পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার ০২টি সহজ উপায়
সম্মানিত পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার ০২টি সহজ উপায় সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন। আপনি জানতে আগ্রহী যে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
সকল বিষয় সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি মূলত আপনার জন্য
খুবই কার্যকর হতে চলেছে। কেননা এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের বিস্তারিত জানানোর
চেষ্টা করব পাসপোর্ট হয়েছে কিনা কিভাবে তা খুব সহজেই জানতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এর পোস্ট পাওয়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন পাসপোর্ট এর
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কিভাবে আবেদন করতে হয় অর্থাৎ পাসপোর্ট রিভিউ করার
নিয়ম এবংপাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে। তাও আপনি জানতে পারবেন পাসপোর্ট
নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার বিস্তারিত নিয়ম সম্পর্কে।
পেজ সূচীপত্রঃ পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার ০২টি সহজ উপায়
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
আপনি যদি প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট করার
জন্য যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। ই-পাসপোর্ট
করার জন্য কি কাগজপত্রটির প্রয়োজন হয়, কিভাবে আবেদন করতে হয়, অনলাইনে মাধ্যমে
আবেদন করার পর কোথায় এবং কিভাবে আবেদন ফরমটি জমা দিতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার ০২টি সহজ উপায় সম্পর্কে।
আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় ফর্মের সাথে কি কি কাগজপত্র দিন প্রয়োজন হয়,
পাসপোর্ট এর টাকা কোথায় কিভাবে জমা দিতে হয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই পাসপোর্টে আবেদন করতে পারবেন। সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে
অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন ফরমটি আপনার কি পাসপোর্ট এর লোকাল
অফিসে জমা প্রদান করলে অফিস কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি গ্রহণ করে একটি ডেলিভারিট
প্রদান করবেন। উক্ত ডেলিভারী সিপে আপনার পাসপোর্ট এর আবেদন গ্রহণ করার তারিখ এবং
পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ উল্লেখ থাকবে। ডেলিভারি তারিখ উল্লেখ থাকলেও আপনি উক্ত
তারিখে পাসপোর্ট নাও পেতে পারেন।
তাহলে প্রশ্ন হল আপনার পাসপোর্টটি হয়েছে কিনা আপনি সেটা কিভাবে জানতে পারবেন
অথবা আদৌ জানার কোন পদ্ধতি রয়েছে কিনা। হ্যাঁ অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান
অবস্থা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন অতি সহজে তাও আবার ঘরে বসে।
এজন্য আপনাকে পাসপোর্ট হয়েছে কিনা যাচাই করার নিয়ম জানতে হবে। আপনি সাধারণত
দুটি উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই আপনার কি পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে
অবহিত হতে পারবেন। যেমন অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে।
অফলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট চেকিং করার নিয়ম
একটি মোবাইল ফোনে মাধ্যমে আপনি আপনার ই-পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে
অবহিত হতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটি এসএমএস টাইপ করতে হবে। এসএমএস করার জন্য
আপনার মেসেজ এখানে গিয়ে টাইপ করুন EPP <space>Application-ID এবং 16445 এই
নাম্বারে সেন্ড করুন।
এসএমএস করার কিছুক্ষণ পর পাসপোর্ট অফিস হতে আপনার মোবাইলে একটি ফিরতি এসএমএস
প্রদান করা হবে। উক্ত এসএমএসে মাধ্যমে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে। আপনি উক্ত এস এস টি ভালোভাবে পড়ে আপনার
পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অনলাইনে মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
আপনি যখন পাসপোর্ট এর আবেদন ফরটি আপনার স্থানীয় লোকাল অফিসে জমা প্রদান করবেন
এবং আপনাকে যে ডেলিভারির স্লিপ প্রদান করা হবে উক্ত ডেলিভারি স্লিপে আপনার
