ভালোভাবে দেখে নিতে পারেন। আমরা অনেকেই এরকম ভেবে থাকি যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য খুব হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার প্রয়োজন হয়। কিন্তু মোটেও তা না। আপনারা যে কম্পিউটার ল্যাপটপ ব্যবহার করেন আপনি চাইলে সেটি দিয়ে খুব সহজেই কাজ শুরু করতে পারবেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনার যদি কম্পিউটার বেসিক স্কেল না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার বেসিক সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা কম্পিউটার বেসিক সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা থাকলে এই প্রতিযোগিতার জগতে আপনি খুব সহজেই এগিয়ে যেতে পারবেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি
আপনি কোন ধরনের কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন এবং কোন ধরনের কাজে আপনার ভালো স্কিল রয়েছে আপনাকে সেটি নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের তিনটি স্কিলকে তিনটি ভাগে ভাগ করলাম। 
  • নরমাল স্কিল
  • মিডিয়াম স্কিল
  • হার্ড স্কিল।
নরমাল স্কিলঃ প্রথমে আপনাকে কোন স্কিলের কাজ শিখবেন সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার সাথে আপনাকে এটা জানতে হবে যে বর্তমান মার্কেট পেতে কোন কাজে চাহিদা সবথেকে বেশি। নরমাল স্কিলের মধ্যে যে কাজগুলো পড়ে তা হলঃ
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • এডমিন টাস্ক
  • ছোটখাটো ডিজাইন
মিডিয়াম স্কিলঃ মিডিয়াম স্কিলে যে কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। নরমাল স্কেল মিডিয়াম পর্যায়ে কাজের থেকে একটু কঠিন সেজন্য আপনাকে একটি বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আপনি মার্কেটে যে কাজগুলো করতে পারবেন তা হলঃ
  • গ্রাফিক ডিজাইন 
  • ওয়েব ডিজাইন
  •  ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন
তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো অনেকগুলো ছোটখাটো স্কিল মিলিয়ে হওয়ার কারণে পুরো স্কিলটা একবারে থেকে শেখা সম্ভব হয় না। যেমন ধরুন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে গেলে আপনি একসাথে সব কিছু শিখতে পারবেন না। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এফিলেট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, টেমপ্লেট ডিজাইন, মার্কেটিং ক্যাম্পিং চালানো ইত্যাদি বিশেষ ধরনের স্কিল থাকতে হবে।

হার্ড লেভেলঃ যদি আপনি একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটু সময় দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। এর জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু দিক রয়েছে যেগুলো শিখতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। যেমন ধরুন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি স্কিল শিখতে বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে থাকে।

তৃতীয় পদ্ধতি
আপনি যদি দ্বিতীয় পদ্ধতিটা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এতক্ষন আপনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। তৃতীয় ধাপে অবশ্যই আপনাকে উক্ত স্কিল নির্বাচন করার পরে সেই স্কিল সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করার জন্য মানসিকভাবে প্রিপারেশন নিতে হবে। আপনি যে স্কিলে কাজ করতে চান এর কাছ থেকে পরামর্শ এবং নিতে হবে।

চতুর্থ ধাপ
উপরোক্ত তিনটি ধাপ কমপ্লিট করার পর আপনাকে মার্কেট প্লেসের বিভিন্ন ওয়েবসাইট রিসার্চ করে আপনাকে সঠিক মার্কেটপ্লেসটি নির্বাচন করতে হবে। প্রথমে আপনাকে যেকোনো একটি ওয়েবসাইট ঢুকে একাউন্ট না করে সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে রিসার্চ করে সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে। চাইলে আপনি প্রতিটি ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নোট করে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমান অনলাইন জগতে আমরা সবাই ফ্রিল্যান্সিং কথার সাথে খুব ভালোভাবেই পরিচিত। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে নিজস্ব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন হতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা তাই অনেকেই এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন। অনেকে ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম কাজ এবং অনেকে পুরো টাইম হিসেবেও নিয়ে কাজ করছেন। 
সময় নষ্ট না করে এই সেক্টর থেকে অনেকেই অনেক বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের চাহিদা সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। কেননা আপনি যে কাজটি করবেন মার্কেটপ্লেসে যদি সে কাজে চাহিদা কম হয় তাহলে সেখান থেকে আপনি ভালো ধরনের সাফল্য তা পাবেন না। 

তাই আর্টিকেলে এ পর্যায়ে আমি আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের চারটি ডিমাইন্ডিং সাইট সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব।

ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে যেখানে ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বা সার্ভিসের ক্যাম্পেইন চালানো হয়। আরেকটু সহজ ভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং হল বিভিন্ন প্রোডাক্টের নির্দিষ্ট কাস্টমারের কাছে বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার প্রচারণা করা। ১৯৯০ সালের প্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম শুরু হয়। যেমনঃ
  • ইউটিউব
  • ফেসবুক
  • ইনস্টাগ্রাম
  • টিকটক ইত্যাদি।
সবকিছু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এক একটি প্ল্যাটফর্ম

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে ভালো টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা নিজেই ওয়েবসাইট বানিয়ে ঘরে বসেই প্রচুর টাকা আয় রোজগার করছেন। 

এই ওয়েবসাইট হতে পারে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট, সাধারণ ব্লগিং ওয়েবসাইট, ফোরাম ওয়েবসাইট, বা নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট গুলোতে কন্টেন্ট পাবলিশ করে সেখানে ট্রাফিক আনার ফলে আপনারা অনায়াসে সেখান থেকে ভালো প্রফিট পেতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন
আমরা অনেকেই গ্রাফিক ডিজাইনের এই নামটির সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। কেননা বর্তমান সময়ে আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে যান না কেন সেই সেক্টরে একটু না একটু গ্রাফিক ডিজাইন জানতেই হবে। উদাহরণ স্বরূপঃ আপনি যদি ব্লগিং করতে যান তাহলে ব্লগিংএর ফিচার ইমেজ বানানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন জানতে হবে। 

আপনি যদি আপনার নিজস্ব পন্য প্রচার প্রচারণা করার জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে থাকেন বা প্রচার-প্রচারনের জন্য ব্যানার বানিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাছ থেকে সে ব্যানার্জি তৈরি করে নিতে হবে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেমন twitter instagram, youtube, facebook ইত্যাদি প্লাটফর্মে অ্যাডভার্টাইজ দেখানোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের তৈরি লোগো এবং ফিসার ইমেজ তৈরি করা হয়ে থাকে।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
আপনি যদি চান অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখে আপনি নিজেই গুগল এডমব এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন এবং অ্যাপ বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ চাহিদা অনেক বেশি তাই খুব সহজেই আপনি ভালো ডিমান্ডে অ্যাপ গুলো বিক্রি করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

অনলাইনে জগতে যারা নতুন তারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে এসে অনেক বিভ্রান্তির সম্মুখীন হয়ে যান। কেননা নতুনরা সহজে বড় বড় মার্কেট প্লেসে কাজ পায় না। ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কিছু সেক্টর রয়েছে যেগুলো সেক্টরে কাজ করার জন্য খুব বেশি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয় না। ধৈর্য সহকারে কাজগুলো করলে এক সময় না একসময় অবশ্যই ফলাফল আসবে। যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে নতুন তাদের জন্য যে কাজগুলো করা সহজ তা হলো।

ওয়েবসাইট তৈরি করা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং  যারা নতুন তাদের ইনকামের একটি খুব সহজ পদ্ধতি হলো ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করা। আস্তে আস্তে কন্টেন্ট পাবলিক করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি রেঙ্ক পেলে সেখান থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ হল ওয়েবসাইট তৈরি করা।

কন্টেন্ট রাইটিং
আপনি চাইলে কনটেন্ট রাইটিং এ কাজ শিখে সেখান থেকে ভালো মনের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে বড় বড় ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ রেখে নিয়মিত কনটেন্ট লিখতে হবে এবং অবশ্যই কনটেন্টগুলো খুব ভালো মানের হতে হবে।  ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ তার মধ্যে একটি হলো কন্টেন্ট রাইটিং।

ফটোগ্রাফি
আপনি চাইলে ফটোগ্রাফির কাজ শিখে সেখান থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফটো ক্রয় বিক্রয় ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত হারে ভালো মানের ছবি আপলোড করতে হবে ছবিগুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে অর্থাৎ অন্যের চুরি করা ছবি নয় নিজস্ব ক্যামেরা দিয়ে নিজস্ব প্রতিভাখাটিয়ে যে ছবিটি আপনি তৈরি করবেন সেই ছবিটি আপলোড করতে হবে সেই ছবিটি ক্রয় বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিশেষ ধারণা লাভ করতে হবে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারের গড়তে যান বা ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার করবার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কি প্রয়োজন এবং কি কাজ করার মাধ্যমে বর্তমান যুবকরা অনেক টাকা আর্নিং করছে সে সম্পর্কে ধারণা করতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন হবে তার নিম্নে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ
কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কেননা একটা সিদ্ধান্ত আপনার জীবনকে উন্নতি এবং অবনীতির দিকে ধাবিত করে থাকে। কেউ কেউ ফ্রিল্যান্সিংকে হাফটাইম হিসেবে নিতে চাই আবার অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংকে প্রপার জব হিসাবে নিয়ে থাকেন। যদি কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার আশায় চাকরি-বাকরি ছেড়ে এই পেশা দিকে ধাবিত হন তাহলে খুব বড় ধরনের ভুল করবেন।

