ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps - ফটো এডিট ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড
সম্মানিত পাঠক, আপনি কি ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড
apps
এবং ফটো এডিট ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড
সফটওয়্যার
খুঁজছেন? অনেক খোঁজাখুঁজি পর ছবি এডিট করার জন্য ভালো মানের অ্যাপস খুঁজে পাচ্ছেন
না? তাহলে এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। কেননা এই আর্টিকেলটির
মাধ্যমে আমি আপনাদের মাঝে
ছবি এডিট
করার ভালো ভালো অ্যাপ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব।
প্রিয় পাঠক আমি আপনাদের মাঝে আরো যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করব তা হল কিভাবে আপনি
একটি পুরনো
ছবিকে
নতুন রূপ দিতে পারবেন। এছাড়াও পুরনো আমলের
স্মৃতিময় ব্ল্যাক
এবং হোয়াইট ছবি কিভাবে এইচডি রূপে রূপান্তরিত করা যায়। ছবি ইডিট সম্পর্কিত
বিস্তারিত তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
কাজের প্রয়োজনে কিংবা
সোশ্যাল মিডিয়ায়
আপলোড করার জন্য অথবা প্রয়োজনের কাছে ভালো মানের ছবি প্রিয়জনকে দেওয়ার জন্য
এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে ছবি এডিটিং করা খুব জরুরী হয়ে পড়ে। তাই বিশেষ
প্রয়োজনে ছবি এডিটিং করার জন্য বিশেষ কিছু সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয়। যেগুলো
সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনায়াসে একটি পুরনো ছবিকে অথবা যেকোনো ছবিকে বিভিন্ন
আঙ্গিকে রূপান্তরিত করা যায়।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps
বর্তমান যুগ তারুণ্যের যুগ, বর্তমান যুগ
স্টাইলিশ যুগ, বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়া যুগ। এ যুগে যে ব্যক্তি যত বেশি স্টাইলিশ এবং
মডার্ন হয় তার স্ট্যাটাস অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে তরুণ তরুণীরা তাদের
স্ট্যাটাস কে ধরে রাখার জন্য এবং প্রিয়জনের কাছে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন
করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি এডিটিং করে ছবি আপলোড করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ সর্বকালের সেরা ফুটবলারের তালিকা
যে ছবিগুলো দেখে বোঝার উপায় থাকে না আসলে তরুণীটি কতটুকু কালো বা কতটুকু ফর্সা।
ছবি এডিটিং সফটওয়্যার বা অ্যাপ এমন ভাবে কাজ করে যে ছবিগুলো দেখে সবাই চমকে ওঠে
অর্থাৎ ক্রাশ খেয়ে যায়। আর সেজন্যই আমাদের দেশে ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড
অ্যাপ গুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়। বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুণেরা এই অ্যাপটি
অত্যাধিক পরিমাণে ব্যবহার করে থাকে।
এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে কেউ কেউ বিভিন্ন টিক টক বানিয়ে থাকে ইউটিওবে ভিডিও
আপলোড করে আবার কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফলোয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ছবি
এডিটিং অ্যাপ দ্বারা ছবি এডিট করে সুন্দর সুন্দর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে
থাকে। তবে শুধু তরুণ তরুনেরা নয় কাজের প্রয়োজনে সব ধরনের মানুষেরই এই অ্যাপগুলো
ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে।
তাই এই ইলেকট্রনিক্সের যুগে আমাদের সবারই জেনে থাকা দরকার কিভাবে অ্যাপগুলো
ব্যবহার করতে হয় এবং ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ কোথায় পাওয়া যায়।
আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমি আপনাদের মাঝে কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ সম্পর্কে
পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করব। শুধু তাই নয় অ্যাপ গুলো কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে
বিস্তারিত বর্ণনা করবো।
ফটো ইডিটর
ফটো এডিটরের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ছবি এডিটিং করতে পারবেন। ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps এই
