দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম - জমির দাগ নাম্বার কিভাবে বের করব
আপনি কি দাগ নাম্বার দিয়ে
জমির মালিকের
নাম বের করার উপায় খুজছেন?
জমির দাগ নাম্বার
কিভাবে বের করব জানেনা। তাহলে এই পোষ্ট মূলত আপনার জন্য খুবই কার্যকরী হতে চলেছে।
এই পোষ্টটিতে আমি আপনাদের কিভাবে জমির
দাগ নম্বর বের
করবেন এবং উক্ত দাগ নম্বর দিয়ে কিভাবে জমির মালিকের নাম জানতে পারবেন তা
বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল সম্পর্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রিয় পাঠক এই পোষ্টটি সম্পর্ন পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন,
মৌজা ম্যাপ জমির
নকশা ডাউনলোড করার উপায়, জমির খতিয়ান অনুসন্ধান এবং জমির রেকর্ড যাচাই করার নিয়ম
সম্পর্কে।
পেজসূচী পত্রঃ দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায়
জমির দাগ নাম্বার কিভাবে বের করব
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন জমির দাগ নাম্বার কিভাবে বের করব ? এ প্রশ্ন
সাধারণত তারাই করে থাকেন যাদের কাছে জমির কোন কাগজ পত্র এমনকি দাগ নাম্বার নেই।
জমির খতিয়ান দলিল, বা জমির অন্যান্য কাগজপত্র না থাকলে সেই জমিটি কার নামে আছে
বা কার নামে কতটুকু অংশ রয়েছে সেগুলো জমির খনিয়ান না থাকলে অংশ বের করা অসম্ভব।
সাধারণত যারা বাহিরের ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক হয়ে থাকেন তিনারা এ সমস্যার
সম্মুখীন বেশি হয়ে থাকেন। একটু স্পষ্ট করে বলতে গেলে একটি উদাহরণ দেওয়া
প্রয়োজন। যে ওয়ারিশরা সাধারণত মায়ের ওয়ারিশ অর্থাৎ নানার সম্পত্তির ওয়ারিশ,
আবার যাদের পূর্বপুরুষেরা আমি ক্রয় করেছেন কিন্তু উক্ত জমি সঠিকভাবে দলিল বা
রেজিস্ট্রি হয়নি। কিন্তু অন্যের দখলে চলে গেছে।
এ সকল জমি উদ্ধারের জন্য অবশ্যই আপনাকে খতিয়ান নাম্বার জেনে খতিয়ান উঠাতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি উক্ত জমির খতিয়ানের নাম্বার না জানেন তাহলে উক্ত জমি খতিয়ান
বের করতে পারবেন না। যদি আপনার কাছে খতিয়ান নাম্বার না থাকে তাহলে আপনাকে উক্ত
জমির দাগ নাম্বার অবশ্যই জানতে হবে।
কেননা দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান নাম্বার বের করার মাধ্যমে খতিয়ানটি উত্তোলন
করতে পারবেন। কিন্তু যদি দাগ নাম্বারও না থাকে তাহলে আপনার করণীয় কি? যদি দাগ
নাম্বার না থাকে তাহলে আপনাকে যা করতে হবে তা হলোঃ
প্রথমে আপনাকে মৌজা নির্বাচন করতে হবে বা জানতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন মৌজার জমির
দাগ নাম্বার অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন বা জানতে চাচ্ছেন সেই মৌজা নাম্বারটি বা মৌজা
আপনাকে জানতে হবে। মৌজা নম্বর জানার পর উক্ত মজার একটি নকশা আপনাকে সংগ্রহ করে
নিতে হবে। নকশায় আপনি সকল জমির সকল সকল দাগ নাম্বার গুলো দেখতে পারবেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল এতগুলো দাগের মধ্য থেকে আপনি কোন দাগে করতেন খুঁজতে খুঁজছেন
সেটা কিভাবে বুঝবেন? সেটা বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই পার্শ্ববর্তী জমির মালিকের
নাম এবং দাগ নাম্বার এবং খতিয়ান নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার পর উক্ত
জমি দাগের পাশের দাগ নাম্বারটি দিয়ে আপনি ভূমি ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্চ করে দেখে
খুঁজে বের করে নিতে হবে।
