পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় | পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করণীয় কি
প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম, আপনি নিশ্চয়ই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট
ডেলিভারি সময় এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নমুনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
তাই ফ্রিল্যান্সিং ইনফো এর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ
ধারণা প্রদান করব। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে এই
পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন কিভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেটের
আবেদন অনলাইনে চেক করতে হয়, সার্টিফিকেট পেতে কতদিন সময় লাগে এবং কত টাকা লাগে
ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান বাংলাদেশে অনেক মানুষ এই
জীবিকা নির্বাহের
জন্য বা অন্য যেকোনো কাজের জন্য বিদেশে পায়ে জমাচ্ছে। আপনারা হয়তোবা জানেন কোন
ব্যক্তি বিদেশে যাওয়ার আগে নিজ দেশে সরকারের কাছ থেকে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
নিতে হয়। কিভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হয় কোথায় গিয়ে নিতে হয় ইত্যাদি
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময়
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার সাথে সাথে পেয়ে যাবেন না। এর জন্য আপনাকে
অবশ্যই কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কেননা আপনার আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং
পুনঃনিরীক্ষা করার জন্য সরকারি কিছু ম্যানুয়াল রয়েছে। যেগুলো সম্পন্ন হওয়ার
পরে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টি হাতে পাবেন। সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ
ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেটটি হাতে পেতে পারেন।
তবে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বা কাজের পরিপ্রেক্ষিতে সময়টা আরো বেশিও লাগতে
পারে। তাছাড়াও আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া নির্ভর করে অনেকটাই
আপনার উপজেলাধীন থানা পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর। যদি পুলিশ অফিসারের অন্য
কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে সার্টিফিকেট পেতে একটু বেশি বেশি দেরি হবে। তবে
খুব বেশি কাজ না থাকলে তিন চার দিনের ভিতরে আপনি আপনার হাতে পেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
পাসপোর্ট পেতে কত দিন লাগে
দুর্নীতিতে ভরা আমাদের দেশে বুঝতে পারছেন কত রকমের দুর্নীতি হয়ে থাকে। পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স নিতেও অনেককে অনেক হয়রানির শিকার হতে দেখা যায়। যদি আপনার আবেদনে
বিন্দুমাত্র ভুল ধরতে পারে বা ভুল করে থাকেন সেক্ষেত্রে আরও বেশি হয়রানি হতে
হয়। আমার একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম।
আমি একজনকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করে দিয়েছি কিন্তু ভুলবশত তার গ্রামের
নাম এবং ডাকঘরের নাম একই হয়ে গেছে। যে ব্যক্তির আবেদনটি করা হয়েছে সেই ব্যক্তি
আবেদন পত্র নিয়ে স্থানীয় উপজেলা পুলিশ অফিসারের কাছে গেলে তিনি তাকে লোকাল
পুলিশ অফিসের একটি অফিসারের কাছে দায়িত্বটি হ্যান্ড ওভার করেন।
ওই ব্যক্তিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক কর্মকর্তার সাথে দেখা করলে তিনি তাকে আবেদনের
ভুল হয়েছে এটি ঠিক করার জন্য কিছু পরিমাণে অর্থ দাবি করে বসেন। এই বিষয়টি উক্ত
ব্যক্তি আমাকে জানালে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে ফোনে কথা বলি এবং
সমস্যাটি তিনাকে জানাই। তিনি বলেন যে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য
প্রাথমিকভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
আবেদনের ভুলভ্রান্তি হতেই পারে এটা স্বাভাবিক। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মানে উক্ত