সফটওয়্যারটির
মধ্যে রয়েছে ৫০০রো বেশি ছবি এডিট করার মত টুলস। যেমন ধরুন স্টাইলিশ ফটো বানানো,
ছবির ব্লার কমানো অথবা বাড়ানো, ছবিকে ফিল্টার করা, ছবির পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ড
পরিবর্তন করা, জন্য ছবি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য রয়েছে বিউটি প্লাস টুলস।
যে টুলস গুলো আপনাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছবি তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই অ্যাপস এ
ছবি এডিট করার পর আপনি সরাসরি অ্যাপ থেকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টে অর্থাৎ
ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে, হোয়াটসঅ্যাপে সরাসরি আপলোড করে পোস্ট করতে পারবেন। তাই
এই অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য আপনি আপনার মোবাইল প্লেস্টোর থেকে ফটো এডিটর লেগে
সার্চ করে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করার মাধ্যমে খুব সহজে আপনি ছবি এডিটিং
করতে পারবেন।
Picsart AI Photo Editor
সারা বিশ্বে বর্তমানে Picsart AI Photo Editor এর সংখ্যা ১৫০ মিলিয়নেরও অনেক
বেশি। এ সফটওয়্যার রয়েছে Picsart AI। যার দ্বারা শুধু কমান্ডের মাধ্যমে যেকোনো
ধরনের ফটো এডিটিং করতে পারবেন। এছাড়াও যে কোন ধরনের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।
আপনি আপনার কর্মকান্ড কে সৃজনশীলতা প্রাণবন্ত করতে এ আই চালিত অ্যাপটি ব্যবহার
করতে পারেন।
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করার সময় এই অ্যাপটি নিখুঁত কারুকার্যের পরিচয় বহন
করে। যে কোন ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ অথবা ব্যাকগ্রাউন্ড অদল বদল করা, টেমপ্লেট
পরিবর্তন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোন স্টাইলিশ এবং পোস্টগুলোকে ডিজাইন করার
জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার প্রিয় ছবি স্মৃতিময় করার
জন্য ফ্রেম তৈরি করতে পারেন।
এই অ্যাপটিতে অসংখ্য stylized রয়েছে যেখানে অনায়াসে উক্ত ছবির পরিবর্তে আপনার
ছবিটি ল্যান্ড করা সম্ভব হয়। এবং এর জন্য কারোরই বোঝার উপায় থাকে না যে ছবিটি
বডি আপনার নয় অন্য কারো। ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Beautyplus
ফটো এডিট করা আরেকটি জনপ্রিয় aps হলো Beautyplus। এই অ্যাপ দিয়ে ছবির
ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা সহ আরো অন্যান্য কাজ করার মাধ্যমে ছবি সৌন্দর্য বৃদ্ধি
করা যায়। সে কারণে বর্তমান তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে সব ধরনের মোবাইল ইউজাররা এই
অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন। সারা বিশ্বে বিউটি প্লাস এই অ্যাপটি ব্যবহৃত সংখ্যা
হচ্ছে ৮০০ মিলিয়ন এর বেশি।
এই অ্যাপটিতে রয়েছে মেকাপ ফিল্টার সহ ফেস এডিটর টুলস যার দ্বারা অনেক সুন্দর
সুন্দর সেলফি ফটো তোলা যায়। এছাড়াও আরো অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য
পঞ্চাশটির বেশি টুলস ব্যবহার করতে পারবেন। বিউটি প্লাস ফটো এডিটরে রয়েছে এ আই
ফটো এডিটর যা ব্যবহার করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মিষ্টি মিষ্টি সেলফি তুলতে পারবেন
এবং পুরনো ছবিগুলোকে নতুন রূপ দিতে পারবেন।
ছবিতে কোন রকমের দাগ থাকলে যেমন ব্রনের দাগ, অন্যান্য কালো দাগ দূর করতে পারবেন।
আপনি চাইলে এই অ্যাপ দ্বারা চুলের রং পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়াও মুখমন্ডল
অত্যন্ত মসৃণ এবংফ্রেশ করে চেহারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনি চাইলে
মুখমণ্ডল এবং দাঁত চোখের ভ্রু, চুল, চোখ ইত্যাদি মসৃণ এবং মলিন করতে পারবেন।
photo editor lumii
ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করার আরো একটি বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ এর নাম হলো photo
editor lumii। এই অ্যাপটির দ্বারা একটি ছবির অনেকগুলো রূপে রূপান্তরিত করা যায়।