যদিও আপনি খুব সহজেই দাগ নাম্বারটি পেয়ে যাবেন না কিন্তু একটু পরিশ্রম করলে
অবশ্যই আপনি আপনার কাঙ্খিত জমির দাগ নাম্বার বের করতে পারবেন।
দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম
আপনার কাছে যদি জমির খাতার নাম্বার না থাকে এবং উক্ত জমি যদি খতিয়ান উত্তোলন করা
আপনার জন্য জরুরী হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে জমিটি দাগ নাম্বার জানতে পারবেন। শুধু
তাই নয় দাগ নাম্বার দিয়ে ও জমির মালিকের নাম ও খুব সহজেই জানতে পারবেন। বর্তমান
যুগ ডিজিটাল যুগ এ যুগে সবকিছুই ঘরে বসেই অনলাইনে মাধ্যমে জানা সম্ভব হয়ে থাকে।
জমি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য এবং সেবা গ্রহণের জন্য অবশ্যই আপনি অনলাইনের সাহায্যে
নিতে পারেন। বর্তমানে ভূমি সংক্রান্ত সার্ভার ডিজিটাল করার জন্য সকল মানুষের কাছে
ভূমি সেবা পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে একটি অন্যতম হচ্ছে জমির ই পর্চা অর্থাৎ জমির
খতিয়ান, জমির দাগ, মজা ইত্যাদি অনুসন্ধান করা।
এই ডিজিটাল যুগে খুব সহজেই দাগ নাম্বার দিয়ে জমিনের মালিকের নাম বের করা সম্ভব।
এর জন্য আপনাকে কয়েকটি পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। পদ্ধতি গুলো কি কি তা
আমি আপনাদের ধাপে ধাপে জানানোর চেষ্টা করব।
প্রথম ধাপঃ প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ই
পর্চা নামে একটি অপশন প্রদর্শিত হবে আপনি অপশনটিতে ক্লিক করুন। আপনি কি প্রচার
ওয়েবসাইটে সরাসরি প্রবেশ করতে
এখানে ক্লিক করুন।www.eporcha.gov.bd
দ্বিতীয় ধাপঃ ওয়েবসাইটে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও
ম্যাপ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, মর্টগেস্ট তথ্য যাচাই, নামে মোট
ছয়টি অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি তিন নম্বর অপশনটি অর্থাৎ স্মার্ট ভূমি
রেকর্ড ও ম্যাপ এ ক্লিক করুন।
তৃতীয় ধাপঃ স্মার্ট ভুমি রেকর্ড ও ম্যাপ এ ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি পরবর্তী
পেজে আরো কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। নির্দেশিকা, সার্ভে খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান,
মৌজা ও ম্যাপ, আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা। আপনি যদি নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে
চান তাহলে নামজারি করতেন সিলেক্ট করুন । নামজারি ছাড়া আপনি অন্য খতিয়ান (আর.এস,
সি.এস, বি.এস, বি.আর.এস, দিয়ারা,পেটি) অনুসন্ধান করতে চাইলে সার্ভে খতিয়ানটি
সিলেক্ট করুন।
চতুর্থ ধাপ: খতিয়ানের ধরন সিলেক্ট করার পর একটু নিচে বিভাগ, জেলা, উপজেলা,
খতিয়ানের ধরন, মৌজা, খতিয়ানের তালিকা অপশন গুলো দেখতে পাবেন।
পঞ্চম ধাপঃ প্রথমে আপনি বিভাগ সিলেট করুন তারপর জেলা তারপর উপজেলা, তারপর
খতিয়ানের ধরন অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের খতিয়ান অনুসন্ধান করতে যাচ্ছেন বা কোন
ধরনের খতিয়ানের দাগ নাম্বার দিয়ে ও জমির মালিকের নাম বের করতে চাচ্ছেন তা
নির্বাচন করুন। নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনি কোন মৌজা জমি দেখতে চাচ্ছেন সেটি
সিলেট করুন। এরপর খতিয়ান নং এর ঘরে খতিয়ান নামটি প্রদান করে খুঁজুন বাটনে ক্লিক
করুন।
৬ষ্ঠ ধাপঃ খুঁজুন বাটনে ক্লিক করলে আপনি খুব সহজেই মালিকের নাম সহ খতিয়ান