অ্যাপ্লিকেশন আইডি অর্থাৎ অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসা চেক উপায়
এখন আপনি কি পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে প্রথমেই
পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। কি পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর মূল মেনু থেকে চেক স্ট্যাটাস নামে একটি অপশন দেখতে
পাবেন আপনি উক্ত অপশনে ক্লিক করে আপনার ডেলিভারি ক্লিপের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন
আইডি এবং
আপনাকে আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করার পর আপনি হিউম্যান রোবট কিনা সেখানে টিক
মার্ক করে চেক বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে না পাসপোর্ট এর বর্তমান
অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি পাসপোর্ট অনলাইনে চেক
করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া কি সে সম্পর্কে।
প্রথমত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট
অনলাইনে মাধ্যমে এই পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে
অবশ্যই সর্বপ্রথম অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর পাসপোর্ট
স্ট্যাটাস চেক অপশনে ক্লিক করুন। উক্ত অপশনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর রেজিস্ট্রেশন
আইডি এবং জন্ম তারিখ প্রদান করার অর্থ গুলো প্রদর্শিত হবে।
অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আইডি প্রদান করুন
আপনি যখন আবেদন করবেন তখন আপনি দুটি কপি হাতে পাবেন। একটি হল আবেদন কপি এবং
আরেকটি হল অ্যাপ্লিকেশন সামারি কপি। এই দুটি কাগজেই আপনি ও আইডি প্রদান করে
অনলাইন হতে রেজিস্ট্রেশন আইডি পাবেন। আপনি তাও যদি না পান তাহলে আপনার ডেলিভারী
স্লিপেও অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং রেজিস্ট্রেশন আইডিটি দেখতে পাবেন। এই ও আইডিটি
ব্যবহার করে আপনি আপনার পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।
জন্ম তারিখ নির্বাচন করুন
অ্যাপ্লিকেশন আইডিটি প্রদান করার পর জন্ম তারিখ প্রদান করার পর একটু নিচে জন্ম
তারিখ প্রদান করার অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি আপনার জন্ম তাদের সঠিকভাবে
প্রদান করুন।
ক্যাপচা পূরণ করার নিয়ম
এ পর্যায়ে আপনি আসলে একজন হিউম্যান অর্থাৎ রিয়েল মানুষ কিনা সেটা নিশ্চিত করতে
হবে। এর জন্য আপনি যা করবেন সেটি হল আই এম এ হিউম্যান এর পাশে বক্সে ক্লিক করলে
একটি টিক চিহ্ন প্রদর্শিত হবে। একটু নিচেই নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনার
প্রদানকৃত সকল তথ্য সঠিক হয়েছে কিনা তা একবার চেক করে নিয়ে চেক অপশন এ ক্লিক
করুন। কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করার পর ওপরে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা
বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনি যদি বিদেশে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি
পাসপোর্ট করতে হবে। আর পাসপোর্ট করার জন্য কি কি কাগজপত্র দিয়ে প্রয়োজন সে
সম্পর্কে সর্বপ্রথম জানতে হবে। কেননা আপনার কাগজপত্র ঠিক না থাকলে আপনি পাসপোর্ট
এর আবেদন করতে পারবেন না এবং আপনি পাসপোর্ট ও পাবেন না। সে কারণে 2024 সালে অথবা
১০ বছর মেয়াদে অথবা পাঁচ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
২০২৪ সালে ই পাসপোর্ট এর আবেদনে এবং পাসপোর্টে একটি পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়টি
অনেকে জানেন আবার অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তাদের এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত
জরুরী। আগেকার পুরনো এমআরপি যে পাসপোর্টটি চালু ছিল সেটি বাতিল হয়ে অর্থাৎ
এমআরপির পরিবর্তে ই পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে।
ই-পাসপোর্ট আপনি কোন ধরনের দালালের প্রতারণা ছাড়াই অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করে
খুব সহজে পাসপোর্টটি হাতে পাবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি অথবা জন্ম
নিবন্ধন থাকা জরুরী। তবে যাদের বয়স ১৮ বছর অতিক্রম করেছে তিনারা জন্ম সনদ দিয়ে
আবেদন করতে পারবেন না। তাদের অবশ্যই ভোটার আইডি থাকা বাধ্যতামূলক এবং ভোটার আইডি
দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন করতে হবে।