ব্যক্তির নিজস্ব এলাকার সে বাসিন্দা কিনা, তার নামে কোন মামলা আছে কিনা তিনি আরো
কোন রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন কিনা এ সকল বিষয়ে তদন্ত করে একটি
রিপোর্ট প্রদান করা। আবেদনের ভুল ধরা তার কাজ নয়।
এ বিষয়টি শোনার পর আমি আরো একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলি। তিনি বলেন, সত্য
কথা বলতে কি যারা বাইরের দেশে অনেক টাকা খরচ করে যায় তাদের জন্য পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য একটু টাকা পয়সা খরচ করতেই হয় এটি স্বাভাবিক ব্যাপার।
তারপর আমি সবকিছু যাচাই-বাছাই করে লোকটির সাথে যাবতীয় কথাটা শেয়ার করি।
উক্ত ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে কিছু অর্থ বিনিময়
করার মাধ্যমে তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে সাহায্য করি।
এ যে ঝড় ঝামেলা আপনি যদি এরকম ঝামেলায় পড়েন তাহলে হয়তো বা এটি পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট হাতে পেতে ১৫ থেকে এক মাস সময় রাখতে পারে। লেখকের
পরামর্শ থাকবে অবশ্যই আপনি জানাশোনা কারো কাছে আবেদন করবেন। প্রয়োজনের অভিজ্ঞদের
পরামর্শ নেবেন। সঠিক নিয়মে আবেদন করে সঠিকভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
গ্রহণ করুন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নমুনা
বিদেশে যাওয়ার জন্য চাকরি বা অন্যান্য কাজের জন্য অধিকাংশই লোকই পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে যে ব্যক্তির পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স প্রদান করা হবে আসলে সেই ব্যক্তিটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার
যোগ্য কিনা। তিনি কোন আসামি কিনা, বা অন্য কোন অপরাধে কিনা, স্থানীয়
থানায় তিনার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে
একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদান হচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য সকল ফর্মালিটিজ সঠিকভাবে পালন করার পর আপনি
সার্টিফিকেটটি পেয়ে যাবেন যেমন ধরুন
- সঠিকভাবে আবেদন করা।
- আবেদনের ফি প্রদান করা
- আবেদন কপি উপজেলাধীন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে যাওয়া প্রদান করা ইত্যাদি।
আবেদন করার ০৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার সার্টিফিকেটটি হাতে পাবেন। সার্টিফিকেট
কি রকম হয় তা নিম্নে চিত্রের দেখানো হল।
সার্টিফিকেটে আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, গ্রাম, জেলা ও উপজেলা, ইউনিয়ন,
পাসপোর্ট নাম্বার যাবে তো তথ্য এন্ট্রি থাকবে। সার্টিফিকেটটি কোন অফিস থেকে কিছু
করা হয়েছে এবং আবেদনকারী তথ্য কবে ভেরিফাই কাজ কমপ্লিট করা হয়েছে সকল বিষয়ক
উল্লেখ থাকবে। সার্টিফিকেটের নিচে বাম পাশে পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর মাঝখানে
স্থানীয় থানা সিলমোহর
এবং ডান পাশে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা স্থির ও স্বাক্ষর থাকবে। সবার উপরে
একটি কিউআর কোড দেখতে পাবেন। একই কিউআর কোড স্ক্যান করে আপনার পুলিশ
ক্লিয়ারেন্সের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট অনলাইন চেক
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার যে আসলে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। আপনি যে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটটি হাতে পেয়েছেন সেই সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যতা
চেক করতে চাইছেন নাকি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনের অবস্থা অনলাইনে চেক
করতে চাচ্ছেন? তাই আমি পুলিশ প্লেয়ার এর সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই অনলাইনে চেক
এবং আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনলাইনে কিভাবে চেক করবেন সে সম্পর্কে তুলে ধরলাম।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সত্যতা যাচাই
