দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম, দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় কি? এটা হচ্ছে আজকে আলোচ্য বিষয়। আপনি হয়তোবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন এবং বিভিন্ন ডাক্তার কবিরাজের কাছে ওষুধ সেবন এর পরেও স্থায়ী সমাধান পাননি। গ্যাস্ট্রিক থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে এবং পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়


প্রিয় পাঠক, আমি আপনাদের আরো জানাতে চলেছি বাচ্চাদের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়, পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ, অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় ইত্যাদি বিষয়। তাই গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্য এই পোস্টটি খুব কার্যকরী হতে চলেছে।

পেজ সূচিপত্রঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

  • দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
  • পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • বাচ্চাদের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ
  • অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়
  • লেখকের মন্তব্য

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

বর্তমান বিশ্বে পেটের সমস্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সাধারণত মানুষের কর্মব্যস্ততার মাঝে জীবন যাপন করার জন্য খারাপ খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যাওয়ার কারণে আস্তে আস্তে মানুষের শরীরে পরিপাকতন্ত্র অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায় পরে। যার কারণে মানুষের পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন বদহজম, পেট ফাঁপা, পাতলা পায়খানা, পেটে গ্যাস্টিক সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে বর্তমান মানুষকে দেখা যায়।
সাধারণত গ্যাস হলে পেট ফুলে যায় কখনো কখনো আবার তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় আবার কখনো বুকেও পিঠে খোচানোর মত ব্যথা হয়ে থাকে। যখন কোন মানুষের পেট ফুলে ওঠে তখন বুঝতে হবে যে ওই ব্যক্তিটির পেটে অর্থাৎ অন্ত্রে গ্যাস জমা হয়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বাইরে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণে মধ্যপন করা, অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করার জন্য এ সমস্যা হয়ে থাকে। যার ফলে মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের পরিমাণ অত্যাধিক হারে বেড়ে যায়।

কথায় আছে, পেট শান্তি তো দুনিয়ার শান্তি। যার পেটের সমস্যা কোন পরিস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে পারে না এমনকি কোন কাজে কর্ম ও ঠিকমতো করতে পারেনা। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অবশ্যই খুব দ্রুত চিকিৎসায়কের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসক ছাড়াও আপনি ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে যে সকল উপায় অবলম্বন করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে পারবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

পেটে মালিশ করাঃ সাধারণত গ্যাস্ট্রিক হলে পেট ব্যাথা হয়। তাই সরিষার তেল পেটে দিয়ে আস্তে আস্তে করে মালিশ করলে পেটে জমে থাকা গ্যাস পায়ুপথ দ্বারের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এর জন্য ডানদিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকলে অনেক বেশি কাজে দেয়। আপনি ডান দিকে কাঁধে শুয়ে থেকে আলতো ভাবে পেস্ট মেসেজ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।

গোসলে গরম পানি ব্যবহার করাঃ নিয়মিত গোসল করার সময় নিয়মিত হারে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে গ্যাস্টিকের সমস্যা। কেননা গরম পানি পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেটে গ্যাস না হওয়ার এন্টিবায়োটিকের মত কাজ করে। গরম পানিতে গোসল করলে মানুষের পেটের অন্তরের ওপর প্রেসার কম পড়ে এতে করে পেটের অন্তর অনেকটাই ভালো এবং সুস্থ থাকে।

ফাইবার যুক্ত খাদ্য গ্রহণঃ যাতে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় সে সকল ব্যক্তিরা খাবারের তালিকায় অবশ্যই বেশি পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার যোগ করে রাখতে পারেন। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। ফাইবারযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং দ্রুত খাবার হজম করতে সহায় হোক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন একজন নারীর জন্য ২৫ গ্রাম এবং একজন পুরুষের জন্য ৩৫ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

কলা খাওয়াঃ কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে। এসব খাবারের মধ্যে একটি হল কলা। তাই নিয়মিত কলা খেলে পেটের সমস্যা দূর হতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

বেশি বেশি পানি খাওয়াঃ শুধু গ্যাসটিকে নয় যেকোনো পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে পানির কোন বিকল্প নেই। বেশি বেশি পানি খেলে পেট ঠান্ডা থাকে হজম হতে সাহায্য করে এবং পেটের ভিতরে গ্যাস জমা থাকলে সেগুলো বের করতে সাহায্য করে।

নিয়মিত হাটা এবং ব্যায়াম করাঃ বেশি সময় ধরে একই স্থানে স্থির হয়ে বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করলে পেটের খাবার হজম হতে সাহায্য করে। যার জন্য পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। তাই নিয়মিত হাঁটাহাঁটি এবং ব্যায়াম করলে পেট থেকে গ্যাস বেড়ে যেতে সাহায্য করে। তাছাড়া ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী।

ডাবের জলঃ ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা খেলে পেটের গেটের সমস্যা দূর হয়ে যায় সেই সাথে শরীরে পানির চাহিদাও যোগান দেয়।