নাম্বার দেখতে পাবেন। আর যদি খতিয়ান নাম্বার না থাকে তাহলে একটু নিচে অধিকতর
অনুসন্ধান নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন।। অধিকতর অনুসন্ধান অপশনটিতে ক্লিক করার
সঙ্গে সঙ্গে দাগ নাম্বার এবং মালিকের নাম্বার প্রদান করার জন্য দুটি ঘর আপনার
সামনে প্রদর্শিত হবে।
৭ম ধাপঃ আরো বিস্তারিত জানতে আপনি খতিয়ানের উপর ডাবল ক্লিক করার পরে
পরবর্তী ধাপে গিয়ে বিস্তারিত নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন। বিস্তারিত অপশনটিতে
ক্লিক করার করে আপনি জমির সকল মালিকের নাম এবং দাগ নাম্বার দেখতে পাবেন। কিন্তু
খতিয়ান উত্তোলন করার আগ পর্যন্ত আপনি উক্ত খতিয়ানের জমির পরিমাণ জানতে পারবেন
না। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে জমির খতিয়ানটি উত্তোলন করতে হবে।
মৌজা ম্যাপ জমির নকশা ডাউনলোড
বর্তমান বাংলাদেশ স্মার্ট ভূমি সেবায় অনেকটাই এগিয়ে। দেশের সকল জেলারই জমির
ম্যাপ অনলাইনে মাধ্যমে দেখা সম্ভব। তবে কিছু কিছু জেলায় এখনো জমির ম্যাপটি
অনলাইনে তালিকা মুক্ত করা হয়নি যে সকল এলাকার জমির ম্যাপ করা হয়েছে তিনারা খুব
সহজেই ম্যাপটি উত্তোলন করতে পারবেন। মৌজা ম্যাপ জমির নকশা ডাউনলোড করার জন্য
আপনাকে কয়েকটি পদ্ধতি ভালো হবে অনুসরণ করতে হবে। পদ্ধতি গুলো হলঃ
প্রথমে আপনি ভূমি সেবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
ওয়েব সাইটে সরাসরি প্রবেশ করতে
এখানে ক্লিক করুন।https://www.eporcha.gov.bd/
উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বেশ কয়েকটি অপশন আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে সেখান
থেকে আপনি স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ এই অপশনটিতে ক্লিক করুন।
এরপর বিভাগ নির্বাচন করুন
তারপর জেলা নির্বাচন করুন
এরপর আপনার উপজেলা নির্বাচন করুন
সার্ভে টাইপ অর্থাৎ কোন ধরনের খতিয়ানের নকশা দেখবেন তা সিলেক্ট করুন।
যে মৌজার নকশা বের করতে চান সেই মৌজা সিলেট করুন।
এবার আপনি সিট নাম্বার সিলেক্ট করুন। অনেক হয়তোবা সিট নাম্বার কথা শুনে একটু
হতবাক হচ্ছেন কেননা এ ধরনের শব্দ এর আগে হয়তোবা শুনেন নাই। তাহলে সিট নং কি
জিনিস সে সম্পর্কে একটু সামান্য ধারণা নেওয়া যাক। যখন আপনি একটি মজার নকশা
ডাউনলোড করতে চাইবেন তখন নকশাটি অনেক বড় হবে।
অনেক সময় এত নকশা প্রিন্ট করার অনেক সমস্যা হয়। তাই খুব সহজেই প্রিন্ট করার
জন্য নকশাটি কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে আর এর এক একটি ভাগকে শীট নং বলা
হয়। আপনার জমিটি যে সিট নং এরিয়ায় অন্তর্ভুক্ত আপনি সেই শীট নং সিলেক্ট করে
নকশাটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদানের পর এবার অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সিট
অনুযায়ী ম্যাপটি ছোট আকারে দেখতে পারবেন।
- আপনি কোন ধরনের ডেলিভারি পেতে আগ্রহী সেটি নির্বাচন করুন।
- ডেলিভারির মাধ্যম সিলেট করুন সেটি অফিস কাউন্টার অথবা ডাকযোগে যেকোনো একটি নির্বাচন করুন। নির্বাচন করলে ডাকযোগ নির্বাচন করলে আপনাকে জেলার ভিতরে অথবা বাহিরে নির্বাচন করতে হবে।
- এরপর আপনার নাম সহ ঠিকানা এবং ভোটার আইডি নাম্বার মোবাইল নাম্বার সঠিকভাবে প্রদান করুন।
- পরবর্তী অপশনে একটি যোগফল দেখতে পাবেন আপনি সঠিকভাবে যোগফলটি লিখুন।