অনলাইনে আপনাকে সহজেই পুলিশ সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেটের উপরের বাম পাশে কর্নারে একটি কিউআর কোড দেখতে পাবেন। আপনি আপনার
মোবাইলে ক্রিউআর কোড স্ক্যানার নামে একটি অ্যাপস ইনস্টল করে নিবেন। এরপর অ্যাপসটি
ওপেন করে উক্ত ইউয়ার কোড স্ক্যান করলেই সার্টিফিকেট তথ্য আপনি দেখতে পাবেন। আপনি
চাইলে সেই কপি আবারও প্রিন্ট করে নিত এবং ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার পদ্ধতি
দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি সার্টিফিকেটটি অনলাইনে চেক করতে পারবেন।
- অনলাইনের মাধ্যমে
- মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে
অনলাইনের মাধ্যমে
অনলাইনে মাধ্যমে সার্টিফিকেট যাচাই করার জন্য কয়টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে এবং কিছু
ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। যা যা প্রয়োজন হবে তা হলো
- রেফারেন্স নাম্বার
- পাসপোর্ট নাম্বার
- আবেদনকারী মোবাইল নাম্বার
- পাসওয়ার্ড
যখন কোন ব্যক্তি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করে থাকেন তখন আবেদন হয়ে গেলে একটি
রেফারেন্স নাম্বার প্রদান করা হয়। এ রেফারেন্স নাম্বার এবং আপনার প্রাপ্ত
পাসপোর্ট নাম্বার এগুলোর প্রয়োজন হয় অনলাইনে আবেদন চেক করার জন্য এজন্য এ
তথ্যগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখা দরকার। আবেদন করার সময় আবেদনকারীর একটি
অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হয়।
উক্ত অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সময় বা নিবন্ধন করার সময় একটি পাসওয়ার্ড
প্রদান করতে হয়। যে পাসওয়ার্ডটি পরবর্তীতে উক্ত অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার জন্য
ব্যবহার করা হয়। আর সে কারণে আবেদনকারী পাসওয়ার্ড অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখতে
হবে। কেননা অনলাইনে আবেদন চেক করার সময় মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড প্রদান
করার মাধ্যমে একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হবে।
প্রবেশ করার পরেই আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা, পুলিশ ফেয়ারের সার্টিফিকেট চেক
ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে পাসওয়ার্ড হারিয়ে গেলে বা ভুলে গেলে
তা পুনরায় রিসেট করতে পারবেন। কয়টি ধাপ অনুসরণ করে আপনি পুলিশ কেয়ারের
সার্টিফিকেটটি অনলাইনে চেক করতে পারবেন। পদ্ধতি গুলো হলো
ওয়েবসাইটের প্রবেশ
প্রথমে আপনাকে https://pcc.police.gov.bd এই
ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য
এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সঙ্গে
সঙ্গে উক্ত ওয়েবসাইটটি ওপেন হয়ে যাবে এবং আপনি হোম, এপ্লাই, মাই অ্যাকাউন্ট,
কন্টাক্ট আস এ চারটি অপশন দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনি মাই একাউন্টে ক্লিক করুন।
মাই একাউন্টে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড
প্রদান করতে বলা হবে এবং একটু নিচে সাইন ইন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনি
মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড সঠিক ভাবে প্রদান করে সাইন ইন বাটনে ক্লিক করুন।
উপরে চিত্রে প্রদর্শিত সাইলেন বাটনে ক্লিক করার পর আবেদনকারী প্রোফাইলে ঢুকতে
পারবেন। এবং প্রোফাইলের যাবত তথ্য চলে আসবে। যার বাম পাশে একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে
পাবেন তারপরে প্রোফাইল এবং নিচে এপ্লিকেশন ইনফরমেশন নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন।
অ্যাপ্লিকেশন ইনফরমেশনে রেফারেল নাম্বার পাসপোর্ট নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার
প্রদান করার একটি ঘর দেখতে পাবেন। এবং তারপরে সবার ডান পাশে নীল রংয়ের সার্চ
বাটন দেখতে পাবেন।
উপরের পেজে অ্যাপ্লিকেশন ইনফরমেশন বক্সে প্রথমে আপনি সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান
করুন যেমন
- রেফারেল নাম্বার
- পাসপোর্ট নাম্বার
- এবং আবেদনকারী মোবাইল নাম্বার
ওপরে সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদানের পর নীল রঙের সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
চার্জ বাটনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি নিচের চিত্রের মত আরো কিছু তথ্য দেখতে
পাবেন।
রেফারেল নাম্বার
সার্টিফিকেট
পাসপোর্ট নাম্বার
এপ্লাই ডেট
মোবাইল নাম্বার
আবেদনকারীর নাম
জেলা
থানা
কারেন্ট স্ট্যাটাস
একশন
সর্বশেষ রয়েছে রিমার্ক
আপনি এখান থেকে কারেন্ট স্ট্যাটাস এই অপশনটি ফলো করেই আপনার আবেদনের সর্বশেষ
অবস্থা দেখতে পাবেন। যদি আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে
সার্টিফিকেট নামে যে অপশন পাবেন তার নিচে আপনার সার্টিফিকেটটি চোখের আইকনের মতো
দেখতে পাবেন এবং সেখানে ক্লিক করে আপনার সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট
করে নিতে পারবেন।
কারেন্ট স্ট্যাটাস কোন অবস্থায় থাকলে কি করবেন
অ্যাকাউন্ট লগইন করার পর অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন প্রদান করার ফলে আপনি আপনার আবেদনের
স্ট্যাটাস অপশন দেখতে পাবেন। এই স্ট্যাটাস অপনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের অপশন
দেখতে পাবেন। পেমেন্ট স্ট্যাটাসে কি লিখা থাকলে তার অর্থ কি বুঝায় তা আপনাদের
সামনে তুলে ধরা হলো।
যদি স্ট্যাটাস অপশনে পেন্ডিং ফর পেমেন্ট লেখা থাকে
পেন্ডিং ফর পেমেন্ট লেখা থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার পেমেন্টটি এখনো
সম্পূর্ণ হয়নি। আবেদনটি পেমেন্টের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। স্ট্যাটাসে যদি
পেন্ডিং ফর পেমেন্ট অপশন থাকে তাহলে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি দ্রুত পরিশোধ
করলেই স্ট্যাটাস থেকে পেন্ডিং ফর পেমেন্ট অপশনটি চলে যাবে।
Aplication Submitted
স্ট্যাটাসে যদি অ্যাপ্লিকেশন সাবমিটেড এই লেখাটি উঠে থাকে তাহলে আপনাকে
বুঝতে হবে যে আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে সাবমিট সম্পন্ন হয়েছে। এর জন্য আপনাকে
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
Payment Recevied
স্ট্যাটাস অপশনে পেমেন্ট রিসিভ প্রদর্শিত হলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার
পেমেন্টটি যথাযথভাবে সুসম্পন্ন করা হয়েছে।
under verification
স্ট্যাটাস অপশনে যদি আন্ডার ভেরিফিকেশন অপশনটি দেখতে পান তার মানে হল আপনার
আবেদনটি সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তা তদন্ত বা ভেরিফিকেশন এর কাজ চলমান রয়েছে।
সার্টিফিকেট প্রিন্ট
এই স্ট্যাটাস থাকলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার প্রয়োজনের ভেরিফিকেশন
অর্থাৎ তদন্ত ভেরিফিকেশন শেষ করা হয়েছে এই অপশনটি প্রদর্শিত হবে।
By Oc
এর মানে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরটি প্রিন্ট করে সেটা থানার কাছে স্বাক্ষরের
জন্য পাঠানো হয়েছেG
Sing by DC/SP
স্ট্যাটাস এই স্ট্যাটাসের অর্থ হলো পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটটি ওসির
স্বাক্ষরের পর এটা ডিসি অথবা স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Ready For Mofa verification
এই স্ট্যাটাস দেখালে বুঝতে হবে যে আপনার রিপোর্টটি এসপি অথবা স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন করার জন্য কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে এবং আপনার
সার্টিফিকেট এর রিপোর্ট প্রস্তুত রয়েছে।
Delivery
উপরের সকল কাজ শেষ হয়ে থাকলে সার্টিফিকেট ডেলিভারি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে
থাকবে এবং স্ট্যাটাস ডেলিভারি দেখাবে।
উপরের ১০ টি ধাপ সম্পর্ন হওয়ার পর স্ট্যাটানে ১০/১০ লিখা থাকলে বুজতে হবে আপনার
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স-এর সকল কাজ শেষ। এখন আপনি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
সংগ্রহ করতে পারে।
অ্যাপ্লিকেশন বাতিল