দই খাওয়াঃ দই সাধারণত পেটের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুই খেলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাই। যাদের দুই সমস্যা হয় তারা দুপুরে খাবারের তালিকায় দই রাখতে পারেন।

নিয়মিত রসুন খাওয়াঃ আপনার অনেকেই জানেন রসুনের কার্যকারিতা সম্পর্কে। একজন মানুষের পরিপাকতন্ত্রের জন্য রসুন খুবই উপকারী। কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন  খায় এবং দুপুরের সঙ্গে একবার রসুন খাই এবং এটা যদি এক সপ্তাহ নিয়মিত রসুন খাওয়া বহাল থাকে তাহলে তার পেটের যাবতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।

পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

অনিয়মিত খাবার খাওয়া এবং দুর্গন্ধযুক্ত বা নষ্ট খাবার খাওয়া থেকেই মূলত পেট ফাঁপা বদহজম এবং গ্যাস্টিকের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন আমরা বাহিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের খাবার খায় তখনই এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এরকম পরিস্থিতিতে খুব তাড়াতাড়ি পেট ফাঁপা, পাতলা পায়খানা, এসিডিটি কিংবা পেটের বিভিন্ন গ্যাস জাতীয় সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। 
পেটে যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তখন পেট জ্বালাপোড়া করে কখনো কখনো বুক জ্বালাপোড়াও করতে লক্ষ্য করা যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার বমি বমি ভাব হয়, শরীর দুর্বল হয়ে যায়, মাথাব্যথা হয়, পেটে বিভিন্ন রকমের ব্যাথা সহ আরো অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করলে আরো বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে পেট ফাঁপা দূর করতে পারবেন তার কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি আলোচনা করা হলোঃ

বেশি পরিমাণে পানি পান করুনঃ পেট ফাঁপা দূর করার জন্য অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কেননা পেট ফাঁপা সাধারণত হজমজনিত সমস্যার কারণে সৃষ্টি হয়। সে কারণে সর্বপ্রথম এই হজমজনিত সমস্যা দূর করার জন্য বেশি বেশি পানি পান করার অভ্যাস করুন। তবে একবারে অনেক বেশি পানি পান না করে 30 মিনিট পর পর দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

হাটাহাটি করাঃ আপনারা অনেকেই একটি ভুল করে বসেন সেটা হল পেট ভেবে উঠলে শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে শুয়ে পড়েন। এ কাজটি করা যাবে না কেননা হাটাহাটি করলে পেটের অন্তঃক্রিয়া গুলো সচল করে পেটের মধ্যে থেকে গ্যাস নিচের দিকে নামাতে সাহায্য করে। তাই পেট ভেবে উঠলে একটু হাটাহাটি করার কিংবা নড়াচড়া করার চেষ্টা করুন। এতে করে গ্যাস পায়ুপথে বের হয়ে পেট ফাঁপা দূর করতে সাহায্য করবে।

উপযুক্ত খাবার খাওয়াঃ পেট ফেঁপে উঠলে আপনি দই খেতে পারেন। দই পেটের ব্যাকটেরিয়া পচন ক্রিয়াকে কার্যক্ষম করে পেটের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।

এছাড়াও হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য আরও কিছু খাবার খেতে পারেন। যেমন ধরুন পাকা পেঁপে এবং কলা। এই দুইটি খাবার হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের পুষ্টি উপাদান গুলো পরিপূর্ণ করে। যার জন্য পেটের ব্যথা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। হজম শক্তি যত বৃদ্ধি পাবে পেট ফাঁপা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ততটাই কমে যাবে।

জিরা পানিঃ পেট ফাঁপা দূর করার জন্য জিরা পানি এবং ডাবের পানি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যখন কোন ব্যক্তির হঠাৎ করে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়ে পেট ফেটে ওঠে তখন ওই ব্যক্তি আদা, শসা পুদিনাপাতা এ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এই খাবারগুলো পেটের সমস্যা বিশেষ করে পেট ফাঁপা দূর করতে সাহায্য করে।

বাচ্চাদের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাচ্চারা যেহেতু তাদের কোন সমস্যার কথা মুখে বলে প্রকাশ করতে পারে না। সে কারণে কোন খাবারগুলো তাদের খাওয়া উচিত এবং কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কোন খাবারগুলো থেকে বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং পেট ভরার সমস্যা হতে পারে এ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকার দরকার। 
অনেক সময় বাচ্চারাও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় সম্মুখীন হয়। গ্যাস্ট্রিকের কারণে বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে কান্নাকাটিও করতে পারে। আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মালিশ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা সম্ভব। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে শিশুর পেটে গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। যেগুলো সমস্যা দেখা দিলে আপনি বুঝবেন যে আপনার শিশুর পেটে গ্যাসটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়েছে। সমস্যা গুলো হলঃ
  • পেট ফুলে ঢেপে ওঠা
  • বাচ্চা বেশি বেশি কান্নাকাটি করা এবং ঠিকঠাক মতো দুধ পান না করা
  • ব্যথার কারণে কান্নাকাটি করা
  • কিছুক্ষণ পর পর পেট থেকে গ্যাস বের হয়ে যাওয়া
  • ঘুমের সমস্যা
উপরোক্তর সমস্যাগুলো দেখা দিলে বাচ্চা অনেক অস্বস্তি বোধ করে। আর যখনই পেট থেকে গ্যাস বের হয়ে যাবে তখনই বাচ্চা স্বস্তি পাবে। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি এই সমস্যাগুলো দূর করতে পারেন। পদ্ধতিগুলো হলঃ