আপনি লেখাপড়া বা চাকরি যেটা করো না কেন তো কাজটি করার পাশাপাশি অবসর সময়টিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। অনেকে ফেসবুকে এবং youtube এ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার লোভনীয় ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আসলে অনেকে মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং মানে গাছে থেকে পাতা ছেড়ার মত। বিষয়টি মোটেও সেরকম না। ফ্রিল্যান্সিং মানে হার্ডওয়ার্কিং, ফ্রিল্যান্সিং মানে ধৈর্যের খেলা।

কৌশল
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয় সে সম্পর্কে youtube এ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকমের ভিডিও দেখতে পারবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আপনি সেই ভিডিও দেখে প্রাথমিক একটু ধারণা লাভ করতে পারবেন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং দিতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো মানের প্রশিক্ষণের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।

ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে। কেননা বিদেশি বাইয়াররা ইংরেজিতে কথা বলে। যদি আপনি ইংরেজিতে দুর্বল হন তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে ইংরেজি শিখে নিন। ইংরেজি ভালো না জানলে আপনারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন। অনেকে আবার ইংরেজি শেখার কথা চিন্তা করে পিছিয়ে যায়। আসলে আপনাকে যেটুক প্রয়োজন সাধারণ কথোপতনের জন্য সেটুক শিখলে ই চলবে।

দক্ষতা ও জ্ঞান
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে অনলাইন সম্পর্কে এবং কম্পিউটার সম্পর্কে এবং কম্পিউটার বেসিক সম্পর্কে বিশেষ দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকতে হবে। কম্পিউটার বেসিক যারা থাকলে আপনি এই সেক্টরে খুব তাড়াতাড়ি ইমপ্রুভ করতে পারবেন।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রধান অস্ত্র হলো কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ। অনেকেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে থাকেন। কিন্তু এর জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন হয় এবং সময়ও অনেক বেশি লাগে। তাই জন্য শেখার জন্য এবং ফিন্যান্সং করে জীবিকা নিবার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো মনের কম্পিউটার ক্রয় করতে হবে। যদি আপনি নিজে ক্রয় করতে না পারেন তাহলে অভিজ্ঞদের পড়াশোনা পরামর্শক্রমে নিতে পারেন।

ইন্টারনেট কানেকশন
ইংরেজি শেখা, কাজের দক্ষতা ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার পাশাপাশি আরও একটি জিনিস অবশ্যই থাকতে হবে তা হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন। সবকিছু থাকার পরে যদি আমার আপনার ইন্টারনেট কানেকশন না থাকে তাহলে আপনি কিছুই কাজ করতে পারবেন না। কারণ অনলাইনে ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য আপনার নিকটস্থ ওয়াইফাই কেবলের সাথে যোগাযোগ করে সংযোগ নিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হয়ে যাবে।

ধৈর্য
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সকল বিষয়ের পাশাপাশি আপনার সব থেকে যে বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার মানসিক শক্তি আপনার ধৈর্য শক্তি। ফ্রিল্যান্সিং কখনোই দিনে দিনে মার্কেটে নেমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই দিনের পর দিন ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে পারে। মনে রাখবেন ধৈর্য যত বেশি অনলাইন জগতে তার সাফল্য তত বেশি।

লেখকের মন্তব্য

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি যদি মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেননা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা গেলেও সময়টা অনেক বেশি লেগে যায়। তাই অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশি সাফল্য অর্জন করার জন্য ল্যাপটপ ও কম্পিউটার অত্যন্ত প্রয়োজন। যদি আপনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার পর ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন।

আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সিং করার চিন্তা করে থাকেন তাহলে youtube এর ভুলভাল ভিডিও না দেখে একজন প্রশিক্ষক এর ট্রেনিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্রথম থেকে থেকে শুরু করুন। ধৈর্য নিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করুন সাফল্য একদিন না একদিন আপনার কাছে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। আশা করছি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? এই প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url