- এবার আপনাকে উক্ত ম্যাপে উত্তোলনের জন্য পেমেন্ট অপশনটি প্রদর্শিত হবে আপনি পেমেন্ট অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- আপনি কোন ধরনের পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করতে চাইছেন সেটি নির্বাচন করুন। সব থেকে সুবিধা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করা।
- মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করার পর আপনি কোন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং হতে টাকাটি পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ উপায় ,বিকাশ, নগদ, ইউপে, রকেট যেকোনো একটি সিলেক্ট করুন।
- এবার সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
- তারপর ইয়েস লেখায় ক্লিক করে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করলেই আপনি খুব সহজেই মৌজা ম্যাপ জমির নকশা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
জমির খতিয়ান অনুসন্ধান
আপনার অনেকেই জমির খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে অবহিত নন। অনেকে হয়তোবা জানেন না
যে অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজেই জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। বর্তমানে
স্মার্টফোনের মাধ্যেমে সবার কাছে সরকার মানুষের দোরগোড়ায় এই সেবাটি পৌঁছে
দিয়েছে। অনেক সময় খতিয়ান হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তো খতিয়ান অনুসন্ধান
করা খুবই জরুরী হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ কড়া গন্ডার হিসাব বাহির করার সূত্র
বিশেষ করে খাজনা-খারিজ করার জন্য জমির খতিয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা জমির
খতিয়ান ছাড়া আপনি জমি খাজনা দিতে পারবেন না। আর খাজনা দিতে না পারলে খারিজ করতে
পারবেন না। তাই আপনি যদি আপনার জমিটি ক্রয় অথবা বিক্রয় করে থাকেন আর যদি
খতিয়ান না থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে কতটা বিপদের সম্মুখীন হতে
হবে।
তাই এ ধরনের বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই জমির খতিয়ান অনুসন্ধান
অনলাইনে মাধ্যমে জানতে হবে। কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই জমির
খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি জমির খতিয়ান
অনুসন্ধান করতে পারবেন। পদ্ধতি দুটি হলঃ
- অনলাইনে মাধ্যমে
- ভূমি অফিসে গিয়ে
অনলাইনে মাধ্যমে
যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন সে পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে আপনাদের সামনে চিত্রসহ উপস্থাপন করা হলোঃ
যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন সে পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে আপনাদের সামনে চিত্রসহ উপস্থাপন করা হলোঃ
প্রথম ধাপঃ প্রথমে আপনাকে
land.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ দ্বিতীয় ধাপে আপনার সামনে আরো বেশ কয়েকটি অপশন প্রদর্শিত
হবে তো অপশন থেকে আপনি সার্ভে খতিয়ান আর যদি নামজারি করতেন অনুসরণ করতে চান
তাহলে অবশ্যই নামজারি অপশনটি সিলেট করুন।
তৃতীয় ধাপঃ তৃতীয় ধাপে আপনি প্রথমে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা, খতিয়ান
নম্বর সঠিকভাবে প্রদানের মাধ্যমে খুঁজুন-বাটনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপঃ আপনার কাছে খতিয়ান নাম্বার না থাকলে আপনি একটু নিচে দিকে
অধিকতর অনুসন্ধান নামে অপশনটিতে ক্লিক করে জমির মালিকের নাম অথবা দাগ নাম্বার