ভোটার আইডি এবং জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও পাসপোর্ট এর ধরন ভেদে আরও কিছু কাগজপত্র
প্রয়োজন হয়। যেহেতু বিভিন্ন পাসপোর্টে বিভিন্ন রকমের কাগজপত্রটির প্রয়োজন হয়
সে কারণে কোন পাসপোর্টে কি কি কাগজ প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে আমি আপনাদের
পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করব। আমাদের দেশের সাধারণত তিন রকম পাসপোর্ট প্রদান করা
হয়।
- যেমন বাচ্চা অর্থাৎ শিশুদের জন্য পাসপোর্ট
- যারা ১৮ বছর অতিক্রম করেছেন অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট
- আরেকটি হলো যিনারা সরকারি চাকরিজীবী তাদের জন্য পাসপোর্ট।
সে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বয়সের হিসেব অনুযায়ী পাসপোর্ট এর ধরন ভিন্ন ভিন্ন
হয়। এবং যারা সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন তাদের সরকারি কাজে বিদেশে ভ্রমণ করার
জন্য একটি আলাদা ধরনের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। সেটি হল এনওসি সার্টিফিকেট এবং গো
প্রয়োজন হয়। এনওসি বলতে সাধারণত নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থাৎ অন আপত্তি পত্র
এবং ডিও বলতে government অর্ডার পাসপোর্ট বলা হয়।
পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি
পাসপোর্ট করার জন্য সাধারণত অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং অনলাইনে আবেদন করার জন্য
আপনি কত বছরে পাসপোর্ট করবেন তা নিশ্চিত করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম
সনদ দিয়ে আবেদন করতে হয়। যাদের বয়স 20 বয়সে বয়সের নিচে তারাই শুধু জন্ম সনদ
দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারী পিতা-মাতা যদি জীবিত থাকে তাহলে পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড এবং
অনলাইন নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে। সরকারি চাকরিজীবী তাদের এনওসি সার্টিফিকেট
প্রয়োজন হয়।
শিশুদের জন্য কাগজপত্রদি
- শিশুর অনলাইন জন্ম সনদ। জন্ম সনদ অবশ্যই বাংলা এবং ইংরেজি উভয়ই ভার্সনে হতে হবে।
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি। শিশুদের জন্য পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি বাধ্যতামূলক।
- অনলাইনে আবেদন কপির তার সারাংশ অংশ।
- অনলাইনে আবেদন কপি।
- পাসপোর্টে এর টাকা জমা দেওয়ার রশিদ।
- ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক ড্রাফ এর চালান কপি।
- শিশুর টিকার কার্ড।
- থ্রি আর সাইজের ফটো বাধ্যতামূলক।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কাগজপত্রাদি
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা চেয়ারম্যান কর্তৃক অনলাইন নাগরিক সনদপত্র।
- বিদ্যুৎ বিল কাগজের ফটোকপি।
- অনলাইনে আবেদনের সামারি অংশ।
- অনলাইন হতে আবেদন কপি।
- টাকা জমা প্রদান করার রশিদ।
- আবেদনকারী যদি ছাত্র হয় তাহলে বর্তমানে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্টুডেন্ট কপি অথবা প্রত্যয়ন পত্র।
- পিতা-মাতা জীবিত থাকলে ভোটার আইডির ফটোকপি বাধ্যতামূলক।
- বিবাহিত হলে স্বামী অথবা স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি।
কর্মচারীদের জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- নাগরিক সনদপত্র
- বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- আবেদনের সারাংশ
- অনলাইনে আবেদন কপি
- বিবাহিত হলে স্বামীর আইডি কার্ডের ফটোকপি
- পিতা থাকলে ভোটার আইডি কার্ড ফটোকপি
- এন ও সি (নন অবজেকশন সার্টিফিকেট)
- ডিও (গভারমেন্ট অর্ডার)
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে
বর্তমানে ২০২০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়। এই ইপাসপোর্টে
রয়েছে একটি ইলেকট্রনিক সিম বা মেমোরি যার মধ্যে উক্ত পাসপোর্ট ধারীর সকল তথ্য
সংরক্ষিত রাখা হয়। এই পাসপোর্ট এর একটি বিশেষ সুবিধা হল কি পাসপোর্ট ধারীদের
লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশন স্বয়ংক্রিয় টিকেটের মাধ্যমে চেকিং করার প্রয়োজন হয়
না।
তারা সরাসরি চেকিং ছাড়াই ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশে এমআরপি
পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে না। তাই সবাইকে ই-পাসপোর্টে ব্যবহার করতে হবে। তাই
অনেকেই এমআরপি পাসপোর্ট করেছেন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের অবশ্যই পাসপোর্ট
করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে পাসপোর্ট এর জন্য পুনরায় আবেদন করতে হবে। আর
সে কারণে ই এই আর্টিকেলি আপনাদের জানিয়ে দিবে করার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়
কাগজপাতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য।
পাসপোর্ট রেনু করার নিয়ম
২০২০ সালের পর থেকে যেহেতু বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট সকল জেলায় সকল ভাবে চালু হয়েছে
তাই আপনাকে আগের এমআরপি পাসপোর্ট রেনু করে ই পাসপোর্ট এর আওতায় আসতে হবে। অনেকে
হয়তোবা এমআরপি পাসপোর্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরকে পুনরায় আবেদন
করতে হবে আর যাদের পাসপোর্ট এর মেয়াদ রয়েছে আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে।
এর জন্য আপনাকে আপনার ভোটার আইডি সহ আরো সকল তথ্য প্রদান করে সঠিকভাবে আবেদন করার
মাধ্যমে আপনি আপনার পাসপোর্টটি রিনিউ করতে পারবেন। পাসপোর্ট এর রেনু করার
সময় আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট এর আবেদন ফরমটি
পূরণ করতে হবে। যদি এমআরপি পাসপোর্টে কোনরকম ভুল তথ্য থেকে থাকে তাহলে আপনি কি
পাসপোর্ট এর আবেদনে ভোটার আইডির সাথে সেটি সংশোধন করে নিতে পারবেন।
এমআরপি পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম নিবন্ধন
অথবা যোগ্যতা কাগজপত্র করতে হবে
পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি
পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভোটার আইডি দিয়ে পাসপোর্ট এর আবেদন করতে
হবে। এর জন্য আপনাকে আইডি ডকুমেন্ট এর অপশন হতে আপনার এমআরপি পাসপোর্টে অপশনে
সিলেক্ট করে যাবতীয় তথ্য অর্থাৎ এমআরপি বাস্তবের সকল তথ্য প্রদান করতে হবে।
এমআরপি পাসপোর্ট এর তথ্য পূরণ করার জন্য নিচের প্রদর্শিত ছবি অনুসরণ করুন।
প্রথমে আপনাকে আইডি ডকুমেন্ট অপশন এ এসে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট আছে কি নেই
সেটি সিলেক্ট করার জন্য এস আই হ্যাভ এ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এমআরপি সিলেট করতে
হবে
দ্বিতীয়ত আপনাদের আপনার পাসপোর্টটি রেনু করার কারণ উল্লেখ করতে হবে। এর
জন্য আপনাকে ডান পাশের ডবডাউন বাটনে ক্লিক করে সঠিক কারণ নির্বাচন করতে হবে।
ক্লিক করলে ড্রপ ডাউন বাটনে ক্লিক করলে যে সকল তথ্য প্রদর্শিত হবে তা হল
- কনভার্সেশন টু ই পাসপোর্ট- এমআরপি পাসপোর্ট হতে এই পাসপোর্টে রূপান্তরিত হওয়া
- এক্সপিয়ার-পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া
- লস্ট- হারিয়ে যাওয়া
- ডাটা চেঞ্জেস-তথ্য পরিবর্তন হওয়ার জন্য
- আনউজেবল- পাসপোর্ট ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে
- আদার্স-অন্যান্য কারণে
তৃতীয়ত আপনার এমআরপি পাসপোর্ট এর নাম্বারটি সঠিকভাবে প্রদান করুন।
চতুর্থত মেয়াদ উত্তীর্ণর ক্ষেত্রে আপনার এমআরপি পাসপোর্ট এর প্রদান করার
তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখে সঠিক ভাবে উল্লেখ করুন।
সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনি স্বাভাবিক নিয়মে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
এরপর আপনার পিতা-মাতার স্বামী অথবা স্ত্রী পাসপোর্ট ডেলিভারির ধরন এবং পেমেন্টের
টাইপ নির্বাচন করে আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে সম্পাদন করুন।
- পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিন
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- আবেদনের সারাংশ অংশ অংশের প্রিন্ট কপি
- আবেদন কপি
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- পাসপোর্ট এর টাকা জমা রশিদ
- সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে
- পাসপোর্ট এর অর্থাৎ এমআরপি পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি
- অনলাইনে নাগরিক সনদপত্র
- বিদ্যুৎ বিল কাগজের ফটোকপি
পাসপোর্ট ফি জমা ব্যাংক
পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার জন্য আপনি সকল ব্যাংকে একাউন্টটি ব্যবহার করতে