সারাবিশ্বে এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০০ মিলিয়ন এর ও অনেক বেশি। এই
অ্যাপটি ছবি এডিটর প্রো এর শক্তিশালী অ্যাপ হিসেবেই পরিচিত। অন্যান্য ফটো এডিটর
অ্যাপ এর থেকে এই অ্যাপটি সেরা একটি অ্যাপ হিসেবে পরিচিত।
photo editor lumii অ্যাপটিতে ১০০ টিরও বেশি প্রিসেন্ট ফটো ফিল্টার সহ ফটো ইফেক্ট
অফার বিদ্যমান রয়েছে। যা ব্যবহার করে আপনি ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই
অ্যাপটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আপনি যদি একজন পেশাদার ফটো এডিটর নাও হয়ে
থাকেন তার পরেও খুব সহজেই এবং কম সময়ে একটি ছবিকে অনেক রূপে রূপান্তরিত করতে
সক্ষম হবেন।
অনুরুপ ছবি তৈরি করার ক্ষমতা এবং প্রেসেন্ট ফটোগ্রাফি টুলস এর জন্য lumii কে
সকলের একটি সেরা পছন্দনীয় অ্যাপ হিসেবেই পরিচিত।
photo collage maker & editor
photo collage maker & editor ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার আরো একটি
জনপ্রিয় অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোনো ছবির
ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার ইচ্ছামত সেট করতে পারবেন। বর্তমান বিশ্বে এই অ্যাপটির
ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন এর অনেক বেশি। এই অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে
ডাউনলোড করেছে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীরা।
রিমুভ ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াও এ ছবিটির আরও একটি বিশেষত্ব হলো এই অ্যাপ ব্যবহার করে
আপনি একটি ছবিকে বিভিন্ন ফ্রেমে বাঁধতে পারবেন। অর্থাৎ এই অ্যাপটিতে রয়েছে ছবির
ফ্রেম দুর্দান্ত ফটো এডিট করার ক্ষমতা, গ্রিট মেকার এবং ইনস্টাগ্রাম এর মতো
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবির দুর্দান্ত এবং আকর্ষণীয় রূপ দেওয়ার জন্য photo collage
maker & editor অ্যাপ সর্বশ্রেষ্ঠ।
ফটো এডিট ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড
একটি ছবির বিশেষত্ব বৃদ্ধি করার জন্য এবং ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি সহ আরো অন্যান্য
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। ছবির
ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করার জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থিম। যা
ব্যবহার করে ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুণ এবং
তরুণীরা নিজেকে স্টাইলিশ প্রমাণ করার জন্য এই ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করে।
আরো পড়ুনঃ আসল ভিটমেট ডাউনলোড করব কিভাবে
সেটাকে ব্যবহার করে নিজের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে ফেলেন। মোবাইল অথবা
কম্পিউটারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার পছন্দ করে ডাউনলোড
করার মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে
ফটো এডিট ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার। আপনাদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটিফটো এডিট
ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার নিম্নে প্রদান করা হলো।
একটি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় টেকনিক। একটি
ছবিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং সৃজনশীল মান প্রদান করার জন্য এ টেকনিকটি ব্যবহার
করে থাকেন অনেকেই। ফটো এডিট ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি
রয়েছে। যে পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি ফ্রি থিম অথবা প্রিমিয়ার স্টক ফটো
গুলোর ওয়েবসাইট হতে ওয়ালপেপার গুলো ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনি খুব সহজেই এই ওয়ালপেপারে নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ
ফটো ডিজাইনাররা তাদের ফটোকে নতুন নতুন ডিজাইন দেওয়ার জন্য কিছু নতুন নতুন
আইডিয়া গ্রহণ করতে চাই এবং তাদের ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড
ওয়ালপেপার গুলো ডাউনলোড করে থাকেন।
তাই আমি আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আপনাদের কিছু আকর্ষণীয় এবং ইউনিক ব্যাকগ্রাউন্ড