দিয়েও জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন।
আপনি চাইলে খতিয়ানের ফি প্রদান করে খতিয়ান উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
জমির রেকর্ড যাচাই
বিভিন্ন প্রয়োজনে জমির রেকর্ড যাচাই করা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
আগের সময় জমির রেকর্ড যাচাই করার জন্য ভূমি অফিসে অনেক সময় ধরে ধর্না ধরে বসে
থাকতে হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং
ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি জমির রেকর্ড যাচাই করতে পারবেন।
প্রশ্ন হল জমি রেকর্ড যাচাই কেন করবেন বা কেন করা প্রয়োজন? উত্তরঃ মনে করুন
আপনার পূর্বপুরুষ একটি খতিয়ানের পাঁচটি দাগের জমি বিক্রি করেছে কিন্তু উক্ত
খতিয়ানে আরো দাগ রয়েছে। এখন যে ব্যক্তিটি জমি ক্রয় করেছেন সে খতিয়ানের সম্পর্ন
জমিটি ভোগ দখল করে আসছে। এখন আপনার জানা প্রয়োজন যে আপনার পূর্বপুরুষরা কতটুক
জমি বিক্রি করেছে।
ওই ক্ষেত্রে খতিয়ানে আরও কতটুকু জমি অবশিষ্ট রয়েছে। এ বিষয়টি জানার জন্য
অবশ্যই আপনাকে ভূমি রেকর্ড যাচাই করতে হবে। সঠিক ভাবে ভূমি রেকর্ড যাচাই করলেই
আপনি জমির রেকর্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ধাপে
ধাপে অনুসরণ করতে হবে।
প্রথম ধাপে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।land.gov.bd
দ্বিতীয় ধাপে জমির ঠিকানা ও জমির তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
তৃতীয় ধাপে জমির রেকর্ড যাচাই করতে হবে। প্রথম পদ্ধতি এবং দ্বিতীয় পদ্ধতি আপনি
খুব সহজেই অতিক্রম করতে পারবেন কেননা এই আর্টিকেলটির ওপরে উক্ত নিয়মের কথা বেশ
কয়েকবার বলা হয়েছে। এবার তৃতীয় ধাপ সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে জানলেই খুব সহজেই
জমির রেকর্ড যাচাই করতে পারবেন।
তৃতীয় ধাপে আপনি খতিয়ানটি দাগ নাম্বার এবং নিচে বিস্তারিত এবং খতিয়ানের আবেদন
অপশনটি দেখতে পাবেন। আর আপনার খতিয়ানের যদি আরএস খতিয়ান থেকে্জ ই-নামজারি করে
থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি কোন কোন দাগটি খারিজ হয়েছে এবং কার নামে খারিজ হয়েছে
তা খুব সহজেই দেখতে পারবেন ।
আর যদি এস.এ বা সিএস কোথান থেকে রেকর্ড হয় তাহলে অবশ্যই আপনি বিস্তারিত বাটনে
ক্লিক করে জমির মালিকের নামটি দেখতে পারবেন। এবার এখন আপনি হয়তোবা সম্পূর্ণ
নিশ্চিতভাবে বুঝতে পেরেছেন যে বিস্তারিত অপশনটিতে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে যার
নামে খতিয়ানটি অন্তর্ভুক্ত আছে উক্ত জমির মালিকও সেই ব্যক্তি।
লেখকের মন্তব্য
বিভিন্ন কারণে খতিয়ান অনুসন্ধান করা অনেকের জরুরি হয়ে পড়ে। তাই কোন ধরনের
খতিয়ানের জন্য কি ধরনের অনুসন্ধান বা কি ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা
আপনাদের সামনে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি। আশা করছি উক্ত আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আপনার দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম, জমির খতিয়ান
অনুসন্ধান, জমির রেকর্ড যাচাই এ সকল বিষয়ে সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন।
ভূমি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত পরামর্শ অথবা প্রশ্ন থাকে
তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে রাখুন। আর পোস্টটি ভালো লাগলে
অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url