যদি স্ট্যাটাস অ্যাপ্লিকেশন থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার আবেদনটি কোন ভুল তথ্য
দিয়েছেন অথবা আপনার নামে কোন মামলা বা অন্য কোন রিপোর্ট আছে যে কারণে আপনার
আবেদনটি বাতিল হয়ে গেছে।
মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে
মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার জন্য আপনার মোবাইলে
একটি মেসেজ করতে হবে। এর জন্য টাইপ করতে হবে পিসিসি স্পেস এস স্পেস রেফারেন্স
নাম্বার এবং পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬৯৬৯ এই নাম্বারে। ফিরতে এসএমএসে আপনার আবেদনের
স্ট্যাটাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।
মেসেজের উদাহরণ: PCC S xxxxxxxx
যেহেতু অনেকেই এ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য হয়রানির শিকার হন আবার অনেকেই দালাল
চক্রের মাধ্যমে সার্টিফিকেটটি সংগ্রহ করে থাকেন। আর প্রশ্ন হচ্ছে আপনি যে
সার্টিফিকেট পেয়েছেন সেটা কি আসল নাকি নকল। আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে এ
সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই করতে পারবে। অনলাইনে সাহায্য নিতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এমন একটি সার্টিফিকেট যেখানে এটা উল্লেখ থাকবে যে
আপনার নামে কোন পুলিশ কেস বা মামলা বা অন্য কোন রিপোর্ট নেই। তবে এই সার্টিফিকেট
আপনার আজীবন কাজে লাগবে বা আজীবন ব্যবহার করতে পারবেন এমনটা না। কেননা পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার পর পরবর্তীতে আপনার কোন শত্রু আবারও আপনার নামে
কোন মামলা দিতে পারে।
সে কারণে সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট কিছু মেয়াদ রয়েছে এবং এদের মধ্যে আপনি
সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারনত পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার পর যে
ঠিকানা ভিত্তিতে আবেদন করেছেন তো ঠিকানায় পুলিশরা আপনার সম্পর্কে কিছু খোঁজখবর
নিয়ে থাকবেন অথবা কিছু কাগজ-পাতি নিয়ে থানায় যেতে বলবেন।
প্রয়োজনে আপনার এলাকায় লোক লাগিয়ে আপনার সম্পর্কে সকল খোঁজখবর নেয়ার পর কোন
ঝামেলা না থাকলে তখনই আপনাকে এই সার্টিফিকেটটি প্রদান করা হবে সার্টিফিকেটে পুলিশ
কমিশনার এবং অফিসার ইনচার্জ এর স্বাক্ষর থাকবে। তাই এটা তৈরি করা নিয়ে পরবর্তী
ব্যবহার করবেন বলে ভেবে থাকেন তাহলে সেটা ভুল ভাবছেন।
আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য কি লাগবে
সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবহার করতে হবে। কারণ আপনি
সার্টিফিকেট তৈরি করার পরবর্তী সময়ে পারিবারিক সূত্র ধরে অন্য কেউ আপনার উপর কোন
মামলা করে দিতে পারে অথবা আপনি অন্য কোন কারণে কোন ঝামেলায় জড়িয়ে আপনার উপর
কোন মামলা হতে পারে।
সাধারণত পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৫ থেকে ১০ বছর হয়ে থাকলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের
একেবারে অন্যরকম সময়সীমা। আপনাকে যখন পুলিশ ক্লিয়ার সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে
উক্তর তারিখ হতে ৯০ দিনের ভিতর আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা
গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ খাঁটি শুদ্ধ ভাষায় বলতে গেলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের
মেয়াদ সার্টিফিকেট গ্রহণের তারিখ হতে ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাস পর্যন্ত।
উক্ত ডেটের মধ্যে আপনি আপনার সার্টিফিকেট এর সঠিক ব্যবহার করতে না পারলে
পরবর্তীতে যদি আবারো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুনরায়
আবেদন ফি দিয়ে আবেদন করে আবারো সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে
আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই অনলাইনে মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন এবং পুলিশ
ক্লিয়ারেন্সের আবেদন ফি প্রদান করতে পারবেন। বিদেশে ঘুরতে যাওয়া, উচ্চশিক্ষা