দেখাতে চলেছি। যেগুলো চাইলে আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে চলুন
এবার আপনাদের কিছু সুন্দর সুন্দর ফটো এডিট ব্যাকগ্রাউন্ড দেখাবো।
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। যেমন ধরুন
লাল রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড। আপনি চাইলে ইন্টারনেটে লাল রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড এ কথাটি
লিখে সার্চ করে অনেক সুন্দর সুন্দর লাল রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখতে পারবেন।
ব্যাকগ্রাউন্ড এর চারপাশে লাল রঙের ফুল থাকবে যার মধ্যে যার মধ্যে আপনার ছবিটি
বসিয়ে দিলে আপনার ছবি সৌন্দর্য অত্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
যারা সাধারণত রোমান্টিক টাইপের তরুণ তরুণী তারা এ লাল রংয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড
ব্যবহার করে থাকেন। নিম্নে কয়েকটি লাল রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড উল্লেখ করা হলো।
আপনি চাইলে ইন্টারনেট থেকে ব্লুয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। বর্তমানে ফটো ডিজাইনরা অনেক স্টাইলিশ হওয়ায় ছবির স্টাইল পরিবর্তন করার জন্য কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নতুন নতুন ছবি জেনারেট করতে সক্ষম হচ্ছেন। তাই আপনিও যাতে ফটো এডিটিং এর কারুকার্য হতে পিছিয়ে না পড়েন সেজন্য আমি আপনাদের বেশ কয়েকটি নিউ ব্যাকগ্রাউন্ড ফটো অর্থাৎ ব্লুয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড উল্লেখ করা হলো হল।
বর্তমান যুগে মোবাইল এবং অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করে ছবিকে নতুন রূপে রূপান্তরিত
করা এটি আমাদের প্রায় প্রতিযোগিতার মতো হয়ে উঠেছে। কেননা প্রায় সবাই নিজের
ছবিকে বিভিন্ন পদ্ধতির অবলম্বন করে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড
করে। যা দেখে তার ফলোয়াররা উক্ত ডিজাইনের ছবি তৈরি করার জন্য এবং তার থেকে আরো
ভালো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার জন্য ছবি বানানোর চেষ্টা করেন।
এর জন্য আপনাকে হয়তো বা ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করতে হয়। কখনো কখনো
ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করার জন্য অনেক বেশি সময় লেগে যায়। তাই কিভাবে খুব সহজে
অনেক সুন্দর সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড আপনি নির্বাচন করতে পারবেন আর্টিকেলের এ
পর্যায়ে আমি আপনাদের সেই বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব।
এর জন্য আপনাকে সঠিক ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে। কয়েকটি সফটওয়্যার হল Getty
Images, Adobe Stock, Shutterstock। এই ওয়েবসাইট গুলো অত্যান্ত উচ্চমানের। যা
থেকে আপনি খুব সহজেই অনেক সুন্দর সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে
পারবেন। আর যদি আপনি টাকা প্রদান করে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যাবহার করতে চান তাহলে আরো
ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড পেয়ে যাবেন।
ছবি এডিট করার ভালা সফটওয়ার
আপনারা যারা ছবি এডিট করার কাজ করে থাকেন তাদের কাছে ছবি এডিট করা অত্যন্ত সহজ
কাজ হলেও যারা নতুন মোবাইল ইউজার তাদের কাছে ছবি এডিট করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। সে
কারণে বেশিরভাগ মোবাইল ইউজারদের নতুন মোবাইলে সার্চ দিয়ে ছবি এডিট করার জন্য
বিশ্বের সফটওয়্যার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে।
সে কারণে ছবি এডিটিং এ কাজ করে থাকেন তাদের জন্য এবং যারা ছবি এডিট করার কথা
ভাবছেন তাদের জন্য সেরা পাঁচটি ছবি এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ছবি এডিট করার ভাল সফটওয়্যার সম্পর্কে।
- পিক্সআর্ট (PicsArt)
- কেনভা Canva
- স্ন্যাপসিড (Snapsheed)
- অ্যাডবি লাইটরুম (Adobe Lightroom)
- আফটার ফোকাস (AfterFocus)
সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে যে যেটি ব্যবহার করে এক্সপার্ট তার কাছে সেটি সেরা ছবি