পেটে মালিশ করাঃ সরিষার তেল হাতে মেখে নিয়ে পেটের উপর আলতো করে দিয়ে মালিশ করুন। পেটের চারিদিকে আস্তে আস্তে হাত ভরিয়ে মালিশ করতে থাকুন। তবে খুব জোরে জোরে মালিশ করবে না। আস্তে আস্তে কিছুক্ষণ মালিশ করার পর দেখবেন যে পেট অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে।

পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রায় মানুষেরই দেখা যায়। সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হলে কিছু ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। কিন্তু যখন গ্যাসের সমস্যা অনেক বেশি পরিমাণে হয় তখন পেটের ব্যাথা নাশক ঔষধ এবং গ্যাসের ওষুধ খাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। যে সকল গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য খুবই উপকারী সেই ওষুধগুলো হলঃ
  • রাবিউম ট্যাবলেট
  • টোবিটাল ট্যাবলেট
  • নেক্সউম ট্যাবলেট
  • এনটাসিড ট্যাবলেট
  • অ্যালজিন ট্যাবলেট
পেটের ব্যথা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয় এবং আপনি যদি খুব দ্রুত এ ব্যথা থেকে মুক্তি লাভ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারেন। আপনি চাইলে ডাক্তারের কাছ থেকেও ওষুধ নিতে পারেন কিংবা ডাক্তারের কাছে যেতে অক্ষম হলে অনলাইনে মাধ্যমে আপনি ওষুধ ক্রয় করতে পারেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কি ট্যাবলেট বা ওষুধ খেলে আপনি এর থেকে মুক্তি পাবেন সেগুলো হল।
  • নরভিস ট্যাবলেট Norvis Tablet
  • অ্যালজিন ট্যাবলেট Algin Tablet
  • লোসিকটিল ট্যাবলেট Losectil Tablet
  • রাবিলক ট্যাবলেট Rabeloc Tablet
  • সারজেল ট্যাবলেট
  • প্যানটেনিক্স ট্যাবলেট ইত্যাদি।

অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়

বর্তমানে আমাদের একটি সমস্যা প্রতিনিধিতে বেড়ে চলেছে সেটি হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। বর্তমান বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের বাংলাদেশ এ ধরনের সমস্যা খুবই বেশি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য। খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল এর কারণে এবং খাদ্যের বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারণে প্রায় সবারই এই সমস্যা দেখা দেয়। 
মানুষের পেটের অন্তরে সাধারণত গ্যাস সৃষ্টি হয়। প্রতিটি মানুষেরই গ্যাস হয়। প্রত্যেকদিন 15 থেকে 20 বার বায়ু বের হলে পেট স্বাভাবিক থাকে। পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস হলে পেট থেকে নির্গত গ্যাস অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। অনেকে এ বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাই পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় কি সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

শসা খাওয়াঃ কেটে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস হলে শসা খুবই কার্যকরী খাবার হিসেবে কাজ করে। শসা পেটকে ঠান্ডা রেখে পেটে এসিডিটি বৃদ্ধি থেকে কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া সরস্বতী রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।

আদাঃ পেটের বেশ কমানোর জন্য আরো একটি এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান হলো আদা। পেটের বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে গ্যাসের কারণে পেট ভেবে উঠলে আদা কুচকুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেয়ে নেন তাহলে দুটো গ্যাস থেকে মুক্তি মিলবে।

ঠান্ডা দুধঃ পেট ঠান্ডা থাকলে পেট গ্যাসের সমস্যা কম হয়্ পেট ঠান্ডা রাখার জন্য একটু উপকারী খাবার হল ঠান্ডা দুধ। ঠান্ডা দুধ পেটের পাকস্থলীর গ্যাসটির এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে।

দইঃ দই হজম শক্তি বাড়িয়ে পেটের গ্যাস কমাতে খুবই সহায় ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও আরো কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলো যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে থাকে
  • পুদিনা পাতা
  • কলা
  • কমলা
  • ডাবের জল
  • মৌরির পানি
  • লঙ্কা
  • লবঙ্গ
  • জিরার পানি ইত্যাদি

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়েন তাহলে অবশ্যই প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করবেন। যদি গ্যাস্টিকের সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে । অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বা অন্য যেকোনো রোগের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। কেননা প্রতিটি ওষুধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url