গ্রহণ করার জন্য, বিদেশে চাকরি করার উদ্দেশ্যে, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়ার
জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়। যদিও সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্য অনেক সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে অনলাইনে আবেদন হওয়ার জন্য আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই পুলিশ ক্লিরেন্সের
আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Apply Now বাটনে ক্লিক করে
প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। সর্বশেষ একটি ধাপ দেখতে পাবেন যেখানে পেমেন্ট
অপশন রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
বিনা জামানতে লোন দেয় কোন ব্যাংক
এই পেমেন্টটি আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক এর যে কোন শাখা, ই চালান, মোবাইল ব্যাংকিং
ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং অথবা নির্ধারিত ব্যাংকে সহজে জমা
দিতে পারবেন। অনলাইন ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা জমা দিলে
অবশ্যই সার্ভিস চার্জ প্রয়োজন হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের আবেদন ফি
হলো ৫০০ টাকা।
বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন
বিদেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বর্তমানে অপরিহার্য। কেননা পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স ছাড়া আপনি বিদেশের গমন করতে পারবেন না সে কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট। আপনি অনলাইনে মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের
আবেদন করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে ছয়টি টেপ পর্যায়ক্রমে সঠিক তথ্য প্রদান করার
মাধ্যমে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন ধাপগুলো হলো।
আরো পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম অনলাইন
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়েবসাইটে আপনার একটি একাউন্ট
রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এরপরে ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সকল ধাপ
সম্পন্ন করতে হবে।
প্রথম ধাপ
প্রথমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান প্রথম ধাপে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য
সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
আপনি যে ঠিকানায় থেকে আবেদন করছেন সেই ঠিকানায় আপনার ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান
করতে হবে । personal address এই অংশে আপনার পার্সোনাল অ্যাড্রেসটি সঠিকভাবে
প্রদান করতে।
তৃতীয় ধাপ
প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি অংশে আপনার প্রয়োজনে ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট এর স্ক্যান
কপি, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নাগরিক সহ আরো যদি
কোন ডকুমেন্ট থাকে সেগুলো দিতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ
কনফার্মেশন এই অংশে আপনার সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা তা পুনরায় যাচাই করে নিয়ে
নিশ্চিত করতে হবে।
৫ম ধাপ
৫ম ধাপ এ অংশে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ফি প্রদান করতে হবে এ চালানের এর
মাধ্যমে।
ষষ্ঠ ধাপ
এই অংশে আপনার টাকা জমা দেওয়ার রশিদ অর্থাৎ চালান আপলোড করে আবেদনটি শেষ করতে
হবে।
শেষ কথা
আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে
অবগত হওয়ার পর আবেদন করবেন। প্রয়োজনে আপনি অভিজ্ঞদের পরামর্শ এবং আপনার
স্থানীয় উপজেলা ধীন থানায় পুলিশ অফিসার সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে করতে পারেন।
কোন দালাল চক্র সহায়তা ছাড়াই সরকারি নিয়ম মেনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন
করুন এবং আপনার সার্টিফিকেটটি সংগ্রহ করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url