পারবেন না। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের আওতায় আপনার পাসপোর্টের
টাকাটি জমা দিতে হবে। যে সকল ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেওয়া হয় সেই
ব্যাংকগুলো হলো।
- এ চালান
- ওয়ান ব্যাংক
- ঢাকা ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- প্রিমিয়ার ব্যাংক
বর্তমানে পাসপোর্ট এর কি অনলাইনে মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে খুব সহজে
প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এ চালান ব্যবহার করে আবেদনটি জমা করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
বিদেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিসার জন্য এপ্লাই করতে হবে আর ভিসা পাওয়ার
জন্য মেডিকেল চেক আপ অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রিপারেশন
নিয়ে থাকেন এবং মেডিকেল পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেল ফিটনেস এর জন্য ওই টা দিয়ে থাকেন
তাহলে একটা বিষয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন যে,
অনলাইনে মাধ্যমে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়েই আপনার মেডিকেল চেক করতে পারবেন এবং আমি
জানতে পারবেন। বিদেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল চেক করা অত্যন্ত জরুরী। কেননা বিদেশে
যাওয়ার আগে আপনি যে এই দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশে আপনি বসবাসের উপযোগী করে নিতে
পারবেন কিনা এবং বসবাসের জন্য আপনি শারীরিকভাবে কতটুকু সক্ষম।
আরো পড়ুনঃ
মোবাইল দিয়ে ফিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায়
সেই বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থান
আপনার শরীরে কোন রোগ সংক্রমণ আছে কিনা কোন বিষয়ে জানা বা নির্ণয় করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মেডিকেল চেকআপ করানো হয়ে থাকে মেডিকেল
চেকআপ করানো কিছুদিন পর আপনি আপনার রিপোর্টটি হাতে পেয়ে যাবেন।
যদি অনলাইন কি প্রদান করার পর আপনার মেডিকেল রিপোর্টটি ঠিক দেখতে পান সেক্ষেত্রে
আপনি কোন ধরনের আপত্তি ছাড়াই মেডিকেল রিপোর্টকে হাতে পাবেন এবং আপনি ভিসা সংগ্রহ
করে অনায়াসে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য যে দেশে ভিসা আবেদন করেছেন সেই দেশের ভিসা
ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং মেডিকেল রিপোর্ট চেক ওয়েবসাইট ভিজিট
করতে হবে। এরপর জাতীয়তা বাছাই করে আপনার মেডিকেলে স্লিপ নাম্বার অথবা
পাসপোর্ট নাম্বারটি সঠিকভাবে প্রদান করে মেডিকেল রিপোর্টটি চেক করতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে সৌদি আরবের ভিসার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার পদ্ধতি
সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার
নিয়মাবলী
- প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট।
- ওয়েবসাইট লিংকটি হলো wafid.com/medical-status-search/
- উক্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর আপনি বাই পাসপোর্ট নাম্বারটি সিলেক্ট করুন
- এরপর আপনার পাসপোর্ট এর টাইপ নির্বাচন করুন
- এরপর আপনার জাতীয়তা অর্থাৎ ন্যাশনালিটি বাছাই করুন
- সবশেষে চেক বাটনে ক্লিক করুন।
এছাড়াও আপনি Wafid স্লিপ নাম্বার দিয়েও মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন।
লেখক এর মন্তব্য
আপনি যদি বিদেশ ভ্রমণ করতে চান সেটি হতে পারে ঘুরতে যাওয়া অথবা চিকিৎসা করতে
অথবা ব্যবসায়িক কাজে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে
কেননা কি পাসপোর্ট সম্পর্কে না জানলে আপনাকে হয়তো অনেক হয়রানি সম্মুখীন হতে
পারেন। তবে কোন ধরনের দালালি ছাড়া নিজ দায়িত্বে সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক কাগজপত্র
দিয়ে আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করুন।
যদি কি পাসপোর্ট সম্পর্কে আরো কিছু জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন
অথবা whatsapp মাধ্যমে ক্লিক করে সরাসরি মেসেজ করতে পারেন। আমি ফ্রিল্যান্সিং ফর
এডমিন সেবা সংক্রান্ত অনেক তথ্য প্রদান করে থাকে আপনার যদি প্রয়োজন হয় তাও আপনি
আমাকে জানিয়ে রাখলে সেটি আপনাকে খুব দ্রুত তাড়ানোর চেষ্টা করব। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url