এডিটিং সফটওয়্যার। এ সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে দুইটি এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে যা
একটি মালিকানাধীন গুগল এর স্ন্যাপশিড এবং আরেকটি হলো পিক্স আর্ট। যারা এগুলো
ব্যবহার করে থাকেন তারা বিশেষত সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রয়েছে। আপনিও যদি এই
একটি ব্যবহার করেন তাহলে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট
যারা গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে থাকেন তারা খুব খুব সহজেই ছবি এডিটিং করতে পারেন।
তবে আমরা অনেকেই ছবি এডিট করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন টুলস এর সহযোগিতা নিয়ে থাকি।
এই টুলসগুলো ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই অত্যন্ত ভালো মানের ছবি তৈরি করতে পারি।
ছবি এডিটিং ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ছবিটি আপলোড করে দিলে খুব সহজেই অনলাইন
সফটওয়্যার আপনার ছবি এডিটিং করে দেয়।
ছবি এডিটরের ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ছবি এডিটিং টুলস ব্যবহার করা হয়।
যেমন ধরুন বেসিক ইমেজ ইফেক্ট, ইমেজ রিসাইজ, এড টেক্স ইত্যাদি। ছবি এডিট করার জন্য
কয়েকটি বেস্ট ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইট টুলস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
picwish.com
ছবি এডিট করার জন্য একটি খুব ভাল ওয়েবসাইট হলো picwish।
এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ফ্রি ০৭ টি ছবির কাজ করতে পারবেন। আরো বেশি করতে চাইলে
আপনাকে টাকা প্রদান করার মাধ্যমে করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে ছবির কাজ করতে চাইলে
আপনাকে picwish এর ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট করতে হবে। এর জন্য আপনার একটি ইমেইল এর
প্রয়োজন হবে। ওয়েবসাইট লিংঙ্ক হচ্ছে
www.picwish.com
Picozu.com
এটি এমন একটি সেরা ওয়েবসাইট যেখানে ছবি ইডিট করার জন্য বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন
হয় না। অভিজ্ঞতা ছাড়াই আপনি খুব সহজেই ছবি ইডিটের কাজ করতে পারবেন। এই ওয়েব সাইটে
ছবির কাজ করা একেবারে ফ্রি। এই ওয়েবসাইটের প্রবেশ করার লিংঙ্ক হচ্ছে
Picozu.com। এই লিংকে ক্লিক করার করলে আপনি ছবি
আপলোড করার একটি অপশন দেখতে পারবেন।
সেখানে আপনি যে ছবি ইডিট করতে চান সেই ছবিটি আপলোড করলে অনেকগুলো অপশন দেখতে
পারবেন যেমন: ইডিটি, লেয়ার, টুলস, ইত্যাদি অপশন সঠিকভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে
আপনি ছবি ইডিট করতে পারবেন।
canva.com
ফটো ইডিট করার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল ক্যানভা। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা
এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে। কারন এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে খুব সহজেই
গ্রাফিক্সয়ের কাজ করা যায়। এই ওয়েবসাইট ইউটিউবের ভিডিও, ব্লগারের জন্য থাম্ববেল,
ক্যানভা ব্যবহার করে থাকে। এই ওয়েবসাইটে ফ্রি এবং আরো ভাল সার্ভিস পেতে চাইলে
আপনাকে পেইড প্রিমিয়ার ফিচারটি ব্যবহার করতে হবে। এই ওয়েবসাইট লিংক হচ্ছে
www.canva.com।
এছাড়াও ফটো এডিট করার জন্য আরো কিছু এ সাইটের নাম এবং ওয়েবসাইট লিংক নিম্নে
উল্লেখ করা হলো।
লেখকের মন্তব্য
বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে ছবি এডিটিং করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। সে কারণে আমরা
অনেকেই অনলাইনে সহায়তা নিয়ে থাকি কিন্তু অনলাইনে সব ওয়েবসাইটে বা সব
সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি ফ্রি ছবি এডিটিং করতে পারবেন না। কিছু কিছু
ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে টাকা পেইড করতে হবে। তবে টাকা
পেইড করার আগে আপনি অবশ্যই সেই ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন এবং
তারপর পেইড ফিচারটি নিতে পারেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url